শেফিল্ড টাইম্স ডিজিটাল ডেস্ক : ঘটনাপ্রবাহ যেদিকে যাচ্ছে তা মোটেই ভালো নয়। গত কয়েক মাস ধরে বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে তৃণমূল (TMC) নেতা কর্মীরা খুন হচ্ছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অবশ্য গোষ্ঠীকোন্দলই খুনের কারণ। শনিবার দুপুরে ঘটে গেলো এক মর্মান্তিক ঘটনা। ঘটনা কোচবিহারের (Cooch Behar) পুণ্ডিবাড়ির। শনিবার দুপুরে প্রকাশ্যেই সেখানে হল শুটআউট (Shootout)।
{link}
ভরা বাজারে গুলি করে খুন করা হল ডায়াগুড়ির পঞ্চায়েত প্রধান কুন্তলা রায়ের ছেলেকে। নিহতের নাম অমর রায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাজার করতে বেরিয়ে ছিলেন তিনি। তখনই দু’টি বাইক চেপে আসে দুষ্কৃতীরা। পরপর কয়েক রাউন্ড গুলি চলে। যার আতঙ্কে প্রাণ বাঁচিয়ে ছুটতে দেখা যায় বাজারে উপস্থিত এলাকাবাসীদের। যখন পরিবেশ কিছুটা শান্ত হয়, তখন দেখা গেল রাস্তার মধ্যে লুটিয়ে পড়েছে প্রধানের ছেলে। রক্তাক্ত পরিস্থিতি। শরীরেও হয়তো প্রাণ নেই। গুলিবিদ্ধ আরও এক। তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তৃণমূল নেতার ছেলেকে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
{link}
গুলিবিদ্ধ হয় আরো একজন। তার পায়ে গুলি লাগে। শনিবার বিকেলেই নিহতের দেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছে কোচবিহারের এমজিএন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। সেখানে পৌঁছেছে তাঁর পরিবার। পৌঁছেছেন অমল রায়ের বাবা পার্থপ্রতীম রায়ও। ছেলের পরিণতিতে রীতিমতো মর্মাহত তিনি। কিন্তু কারা খুন করল তাঁকে? কেনই বা করল? নেপথ্য কি রয়েছে কোনও রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র? এই প্রসঙ্গে কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। গোটটাই এখনও ধোঁয়াশা। অন্ধকারে রয়েছে পুলিশও। এমনকি, এদিন হাটে যাওয়ার সময় নিজের গাড়ি ও চালককে নিয়ে গিয়েছিলেন নিহত অমল রায়। কিন্তু সেই গাড়ি ও চালক এখন কোথায়? তাকেও খুঁজে পাওয়া যায় নি। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
{ads}