শেফিল্ড টাইম্স ডিজিটাল ডেস্ক : উঃ ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) বসিরহাট (Basirhat) সংলগ্ন একটা বড়ো অংশের মানুষের জীবিকা গলদা চিংড়ি (Lobster) চাষের সঙ্গে যুক্ত। প্রকৃতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চিংড়ি চাষে জয়যাত্রা বসিরহাটের। উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার বিস্তীর্ণ উপকূলবর্তী অঞ্চল—সন্দেশখালি, হিঙ্গলগঞ্জ, মিনাখা, হাড়োয়া ও বসিরহাটে—দীর্ঘদিন ধরেই চিংড়ি চাষ একটি প্রধান জীবিকা হিসেবে চলে আসছে। বিশেষ করে গলদা ও বাগদা চিংড়ি চাষে এই অঞ্চল দীর্ঘদিন ধরে বিখ্যাত।
{link}
সুন্দরবনের সান্নিধ্য ও প্রকৃতিগতভাবে অনুকূল পরিবেশ এই চাষের পক্ষে সহায়ক। চাষের এই পুরনো প্রথা এখন আধুনিকতার ছোঁয়ায় আরও সফল হচ্ছে। গত কয়েক বছরে উত্তর ২৪ পরগনার চাষিরা নিয়মিতভাবে বায়োফ্লক, জিওমেমব্রেন পদ্ধতি, উন্নত খাদ্য ও স্বাস্থ্যপরীক্ষা ব্যবস্থার মত প্রযুক্তি ব্যবহার করতে শুরু করেছেন। এতে উৎপাদন যেমন বেড়েছে, তেমনই কমেছে মৃত্যুহার ও রোগ সংক্রমণ। এই পরিবর্তনে লাভের মুখ দেখছেন বহু চাষি। একসময় যারা শুধুমাত্র স্থানীয় বাজারে বিক্রি করতেন, আজ তারা বড় বাজার এমনকি রফতানির পথেও এগোচ্ছেন। বসিরহাট, ম, কলকাতা এমনকি ভিন রাজ্যের পাশাপাশি বিদেশেও এখানকার চিংড়ির চাহিদা যথেষ্ট।
{link}
চিংড়ি চাষের সঙ্গে যুক্ত স্থানীয় বহু পরিবার এখন স্থায়ীভাবে এই পেশার ওপর নির্ভরশীল। পাশাপাশি তরুণ প্রজন্মও এই চাষকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করছে। সরকার ও বেসরকারি সংস্থার তরফ থেকেও প্রশিক্ষণ, ঋণ ও প্রযুক্তিগত সহায়তা মিলছে। তবে সমস্যা একেবারে নেই তা নয়। জলবায়ু পরিবর্তন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, জলের মানের ওঠানামা এবং কিছু ক্ষেত্রে বাজারে দামের অনিশ্চয়তা এখনও চাষিদের চিন্তায় রাখে।
{ads}