একুশের বিধানসভা নির্বাচন শেষ হয়েছে কয়েক মাস আগে। যে নির্বাচনে বিপুল অঙ্কে জয়লাভ করেছে তৃণমূল। ঠিক যেভাবে নির্বাচিনের আগে ঘাসফুল ছেড়ে পদ্মফুলে যাওয়ার হিড়িক পড়েছিল, ভোটের পর বিজেপির বিপর্যয়ে তৃণমূলে ফেরার হিড়ক পড়ে গিয়েছে দলবদলুদের। সেই তালিকায় রয়েছে সমস্ত বড়ো বড়ো নাম। ডোমজুড়ের প্রাক্তন বিধায়ক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় সহ একঝাঁক দলবদলু তৃণমূলে ফিরবেন বলে আবেদন করেছেন দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে। তাঁদের ফেরানো হবে কি না, হলেও কবে হবে, এসব নিয়েই উদ্বেগে দলবদলুরা। তবে তৃণমূল সূত্রে খবর, দলবদলুদের নিয়ে এখনই কিছু ভাবছেন না সবুজ নেতৃত্ব।
{link}
বিধানসভা নির্বাচনে মুখ থুবড়ে পড়ে বিজেপি। তার পরেই মোহভঙ্গ হয় দলবদলুদের। তৃণমূলে ফিরবেন বলে একাধিক পন্থা অবলম্বন করেন তাঁরা। কেউ কেঁদে ভাসিয়ে দেন সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরার সামনে। কেউ বা মমতা-স্তুতিতে ভরিয়ে দেন সোশ্যাল মিডিয়ার ওয়াল। বিধানসভার প্রাক্তন ডেপুটি স্পিকার সোনালি গুহ প্রথম আবেদন করেন তৃণমূলে ফিরবেন বলে। তাঁর পদাঙ্ক অনুসরণ করেন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া আরও বেশ কয়েকজন দলবদলু।
প্রথমে তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে যাঁরা আবেদন করেছিলেন, তাঁদের ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে প্রাথমিক একটা সিদ্ধান্ত হয়েছিল ঘাসফুল শিবিরে। পরে দলবদলুদের আপাতত দলে না ফেরানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া লোকজনের মধ্যে প্রায় ১৪৩জনকে প্রার্থী করেছিল। তার মধ্যে মাত্র ছ’জন জয়ী হয়েছেন। বাকিরা হয়েছেন ধরাশায়ী। এঁদের এখনই দলে ফেরানো হলে ভুল বার্তা যাবে। দানা বাঁধবে অসন্তোষ। যা দেখা গিয়েছিল রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলে ফিরতে চাওয়ার পরে। অরূপ রায়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো তৃণমূল নেতারাও রাজীবের দলে ফেরানোয় প্রবল আপত্তি জানান।
{link}
এছাড়াও উল্লেখযোগ্যভাবে সেই সমস্ত নেতাদের দলে ফেরার বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন নিচু তলার কর্মীরাও। তাদের বিক্ষোভেই আরও কঠিন হয় দলবদলুদের দলে ফেরার রাস্তা। দলের উঁচু থেকে নিচু সব তলার কর্মীদের ক্ষোভ টের পেয়ে তৃণমূল নেতৃত্ব ধীরে চলো নীতি নিয়েছেন বলে সবুজ শিবির সূত্রে খবর। যার জেরে আপাতত অপেক্ষাই করতে হবে দলবদলু নেতাদের, যাঁরা তৃণমূলে ফিরবেন বলে হা-পিত্যেশ করে বসে রয়েছেন! এখন আদৌ আশা মিটবে কি না, সেটা বলা কিন্তু শক্ত।
{ads}