শেফিল্ড টাইমস ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের জাতীয় সংগীত 'জনগণমনআধিনায়ক' গানটি ভারতের জাতীয় সংগীত। তাই অধিকাংশ স্কুলেই ওই গানটি প্রার্থনা সংগীত হিসাবে গাওয়া হয়। কিন্তু এবার থেকে ওই গান আর স্কুলগুলোতে প্রার্থনা সংগীত হিসাবে গাওয়া হবে না, বদলে রবীন্দ্রনাথেরই 'বাংলার মাটি, বাংলার জল' গানটি গাওয়া হবে। কারণ এই গানটি বাংলার 'রাজ্য সংগীত'। প্রশ্ন উঠেছে, এভাবে কি জাতীয় সংগীতকে বাদ দেওয়া যায়? বৃহস্পতিবার একটি বিশেষ বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। সেখানে জানানো রাজ্যের সমস্ত সরকার-পোষিত (aided) এবং স্পনসর্ড উচ্চ প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রতিদিনের প্রার্থনাসভায় রাজ্যগান গাওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
{link}
নির্দেশিকায় উল্লেখ, প্রতিদিন সকালের প্রার্থনাসভায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল’ গানটি বাধ্যতামূলকভাবে গাইতে হবে। মনে করা হচ্ছে, এই নিয়ম পালনের ক্ষেত্রে কোনও স্কুল কর্তৃপক্ষের কোনও ধরনের শিথিলতা বা অবহেলা বরদাস্ত করা হবে না। সমস্ত স্বীকৃত স্কুলের প্রধানদের এই নির্দেশ কঠোরভাবে পালন করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।
{link}
১ বৈশাখকে ‘রাজ্য দিবস’ এবং রবীন্দ্রনাথ রচিত ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল’ গানটি পশ্চিমবঙ্গের ‘রাজ্য সঙ্গীত’ হবে বলে ২০২৩ সালে বিধানসভায় প্রস্তাব পাশ হয়। বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনের সময় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল’ গানটি লিখেছিলেন। এই গানটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা একটি বিখ্যাত দেশাত্মবোধক গান, যা ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনের সময় রচিত হয়েছিল। এই গানটি হিন্দু ও মুসলিম বাঙালিদের একত্রিত করার জন্য এবং একে অপরের প্রতি ভালোবাসা ও সম্প্রীতি বাড়ানোর জন্য লেখা হয়েছিল। রাজ্য সরকারের সমস্ত অনুষ্ঠান, কর্মসূচির শুরুতে ‘রাজ্য সঙ্গীত’ গাইতে হয়। বছর দুয়েক আগেই এমন নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছিল রাজ্য সরকারের তরফে। প্রতি বছর পয়লা বৈশাখে ‘রাজ্য দিবস’ পালনের কথাও বলা হয়েছে। প্রতিটি কর্মসূচির শুরুতে এক মিনিট ৫৯ সেকেন্ড ধরে গাইতে হয় ‘রাজ্য সঙ্গীত’। স্কুলেও তা প্রযোজ্য হল।
{ads}