header banner
Unable to load live videos at this time.
<br />
<b>Notice</b>:  Undefined variable: headerad in <b>/home/u937603675/domains/sheffieldttimes.com/public_html/components/ads-sidebar.php</b> on line <b>26</b><br />
<br />
<b>Notice</b>:  Trying to get property 'name' of non-object in <b>/home/u937603675/domains/sheffieldttimes.com/public_html/components/ads-sidebar.php</b> on line <b>26</b><br />
Photo Booth
featured
featured
featured
featured

সুসাস্থ্যা

আরো পড়ুন

Health News : সুস্থতার জন্য শরীরে প্রয়োজন পর্যাপ্ত প্রোটিন

শেফিল্ড টাইম্‌স ডিজিটাল ডেস্ক :   শরীরের শ্রীবৃদ্ধির জন্য চাই ব্যালান্স ডায়াট (Balance Diet) - যাকে আমরা বলি সুষম খাদ্য। এই সুষম খাদ্যের  অন্যতম হলো প্রোটিন। ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেড, ভিটামিন তো অবশ্যই দরকার কিন্তু প্রোটিন শরীরের একটি অপরিহার্য পুষ্টি উপাদান। শরীরের যত্ন নিতে, রক্তে শর্করার ভারসাম্য ঠিক রাখতে, ইস্ট্রোজেন হরমোন এবং সুস্থ থাইরয়েডের জন্য তো বটেই সর্বোপরি শরীরের সামগ্রিক সুস্থতার জন্য শরীরে পর্যাপ্ত প্রোটিনের প্রয়োজন। প্রোটিনের মধ্যে থাকে অ্যামাইনো অ্যাসিড যা শরীরের জন্যেও খুব ভাল। শরীরে কোষের বৃদ্ধি, কোষ মেরামতের জন্য প্রয়োজন প্রোটিনের। নতুন কোষ, পেশী আর হাড়ের গঠনেও ভীষণ রকম সাহায্য করে প্রোটিন। প্রোটিন শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি করতে সাহায্য করে। যার ফলে শরীরে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা অনেকটাই বাড়ে। আর তাই হরমোন তৈরি, হজম এবং বিপাকেও কোনও রকম সমস্যা হয় না। প্রোটিনের অভাবে শরীরে অনেক রকম সমস্যা দেখা যায়। {link} এখন প্রশ্ন এই প্রোটিনের প্রধান প্রধান উৎস কোনগুলো। সধারণভাবে আমাদের ধারণা ডিম প্রোটিনের (Protein) অন্যতম উৎস। কথাটা একদম ঠিক। সস্তার খাদ্য ডিমে আছে প্রচুর প্রোটিন কিন্তু শুধু কি ডিম? পৃথিবীর একটা বড়ো সংখ্যক মানুষ নিরামিষ আহার করেন। তাদের জন্য প্রোটিন পাওয়া যাবে কোথা থেকে? এমন প্রশ্ন আসা স্বাভাবিক। এই বিষয়ে পুষ্টিতত্ত্ববিদেরা  আমিষ ও নিরামিষ মিলিয়ে এই পাঁচটি খাদ্যের উপর জোর দিতে বলেছেন - যে খাদ্যগুলো প্রোটিনে ভরপুর। আর এই প্রোটিন মানুষকে অন্তত ৬০ বছর পর্যন্ত সুস্থ ও সবল রাখতে পারে। আমাদের স্মরণে আছে কোভিদের সময় চিকিৎসকেরা প্রোটিন খাবারের উপর খুব জোর দিয়েছিলেন। তার কারণ প্রোটিন একদিকে যেমন রোগ প্রতিরোধ  ক্ষমতা বাড়ায়, তেমনি শরীরে শক্তি বৃদ্ধি করে। এবার আসা যাক সাম্প্রতিক গবেষণায় বেরিয়ে আসা আমিষ ও নিরামিষ ৫টি প্রোটিনের কথায়। ১) চিকেন ব্রেস্ট - চিকেন এখন সর্বত্রগামী একটি উচ্চ প্রোটিন সম্পন্ন খাদ্য। তবে চিকেনের লেগপিস থেকে ব্রেস্টে প্রোটিন থাকে বেশি। মুরগির ব্রেস্টে  284 ক্যালোরি বা 165 গ্রাম প্রতি 100 ক্যালোরি রয়েছে। 80% ক্যালোরি আসে প্রোটিন থেকে, যখন 20% ফ্যাট থেকে। চিকেন ব্রেস্ট বডি বিল্ডার এবং যারা ওজন কমাতে চান তাদের মধ্যে বিশেষভাবে জনপ্রিয়। এর উচ্চ প্রোটিন এবং কম ক্যালোরি সামগ্রীর অর্থ হল আপনি খুব বেশি ক্যালোরি খাওয়ার বিষয়ে চিন্তা না করে বেশি মুরগি খেতে পারেন। ২) মাছ (Fish) - মাছ একটি প্রোটিন সমৃদ্ধ খাদ্য। তবে অতিরিক্ত বড়ো মাছে প্রচুর ফ্যাট সঞ্চিত হয়। সেদিকটাও খেয়াল রাখতে হবে। পুকুর, নদী বা সমুদ্র -  সব জায়গার মাছেই আছে অনেক প্রোটিন। তবে এক্ষেত্রে সামুদ্রিক মাছ কিছুটা এগিয়ে আছে। ১০০ গ্রাম সামুদ্রিক মাছ থেকে ৪২ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। আয়োডিন, সেলেনিয়াম, জিংক ও পটাশিয়ামসহ অনেক অপরিহার্য পুষ্টি উপাদান থাকে। তাই প্রোটিনের সন্ধানে সামুদ্রিক মাছ বেছে নিতে পারেন। {link}   ৩)  গ্রিক ইয়োগার্ট -  নিরামিষ আহার করেন তাদের আদর্শ প্রোটিনের উৎস হলো গ্রিক ইয়োগার্ট। গ্রিক ইয়োগার্টও খুব ভাল এর মধ্যে প্রোটিনের ভাগ বেশি। রোজ একবাটি করে এই দই অবশ্যই খান।  ৪) কুইনোয়া আর ছোলা - নিরামিষাশীদের আরেকটি ভালো প্রোটিন হতে পারে কুইনোয়া আর ছোলা। এক কাপ কুইনোয়ার মধ্যে ৮ গ্রাম প্রোটিন থাকে। একই ভাবে ছোলার মধ্যে থাকে ১৫ গ্রাম প্রোটিন। তাই এই চানা আর কুইনোয়া অবশ্যই খান নিয়ম করে। ৫) ডাল - ডাল জাতীয় দানা শস্যের মধ্যে আছে প্রচুর প্রোটিন। তবে ডালের মধ্যে প্রোটিনের দিক থেকে মুসুর ডাল এগিয়ে থাকলেও অন্যান্য সব ডালেই আছ প্রচুর প্রোটিন তাই প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় ডাল অবশ্যই রাখবেন। {ads}

article thumbnail

Health News : চোখ হলুদ দেখাচ্ছে, লিভার ক্যান্সারের উপসর্গ ?

শেফিল্ড টাইম্‌স ডিজিটাল ডেস্ক : ক্যান্সার (cancer) এখন এক ভয়ংকর মারনরোগ। প্রতিদিন প্রতিনিয়ত মানুষ ত্রাসে ভুগছে  ক্যান্সার নিয়ে। ক্যান্সার শরীরের সর্বত্র হতে পারে। তবে  লিভার ক্যান্সারে (liver cancer) সংক্রমিত হচ্ছে মাত্রা ছাড়া। ক্যান্সার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লিভার ক্যান্সারের প্রাথমিক কিছু উপসর্গ থাকে। আর প্রথমে ধরা পড়লে লিভার ক্যান্সার সারানো যায়। এই প্রাথমিক উপসর্গগুলো হলো -  {link} * কারণ ছাড়াই দ্রুত ওজন কমছে। * খিদে পাচ্ছে না। * পেটের উপরের দিকে ব্যথা। * বমি বমি ভাব বা বমি হচ্ছে। * ক্লান্তি আসছে শরীরে, দুর্বল লাগছে। {link} * পেট ফুলছে। * ত্বক হলুদ হয়ে পড়ছে। * চোখ হলুদ দেখাচ্ছে। * স্টুলের রং সাদা হয়ে গিয়েছে বা চকের মতো হয়েছে ইত্যাদি। এই ধরনের লক্ষণ দেখা দিলেই সরাসরি চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ফেলুন। কারণ এই একই লক্ষণ অনেক রোগের থাকতে পারে। চিকিৎসক সবটা বুঝে নিয়ে কিছু টেস্ট দিতে পারেন। চিকিৎসকের পরামর্শে চললে দ্রুত আরোগ্যের সম্ভাবনা থাকে। এই লক্ষণ থাকলে অবহেলা করবেন না। {ads}

article thumbnail

Health news: প্রস্রাবে দূর্গন্ধ হলে এড়িয়ে যাবেন না

শেফিল্ড টাইম্‌স ডিজিটাল ডেস্ক : হঠাৎ করে খেয়াল হচ্ছে যে প্রস্রাবে অতিরিক্ত বেশি দূর্গন্ধ হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে আমরা অনেকে ভাবি হয়তো জল কম  খাওয়ার জন্য এই দূর্গন্ধ। কিন্তু নেফ্রোলজিস্টরা বলছেন, জল কম খেলে অন্যান্য অনেক সমস্যা হতে পারে কিন্তু এর সঙ্গে প্রস্রাবের দূর্গন্ধের কোনো সম্পর্ক নেই। প্রস্রাবে (urine) দূর্গন্ধ  হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। প্রধানত যে সমস্ত কারণে প্রস্রাবে দূর্গন্ধ হয় তা হলো - {link} ১) মূত্রনালীর সংক্রমন। মূত্রনালীতে ব্যাকটেরিয়া জমলে দূর্গন্ধ হতে পারে। ২) ডায়াবেটিস রোগীদের ডায়াবেটিস (Diabetes) বেড়ে গেলে চিনি প্রস্রাবের সঙ্গে বেশি নির্গত হয়,তখন প্রস্রাবে দূর্গন্ধ হতে পারে। {link} ৩) প্রস্রাবে দূর্গন্ধ হওয়ার আরও একটি কারণ হল ‘সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড ইনফেকশন’। এই সংক্রমণ প্রস্রাব এবং মূত্রাশয়ে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। কখনও এই সংক্রমণের হাত ধরে মূত্রনালিতে প্রদাহ সৃষ্টি হয়, যা প্রস্রাবের গন্ধে পরিবর্তন আনতে পারে। ৪) কিডনিতে পাথর হলে নুন ও অন্যান্য খনিজ জমে গিয়ে প্রস্রাবে দূর্গন্ধ হতে পারে। তাই অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। {ads}

article thumbnail

Health News : হৃদরোগের ক্ষেত্রেও উপকারি কালোমেঘ পাতা

শেফিল্ড টাইম্‌স ডিজিটাল ডেস্ক :  ভারতের প্রাচীন আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে 'কালমেঘ'কে মহৌষধ বলা হয়েছে। কালমেঘের মধ্যে রয়েছে একাধিক উপকারিতা। সবুজ চিকতা নামেও পরিচিত কালোমেঘ। ঠান্ডা লাগলে কালোমেঘ পাতার রস খেলে উপকার পাওয়া যায়। হালকা জ্বর ও গলা ব্যথার সমস্যাতেও প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে এ পাতার রস খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। তবে এখন শোনা যাচ্ছে, হৃদরোগের ক্ষেত্রেও নাকি উপকারি এই কালোমেঘ পাতা (Green chiretta)। {link} মানুষ উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, ওজন বেশি থাকা, কোলেস্টেরলের মতো অসুখে আক্রান্ত। এবার এ সমস্ত রোগ কিন্তু হার্টের রোগের আশঙ্কা বাড়ায়। তাই প্রতিটি মানুষকে বলা হয়ে থাকে যতটা সম্ভব এই অসুখকে নিয়ন্ত্রণ করার। এবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে কালমেঘ পাতা পারে হার্টের রোগের আশঙ্কা কমিয়ে দিতে। ডায়াবেটিস (Diabetes) নিয়ন্ত্রণে এই পাতা অসাধারণ কাজ করে। এছাড়া বলা হয়ে থাকে যে, এ পাতার রস রক্ত পরিষ্কার করে দিতে পারে। এমনকী এতে রয়েছে অ্যান্টিভাইরাল গুণ। {link} ম্যালেরিয়াতে (Malaria)ও কালোমেঘ পাতা কাজ করে বলে জানা যাচ্ছে। এ ছাড়াও সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে কালোমেঘ পাতায় রয়েছে অ্যান্টিথ্রম্বোটিক উপাদান। এই কারণে কালোমেঘ খেলে রক্ত জমাট বাধতে পারে না। এর ফলে রক্তপ্রবাহ ঠিকমতো হয়। কালমেঘ পাতার ব্যবহার - প্রধানত দু'ভাবে কালমেঘ পাতা খাওয়া যায়। (১) এই পাতার পেষ্ট বানিয়ে খুব ছোট ছোট বড়ি বানিয়ে রোদে একদম শুকিয়ে নিন। প্রতিদিন সকালে ২টো বড়ি জল দিয়ে খেয়ে নিন।(২) রাতে ১৫/১৬ টা কালমেঘ পাতা ঈষৎ গরম জলে ভিজিয়ে রেখে সকালে সেই জল ছেঁকে নিয়ে খেয়ে নিন। {ads}

article thumbnail

Health News : সুস্বাস্থ্য ধরে রাখার প্রধান দুটি সূত্র

শেফিল্ড টাইম্‌স ডিজিটাল ডেস্ক : সারা জীবন 'সুস্বাস্থ্যের' অধিকারী থাকতে হলে ব্যাল্যান্স ডায়েট (Balance diet) জরুরি। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেন,সুস্বাস্থ্য ধরে রাখতে গেলে প্রধান দুটি সূত্র - (১) নিয়মিত শরীর চর্চা অর্থাৎ নিয়মিত অন্তত আধ ঘন্টা হাঁটা ও (২) সুষম খাদ্য গ্রহণ করা। এখন প্রশ্ন এই সুষম খাদ্য বলতে আমরা কি বুঝি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খাদ্য তালিকায় অপরিহার্য কয়েকটি জিনিষ রাখতে হবে। {link} ১) ওমেগা-3 ফ্যাটি এসিড। পাওয়া যাবে মাছ,চিয়া বীজ,বাদাম ও ডাল শষ্য। ২) ভিটামিন -ডি - পাওয়া যাবে সূর্যালোক ও মাশরুম, দুধ। ৩) ভিটামিন - বি - পাওয়া যাবে সামুদ্রিক মাছ,দুগ্ধজাত খাবার ও সবুজ শাক-সবজি। ৪) এন্টি অক্সিডেন্ট (Antioxidant) - পাওয়া যাবে সাইট্রাস যুক্ত ফল,আপেল,পেয়াঁজ,ধনে পাতা,আঙ্গুর, বেরি। {link} ৫) কোএনজাইম কিউ 10 - পাওয়া যাবে মাছ,মাংস ও বাদামে। ৬) শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য NMN - পাওয়া যাবে ব্রকলি, বাঁধাকপি, শশা। এভাবেই নিজেদের জন্য ব্যাল্যান্স ডায়েট ঠিক করে সুস্থ থাকুন। {ads}

article thumbnail

Health News : কিছু সহজ ব্যায়ামেই কমবে হাঁটুর ব্যথা

শেফিল্ড টাইম্‌স ডিজিটাল ডেস্ক : একটু বয়স হলে, হাঁটুর ব্যথা (knee pain) এখন একটা কমন অসুখ। আর এই অসুখে পুরুষ থেকে মহিলারাই বেশি আক্রান্ত হন। কিছু সহজ ব্যায়ামেই কমবে হাঁটুর ব্যথাও। এখন প্রশ্ন হল কী কী ব্য়ায়াম করলে উপকার মিলবে? এই প্রশ্নের উত্তর পেতে পড়ে ফেলুন এই প্রতিবেদনটি। হাঁটুর ব্যথার অনেক কারণ হতে পারে। প্রথমত, জয়েন্টের সমস্যা থেকে এই রোগ হয়। এছাড়াও হাড়ের ক্ষয়জনিত রোগও থাবা বসাতে পারে। আবার জয়েন্টে প্রদাহ থেকেও হাঁটুতে যন্ত্রণা হয়। তাই সবদিক থেকে সচেতন থাকাটা জরুরি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হাঁটু ব্যথার সমাধান করে দিতে পারে কয়েকটি সহজ ব্যায়াম। এতেই চটজলদি সমস্যা থেকে রেহাই মেলে। {link} ১) স্ট্রেচিং এক্সারসাইজ করতে হবে - স্ট্রেচিং সকলেরই করা উচিত। তবে হাঁটুতে ব্যথা থাকলে এই ধরনের ব্যায়াম অত্যন্ত কার্যকরী। এক্ষেত্রে জয়েন্ট ও মাসলের নমনীয়তা বৃদ্ধি পায়। ফলে সহজেই যন্ত্রণা থেকে রেহাই মেলে। দিনে ১০ থেকে ১৫ মিনিট স্ট্রেচিং করলেই ফল পাবেন। ২) স্ট্রেন্থেনিং এক্সারসাইজ করা চাই​ - হাঁটুতে ব্যথা হয়েছে বলে চুপচাপ আরাম প্রিয় হয়ে গেলে চলবে না। বরং করতে হবে স্ট্রেন্থেনিং এক্সারসাইজ। এই ধরনের ব্যায়াম করলে হাড় ও পেশির জোর বাড়ে। এমনকী ব্যথাও কমে। তাই দিনে আরও ১৫ মিনিট এই ধরনের ব্যায়াম করুন। {link} ৩) সাঁতার কাটুন সময় পেলেই - সাঁতার একটি এরোবিক এক্সারসাইজ। এই ব্যায়াম নিয়মিত করলে শরীরের সব অংশের ব্যায়াম হয়। সাঁতার কাটার সময় দেহের প্রায় সমস্ত পেশি ও জয়েন্ট সক্রিয় থাকে। ফলে স্বাস্থ্যের সার্বিক উন্নতি হয়। আর সবথেকে বড় কথা, এই ব্যায়াম করলে হাঁটুর উপর চাপও পড়ে না। তাই নিয়মিত সাঁতার কাটুন। ৪) হাঁটা - হাঁটার মতো সহজ সরল ব্যায়াম পৃথিবীতে আর একটাও নেই। সব বয়সের মানুষই হাঁটতে পারেন। দিনে ৩০ মিনিট হাঁটলেই হাঁটুর ব্যথা কমবে। এমনকী শরীর থাকবে সুস্থ। তবে ওজন খুব বেশি হলে অনেকটা সময় হাঁটবেন না। কারণ এই পরিস্থিতিতে হাঁটুতে বেশি চাপ পড়ে। ৫) যোগ - প্রাচীন ভারতীয় যোগের মাধ্যমে সুস্থ শরীর ও মন পাওয়া সম্ভব। তাই নিয়মিত যোগা অভ্যাস করুন। পায়ে ব্যথা থাকলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মতো এমন যোগা করুন যা সমস্যা কমাতে পারে। নিজেদের সময় ও সুবিধা অনুযায়ী এর মধ্যে অন্তত যেকোনো ২টো নিয়মিত করুন। হাঁটুর ব্যথা অবশ্যই দূর হয়ে যাবে। {ads}

article thumbnail

ব্যবসা ও বাণিজ্য

আরো পড়ুন

Amul : 'আমুল' কমালো তাদের দ্রব্যের দাম

শেফিল্ড টাইম্‌স ডিজিটাল ডেস্ক : মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে চলেছে, বেড়ে চলেছে জিনিসের দাম। সেই পরিস্থিতিতে বাজারের কথা ভেবে ও মানুষের ক্রয় ক্ষমতার কথা মাথায় রেখে 'আমুল' (Amul) কমালো তাদের দ্রব্যের দাম। গুজরাট কোঅপারেটিভ মিল্ক মার্কেটিং ফেডারেশন (জিসিএমএমএফ)-এর অন্যতম কর্তা জয়েন মেহতা এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। এই সংস্থার দুধ বা দুগ্ধজাত পণ্যের ওপর ভরসা করেন বহু মানুষ। {link} তাই এই সিদ্ধান্ত সাধারণ মানুষের জন্য অত্যন্ত স্বস্তির। জানা গিয়েছে, মোট তিনটি ভিন্ন দুধজাত পণ্যের দাম কমিয়েছে আমুল। এর মধ্যে রয়েছে আমুল গোল্ড, আমুল টি স্পেশাল এবং আমুল ফ্রেশ। সেগুলির দাম প্যাকেট পিছু ১ টাকা করে কমানো হয়েছে। প্রজাতন্ত্র দিবসের আগেই এই ঘোষণায় খুশি দেশের মানুষ। {link} আরও এক দুগ্ধজাত পণ্যের সংস্থা মাদার ডেয়ারিও (Mother Dairy) তাদের দাম কমাতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এখনও তাদের কোনো ঘোষণা হয় নি। আগে আমুল গোল্ডের দাম ছিল ৬৬ টাকা। এখন সেটি ৬৫ টাকায় পাওয়া যাবে। আমুল টি স্পেশালের দাম ৬৩ টাকা থেকে কমে হল ৬২ টাকা। এছাড়া আমুল তাজা, যা আগে ৫৪ টাকায় পাওয়া যেত, সেটাই এবার কমে হল ৫৩ টাকা। শুধুমাত্র ১ লিটার প্যাকেটের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে এই মূল্যহ্রাস। {ads}

article thumbnail

WAVES : প্রসার ভারতীর OTT প্ল্যাটফর্ম ওয়েভস

শেফিল্ড টাইম্‌স ডিজিটাল ডেস্ক : ডিজিটাল মিডিয়া ও এন্টারটেইনমেন্ট বিকশিত ভারতের সাথে মিলিতভাবে ওয়েভস (WAVES) প্রসার ভারতী, IFFI-তে ওয়েভস ওটিটি (OTT) চালু করেছে। নয়াদিল্লি, ২১ নভেম্বর, ২০২৪: প্রসার ভারতী, জাতীয় পাবলিক ব্রডকাস্টার ওয়েভস, ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চালু করেছে ভারতের আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব, গোয়া (IFFI) এ। ওয়েভস চালু করেন ডঃ প্রমোদ সাওয়ান্ত, গোয়ার মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী। লঞ্চের সময় তিনি বলেন, “ওয়েভস ওটিটি প্রকাশ করা ভারতীয় বিনোদন শিল্পের জন্য সত্যিই একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। প্ল্যাটফর্মে কন্টেন্টের বৈচিত্র্যময় পরিসর দেখে আমি খুবই খুশি, যার মধ্যে কোঙ্কানি সহ বিভিন্ন ভাষায় অনেকগুলি ফিল্ম এবং বিষয়বস্তু রয়েছে।” অনুষ্ঠানে উপস্থিত ভারত সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের সচিব শ্রী সঞ্জয় জাজু বলেন, “ওয়েভস ওটিটি ভারত সরকারের ডিজিটাল ইন্ডিয়া ভিশনে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ চিহ্নিত করে৷ ব্যাপক, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং বৈচিত্র্যময় ওটিটি গ্রামীণ দর্শকদের সাথে শেষ মাইল সংযোগের জন্য ভারতনেটের সাথে সহযোগিতার পিছনে ডিজিটাল মিডিয়া এবং বিনোদন বিভাজন সেতু করবে।"ওয়েভস একটি বিস্তৃত সমষ্টিকারী ওটিটি হিসাবে প্রবেশ করেছে, ১২+ ভাষায়। হিন্দি, ইংরেজি, বাংলা, মারাঠি, কন্নড়, মালয়ালম, তেলেগু, তামিল, গুজরাটি, পাঞ্জাবি, অসমীয়া ইত্যাদি ১২+ ভাষায় ভারতীয় সংস্কৃতিকে অন্তর্ভুক্ত করে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তের কথা শোনাবে।  ইনফোটেইনমেন্টের ১০+ জনারের বিস্তৃতি ঘটেছে এই ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। আছে ভিডিও অন ডিমান্ড, ফ্রি-টু-প্লে গেমিং, রেডিও স্ট্রিমিং, লাইভ টিভি স্ট্রিমিং, ৬৫টি লাইভ চ্যানেল, ভিডিও এবং গেমিং বিষয়বস্তুর (মাড গেমস, ট্যাগ ল্যাবস, ফ্রিক এক্স) জন্য অ্যাপ ইন্টিগ্রেশনে বেশ কয়েকটি অ্যাপ (লাইনসগেট পিটিসি, কয়েকটির নাম গেমস এবং গেম টেক পয়েন্ট), শিক্ষামূলক বিষয়বস্তু (যেমন PACE শিক্ষার্থীদের জন্য পরীক্ষার প্রস্তুতিমূলক টিউটোরিয়াল) এবং CSC-SPV এর ONDC এর মাধ্যমে অনলাইন কেনাকাটা সমর্থিত ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম। {link}   চেয়ারম্যান, প্রসাদ ভারতী, শ্রী নবনীত কুমার সেহগাল বলেন, “সুস্থ পারিবারিক বিনোদনের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে এবং ভারতের সমৃদ্ধ ও বিশাল সাংস্কৃতিক ল্যান্ডস্কেপের মুক্ত জানালা হিসেবে আমরা লক্ষ লক্ষ ভারতীয় বাড়িতে ওয়ান স্টপ ইনফরমেশন হাব নিয়ে আসছি। ওয়েভস হল একমাত্র ওটিটি নেটওয়ার্কগুলির মধ্যে একটি যা শুধুমাত্র পরিচ্ছন্ন পারিবারিক বিনোদনের জগতেই নয়, কেনাকাটা, গেমস, খবর, বাচ্চাদের এবং যুবকদের জন্য সাম্প্রতিক বিষয়গুলি সম্মিলিত সবার জন্য একটি উপহার।"ওয়েভস ওটিটি-এর জন্য বিষয়বস্তু অর্জনের জন্য তার বিজ্ঞাপিত বিষয়বস্তু অধিগ্রহণ নীতি ২০২৪- এর অধীনে, প্রসার ভারতী শহুরে, মেট্রো, মধ্য ভারত এবং এনআরআই শ্রোতারা যারা ভারতীয়/আঞ্চলিক/আন্তর্জাতিক ভিউ খুঁজছেন, তাদের জুড়ে সমস্ত বয়সের গ্রাহকদের বৈচিত্র্যময় স্বাদ সন্তুষ্ট করার জন্য একটি শক্তিশালী কন্টেন্ট লাইনআপ তৈরি করেছে। অনুষ্ঠানে প্রসার ভারতীর সিইও শ্রী গৌরব দ্বিবেদী বলেন, “ওয়েভস, পরিচ্ছন্ন, পরিবারকে নিয়ে দেখার জন্য বিস্তৃত বিষয়বস্তু নিয়ে উপস্থিত। প্রতিটি ভারতীয় বাড়িতে যারা এই প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার করবে, তারা দেখতে, শুনতে, পড়তে, খেলতে এমনকি কেনাকাটা করতে পারবে। পরিবেশ সৃজনশীল অর্থনীতিতে তরুণ নির্মাতাদের সম্ভাবনাকে উন্মোচিত করার একটি সচেতন পদক্ষেপ হিসেবে, ওয়েভস জাতীয় ক্রিয়েটর অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্তদের মত বিষয়বস্তু নির্মাতাদের কাছেও তার প্ল্যাটফর্ম অফার করে - কামিয়া জানি, আর জে রৌনক, ইওর স্টোরির শ্রদ্ধা শর্মা, টেক গুরু গৌরব চৌধুরী যাদের মধ্যে কয়েকজন।" ওয়েভস স্টুডেন্ট গ্রেড ফিল্মের জন্য তার পোর্টাল খুলেছে এবং FTII, অন্নপূর্ণা, AAFT এর মতো ফিল্ম এবং মিডিয়া কলেজগুলি ওয়েভসে প্রসার ভারতীর সাথে অংশীদারিত্ব করেছে।আইএফএফআই-তে প্রদর্শিত ওয়েভস-এর নতুন ফিল্ম এবং শোগুলির মধ্যে রয়েছে অন্নপূর্ণা ফিল্ম থেকে একটি স্টুডেন্ট গ্রেড ফিল্ম, নাগার্জুন এবং অমলা আক্কিনেনির মিডিয়া স্টুডিও রোল নং ৫২। 'ফৌজি ২.০', ১৯৮০ এর দশকের বিখ্যাত শাহরুখ খানের শো ফৌজির একটি আধুনিক রূপান্তর, পাশাপাশি রয়েছে গওহর খান। অন্যান্য চলচ্চিত্রগুলি হল অস্কার বিজয়ী গুনীত মঙ্গা কাপুরের সামাজিক পরিবর্তনের চলচ্চিত্র কিকিং বল বাল্যবিবাহের একটি সত্য ঘটনা এবং গুনীতের দ্বারা প্রদর্শিত হবে; জ্যাকসন হাল্ট একটি ক্রাইম থ্রিলার প্রযোজক নীতু চন্দ্র এবং জাইয়ে আপ কাহান যায়েঙ্গে সঞ্জয় মিশ্র দ্বারা প্রদর্শিত মোবাইল টয়লেটের একটি সামাজিক বার্তা সহ প্রদর্শিত হবে। {link}   ওয়েভের স্পটলাইটে অযোধ্যা থেকে লাইভ প্রভু শ্রীরাম লালা আরতি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মাসিক মন কি বাত এর মতো লাইভ ইভেন্টগুলিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। আসন্ন ইউএস প্রিমিয়ার লীগ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ২২ নভেম্বর থেকে WAVES-এ সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। WAVES CDAC, MeitY- এর সাথে অংশীদারিত্বে দৈনিক ভিডিও বার্তাগুলির সাথে একটি সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা প্রচারও চালু করেছে। এই প্রচারাভিযানটি 'সাইবার ক্রাইম কি দুনিয়া' (একটি কাল্পনিক সিরিজ) এবং 'সাইবার সতর্কতা' (ডিডি নিউজ বৈশিষ্ট্য দ্বারা) এর মতো প্রোগ্রামগুলির দ্বারা সমর্থিত।WAVES-এর আরও কিছু ফিল্ম এবং শো হল ফ্যান্টাসি অ্যাকশন সুপার হিরো মাঙ্কি কিং দ্য হিরো ইজ ব্যাক, জাতীয় পুরস্কার বিজয়ী চলচ্চিত্র ফৌজা, আরমান, বিপুল শাহের থ্রিলার শো ভেদ ভরম, পারিবারিক ড্রামা থোড়ে দুর থোড়ে পাস যেখানে পঙ্কজ কাপুর, কৈলাশ খেরের মিউজিক রিয়েলিটি শো, ভারত কা অমৃত কলশ, সরপঞ্চ, হটমেইলের প্রতিষ্ঠাতা Be Cubed সাবীর ভাটিয়া, নারী কেন্দ্রিক শো এবং চলচ্চিত্র কর্পোরেট সরপঞ্চ, দশমী, এবং করিথি, জানকি। ওয়েভস এছাড়াও ডগি অ্যাডভেঞ্চার, ছোটা ভীম, তেনালিরামা, আকবর

article thumbnail

Earn Money: শীতকালে মরশুমি ফুলের ব্যবসায় প্রচুর লাভ

শেফিল্ড টাইম্‌স ডিজিটাল ডেস্ক : প্রথম শর্ত কৃষি-কাজকে ভালোবাসতে হবে। যদি সামান্য জমি থাকে ও কৃষি-কাজে মন থাকে তাহলে মরশুমি ফুলের চাষ করে প্রচুর লাভ করা সম্ভব। মুরশুমি ফুলের নার্সারি বর্তমানে বিকল্প রোজকারের পথ দেখাচ্ছে। ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকা, এস্টার, ক্যালেন্ডুলা সহ নানা শীতকালীন ফুল বাড়ির সামনের ছোট্ট জায়গায় শোভা পায় প্রতিটি পরিবারে। ফলে নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর এমন কি জানুয়ারী পর্যন্ত বিভিন্ন শীতকালীন (Winter) ফুল গাছের চাহিদা বাজারে থাকে। ফলে অত্যন্ত লাভজনক ব্যবসা। {link} শীতের সময়টা বাড়িতে বাগান করতে ভালবাসেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। বাড়ির সামনে উঠোনের একটু ফাঁকা জায়গা হোক বা ছাদে তবে শীতকালীন নানা ধরনের ফুলের গাছ লাগান বহু মানুষ। ফলে নার্সারি থেকে ডালিয়া চন্দ্রমল্লিকা সহ নানান ধরনের ফুলের গাছ বহু সংখ্যক বিক্রি হয়। ফলে এবার শীতের আগেই মরশুমি ফুল গাছের ব্যবসা আপনাকে লাভবান করে তুলবে। এই বিষয়ে আমরা কথা বলেছিলাম একাধিক নার্সারি মালিক ও কৃষি আধিকারিকের সঙ্গে। তাঁরা জানালেন, এই শীতকালীন ফুলের নার্সারি খুব সহজেই কম জায়গায় তৈরি করা সম্ভব। বর্তমান সময়ে এটি একটি বিকল্প রোজগারের পথ। বিশেষ করে শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতীদের কাছে স্বনির্ভর বা স্বাবলম্বী হয়ে ওঠার একটি আদর্শ উপায়। {link} সামান্য খরচে ছোট্ট জায়গায় মুরশুমি ফুল গাছের নার্সারি থেকে মাসিক ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। এ বিষয়ে এক নার্সারীর মালিক জানান, শেষ পাঁচ বছর ধরে বিভিন্ন মুরশুমি ফুল ও ফল চারা গাছে নার্সারি করেছেন। এখান থেকে রোজকার হচ্ছে ভালই। তিনি  আরও জানান, নিজের হাতে বীজ থেকে বা কলম পদ্ধতিতে গাছ তৈরি করেন না। অন্য কোন বড় নার্সারি থেকে পাইকারি মূল্যে বিভিন্ন চারা গাছ নিয়ে আসেন। এবং তা খুচরো বাজারে বিক্রি করেন। আর তাতেই লভ্যাংশের পরিমাণ যথেষ্ট ভাল। বর্তমান সময়ে গাছ লাগান বহু মানুষ। নার্সারিতে বিভিন্ন ফুল ফলের চারা গাছের চাহিদা বাড়ছে। অন্যদিকে শীতের মরশুমী বিভিন্ন শীতকালীন ফুল ও ফল চাহিদা দ্বিগুণ বৃদ্ধি পায়। সহজেই এই নার্সারি তৈরি করে বেকার যুবক-যুবতীরা আর্থিকভাবে নিজেরা স্বাবলম্বী হতে পারবে। {ads}

article thumbnail

Tata group: বিকশিত ভারত’ গঠনে পদক্ষেপ নেবে টাটা গ্রুপ

 শেফিল্ড টাইম্‌স ডিজিটাল ডেস্ক : রতন টাটা সদ্য প্রয়াত হয়েছেন। কিন্তু তাই বলে, টাটা গ্রুপ কিন্তু থেমে থাকে নি। তাদের ব্যবসার প্রসার ঘটিয়েই চলেছে। অটোমোবাইল, প্রযুক্তি থেকে স্বাস্থ্য- বিভিন্ন ক্ষেত্রে টাটার বিশাল কর্মকাণ্ড চলে দেশ জুড়ে। আগামী কয়েক বছরে এই গ্রুপের হাত ধরে কর্মসংস্থান যে আরও বাড়বে, সে কথাই জানালেন টাটা গ্রুপের চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরন। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, ১০২৫ সালে তাঁরা কয়েক লক্ষ কর্মী নিয়োগ করবেন। মঙ্গলবার ‘ইন্ডিয়ান ফাউন্ডেশন ফর কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট’ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এ কথা বলেন এন চন্দ্রশেখরন। {link}   তিনি জানান, তাদের আগ্রগতি কেউ আটকাতে পারবে না। দেশের বেকারত্বর কথা ভেবে তাঁরা ম্যানুফ্যাকচারিং শিল্পকে আরও বাড়াতে চলেছে। তিনি জানিয়েছেন, আগামী ৫ বছরে নির্মাণ ক্ষেত্রে অন্তত ৫ লক্ষ কর্মী নিয়োগ করবে টাটা গ্রুপ। ভারতকে উন্নততর দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার কাজে এই সংস্থা যে পদক্ষেপ করছে, তার উল্লেখ করেন তিনি। টাটা-র ই শীর্ষকর্তা জানিয়েছেন, ইলেকট্রিক ভেইকল, ব্যাটারি, সেমিকন্ডাকটারের মতো ক্ষেত্রে এই নিয়োগ হবে। চন্দ্রশেখরনের মতে, নির্মাণ ক্ষেত্রে উন্নতি না হলে, দেশের উন্নয়নের পথ প্রশস্ত হবে না। ‘বিকশিত ভারত’ ভারত গঠনে এই পদক্ষেপ খুব জরুরি বলে মনে করেন তিনি। {link} এন চন্দ্রশেখরন উল্লেখ করেছেন, সেমিকনডাক্টার, ইলেকট্রিক ভেইকল, ব্যাটারি সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে টাটা গ্রুপ যে বিনিয়োগ করেছে, তাতে আগামী ৫ বছরে ৫০ লক্ষ নতুন চাকরি তৈরি হবে। চাকরির যারা সন্ধান করছেন, তাঁরা নিয়মিত টাটাদের বিজ্ঞাপন লক্ষ রাখুন। {ads}

article thumbnail

Budget Expectations: আসন্ন বাজেটটিতে কী কী বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে কেন্দ্র? পড়ে নিন

শেফিল্ড টাইমস ডিজিটাল ডেস্ক: 2024-25 আর্থিক বছরের সম্পূর্ণ বাজেট প্রকাশিত হওয়ার মাঝে আর মাত্র কয়েকটি দিন বাকি। চলতি বছরের জুলাই মাসের 23 তারিখ, অর্থাৎ পরবর্তী সপ্তাহের মঙ্গলবার বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফিরে আসার পর এটিই মোদি সরকারের প্রথম বাজেট হতে চলেছে। এই বাজেটে কেন্দ্রীয় সরকারের পরবর্তী পাঁচ বছরের পরিকল্পনা সম্পর্কে একটি ইঙ্গিত মিলতে পারে বলে করছেন বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ। ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মতে, বাজেট ঘোষণার সময় যত এগিয়ে আসছে, এটিকে কেন্দ্র করে থাকা উত্তেজনার পারদ চড়তে শুরু করেছে। আসন্ন বাজেটে বেশ কয়েকটি খাতে বাড়তি গুরুত্ব প্রদান করতে পারে কেন্দ্র। একটি সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ব্রোকারেজ সংস্থাগুলির মতে কনজিউমার গুডস, আবাসন, হাউজিং ফিনান্স, অটোমোবাইল ছাড়াও পরিকাঠামোর মত শিল্পগুলি ক্রয়ের উন্নতির কারণে বাজেট থেকে উপকৃত হতে পারে। কোন কোন খাতে দেওয়া হতে পারে বিশেষ নজর? দেখে নিন-  {link} গ্রামীণ অর্থনীতির সঙ্গে জড়িত খাত গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়নে সরকার আসন্ন বাজেটে বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করতে পারে। বাজেটে সরকার ক্রয় বা খরচ বাড়ানোর জন্য গ্রামীণ প্রকল্পগুলিতে আরও ফান্ড বরাদ্দ করতে পারে। ফলে এর থেকে গ্রামীণ অর্থনীতির সঙ্গে জড়িত থাকা খাতগুলি বিশেষভাবে উপকৃত হতে পারে।  আবাসন আসন্ন বাজেটটিতে সরকার সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসনের জন্য বরাদ্দ বৃদ্ধি করতে পারে। আবাসন খাতের উপর বাড়তি গুরুত্ব প্রদান করা হলে দেশের আরও মানুষ নিজেদের ঘর পেতে সক্ষম হয়ে উঠবেন। একইসঙ্গে নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হওয়ার সম্ভাবনাও বৃদ্ধি পেতে পারে। উৎপাদন বিশেষজ্ঞদের মতে, স্থানীয় উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি আরও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার লক্ষ্যে সরকার উৎপাদন খাতের উপর বাড়তি গুরুত্ব প্রদান করতে পারে। সেই কারণেই PLI স্কিমগুলিতে ধারাবাহিকতা দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে বাজেটে উতপাদন খাতটিও বিশেষভাবে উপকৃত হতে পারে।  {ads}

article thumbnail

Split In Godrej : ভাঙন ধরল গোদরেজ পরিবারে

শেফিল্ড টাইম্‌স ডিজিটাল ডেস্ক :  ১২৭ বছর এক ছাদের নীচে থাকা। শেষমেশ সেই পরিবারেই ধরল ভাঙন। দু’টুকরো হয়ে গেল গোদরেজ গোষ্ঠী (Split In Godrej)। সংস্থার তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, গোদজের গ্রুপের সমস্ত সংস্থাকে নিজেদের মধ্যে দু’টি ভাগে ভাগ করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।দরজার তালা থেকে গায়ে মাখার সুগন্ধী সাবান, ফ্রিজ, আলমারি সহ গৃহস্থালির নানা জিনিসপত্র বিক্রি করে গোদরেজ। টাটার মতো গোদরেজও ভারতীয় পরিবার নিয়ন্ত্রিত ব্যবসাগুলির অন্যতম। সংস্থার পথ চলা শুরু হয়েছিল ১৮৯৭ সালে, আর্দেশির গোদরেজের হাত ধরে। {link} ওকালতি পেশা ছেড়ে ব্যবসা শুরু করেন আর্দেশির। পরে গোদরেজ গোষ্ঠীর হাল ধরেন আর্দেশিরের ভাই পিরোজশা ও তাঁর উত্তরসূরিরা। এখন গোদরেজের মালিকানা ছিল পিরোজশার প্রপৌত্র আদি ও নাদির গোদরেজ এবং জামশেদ ও স্মিতা গোদরেজ ক্রিশনার হাতে। গোদরেজ গোষ্ঠীর সংস্থাগুলিকে এই চারজনের মধ্যেই দু’ভাগে বাঁটোয়ারা করে দেওয়া হয়েছে।জানা গিয়েছে, গোদরেজ ইন্ডাস্ট্রিজ গ্রুপের অধীনে থাকা পাঁচটি লিস্টেড সংস্থার রাশ থাকছে আদি ও নাদিরের হাতে। এই সংস্থাগুলি হল গোদরেজ ইন্ডাস্ট্রিজ, গোদরেজ কনজিউমার প্রোডাক্টস, গোদরেজ প্রপার্টিজ, গোদরেজ অ্যাক্রোভেট এবং অ্যাজটেক লাইফসায়েন্সেস। এই সংস্থাগুলির চেয়ারম্যান হিসেবে থাকবেন বছর তিয়াত্তরের নাদির। {link}   এক্সিকিউটিভ ভাইস চেয়ারম্যান আদির ছেলে পিরোজশা। নয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২০২৬ সালের অগাস্টে তিনিই বসবেন নাদিরের চেয়ারে (Split In Godrej)।গোদরেজ এন্টারপ্রাইজ গ্রুপের অধীনে থাকা আনলিস্টেড সংস্থার নিয়ন্ত্রণ থাকবে জামশিদ গোদরেজের হাতে। গোদরেজ অ্যান্ড বয়েজের অধীনে রয়েছে অনেকগুলি ছোট ছোট সংস্থা। এর মধ্যে বিমান পরিবহণ,এয়ারোস্পেস, প্রতিরক্ষা, আসবাবপত্র, তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পও রয়েছে। এই সংস্থাগুলির চেয়ারপার্সন ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর হবেন জামশেদ। এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর নিরিকা। মুম্বই শহরের মূল অংশে থাকা ৩ হাজার ৪০০ একর জমির রাশ থাকবে জামশেদ ও স্মিতার হাতে।জামশেদ বলেন, “১৮৯৭ সাল থেকে দেশ গঠনের লক্ষ্যে কাজ করে গিয়েছে গোদরেজ অ্যান্ড বয়েজ। ভবিষ্যৎমুখী এই চুক্তির ফলে আগামী দিনে জটিলতামুক্ত হয়ে নিজেদের লক্ষ্য এগোতে পারব আমরা। নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করতে পারব।” নাদির বলেন, “মূল্যবোধ ও বিশ্বাসে ভর করেই ১৮৯৭ সাল থেকে এতদূর এগিয়েছি আমরা। আরও মনযোগ ও তৎপরতা সহকারে সেই উত্তরাধিকারকে এগিয়ে নিয়ে যাব আমরা (Split In Godrej)।” {ads}

article thumbnail

পুজো সংখ্যা ১৪২৮

আরো পড়ুন

বছর দুয়েক আগেও এ বাড়িতে দুর্গাপুজোয় পাত পড়ত কয়েক হাজার ভক্তের

পুজোর যে আনন্দ তাতে অনেকটাই প্রভাব বিস্তার করেছে করোনার মহামারী। মনের মধ্যে কাজ করছে আতঙ্ক, ভয় যে ছবিটা দেখা গিয়েছিল শেষ বছরেই। অতিমারী করোনা কেড়েছিল পুজোর জৌলুস। কিন্তু এবার পরিস্থিতির অনেকটাই উন্নতি হয়েছে। তাই এবারও ঘটা করে পুজো হবে তমলুকের নন্দকুমারের বনেদি বাড়িতে। বছর দুয়েক আগেও এ বাড়িতে পাত পড়ত কয়েক হাজার ভক্তের। করোনার জন্য তা বন্ধ থাকছে এবছরও। যদিও অন্নভোগই নিবেদন করা হবে দেবীকে। {link}  পূর্ব মেদিনীপুরের বর্ধিষ্ণু অঞ্চল তমলুক। স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে ওতোপ্রোতভাবে জড়িয়ে এই জনপদের নাম। এই তমলুকেরই ব্যবত্তারহাট এলাকার ভট্টাচার্য ও চক্রবর্তী পরিবার গত চারশো বছর ধরে নিষ্ঠা সহকারে পুজো করে আসছেন দেবী দুর্গার। বছরের পর বছর সুচারুভাবে পুজো হয়ে এলেও, করোনা অতিমারীর কারণে তা যেন ছন্নছাড়া হয়ে গিয়েছে এই দু বছর। তমলুকের রাজা তাম্বধ্বজের ব্যবস্থাপক ছিলেন এখানকার ভট্টাচার্য ও চক্রবর্তী পরিবারের পূর্বপুরুষরা। সেই থেকে এলাকার নাম হয় ব্যবত্তারহাট। এই ব্যবত্তা পরিবারের পূর্ব পুরুষ ছিলেন সার্থক রাম। একবার সার্থক রামের মা দুর্গাপুজোর অঞ্জলি দিতে গিয়েছিলেন পাশের একটি গ্রামে। সেখানে তাঁকে অপমান করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। মায়ের অপমান সহ্য করতে না পেরে বাড়িতেই দুর্গাপুজোর আয়োজন করেন তিনি। সেই থেকেই নিরবচ্ছিন্নভাবে দেবীর আরাধনা হয়ে আসছে এ বাড়িতে। কালক্রমে সেই পুজোই হয়ে আসছে দুই পরিবারের পারিবারিক পুজো। সুপ্রাচীন প্রথা মেনে আজও দেবীকে নিবেদন করা হয় নিরামিষ অন্নভোগ। {link} এ বাড়িতে দেবীকে নিজের হাতে তৈরি বড়ি দিয়ে ভোগ দেন মহিলারা। ষষ্ঠী এবং সপ্তমীতে দেবীকে নিবেদন করা হয় এক মণ ছ সের চালের ভোগ। সঙ্গে থাকে নানা পদ। অষ্টমীতে ভোগের চালের পরিমাণ বেড়ে হয় এক মণ ৮ সের চাল। আর নবমীতে চালের পরিমাণ হয় এক মণ ন সের। রীতি মনে এখনও হয় সন্ধিপুজো। সেখানেও দেবীকে নিবেদন করা হয় খিঁচুড়ি ভোগ। দশমীতে হয় দধিকর্মা। সিঁদুর খেলার পর বিসর্জন হয় দেবীর। এ বাড়িতে হাজার খানেক সলতে পোড়ানো হয়।  জমিদার আমলের দুর্গামণ্ডপ ভেঙে তৈরি হয়েছে নতুন মণ্ডপ। এতদিন দেবীকে ভোগ নিবেদন করে প্রসাদ খাওয়ানো হত দর্শানর্থীদের। করোনার কারণে গত বছর থেকে তা বন্ধ। অন্য সমস্ত পুজোগুলির মতো বদল আনা হয়েছে পুষ্পাঞ্জলি দেওয়ার রীতিতেও। আগে ফুল-বেলপাতা দিয়ে অঞ্জলি দেওয়া গেলেও, অতিমারী পরিস্থিতিতে হয়েছে শুধুই করজোড়ে প্রার্থনা। কিন্তু যা কমেনি তা হল পুজোর এই দিনগুলিতে ঘরে আসা মায়ের জন্য ভক্তি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। অপেক্ষা আর মাত্র কয়েকটা দিনের… তারপরেই আবার বছর ঘুরে মা আসবেন তমলুকের নন্দকুমারের বাড়িতে।  {ads}

article thumbnail

আজও রীতি মেনে দেবী দুর্গার সঙ্গে সঙ্গে এ বাড়িতে পুজো হয় মহামারীর

একসময় দেবীর আশির্বাদে মুক্তি মিলেছিল মহামারীর প্রকোপ থেকে। তাই আজও রীতি মেনে দেবী দুর্গার সঙ্গে সঙ্গে এ বাড়িতে পুজো হয় মহামারীরও। তিনশো বছরেরও বেশি সময় আগে যখন পুজো শুরু হয়, তখনও পুজো হত মহামারীর। প্রজাদের কল্যাণে প্রতিদিন পোড়ানো হয় দেড় কুইন্টাল খই। পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনের ঘোলাই গ্রাম পঞ্চায়েতের আঙ্গুয়া গ্রামের দাস মহাপাত্র বাড়ির এটাই রীতি। এখনও এবাড়িতে পুজোর দিনগুলিতে গাওয়া হয় চণ্ডীমঙ্গল, ভারতগান। তিনশো বছর আগেও মহামারী হত। তখন চিকিৎসা ব্যবস্থা ছিল বেশ অনুন্নত। রোগের প্রকোপে উজায় হয়ে যেত গাঁয়ের পর গাঁ। তাই প্রজাদের মঙ্গলের জন্য মহামারীর পুজো শুরু হয় জমিদার দাস মহাপাত্রদের বাড়িতে। এবারও করোনা অতিমারীর হাত থেকে বিশ্বকে মুক্ত করতে প্রার্থনা করবেন এই পরিবারের সদস্যরা।  {link} কটকের খোরদার থেকে এ রাজ্যের মুর্শিদাবাদের উদ্দেশ্যে আসছিলেন জনৈক বিরিঞ্চি মোহান্তি। দাঁতনের ঘোলাইয়ের কাছে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন তিনি। স্থানীয় এক ব্রাহ্মণ জমিদার তাঁকে উদ্ধার করেন। সুস্থ হয়ে জমিদারের সেরেস্তায় কাজ করতে শুরু করেন বিরিঞ্চি।  {link} বয়সকালে কাশী যাবেন মনস্থ করেন জমিদার। জমিদারি লিখে দিতে চান বিরিঞ্চিকে। বিশ্বস্ত কর্মচারী বিরিঞ্চি জমিদারকে প্রস্তাব দেন অর্ধেক সম্পত্তি জমিদারের মেয়েকে দিয়ে বাকিটা তাঁর নামে লিখে দেওয়ার। সেই মতো অর্ধেক জমিদারি নিয়ে ঘোলাইয়ের পলাশিয়ায় থেকে যান বিরিঞ্চি। {ads} বিরিঞ্চির দুই ছেলের মধ্যে ভাগ হয় জমিদার। ছোট ছেলের জমিদারিতেই শ্রীবৃদ্ধি ঘটে। এই ভাগের উত্তরসূরিদের মধ্যে রূপনারায়ণ দাস মহাপাত্র দুর্গাপুজো শুরু করেন। এর কয়েক পুরুষ আগে মোহান্তিরা ইংরেজদের কাছ থেকে উপাধি পেয়ে দাস মহাপাত্র হয়ে গিয়েছেন। এঁদের কেউ কেউ রাজার দেওয়া উপাধি চৌধুরীও ব্যবহার করেন। প্রতিপদ থেকে পুজো শুরু হয় এ বাড়িতে। চলে দশমী পর্যন্ত। প্রতিদিনই পুজো হয় মহামারীর। পোড়ানো হয় খই। দেশবাসীর মঙ্গলের জন্য। এবারেও সেই নীতি মেনেই হবে পুজো। দেবীর আশির্বাদে করোনার প্রকোপ থেকে মুক্তি মিলুক পৃথিবীবাসীর এই প্রার্থনাই মায়ের কাছে করছেন সকলে।  {ads}

article thumbnail

উত্তর দিনাজপুরের সেনবাড়ির দুর্গাপুজোয় আজও পুজোর দিনগুলিতে মন্দিরে প্রবেশ নিষিদ্ধ মহিলাদের

বাংলার কাছে সবচেয়ে উৎসব মুখর দিনগুলিতে যে ঠাকুরের পূজা সম্পন্ন হয়, তিনি নিজে মাতৃরূপে বাঙালির ঘরে আসেন। কিন্তু সেই মায়ের পুজোতেই পুজোর দিনগুলোতে মন্দিরে প্রবেশ নিষিদ্ধ মহিলাদের। সংসারের এহেন নিয়ম দেখলে অবাক হওয়াটাই স্বাভাবিক। এবং এই রীতিই চলেও আসছে বহু বছর ধরে।  উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ শহরের সেনবাড়ির দুর্গাপুজোয় এটাই রীতি। মন্দিরের বাইরে দাঁড়িয়ে দেবী দুর্গার দর্শন করেন এই পরিবারের মহিলা সদস্যরা। জমিদারি এখন আর নেই। তাই সেই জাঁকও আর নেই। তবে পুজো হয় নিয়ম নিষ্ঠা মেনেই। {link} রায়গঞ্জ শহরের সুদর্শনপুরেই বাস সেনেদের। এক সময় এঁদের বাস ছিল বাংলাদেশের যশোরে। পুজোর সূচনা করেন সুরেন্দ্রনাথ সেন। পরে বাংলাদেশের পাট চুকিয়ে সেন পরিবার চলে আসেন রায়গঞ্জে, সুদর্শনপুরে। এখানে এই পুজো পড়ল ৭৬ বছরে। বাংলাদেশে যে রীতি মেনে পুজো হত, এখানেও তেমনটাই হয়। বৈষ্ণব নয়, এখানে পুজো হয় শাক্ত মতে। সপ্তমী থেকে নবমী প্রতিদিনই বলি হয়। এ বাড়ির পুজোয় ছেলেরা অংশ নিতে পারলেও, মেয়েরা পারেন না। তবে মন্দিরের চাতালে বসে দেবদর্শন করতে পারেন।  {ads} কর্মসূত্রে বর্তমানে সেন পরিবারের সদস্যরা দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকেন। তবে পুজোর সময় সবাই একত্রিত হন। পরিবারের সদস্যদের দাবি, তিনশো বছর আগে পুজো শুরুর সময় থেকে এ পর্যন্ত একবারও পুজো বন্ধ হয়নি। পুজো চলাকালীন কোনও সদস্যের মৃত্যু হলেও, পুজো বন্ধ হয়নি। এ বাড়িতে দেবীকে অন্নভোগ নিবেদন করা হয় না। ফলমূল, লুচি-মিষ্টি দিয়েই পুজো হয়। একচালার প্রতিমায় পুজো হয়। এখানে দেবীর মহিষাসুরমর্দিনী রূপের পুজো হয়। দেবীর সঙ্গে লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ সবাই থাকেন। এসব প্রত্যক্ষ দেবতা ছাড়াও আরও অনেক দেবতার পুজো হয়। নিয়ম মেনে হয় সন্ধিপুজোও। তবে কুমারি পুজো হয় না এ বাড়িতে। জমিদার বাড়ির পুজো দেখতে এখনও ভিড় করেন দূর-দুরান্তের মানুষ।  {link} স্থানীয় বহু মানুষের এই মন্দিরে পুজোর সময় মহিলাদের প্রবেশ করা নিষিদ্ধ থাকলেও এর বিরুদ্ধে সেইভাবে আজ পর্যন্ত কেউ সেইভাবে প্রতিবাদ জানাতে আসেননি। বহু বছর ধরে চলতে আসা নিয়মের ছক ভাঙার চেষ্টাও করেননি কেউ। মহিলারাও মন্দিরের বাইরে থেকেই মায়ের আশির্বাদ নিয়ে চলে যান। হয়ত মায়ের ওপর আস্থা রয়েছে বিপুল, সেই কারনেই চেনা ছক ভাঙতে চান না তারা…  {ads}  

article thumbnail

বৈঁচির দাঁ পরিবারের মা দুর্গা লোকমুখে ছেলে ধরা দুর্গা নামে খ্যাত

দশ হাতের দেবী দুর্গাই শুধু নয়, বাংলার মাটিতে দেবী পূজিতা হন অভয়া রূপেও। কিন্তু অবাক করা কথা কোথায় জানেন? এই গ্রামে দেবী দুর্গা পরিচিত ছেলেধরা দুর্গা নামে। একইভাবে দেবী দুর্গা নন, বৈঁচির দাঁ পরিবারে পুজো হয় দেবী অভয়ার। মা দুর্গারই এক রূপ অভয়া। দুর্গা যেমন মহিষাসুরকে বধ করেন, অভয়া রূপ তেমন নয়। তাঁর হাতে ধরা এক বালক। লোকমুখে এ দুর্গা ছেলে ধরা দুর্গা নামেই খ্যাত। {link} জনৈক ব্যবসায়ী বিনোদ দাঁ এই পুজোর সূচনা করেন। শোনা যায়, চাঁদ সওদাগরের আমল থেকেই তাঁর পূর্ব পুরুষ ব্যবসা করে আসছেন। বিনোদবাবুর আমলে শ্রীবৃদ্ধি হয় ব্যবসার। তিনিই শুরু করেন অভয়া দুর্গার পুজো।  {ads} কেন এ রূপের পুজো হয়? বাণিজ্যে যাওয়ার পথে চাঁদ সওদাগর দেবীর কমলেকামিনী রূপ দেখেন। রাজাকে সে রূপ দেখাতে না পারায় তাঁকে বন্দি করা হয়। বাবার বন্দিদশা ঘুঁচাতে তাঁর পুত্র শ্রীমন্ত সওদাগর রওনা দেন। তিনিও দেবীর ওই রূপই দেখেন। তিনিও রাজাকে দেবীর ওই অপরূপ মূর্তির কথা বলেন। রাজা দেবীর ওই মূর্তি দর্শন করতে চান। শ্রীমন্ত তাঁকে তা দেখাতে না পারায়, বণিকপুত্রকে জলে ফেলে দেন রাজা। তখন অভয়া রূপে দেবী উদ্ধার করেন শ্রীমন্তকে। বাবার বন্দিদশা ঘুঁচিয়ে শ্রীমন্ত দেবীর অভয়া রূপেরই পুজো করেন। দাঁ বাড়িতে সেই রূপেই বিগত ২০০ বছর ধরে পূজিত হয়ে আসছেন দেবী অভয়া। {link} একচালার প্রতিমা। দেবীর সঙ্গে অসুর নেই। তবে লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ রয়েছেন। বিনোদবাবুর আমলেই একবার পুজো বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল। তখন দেবী স্বপ্নাদেশ দেন, থোড় ও কাশীর চিনি দিয়েই পুজো কর। সেই থেকেই থোড় ও কাশীর চিনি দিয়ে পুজো হয়। দাঁ পরিবারের প্রায় সব সদস্যই কর্মসূত্রে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকেন। পুজোর সময় সবাই একত্রিত হন। পুজোর সময় আনন্দে মুখরিত হয়ে হয়ে ওঠে এই বিখ্যাত পরিবারের বাড়ি, দূর দূর থেকে মানুষ দর্শন করতে আসেন মাতৃমূর্তি। কিন্তু পুজো মিটলেই আবার শূন্যতা তার দাপট দেখাতে শুরু করে। পুজো শেষে দেবীর কাঠামো পড়ে থাকা খাঁ খাঁ দালানবাড়িতে। {ads}  

article thumbnail

এ বাড়িতে দেবী দুর্গার সঙ্গে পুজো পান আরও একুশ দেবতা

কেউ যদি প্রশ্ন করে বাংলা ও বাঙালির সর্ববৃহৎ উৎসব কোনটি, তাহলে এককথায় উত্তর আসবে একটিই, দুর্গাপুজো। দুর্গাপুজো মানের অনেক আনন্দ ভালোলাগা ও আনন্দের সংমিশ্রণ। রাত জেগে ঠাকুর দেখা বড়ো বড়ো প্যান্ডেল হপিং, থিম পুজোর রমরমা। কিন্তু এসবের মাঝেই আমরা বাংলার একটা পুরোনো সংস্কৃতিকে প্রায় ভুলতে বসেছি। সেটা বাংলার সমস্ত ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক সমস্ত বহুকাল থেকে চলে আসতে থাকা বনোদি ও রাজবাড়ির পুজোগুলি। এহেন এক পুজোরই আশ্চর্য উপাখ্যান আজ রইল শেফিল্ড টাইমসের রাজবাড়ির পুজোর আরও একটি নতুন পর্বে।  উল্লেখযোগ্যভাবে এ বাড়িতে দেবী দুর্গার সঙ্গে পুজো পান আরও একুশ দেবতা। এঁরা প্রত্যেকেই হাজির জমিদার বাড়িতে। সেজন্য মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ানের জমিদার বাড়ির পুজো ‘বাইশ পুতুলের পুজো’ নামে খ্যাত। ইদানিং ধুলিয়ানে দুর্গাপুজো হলেও, পুজোর সূচনা হয়েছিল মালদহের দেওনাপুরে। এ পরিবারের প্রয়াত সদস্য রাঘবেন্দ্র রায় ছিলেন জমিদার। গঙ্গার ভাঙন ও বন্যার জেরে দুর্ভোগ পোহাতে হত পরিবারের সদস্যদের। বাধ্য হয়ে পাততাড়ি গুটিয়ে ১৮২৫ সালে ধুলিয়ানে চলে আসেন জমিদার পরিবার। নির্মাণ করা হয় দালানকোঠা। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সঙ্গে সপরিবারে আসেন দেবী দুর্গাও। সেই থেকে পুজো হচ্ছে ধুলিয়ানে।  পুজো শুরু হয় কৃষ্ণা নবমীতে। বিসর্জন হয় দশমীতে। অন্যত্র যেমন সন্তান-সন্ততি নিয়ে পুজো পান দেবী দুর্গা, এখানেও তেমনি। তবে এ বাড়িতে পুজো পান আরও ষোলোটি দেবদেবীর মূর্তি। এঁদের মধ্যে সবার ওপরে রয়েছেন মহাদেব। তাঁর দুপাশে থাকেন নন্দী ও ভৃঙ্গি। তাঁরও ওপরে থাকেন গঙ্গা। দেবীর বামদিকে থাকেন বিজয়া এবং নরসিংহ। দেবীর সঙ্গেই থাকেন রাম, লক্ষ্ণণ। থাকেন বিষবাহন। আরও কিছু প্রতিমাও থাকে। প্রাচীন রীতি মেনে প্রতিমার কাজ শুরু হয় রথের দিন।  পুজো হয় সূচনা লগ্নের সময়কার নিয়ম মেনে। বিসর্জনের দিন ঢাক বাজান পুরুষেরা। সিঁদুর খেলায় মাতেন মহিলারা। কাঁধে করে দেবী মূর্তি নিয়ে গিয়ে আজও বিসর্জন দেওয়া হয় গঙ্গায়। প্রাচীন ঐতিহ্য মেনে এখনও হয় বাইচ প্রতিযোগিতার। এক সময় বাইশ পুতুলের পুজো দেখতে আসতেন দূর-দুরান্তের মানুষ। এখন আর আসেন না। তবে এলাকাবাসী একবার হলেও দর্শন করে যান জমিদার বাড়ির মা-কে। দেবী মা-ও প্রত্যক্ষ করেন জমিদারদের ‘প্রজা’দের, হয়তবা তার আশির্বাদও লাভ করেন কেউ কেউ।  সারা বাংলা জুড়ে এহেন অসংখ্য অবাক করা বনোদি ও রাজবাড়ির পুজোর উপাখ্যান রয়েছে। যার বেশ কয়েকটি বা বলা চলে অধিকাংশই জানা এবং হয়ত বেশ কিছু অজানাও রয়েছে। মায়ের আসতে আর মাত্র কয়েকদিনের অপেক্ষা....   {ads}

article thumbnail

হারিয়ে খোঁজার পথে(ধারাবাহিক)- নিখিল কুমার চক্রবর্তী{পর্ব-১০}

ঘরে ঢুকে নিশাকে দেখে প্রাথমিকভাবে একটু অবাক হলেও পর মুহূর্তেই স্বাভাবিক হয়ে গেলেন অনিমেষ দত্ত। একমুখ হাসি ছড়িয়ে বললেন --নমস্কার ম্যাডাম। আপনিই তাহলে সুমিতের হাসপাতালে না যাওয়ার কারণ। ওদিকে হাসপাতালে হই হই হচ্ছে। ডাক্তার গায়েব! নিশা কিছু বলল না। শুধু হাত জোর করে নমস্কার করল। সুমিত বলল --অনিমেষদা বসুন। আমি আর এক রাউন্ড কফি নিয়ে আসি। নিশা ক্লান্ত থাকলে বারেবারে কফি খায়।  সুমিত কিচেনে ঢুকে গেল। অনিমেষ দত্ত নিশাকে বললেন --কিছু একটা রিলেশন যে আছে তা সুমিতের আগ্রহ দেখে বুঝেছিলাম। কিন্তু একেবারে আরামবাগে চলে আসার মতো রিলেশন বুঝতে পারিনি। সুমিত দেখলাম আপনার অভ্যাস সম্বন্ধেও ওয়াকিবহাল। তা, আপনি কেমন আছেন এখন? --মোটামুটি আছি।  --ভাল থাকতেই হবে। অতীতকে আঁকড়ে থাকলে ভাল থাকা যায় না ম্যাডাম। অতীত থেকে শিক্ষা নিলে তবেই ভাল থাকা যায়। আপনি চাকরি ছেড়ে দিলে জায়গাটা থেকে দূরে থাকতে পারবেন, কিন্তু নিজের থেকে দূরে থাকবেন কি করে?  নিশা এবারে সরাসরি অনিমেষ দত্তর মুখের দিকে তাকাল। খুব ধীরে ধীরে বলল --যা ঘটেছে আপনি সবই জানেন। এরপরেও কি ছাত্রছাত্রীরা আমাকে সম্মান দিতে পারবে? --সম্মান কেউ কাউকে দেয় না ম্যাডাম। নিজেকে অর্জন করতে হয়। কলেজে আপনার সুনাম ভাল পড়ানোর জন্য। ছাত্রছাত্রীরা আপনাকে ভালবাসে আপনার ব্যবহারের জন্য। আপনার জীবনে কি ঘটছে সেটা সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়। জীবন আর জীবিকা এক জিনিষ নয় ম্যাডাম। {link} একটা ট্রেতে তিনটে কফিমগ নিয়ে সুমিত এসে বসল। ওদেরকে একটা করে কফিমগ হাতে দিয়ে নিজেও একটা নিয়ে নিশার পাশে বড় সোফা সেটটায় বসল। অনিমেষ দত্ত ততক্ষণে সিঙ্গল সেটটায় বসে পড়েছেন। কফিতে চুমুক দিয়ে সুমিত বলল --অনিমেষদা, আপনাকে বলতে পারিনি যে নিশাকে আমি চিনি। একপাড়াতে আমরা বড় হয়েছি, একসাথে পড়াশোনা করেছি। ও একচুয়ালি একেবারে ছোট্টবেলা থেকে আমার সাথে ছিল। পাস্ট টেন্স ইউজ কেন করছি তা আপনি ভাল করেই জানেন। তবে ওর কাছে আমি ঋণী। ও মোহনকে বিয়ে করে আমাকে ছেড়ে চলে না গেলে আজকের সুমিতের জন্ম হত না। ওর কথা অনেকবার আপনাকে বলার ইচ্ছে হয়েছে, কিন্তু হাসির খোরাক হবার ভয়ে বলিনি। সুমিতকে থামিয়ে অনিমেষ দত্ত বললেন --এতদিনে দাদাকে এই চিনলে ভায়া? সবার জীবনেই কিছু না কিছু দুর্বল জায়গা থাকে। আমি মনে করি সেসব কথা সবাইকে না জানানই ভাল। সবাই সমানভাবে নিতে পারে না। তবে নির্ভরযোগ্য কারোর সাথে শেয়ার করতে পারলে ভাল হয়। জানলাম, তুমি আমাকে নির্ভরযোগ্য ভাবতে পার নি। সুমিত উঠে অনিমেষ দত্তর কাছে গিয়ে তার হাত দুটো ধরে বলল --আপনি এরকম বললে আমার অপরাধের শেষ থাকবে না। বুঝতে পারছি, আপনাকে না বলে ভুল করেছি। প্লিজ ক্ষমা করে দিন। অনিমেষ দত্ত সুমিতকে ধরে নিয়ে এসে সোফায় বসিয়ে দিয়ে বললেন --ওসব নিয়ে মন খারাপ করে লাভ নেই। যা বুঝলাম নিশা ম্যাডাম তোমার ছোটবেলার সঙ্গী। তোমাকে ছেড়ে মোহনকে বিয়ে করে চলে যাওয়াতে তোমার কষ্ট হয়েছিল। তুমি নিজের খোলনলচে বদলে ফেলেছ। মানে, তুমি নিশাকে খুব ভালোবাস। তা, ওকে কোনদিন বলেছ ভায়া যে, তুমি ওকে ভালবাসো? --সেটাও কি মুখে বলতে হয় দাদা? ও বুঝতে পারে নি কেন? --বলতে হয় ভায়া। অনেক কথা যেমন বলতে নেই, তেমনি অনেক কথা সময়ে বলতে হয়। ভালবাসার লোককেও বলতে হয় "আমি তোমাকে ভালবাসি।" "শক্তি" বলে একটা হিন্দী মুভি থেকে আমি এটা শিখেছিলাম। শেষ দৃশ্যে পুলিশ বাবা স্মাগলার ছেলেকে গুলি করার পর ছুটে গিয়ে তাকে কোলে তুলে নিয়ে বলছে,"তুই আমাকে ছেড়ে যাস না। তোকে ছেড়ে আমি বাঁচব না।" উত্তরে ছেলে বলছে, "বাবা, এতদিন একথা তুমি বল নি কেন? তাহলে তো আমি স্মাগলার হতাম না।" ছেলে ভাবত বাবা তাকে ভালবাসে না। তাই বলছি ভায়া, শুধু ম্যাডামকে দোষ দিয়ে তো লাভ নেই। দোষ তোমারও আছে। ভাষায় ভালবাসার প্রকাশটা খুব জরুরী। {ads} নিশা দুজনের কথোপকথন শুনে যাচ্ছে। অনিমেষ দত্তকে নতুন রূপে দেখছে এখানে। কলেজে এডমিনিস্ট্রেটর হিসাবে তার রূপ দেখেছে। এখানে তার রূপ এক অভিভাবকের। সত্যিই সে যেন সুমিতের দাদা। সে যদি এরকম এক দাদা পেত তাহলে হয়ত তার জীবনটা এভাবে তছনছ হত না। একটা গভীর দীর্ঘশ্বাস হালকাভাবে নিশার বুকের ভেতর থেকে বেরিয়ে এল। অনিমেষ দত্ত যাই বলুন না কেন সুমিতের থেকে তার অপরাধ অনেক বেশি। সুমিতের ডেডিকেশনে তার প্রতি ভালবাসা যথেষ্টই প্রকট ছিল। সেই বুঝতে পারেনি। বোধহয় এত ভালবাসার যোগ্য সে নয়। নিজের দোষে সে নিজের জীবন শুধু নষ্ট করেনি সুমিতের জীবনটাও শুকনো করে দিয়েছে। নিজের অজান্তেই তার দুচোখ ছাপিয়ে জলের ধারা নেমে এল। {link} অনিমেষ দত্ত পোড় খাওয়া লোক। জীবনে অনেক বাঁক, অনেক তরঙ্গের মুখোমুখি হয়েছেন। নিজের জীবনে এমন না হলেও অনেকটা একই রকম অবস্থার সম্মুখীন হয়েছেন। কলেজ জীবনের প্রেম সংসারে বাস্তবায়িত হয়েছিল।  ডাক্তারি পড়তে কলকাতায় গিয়েছিলেন অনিমেষ দত্ত। উচ্চবিত্ত পরিবারের ছেলে হলেও পড়াশোনায় কোন অবহেলা ছিল না তাঁর। কলকাতার কলেজে ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। তবে হস্টেলে না থেকে মেডিকেল কলেজের কাছাকাছি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকতেন। ওঁর যখন ফাইনাল ইয়ার তখন রুনিরা ঐ বিল্ডিঙের অন্য ফ্ল্যাটে আসে। রুনিরও তখন গ্র্যাজুয়েশনের ফাইনাল ইয়ার। ওরা আগে দমদমে থাকত। ওর বাবা মা দুজনেই করপোরেট সেক্টরের এমপ্লয়ি। ওদের পুরো পরিবারটাই অন্যরকম জীবনযাপনে অভ্যস্ত ছিল। যে যাপনে আবার অনিমেষ দত্তরা অভ্যস্ত নয়। দমদমের পরিবেশ বসবাসের উপযোগী না হওয়ায় ওরা নাকি এখানে উঠে আসে। তখন ওসব নিয়ে কিছু ভাবেই নি অনিমেষ দত্ত। এখন মনে হয় ভাবা উচিত ছিল। তবে মফস্বলের ছেলেকে কি কারণে কলকাতার রুনি মুখার্জী ভালবেসেছিল তা আজও অনিমেষ দত্তর কাছে অজানা। আদৌ ভালবেসেছিল কি? সেটাও তো অজানা এখনও। ভালবাসলে বিয়ের ছ মাসের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়ে গেল কেন?  {ads}

article thumbnail

সাহিত্যের পাতা

আরো পড়ুন

History: ৭ নভেম্বর বিশ্ব ঐতিহাসিক দিন

 শেফিল্ড টাইম্‌স ডিজিটাল ডেস্ক : আজ, ৭ নভেম্বর বিশ্বের সমাজতান্ত্রিক মনস্ক মানুষদের কাছে একটা বিশেষ ঐতিহাসিক দিন। ১৯১৭ সালের ৭ নভেম্বর সেই দিন, যেদিন সোভিয়েত রাশিয়ায় ভ্লাদিমির ইলিচ লেনিনের নেতৃত্বে বলশেভিকরা ক্ষমতা দখল করে এবং জারবাদী শাসনের ঐতিহ্যকে ধ্বংস করে। এটাই বিশ্বের প্রথম সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব। স্বাভাবিক কারণেই সমাজতন্ত্রীদের কাছে এই দিনটি সত্যি ঐতিহাসিক দিন। লেনিনের নেতৃত্বে বলসেভিকেরা ক্ষমতা দখল করার পরে সেই দলের নাম দেয় 'সোভিয়েত কমিউনিস্ট পার্টি'। সেই সময় জার শাসনে ক্ষত-বিক্ষত রাশিয়ার মানুষ। তীব্র অভাব, ভয়ঙ্কর শোষণ, নির্মম অত্যাচারের বিরুদ্ধে কমিউনিস্টদের নেতৃত্বে যে বিপ্লব ঘটেছিল, তা যেন মুক্তির হাওয়া এনে দিলো দরিদ্র শ্রমিক ও কৃষক শ্রেণীর সামনে। তারা গঠন করলো নিজেদের সরকার। আর সরকারের প্রধান নীতি আগেই কার্ল মার্ক্স বলেছিলেন - 'দেশের মানুষ সাধ্য অনুযায়ী শ্রম দেবে আর রাষ্ট্রশক্তি তাদের জীবন-জীবিকার দায়িত্ব নেবে।' বিশ্বজুরে তৈরী হলো এক নতুন উন্মাদনা। চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লো সমাজতন্ত্রের বার্তা।  {link}   রাশিয়ায় ১৯১৭ সালের এই বিপ্লবের পটভূমি তৈরী হয়েছিল বহু বছর আগের থেকেই। বিশেষ করে ১৯০৫ সালটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জার শাসন ও শোষনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার শ্রমজীবী মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে জার শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবার করলে জারদের পুলিশের নির্মম অত্যাচারে কয়েকশো শ্রমিক হতাহত হয়। এটাই অন্যতম কারণ যে, জারদের বিরুদ্ধে শ্রমজীবী মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে ওঠে। আর তখনই তারা তৈরী করেন 'সোভিয়েত' নামে এক কাউন্সিল। ওই ১৯০৫ সালেই জাপানের হাতে পরাজিত হয় জার শাসক ও তাদের বিপুল আর্থিক সংকট দেখা দেয়। এর পরেই রাশিয়া ১৯১৪ সালে ব্রিটিশ ও ফরাসিদের মিত্র হয়ে জার্মাণের বিরুদ্ধে যুদ্ধে পর্যদুস্থ হয়। দেশে নেমে আসে আরও গভীর সংকট। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে শ্রমিক ও কৃষকের মধ্যে ব্যাপক সংগঠন তৈরী করে বলসেভিকরা (পরে কমিউনিস্ট পার্টি)।  {link}   এর পরেই বিশ্বজুড়ে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলে কমিউনিস্ট আন্দোলেন। ধনতন্ত্রের বিরুদ্ধে নিজেদের অর্থাৎ জনগনের সরকার গড়ার আন্দোলনে সাফল্য আসে মাও-সে-তুঙয়ের নেতৃত্বে চিনে। তারপরে একে একে একে ফিদেল কাস্ত্রের নেতৃত্বে কিউবা,প্যাথ লাওয়ের নেতৃত্বে লাওস,হোচি মিনের নেতৃত্বে ভিয়েতনাম সহ আরও বেশ কয়েকটি দেশে। আর লাতিন আমেরিকা, আফ্রিকা ও এশিয়ার বহু দেশে গড়ে ওঠে কমিউনিস্ট পার্টি ও কমিউনিস্ট আন্দোলেন। স্বাভাবিক কারণেই ৭ নভেম্বর বিশ্বের 'সমাজতন্ত্রী' দের কাছে একটা বিশেষ সম্মানের দিন। কার্ল মার্ক্স যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, তাকে বাস্তবে রূপ দেবার জন্যই মহামতি লেনিন বার বার বলতেন -  'দুনিয়ার মজদুর এক হও' - তা আজও প্রাসঙ্গিক। {ads}

article thumbnail

Research: মানুষের মতো দাঁত রয়েছে এই বিস্ময়কর মাছের

শেফিল্ড টাইম্‌স ডিজিটাল ডেস্ক :  পৃথিবীর তিন চতুর্থাংশ জল। আর সেই জলের মধ্যেই লুকিয়ে আছে অজস্র বিস্ময়। এমনই এক বিস্ময়কর মাছের সন্ধান দিলো বিজ্ঞানীরা। একেবারে মানুষের মতো দাঁত রয়েছে এই বিস্ময়কর মাছের। সম্প্রতি এমন ভয়ঙ্কর মাছের খোঁজ মিলল প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে। বিস্ময়কর এই মাছটির নাম পেসিফিক লিংকোড। {link} সবথেকে অবাক করার মতো বিষয় হল, এই মাছের মুখেই রয়েছে ৫৫৫টি দাঁত। এই দাঁতগুলো রেজারের মতো ধারালো। বিজ্ঞানীরা এরপর বিস্ময়কর এই মাছটি নিয়ে গবেষণায় নেমে জানতে পারেন, এই মাছ প্রতিদিন ২০টি করে দাঁত হারায়। কিন্তু দিনের শেষে ফের সেই দাঁত গজিয়ে ওঠে সঠিক জায়গায়। উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরে দেখা মেলে মাংসাশি এই মাছের।এখানেই বিস্ময়ের শেষ নয়। এই মাছ নিয়ে গবেষণায় আরো অনেক বিস্ময়কর ঘটনা উঠে এসেছে।এর মুখ খুব ভয়ঙ্কর। তবে মাত্র ২০/২২ ইঞ্চি লম্বা হয় এই মাছ। বিশ্বের সবথেকে ভয়ঙ্কর মুখের মাছগুলির মধ্যে একটি হল এই পেসিফিক লিংকোড। এই মাছের চোয়ালের আস্তরণে প্রায় শত শত মাইক্রস্কোপিক দাঁত আছে। মাছটি ফ্যারিঞ্জিয়াল চোয়াল ও আনুষঙ্গিক চোয়ালের একটি সেট দিয়ে খাবার চিবোয়। {link} খাবার চিবনোর সমই তারা ২০টি করে দাঁত হারায়। পরে সেগুলি আবার গজিয়ে ওঠে এক দিনের মধ্যে। মাছটি সম্বন্ধে অনেকে জানলেও তাদের দাঁতের এই কাহিনি প্রায় অজানা। সেই নিয়ে চলেছে গবেষণা। {ads}

article thumbnail

উপলব্ধিঃ ফাস্ট ফুড- নিখিল কুমার চক্রবর্তী

উপলব্ধি  (ফাস্ট ফুড)  খুব বেশিদিন আগেকার কথা নয়। তখনও ফাস্ট ফুডের ব্যবসা শিল্পের পর্যায়ে পৌঁছায় নি। নানা রকম পোষাকী নামে বিভূষিত হয়ে আলুর তৈরি আইটেম জাতে ওঠেনি। হাজারটা ব্যবসাদার হাজার রকম নামে একই পদ কে বিভিন্ন ভঙ্গীমায় পরিবেশনও করত না। ফাস্ট ফুড বলতে চপ, সিঙ্গারা, বেগুনী, কুমড়ী, ফুলুড়িকেই বোঝাত। সন্ধ্যেবেলায় বর্ষাবাদলের মেঘমল্লার বেজে উঠলে সরষের তেলে (সাদা তেল তখন বাঙালি চোখে বা চেখে দেখে নি) জিরে শুকনো লঙ্কা ভাজা আর চপ দিয়ে মুড়ি চটকে মেখে খবরের কাগজের ওপর ঢেলে দেওয়া হত। তার চারধারে বারো ইয়ার। ঐ মুড়ির সাথে সিঙ্গারা ভেঙে ভেঙে খাওয়া হত সবাই মিলে। সবাই একসাথে খাবলা মারার চেষ্টা করত। সব খাওয়ার পর বাইরের "চাঁপাকল” থেকে এক মগ জল এনে ঢক ঢক করে খেয়ে ঢেকুর তুলত বাঙালি। তারপর চিনিগোলা এক ভাঁড় চা। অবশ্যম্ভাবীভাবে দশ মিনিট পর থেকে গলায় মোবিল ছেটকাতো। রাতের খাওয়া শিকেয় উঠত। কোন কোন রসিক সুজন সন্ধ্যে হলেই এই ধরণের ফাস্ট ফুডের জন্য ছটফট করে মরে যেত। অবশ্য শুধু ফাস্ট ফুড কে দোষ দিয়ে লাভ নেই। সে তো সহযোগী। আসল ছটফটানি রঙিন তরলের বোতলের জন্য। বাড়ির লোক যাতে জানতে না পারে তার জন্য সাপের কামড়ের ভয়কে তুচ্ছজ্ঞান করে সন্ধ্যেবেলায় গ্রামের বাঁশতলায় কত যে মেহ্ফিল বসত! তখন মুঠোফোনের চল হয় নি। হুট করলেই বারো ইয়ার এক জায়গায় ঠেক মারার জন্য নির্দিষ্ট সময়ে আসার এত্তেলা পেত না। তবুও কী এক অমোঘ ইশারায় সবাই ঠিকঠাক চলে আসত। বাতাস দূতের কাজ করে গন্ধ পৌঁছে দিত ইয়ারমহলে। এসব দিন এখন অতীত। এখন শহরের ফুটপাতে মানুষ চলে না। পাত পেড়ে কাটলেট, রোল, মোগলাই, বিরিয়ানি খায়। অযুত নিযুত রেস্তোরাঁয় কত রকমের আইটেম! "স্টার্টার", "ডেজার্ট", "মেন কোর্স" ইত্যাদি নামে পকেট খালি করার এবং পেট ভর্তি করার কত রকম কারসাজি! এসবের একবারে প্রথমের দিকে আমার মত এক গাঁয়ের লোক "চিলি চিকেন" খেয়ে বলেছিল, "আরে, এ তো মুরগীর টক"। তা শুনে যে তাকে খাওয়াতে নিয়ে গিয়েছিল তার হড়কে পড়ে যাওয়ার মত অবস্থা। ছি ছি, এমনভাবে কেউ প্রেস্টিজ পাংচার করে! "শিক কাবাব" খেয়ে বলেছিল, "আরে দূর, আমার গ্রামের বন্ধু তামর হেমব্রোম তো তাদের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে হাঁসের মাংস পুড়িয়ে এমন করেই খাইয়েছিল।" বলা বাহুল্য হবে, এরপরে আর কোনদিন সেই বন্ধু এমন কোন সঙ্গী নিয়ে রেস্তোরাঁয় যাওয়ার সাহস দেখায় নি। এখন তো আরও সহজ হয়ে গেছে সবকিছু। মুঠোফোনের দৌলতে মুঠোয় এসে গেছে দুনিয়া। "অনলাইন" এ যা খুশী অর্ডার করে আনানো যায়। একটা ক্লিকের অপেক্ষা। খুব ভাল। বাড়িতে অতিথি এসেছে (যদিও খুব কম লোকই এখন চায় যে বাড়িতে অতিথি আসুক। আত্মসুখসর্বস্ব পরিবার নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত থাকতেই বেশি পছন্দ করে), অনলাইনে অর্ডার দাও। পরনিন্দা, পরচর্চা শেষ হওয়ার আগেই খাবার এসে হাজির। কে আর কষ্ট করে দুপুরের মেনুতে বাঙালির প্রিয় পেঁয়াজ রসুন দিয়ে কলমি শাক ভাজা, পোস্তবড়া (মহার্ঘ এখন), পুকুরে জাল ফেলে ধরা টাটকা মাছের ঝোল বা হাঁসখোপ থেকে সদ্য বের করে আনা ডিমের ঝোল দিয়ে ভাতার থালা সামনে ধরে আপ্যায়ন করে? হাঁসখোপের ডিম আর পুকুরের টাটকা মাছ শহরে না থাকলেও বাঙালির অতিথি আপ্যায়নে ব্যাগ ওপচানো সব্জির বাজার আর গোটা বড় একটা কাৎলার কানকোর ভেতর দিয়ে খড় ঢুকিয়ে বেঁধে অন্য হাতে তা ঝুলিয়ে আনার সুনাম ছিল। বাড়ির গিন্নীরা তখন বড় আঁশবঁটির ওপর থেবড়ে বসে সেই মাছ কাটত। বড় বড় পিস করত। এখনকার মত বাজারে মাছ কিনে অন্য কাউকে এক্সট্রা দশ টাকা দিয়ে পঁচিশ গ্রামের এক একটা পিস করিয়ে আনতে হত না। বাজার থেকে ফেরার পথে সবাই জানত বাড়িতে অথিথি এসেছে। কেউ কেউ মজা করে বলত, "বাড়িতে বড়কুটুম (শালা বা সম্বন্ধী) এসেছে না কি?" অতিথি অপ্যায়নে ফাস্ট ফুড তখন এত সুনাম কুড়োয় নি। এতে সুবিধা কি হয় নি? নিশ্চয়ই হয়েছে। এই বেগযুগে আবেগহীন মানুষের হাতে "সময় কোথায় সময় নষ্ট করবার"? স্বামী স্ত্রী আর একমাত্র সন্তানকে নিয়ে তৈরি পরমাণুপরিবারে সবাই ব্যস্ত। অতএব, পেটের ক্ষতি হলেও উপায় নেই। অনলাইনই জীবনকে অফলাইন হওয়া থেকে বাঁচিয়ে রেখেছে। মুশকিল অন্য জায়গায়। এই ধরণের ব্যবস্থা প্রচ্ছন্নভাবে নিস্পৃহ মানসিকতার জন্ম দেয়। শারীরিক অসুস্থতা ডেকে আনে। যে যখন খুশী এলেও অসুবিধা নেই। মুঠোফোন তো আছে! চটকদার মনোহারি ফাস্ট ফুড আনিয়ে নিলেই হবে। অতএব নিস্পৃহ থাকো। এই মানসিকতা আস্তে আস্তে সব ক্ষেত্রে ছড়িয়ে পড়লে বিপদ। সিরিয়াসনেসের অভাব দেখা দিতে পারে। আর চটকদারি, মশলাদার এই সব খাবার যে শরীরের পক্ষে খারাপ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তা হলে কি এসব খাবার পরিহার করতে হবে? কখনই না। তা হলে তো পিছিয়ে পড়তে হয়। যুগের সাথে তাল মেলানো যায় না। সুতরাং, খাওয়ার সীমা জানতে হবে। সব পরিস্থিতির মত এক্ষেত্রেও থামতে জানতে হবে। বাঙালিকে ব্যালান্স করা শিখতে হবে। {ads}

article thumbnail

উপলব্ধিঃ সংস্কৃতি- নিখিল কুমার চক্রবর্তী

সংস্কৃতি শব্দটা খুব গোলমেলে। কখন যে কোন দিকে টার্ণ নেয় বোঝা মুশকিল। মানে, কখন যে কোনটা সংস্কৃতি আর কোনটা অপসংস্কৃতি তা বোঝা খুবই দুরূহ ব্যাপার। আমার বাড়ির সংস্কৃতি অন্য কোন বাড়ির সংস্কৃতি নাও হতে পারে। আবার শহরে যেটা সংস্কৃতি সেটাই হয়ত প্রত্যন্ত গ্রামে অসভ্যতার চূড়ান্ত। উল্টোটাও হতে পারে। ছোটবেলায় দিদির শ্বশুর বাড়ি গেলে এক ভদ্রলোককে দেখলেই ভয়ে পালাতাম। তাকে তখন অসভ্য, বদমাশ লোক বলে মনে হত। অদ্ভূত অদ্ভূত বাংলা শব্দের ইংরাজি প্রতিশব্দ বলতে বলে আনন্দ পেতেন। জটিল সব বাক্যের ইংরাজি অনুবাদ জানতে চাইতেন। একবার জিজ্ঞাসা করেছিলেন, "মুরগীর ঝুঁটি ইংরাজি কি?" আর একবার বলেছিলন, "গরুর বাঁটের ইংরাজি জানো?" ভদ্রলোকের এই ব্যবহারটা মোটেই সেই গ্রামের সংস্কৃতি হতে পারে না। এটা মানুষকে হেয় প্রতিপন্ন করে নিজেকে জাহির করার ব্যক্তিগত প্রয়াস। ভদ্রলোকের এই অদ্ভূত মানসিকতার জন্য দিদির শ্বশুর বাড়ির গ্রামের সংস্কৃতিকেই খারাপ বলে মনে হত তখন। কিন্তু আসলে তা নিশ্চয়ই নয়। আমাদের স্কুলবেলায় একটা বিষয় নিয়ে খুব তর্কবিতর্ক হয়েছিল। একজন শিল্পীর গানকে কোন মন্ত্রী "অপসংস্কৃতি" আখ্যা দিয়েছিলেন। তা নিয়ে বাংলা জুড়ে হৈ হৈ। বাংলারই এক স্বনামধন্য ব্যক্তি সে প্রসঙ্গে বলেছিলেন, "যাঁর টেস্ট শহীদ মিনারের মাথায় লাল রঙ লাগানো, তিনি আবার সংস্কৃতির কি বুঝবেন?" আমি দুটো ব্যাপারই বুঝিনি। কেউ একজন কারোর গানকে অপসংস্কৃতি বলতেই পারেন। এটা তাঁর ব্যক্তিগত মতামত। তাতে তো আর সত্যি সত্যিই তা সংস্কৃতির বাউন্ডারির বাইরে চলে যায় না। তা যদি যেত তাহলে সেই শিল্পী এখনও এত জনপ্রিয় থাকতেন না। আবার শহীদ মিনারের মাথায় কি রঙ লাগানো হল তা দিয়েও নিশ্চয়ই ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রীর সংস্কৃতিমনস্কতার পরিচয় পাওয়া যায় না। একটা বাংলা সিনেমা ( আমার মতে সেটা সিনেমা পদবাচ্য নয়। বড়জোর যাত্রাপালা বলা যেতে পারে) তখন মাসের পর মাস "হাউসফুল" হয়ে রমরমিয়ে চলেছিল। আমার "পেয়ারের বন্ধু" সাধনকে বলেছিলাম, "এমন নিম্নমানের বই এত দিন ধরে চলে কি করে বল তো?" সাধন যা বলেছিল তা এখনও সমান প্রাসঙ্গিক। বলেছিল, "তুই বললেই তো হবে না! এত লোকে দেখছে যখন, তখন বইটা ডেমোক্রেটিক্যালি হিট।" অর্থাৎ  অপসংস্কৃতি নয়। তাহলে ব্যাপারটা কি দাঁড়াল? সংস্কৃতি ব্যাপারটাই কি আপেক্ষিক? হয়ত তাই। আমাদের দেশে নারী পুরুষের প্রিম্যারিট্যাল শারীরিক সম্পর্ক সংস্কৃতির আওতায় পড়ে না। আবার পৃথিবীর অনেক দেশেই এটার গ্রহনযোগ্যতা আছে। আমাদের দেশে বড়দের নাম ধরে ডাকা শোভনীয় নয় (যদিও আস্তে আস্তে তা শুরু হয়েছে)। অথচ পৃথিবীর অনেক দেশে ওটাই সংস্কৃতি। গ্রামে গঞ্জে এখন বাড়ির ছেলে মেয়েরা রাত ন'টার পর বাড়ির বাইরে থাকলে বড়দের কাছে অবধারিতভাবে ধমক খাবে। শহরে নগরে রাত ন'টার পর সন্ধ্যে শুরু হয়। আমাদের সিনেমা আর বিদেশি সিনেমা নিয়ে একজনের কাছে একটা কথা শুনেছিলাম। আমাদের সিনেমায় সারাদিনের কাজকর্ম সেরে স্বামী স্ত্রী রাতে খাওয়া দাওয়া করে যখন ঘরের দরজা বন্ধ করে ঘুমোতে যায় তখন বই শেষ হয়। বিদেশের বই ওখান থেকেই শুরু হয়। সব চেয়ে মজার ব্যাপার, আমরা এখনও সিনেমা, বই ইত্যাদি বলতে অভ্যস্ত। আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম কিন্তু "মুভি" বলতে ভালবাসে। আমরা এখনও ঘনিষ্ঠ কারোর শরীর খারাপের খবর পেলে ছুটে গিয়ে তার পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করি। অনেকে ফোনেই কর্তব্য সারে। বা, সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা জব্বর স্ট্যাটাস! তাহলে? আমরা কি সংস্কৃতির রূপ বদলানো প্রত্যক্ষ করছি না? পোস্ট কার্ড, ইনল্যান্ড লেটার, এনভেলাপ দিয়ে আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা শুরু হয়ে, ল্যান্ড ফোন - মোবাইল ফোন হয়ে এখন নেট - হোয়াটসঅ্যাপ ইত্যাদিতে পরিবর্তিত হয়নি কি? সংস্কৃতির হাত যত লম্বা হবে মানে, যত প্রযুক্তিনির্ভর হবে তত পুরনো ধ্যান ধারণা পাল্টাবে এতে কোন সন্দেহ নেই। তবে একটা কথা মনে রাখতে হবে। প্রযুক্তির কুফল নিয়ে গড়ে ওঠা সংস্কৃতি কোনদিন সমাজজীবনকে সমৃদ্ধ করতে পারে না। যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে যাওয়ার কারণে আজকে বৃদ্ধাশ্রমের প্রয়োজনীয়তা যদি বাড়ে তাহলে এই সংস্কৃতির নিশ্চয়ই কোন গুরুত্ব থাকতে পারে না। মূল্যবোধের ওপরে গড়ে ওঠা সংস্কৃতির মূল্য আগে ছিল, এখনও আছে। কোন দেশ, কোন সমাজ, কোন পরিবারের নিজস্ব আদর্শ, মূল্যবোধ, সংস্কৃতি থাকবে এটাই স্বাভাবিক। সেটা সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে পরিমার্জিত এবং পরিশীলিত হবে এটাও স্বাভাবিক। অস্বাভাবিক তখনই, যখন এটার গতিমুখ পাল্টে গিয়ে সম্পূর্ণ বিপরীত প্রতিক্রিয়ায় নেগেটিভ মানসিকতার জন্ম দিয়ে চলে গতিহীনভাবে। {ads}

article thumbnail

উপলব্ধিঃ মার্কেটিং- নিখিল কুমার চক্রবর্তী

উপলব্ধি  (মার্কেটিং) আমাদের বড়বেলায় (বুড়োবেলায় নয়) মার্কেটিং বলতে এম বি এ কোর্সের একটা শাখাকে বুঝতাম। জেনেছিলাম, বাজার সংক্রান্ত পড়াশোনা হয় সেই শাখায়। মনোপলি মার্কেট, কম্পিটিটিভ মার্কেট ইত্যাদি ইত্যাদি। সেই সব মার্কেটে দ্রব্যের মূল্য কিভাবে ঠিক করা হবে, কখন দ্রব্য বাজারে নিয়ে যেতে হবে -- এই সব ব্যাপার না কি পড়ানো হয় সে শাখায়! আরো অনেক কিছু নিশ্চয়ই পড়ানো হয়। তবে সে সবে গুরুত্ব দিতাম না। মার্কেটিং ব্যাপারটা নিয়ে এত গুরুত্ব দেওয়ার বিষয় সেটা ছিল না তখন। পাকাবেলায় এসে নিজে কস্টিং পড়তে গিয়ে জানলাম মার্কেটিং এত সহজ বিষয় নয়। মার্কেটিং ম্যানেজমেন্টকে তখন একটু অন্য চোখে দেখতে আরম্ভ করলাম। আরো বিশদে জানার চেষ্টা করলাম। আসলে তখনও ঠিক বুঝে উঠতে পারি নি যে মার্কেটিং ম্যানেজমেন্টটাই বর্তমান সমাজে আসল ম্যানেজমেন্ট। সেটা বুঝতে বুঝতেই মাথায় চকচকে টাক। যাই হোক, জানতে জানতেই কস্টিং কমপ্লিট হয়ে গেল। সবাই ভাবল আমি মার্কেটিং ব্যাপারটায় খুব দক্ষ হয়ে গেছি। কিন্তু আমি তো নিজেকে চিনি। বাজারের থলি হাতে বেরুলেই বুঝতে পারি, মার্কেটিংয়ের "ম" ও জানি না। পুঁই শাক কিনলে যে সাথে কুমড়ো কিনতে হয় তা মাথায় থাকে না। শুক্তোর বাজার করতে গৃহিণী ঠেলে পাঠালে হয় উচ্ছে না হয় কাঁচা কলা আনতে ভুলে যাবই। দামের কথা না ই বা বললাম। সব্জি বিক্রেতা আমার থেকে ভাল মার্কেটিং বোঝে। আমাকে দেখেই বলে উঠে, "আসুন দাদা, কত দিন পরে এলেন। শরীর ভাল তো? বাড়ির সবাই ভাল তো?" আমি গদগদ হয়ে যাই। কি ভাল লোক! আমার কত খেয়াল রাখে! সে আবার বলে, "পটল এক কিলো দিচ্ছি দাদা। হাজিগড়ের মাঠের টাটকা পটল। আপনি তো জানেন আমরা নিজেরাই চাষ করি। সত্তর টাকা কিলো বেচছি। আপনি ষাট করে দেবেন।" খুব খুশী হয়ে পটল কিনে বাড়িতে ফিরে গৃহিণীকে সব বলতেই খাঁটি সরষের তেলের ঝাঁঝ বেরিয়ে আসে। "ঐ ছেলেটার বাড়ি হাজিগড়ে? নিজেরা চাষ করে? তোমাকে ঢপ দিল আর তুমি মেনে নিলে? ওর বাড়ি তো এই বর্ধমানেই। মেহেদিবাগানে। বাপের জন্মে কোনদিন চাষের মাঠে পা দিয়েছে?" এর পর দাম শুনে আরো উগ্র ঝাঁঝ। "সে কী গো? আমাদের বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়া গলা কাটা সব্জির ভ্যানবালাগুলোও তো অত দাম নেয় না। পঞ্চাশ টাকা কিলো নেয়। হায় হায়! কি একটা গাড়োলের সাথে যে বাবা আমার বিয়ে দিয়েছে!" এর পরে স্বভাবতই স্থান ত্যাগ করা উচিত। এবং আমিও "সাকসেসফুল রিট্রিট" করি। কি যে হয় আমার! পরের বার বাজার গিয়ে আবার তার কাছে যাই। আবার সব্জি কিনি। আবার ঠকি। "ল অব ডিমিনিশিং রিটার্ণ" কাজই করে না। যখন একটু আধটু ছেড়ে একটু বেশিই লিখতে শুরু করলাম তখন "সাহিত্যের গৃহিণীপনা" বলে একটা কথা শুনেছিলাম। অর্থাৎ শুধু লিখলেই হবে না, তা গ্রন্থাকারে বা অন্য যেভাবে হোক পাঠকের হাতে যথোপযুক্ত(?) মূল্যে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। এটা না পারলে যত ভালই লেখা হোক, কেউ পাবলিশ করবে না। নিজের জীবনে প্রত্যক্ষ্য করছি এটা। তা, এটা কি মার্কেটিং নয়? মার্কেটিং হল সেই প্রজাতির প্রাণী যা সিচুয়েশন অনুযায়ী নিজের রূপ ও স্বভাব পাল্টাতে পারে। এখন ব্যাপারটা আরো ঘোরালো হয়ে গেছে। কর্পোরেট হসপিটাল, মিডিয়া হাউস, কর্পোরেট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, এন জি ও প্রভৃতি সবাই একটা করে মার্কেটিং উইং রাখছে। "বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সুচ্যগ্র মেদিনী"। সবাইকে বাজার ধরতে হবে। হসপিটালে পেশেন্ট বেশি আনতে হবে, মিডিয়াতে বেশি বিজ্ঞাপন আনতে হবে, স্কুল কলেজে বেশি ছাত্র ছাত্রী আনতে হবে, এন জি ওকে বেশি সেবা প্রদান করতে হবে ইত্যাদি। লিস্ট বাড়ালেই বাড়বে। কত আর বলব! সেটা খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ও নয়। গুরুত্বপূর্ণ হল, এই বাজার ধরার খেলায় ক্ষতিগ্রস্ত কে হচ্ছে? এই খেলায় মাততে গিয়ে কোয়ালিটির সাথে, পরিষেবার সাথে কমপ্রোমাইজ করছি না তো আমরা? তা যদি হয়, তাহলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সমাজ, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জনজীবন। একটা ছোট্ট উদাহরণ দিই। প্রায়ই আমরা খবর পাই, দুটো বাসের রেষারেষিতে জানলার ধারে বসে থাকা এক ব্যক্তির হাত কেটে রাস্তা পড়ে গেছে। জোরে ছুটতে গিয়ে দুটো বাস এত পাশাপাশি এসে গিয়েছিল যে ঘষটানিতে এই দুর্ঘটনা। তা, বাস দুটো এমন বেপরোয়াভাবে ছুটছিল কেন? ঘুরেফিরে সেই মার্কেটিং। একই রুটের দুটো বাসকেই বাজার ক্যাপচার করতে হবে। মুনাফা লুটতে হবে। আমরা পড়েছিলাম, বাজারে টিকে থাকার জন্য প্রথম দিকে কোন দ্রব্যের বাজার মূল্য দ্রব্যটি তৈরি করার খরচের থেকেও অনেকসময় কম রাখতে হয়। এখন ব্যাপারটা উল্টো বলে প্রতীয়মান হয়। প্রথমেই বেশি দামে দ্রব্য বাজারে নিয়ে এস, হেব্বি হেব্বি নায়িকাদের দিয়ে বিজ্ঞাপনে টিভির পর্দা কাঁপিয়ে দাও, প্রমাণ করে দাও এই বেশি দামে কেনাটাই স্ট্যাটাস সিম্বল। এর পরে পাবলিকে দ্রব্যটি খাবেই খাবে। পোস্ত এখন মহার্ঘ বস্তু। আগে মাসে এক কেজি পোস্ত যারা কিনত এখন মাসে একশ গ্রামে কাজ চালায়। দাম বেড়েছে মানে পোস্তর মান ভাল হয়েছে তা কিন্তু নয়। আমার দোকানদার জানাল অনেক অসাধু ব্যবসায়ী এক ধরনের শস্যবীজ পোস্তয় মিশিয়ে দিচ্ছে। কম পোস্ত বেচে বেশি লাভ। ওর কাছে আসল নকল দুটো পোস্তই আছে। আমি চাইলে নকলটা নিতে পারি। কিন্তু সেটা আমার শরীরের জন্য ঠিক হবে না। অাসলটার দাম একটু বেশি হলেও ওটাই নেওয়া ভাল। (মার্কেটিং এর সম্ভ্রান্ত নমুনা।) সুতরাং বেশি দামে পোস্ত কিনে পলিপ্যাকে নিয়ে সবাই কে দেখাতে দেখাতে বাড়ি ফিরলাম। এটাও মার্কেটিং। পোস্ত কিনেছি মানে, আমি অনেক বড় "হনু"। সেটা সবাইকে জানানো হল। আমার বাজার দর বাড়ল। টি আর পি বাড়াও আর মজায় থাকো। এই আদর্শে এখন চলছি আমরা। বলা ভুল হল। চলছি না, ছুটছি। হয়ত অপেক্ষায় আছি, ছুটতে গিয়ে কখন হোঁচট খেয়ে পড়ব। তারপর হয়ত পিঠদৌড় দিয়ে মূল স্রোতে ফিরব। কারণ ইতিহাস সাক্ষী, আজ পর্যন্ত হঠাৎ গজিয়ে ওঠা কোন কিছুই চিরস্থায়ী হয় নি।

article thumbnail

উপলব্ধিঃ সম্পর্ক- সম্পর্ক- নিখিল কুমার চক্রবর্তী

উপলব্ধি  (সম্পর্ক) খুব ছোট্টবেলায় পড়াশোনার পাঠ আমাদের ছিল না বললেই চলে। বাবা মায়ের কাছে শোনা, প্রথম ইস্কুলে গিয়েছিলাম পাঁচ বছর বয়সে। ইনফিন ক্লাসে। সেখান থেকে ডবল প্রমোশন পেয়ে এক লাফে ক্লাস টু তে। ঐ সময়েই শিখেছিলাম, ইস্কুলে মাস্টারমশাইরা সবাই গুরুজন। তাঁরা যা বলবেন অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হয়। এমন কি রোজ নিয়ম করে গাঁট্টা বা বেত্রাঘাত দিলেও মুখ বুজে সহ্য করতে হয়। আর সহপাঠীরা সবাই বন্ধু। তাদের সাথে সবকিছু শেয়ার করতে হয়। মিলেমিশে থাকতে হয়। সহপাঠী মানে শুধু নিজের ক্লাসের ছেলেমেয়েরা নয়। নীচে বা ওপরের ক্লাসের ছেলেমেয়েরাও সহপাঠী এবং বন্ধু। তাই করতামও আমরা। আজও তাই সেইসব মাষ্টারমশাই বা সহপাঠীদের সাথে সুসম্পর্ক বর্তমান। এখন চারিদিকে অন্যচিত্র। মাষ্টারমশাইদের গুরুজন মানা হয় কি না, জানি না। তবে ছাত্র ছাত্রীদের গায়ে হাত তোলার অধিকার তাঁদের নেই। রে রে করে লোকাল দাদা, জাতীয় নেতা, মানবাধিকার কমিশন, মিডিয়া ইত্যাদি যত প্রতিষ্ঠান বা পরিত্রাতা আছে সবাই টি আর পি বাড়ানোর ময়দানে নেমে পড়বে। এখন সবাই জানে, পাবলিকে কি খায়! যা খায়, তাই খাওয়াতে হবে তো না কি! সহপাঠীরাও কেউ বন্ধু নয় এখন। প্রতিযোগী। কারোর সাথে কিছু শেয়ার করতে নেই। তাহলে সেও ভাল নম্বর পেয়ে যাবে। প্রতিযোগী তৈরি হয়ে যাবে। এখন কেউ চায় না, ময়দানে তার কোন প্রতিযোগী থাকুক। সে ইস্কুল, চাকরির জায়গা বা রাজনীতির ময়দান যাই হোক না কেন! নারী পুরুষের সম্পর্কও আর নির্ভরশীলতা, বিশ্বাস বা ভরসার সম্পর্কে আটকে নেই। সভ্যতার ঝকমকানিতে সে সম্পর্কেও এখন পারস্পরিক বোঝাপড়ার চেয়ে পারস্পরিক স্বার্থসিদ্ধির আগ্রহ বেশি। এই সম্পর্কটা অনেকটা দাঁত আর জিভের মধ্যেকার সম্পর্কের মত হয়ে গেছে। সুযোগ পেলেই একে অপরকে কামড়ে দেয় বা আঘাত দেয়। দাঁত যেমন সুযোগ পেলেই জিভের রক্ত বের করে দেয়, তেমনি দাঁত দুর্বল হলেই জিভ তাকে ঠেলে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করে। তবে দাঁত আর জিভের মধ্যে কোনটা নারী আর কোনটা পুরুষ তা নির্ধারণ করা খুব কঠিন। দাঁত যেহেতু জিভের পরে জন্মায়, মানে, জিভের থেকে বয়সে ছোট তাই সামাজিক নিয়মে দাঁতকেই নারী ধরে নেওয়া যেতে পারে। তাছাড়া, চরিত্রগত মিলের জন্যও দাঁতকেই নারী ভাবা বাঞ্ছনীয়। আর একটা বিষয় উল্লেখযোগ্য। নারী পুরুষের যৌথ প্রচেষ্টাতেই সমাজ বা সংসার টিকে থাকবে এ বিষয়ে দ্বিমত থাকা উচিত নয়। আগেকার সম্পর্কে পুরুষ বহির্জগতে ব্যপ্ত থাকলে নারী অন্দরমহল সামলাত। এটা "ডিভিশন অব লেবার" ছাড়া আর কিছুই নয়। এতে পরবর্তী প্রজন্ম উপকৃত হত বেশি। এখন দুজনেই বহির্জগতে ব্যপ্তদ হয়ে যাওয়ায় পরবর্তী প্রজন্ম ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যাচ্ছে না তো? "ডিভিশন অব লেবার" যে আমাদের সমাজে সম্পর্ক তৈরিতে অনেককটাই ভূমিকা নিত বা নেয় তা অস্বীকার করার কোন উপায়ই নেই। সেই মুনি ঋষিদের সময়েই "ডিভিশন অব লেবার" এর ওপর ভিত্তি করেই তৈরি হয়েছিল "বর্ণাশ্রম" প্রথা। লেখাপড়া শেখা বুদ্ধিমান ব্রাহ্মণরা পুজোআচ্চার কাজ করবে, শারীরিকভাবে শক্তিশালী ক্ষত্রিয়রা দেশ রক্ষার কাজ করবে, বৈষয়িক বুদ্ধিসম্পন্ন বৈশ্যরা ব্যবসাবানিজ্য করবে, আর বাকিরা সব শূদ্র। তারা অন্যান্য কাজ করবে। এমন কি এদের বৈবাহিক সম্পর্কও নিজেদের গ্রুপের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। এখন ও সব বালাই নেই। ব্রাহ্মণ সন্তান দেশরক্ষার কাজ করছে আবার ব্যবসাবানিজ্যও করছে। ক্ষত্রিয়, বৈশ্য সবাই সবার কাজ করছে। তাহলে বৈবাহিক সম্পর্কও শুধুমাত্র নিজেদের গ্রুপে সীমাবদ্ধ থাকা উচিত নয়। থাকছেও না। অর্থাৎ, এক্ষেত্রেও সম্পর্কের সজ্ঞা পাল্টাচ্ছে। যুগোপযোগী হচ্ছে সম্পর্ক। তাই যদি হয়, তাহলে ইস্কুলে, চাকুরিস্থলে, রাজনীতির ময়দানে সর্বত্র সম্পর্ক যে অনেকটা প্রতিযোগীতামূলক হয়ে যাচ্ছে তাও কি সময়ের দাবীতে? মানুষের সাথে মানুষের, মানুষের সাথে অন্য প্রাণীর বা মানুষের সাথে প্রকৃতির পারস্পরিক নির্ভরশীলতা আর বোঝাপড়ার সম্পর্কের বদলে শুধুই কি স্বার্থসুখের সম্পর্ক নিয়ে বেঁচে থাকব আমরা? এতে "ইকোসিস্টেম" বজায় থাকবে তো? বজায় থাকবে তো প্রকৃতিনির্ভর মানবের সমাজ আর সভ্যতা? মনে হয়, কেউই এর উত্তর খুঁজতে আগ্রহী নয়। আগ্রহী হলে সম্পর্কের চরম অবনতি নিয়ে আমাদের বেঁচে থাকতে হত না। পাঁচ বছরের শিশুকন্যাকে তার বয়স্ক আত্মীয়ের ধর্ষণের বা পুত্র অথবা কন্যার হাতে পিতা/মাতা খুন হওয়ার খবর পরেও আমরা নিশ্চুপ থাকতাম না। এ এক অবক্ষয়ের সম্পর্কের, মূল্যবোধহীনতার সম্পর্কের আবর্তে ঘুরে মরছি আমরা।

article thumbnail

নবান্নের লড়াই

আরো পড়ুন

কোভিড আতঙ্কের মাঝেই কেমন হল রাজ্যের অন্তিম দফার নির্বাচন ?

বিকেল ৫টা পর্যন্ত গড়ে মোট ভোট পড়েছে ৭৬.০৭ শতাংশ। মালদায় ভোট পড়েছে ৮০.০৬ শতাংশ, মুর্শিদাবাদে ভোট পড়েছে ৭৮.০৭ শতাংশ। এছাড়াও বাকি দুই বিধানসভা জেলায় অর্থাৎ বীরভূম এবং কলকাতা উত্তরে ভোট পড়েছে যথাক্রমে ৮১.৮৭ এবং ৫৭.৫৩ শতাংশ। আজকের দিনে রাজ্যের শেষ দফা নির্বাচনের ছবিটা মিলিয়ে মিশিয়ে। সকাল থেকে একাধিক যায়গায় বিক্ষিপ্ত অশান্তির ছবি ধরা পড়ে। আবার বেশ কিছু যায়গায় শান্তিপূর্ন ভোট হলেও স্বয়ং বুথ কর্মী ও পোলিং এজেন্ট রাই অভিযোগ করছেন মানা হচ্ছেনা করোনাবিধি, বজায় থাকছেনা সামাজিক দূরত্বও।  {link} আজকে সকাল থেকেই উত্তর কলকাতার বিভিন্ন যায়গা থেকে বিক্ষোভের খবর আসতে থাকে। বেলেঘাটা ও মানিকতলার নাম উঠে আসে বিশেষভাবে। অন্যদিকে জোড়াসাঁকোয় বুথে অভিযোগ উঠেছে কোভিড বিধি না মেনে চলার। বোলপুরের বিজেপি প্রার্থী অনির্বান গঙ্গোপাধ্যায়কে তাড়া করা হয় বাঁশ নিয়ে। সেইখানে উন্মত্ত জনতা ভেঙে দেয় তার গাড়ির কাঁচ। সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সংবাদমাধ্যম সহ সোশ্যাল মিডিয়াতে। বোলপুরের ইলামবাজারের এই কান্ড নিয়ে যথেষ্ট উত্তপ্ত রাজনৈতিক মহল। এছাড়াও শীতলকুচি বিধানসভা কেন্দ্রের সেই মর্মান্তিক ঘটনার পর আজ সেই কেন্দ্রে পুনঃনির্বাচন ছিল। এবারে ভোট শান্তিপূর্নই হয়েছে। রাজ্যে আজকে অবশেষে আটটি দফা সম্পূর্ন হওয়ার সাথে সাথেই সম্পূর্ন হল রাজ্যের ভোটগ্রহন পর্ব। কোথাও গিয়ে আজকের ভোটে মানুষের মধ্যে করোনা আতঙ্কের চিত্রটা অনেকটাই স্পষ্ট ছিল। এবার অপেক্ষা শুধু ফলপ্রকাশের।  {ads}

article thumbnail

বেলা ১টা পর্যন্ত গড়ে ভোট পড়েছে ৫৬.১৯ শতাংশ, বিক্ষিপ্ত অশান্তির মাঝেই চলছে অন্তিম দফার নির্বাচন

আজ রাজ্যে অন্তিম দফা অর্থাৎ অষ্টম দফার নির্বাচন। প্রথম সাতটি দফা সম্পূর্ন হওয়ার পর আজ অষ্টম দফায় নির্বাচনী লড়াই ৪টি জেলার মোট ৩৫টি বিধানসভা কেন্দ্রে। যার মধ্যে মালদহের ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রে, মুর্শিদাবাদের ১১টি বিধানসভা কেন্দ্রে, বীরভূমের ১১টি এবং কলকাতার ৭টি বিধানসভা কেন্দ্রে। আজকেই রাজ্যে গণতান্ত্রিক উৎসবের শেষ দিন। কিন্তু ভোটের আবহে আজ অনেকটাই আতঙ্ক রয়েছে করোনার। বাড়তে থাকা মারণ ভাইরাসের প্রকোপে অনেকটাই ম্লান হয়ে পড়েছে একুশের বিধানসভা নির্বাচন। সকাল থেকেই সমস্ত বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহন শুরু হয়েছে। কিন্তু সকাল থেকেই বিভিন্ন যায়গা থেকে বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর ভেসে আসছে।  {link} আজ অর্থাৎ ২৯শে মে অষ্টম দফার নির্বাচনে যে কটি কেন্দ্রে বিশেষভাবে নজর থাকবে তার মধ্যে কলকাতার মানিকতলা, জোড়াসাঁকো, বেলেঘাটা অন্যতম। সকাল থেকেই বেলেঘাটা ও মানিকতলায় বিভিন্ন যায়গা থেকে বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর আসছে। এছাড়াও বিশেষ নজর থাকবে বোলপুর বিধানসভা কেন্দ্রে, অনুব্রত মন্ডলকে গতকাল থেকেই নজরবন্দী করে দেওয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। অজ ইতিমধ্যেই তিনি বাইকে চড়ে এসে তার ভোটও দিয়ে গেছেন। এছাড়াও যেসব কেন্দ্রে নজর থাকবে তার মধ্যে রয়েছে মানিকচক, মালদহ, ইংলিশবাজার, বহরমপুর, জলঙ্গি ইত্যাদি। আজকের ৩৫টি আসনেই লড়াই খুব জোরদার, সকালে টুইট করে বিপুল ভোটের ডাক দিয়েছেন অমিত শাহ, কোভিড বিধি মেনে চলার কথা বলেছে নরেন্দ্র মোদী। বেলা ১টা পর্যন্ত গড়ে ভোট পড়েছে ৫৬.১৯ শতাংশ।  {ads}

article thumbnail

বেলা ১টা পর্যন্ত গড়ে ভোট পড়েছে ৫৫.১২ শতাংশ, চলছে সপ্তম দফার নির্বাচনের ভোটগ্রহন

একে একে মোট ছয় দফা সম্পূর্ন হওয়ার পর আজ রাজ্যে সপ্তম দফার নির্বাচন। আজ অর্থাৎ ২৬শে এপ্রিল ভোট পশ্চিমবঙ্গের ৪টি জেলার মোট ৩৬টি কেন্দ্রে। যার মধ্যে মালদহে ৬টি আসনে, মুর্শীদাবাদে নির্বাচন ১১টি আসনে, পশ্চিম বর্ধমানের ৯টি এবং কলকাতা ও দক্ষিন দিনাজপুরে যথাক্রমে ৪ ও ৬ টি বিধানসভা কেন্দ্রে আজ নির্বাচনী লড়াই। সকাল থেকেই ভোটগ্রহন শুরু হয়েছে সমস্ত বিধানসভা কেন্দ্রগুলিতে। কিন্তু করোনার দাপটে অনেকটাই ম্লান হয়ে উঠেছে গনতান্ত্রিক উৎসব। কড়া পাহারার মধ্যেও কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর থাকলেও মোটামুটি ভাবে ভোট হচ্ছে শান্তিপূর্ন ভাবেই।  {link} আজকের সপ্তম দফার নির্বাচনী লড়াইয়ে যে সকল কেন্দ্রের দিকে বাংলার মানুষের বিশেষ নজর থাকবে তার মধ্যে একটি অবশ্যই আসানসোল দক্ষিন একদিকে তৃণমূলের প্রার্থী সায়নি ঘোষ আর অন্যদিকে তার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অগ্নিমিত্রা পাল। সকাল থেকে বিভিন্ন বুথে বুথে ঘুরে বেড়াচ্ছেন সায়নি ঘোষ। কয়েকটি যায়গায় তার সাথে পুলিশের বচসাও বেঁধেছে বলে সূত্রের খবর। এছাড়াও নজর থাকবে ভবানীপুর, মুর্শিদাবাদ, রাসবিহারী, বালিগঞ্জ ও পান্ডবেশ্বর সহ সাগরদিঘী ও আরও বিভিন্ন কেন্দ্রে।  {ads}

article thumbnail

রাতভর চলেছে বোমাবৃষ্টি, সকালেও উদ্ধার বোমা, ভোটের দিনে উত্তপ্ত ব্যারাকপুর

ষষ্ঠ দফার নির্বাচনকে ঘিরে উত্তপ্ত উত্তর ২৪ পরগনা।ভোটের আগের রাতে উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুর লোকসভার অন্তর্গত্ আমডাঙা বিধানসভা কেন্দ্রে রাতভর বোমাবাজি চলে।এলাকার থানীয় বাসিন্দাদের মতে আমডাঙ্গা বিধানসভার সাধনপুর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত রাহানা এক নম্বর এলাকায় রাত বারোটা নাগাদ বোমাবাজি হয়। তার উপর আজকে ফের ষষ্ঠ দফার ভোট শুরু হওয়ার সাড়ে ৪ ঘণ্টার মধ্যে আবারও তাজা বোমা উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পডে আমডাঙ্গা বিধানসভা কেন্দ্রের রংমহল ৮৩ নম্বর বুথের বাইরে।স্বাভাবিক ভাবেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিপুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে সধারন মানুষের মধ্যে।  {link} স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ আই এস এফ এর কর্মীরা এই তাজা বোমা রেখেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে আমডাঙা থানার বিশাল পুলিশবাহিনী পুলিশ গোটা এলাকা ঘিরে রেখেছে এবং বোম স্কোয়ার্ডকে খবর দেওয়া হয়েছে বোমা-গুলি কে উদ্ধার করার জন্য। এছাড়াও প্রায় ১০ থেকে ১২ টি বোমা ফাটানো হয়েছে রাতের অন্ধকারে কে বা কারা এই বোমা ফাটিয়েছে তা নিয়েও তদন্ত শুরু করেছে আমডাঙা থানার পুলিশ। {ads}

article thumbnail

বেলা ১টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৫৭.৩ শতাংশ, শান্তিপূর্নভাবেই চলছে ষষ্ঠ দফার নির্বাচন

পঞ্চম দফা পর্যন্ত নির্বাচন সম্পূর্ন হওয়ার পর আজ রাজ্যে ষষ্ঠ দফার নির্বাচন। আজ ভোট মোট ৪৩টি বিধানসভা কেন্দ্রে। উত্তর ২৪ পরগনার ১৭টি আসনে, নদীয়ার ৯টি আসন সহ পূর্ব বর্ধমানের ৮টি ও উত্তর দিনাজপুরের ৯টি বিধানসভা কেন্দ্রে আজ নির্বাচনী লড়াই। সকাল থেকেই শান্তিপূর্নভাবে সমস্ত কেন্দ্রে ভোটগ্রহন চলছে। {link} আজ যে সমস্ত কেন্দ্রে জমাটি লড়াইয়ের সাক্ষী থাকতে পারে বাংলার মানুষ, তার মধ্যে অন্যতম কেন্দ্রে কৃষ্ণনগর উত্তর। মুখোমুখী লড়াইয়ে মুকুল রায় ও কৌশানি চট্টোপাধ্যায়। এছাড়াও ভাটপাড়া, চোপড়া, ইসলামপুর, করনদিঘি, রায়গঞ্জ, ইটাহার, নবদ্বীপ, বনগাঁ উত্তর ও দক্ষিণ উল্লেখযোগ্য কেন্দ্র। এর পাশাপাশি হাবড়া, ব্যারাকপুর, দমদম উত্তর সহ পূর্বস্থলীর দুই কেন্দ্রেও রাজ্যের মানুষের নজর থাকবে। সকাল থেকে কিছু যায়গায় বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর থাকলেও মোটামুটিভাবে শান্তিপূর্ন ভাবেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে রাজ্যের ষষ্ঠ দফার নির্বাচন। বেলা একটা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৫৭.৩ শতাংশ।  {ads}

article thumbnail

তৃণমূল বিজেপি সংঘর্ষে রনক্ষেত্র সল্টেলেকের শান্তিনগর, ইটবৃষ্টি

আজ গনতন্ত্রের উৎসবের পঞ্চম দফা। সেই পঞ্চম দফা নির্বাচনেই রনক্ষেত্র হয়ে উঠল সল্টলেক। আজকে সকাল থেকেই উত্তেজনার আবহ সল্টলেকের শান্তিনগর এলাকায়। দুই পক্ষের হাতাহাতি ও ইটবৃষ্টিতে রনক্ষেত্র হয়ে উঠেছে এলাকা। দীর্ঘক্ষন অশান্তির পরিবেশ থাকার পর সেই স্থানে এসে পৌছায় বিশাল পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং তারা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসে। একজন মহিলা ভোটারকে রাস্তায় ফেলে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে।  {link} স্থানীয় সূত্রের খবর বেলা ১০টা নাগাৎ হঠাতই সল্টলেকের শান্তিনগর এলাকায় পারস্পরিক বচসায় জড়িয়ে পড়ে তৃণমূল ও বিজেপির কর্মী সমর্থকেরা। সেই বচসাই ক্রমে হাতাহাতির আকার ধারন করে। ইটবৃষ্টিতে পরিস্থিতি আরও ধুন্ধুমার হয়ে ওঠে। গোটা রাস্তা ইটে ভরে যায়, এমনকি মহিলাদেরও মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাস্থলে দুই পক্ষেরই বেশ কিছুজন জখম হয়েছেন। দুই পক্ষই দুই পক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি সম্পূর্ন নিয়ন্ত্রনে। পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হতেই মাইকিং করে জমায়েত হটানোর চেষ্টা করা হয়। ভোটারদের বুথে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়ার পাশাপাশি বহিরাগতদের এলাকা থেকে বের করে দেয় পুলিশ। {ads}

article thumbnail

আবহাওয়া

আরো পড়ুন

Weather News : এবছর বাংলায় শীতের পথে বড় কাঁটা পশ্চিমী ঝঞ্ঝা

শেফিল্ড টাইম্‌স ডিজিটাল ডেস্ক : সকাল থেকে তীব্র কুয়াশা দুই বঙ্গে। ইতিমধ্যে কুয়াশার কারণে বাতিল হয়েছে একাধিক উড়ান। ট্রেন ও গাড়ির গতি গেছে কমে। শনিবার আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়েছে,দক্ষিণবঙ্গে বেশ বেড়েছে তাপমাত্রা। তাহলে কি এবারের মত শীত বিদায়? নাকি বিদায়বেলায় ঝোড়ো ইনিংস? আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে শীতের অনুভূতি বাড়তে পারে আবারও। আরও একবার শীতের ইনিংস শুরু হবে দক্ষিণে এমনটাই পূর্বাভাস আবহাওয়া অফিসের। {link} হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই চলতি সপ্তাহে আরও দুই থেকে তিন ডিগ্রি তাপমাত্রা বাড়বে। তারপর রবিবারের পর থেকে নামবে তাপমাত্রা। ২৬ জানুয়ারি পর থেকে কয়েকদিন শীতের আমেজ ফিরতে পারে দক্ষিণবঙ্গে। তবে ফেব্রুয়ারীর প্রথম সপ্তাহ থেকেই শীত বিদায়ের ঘণ্টা বাজতে পারে। এবছর দক্ষিণবঙ্গে হাড় কাঁপানো শীত পড়ার আপাতত সেভাবে নেই। এবছর বাংলায় শীতের পথে বড় কাঁটা পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। একের পর এক ঝঞ্ঝার ফলে এবার এখনও পর্যন্ত সে ভাবে শীত বাংলায় মূলত দক্ষিণবঙ্গে দাগ কাটতে পারেনি। {link} এবার আগামী সপ্তাহে তাপমাত্রা কতটা নামে সেটাই দেখার। এদিকে আগামী ২৪ ঘণ্টায় হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া এই সমস্ত জেলায় ঘন কুয়াশার দাপট থাকবে। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গে (North Bengal Weather) বড় কামড় বসিয়েছে শীত। আপাতত শীতের দাপট বজায় থাকবে। তাপমাত্রা আরও নামার পূর্বাভাস। উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় বিশেষত মালদা, দুই দিনাজপুর ও কোচবিহারে ঘন কুয়াশার জন্য সতর্কতা জারি হয়েছে। পাশাপাশি হালকা-বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলার পার্বত্য এলাকায়। {ads}  

article thumbnail

Weather News : সপ্তাহান্তে ফের কমবে শীতের আমেজ

শেফিল্ড টাইম্‌স ডিজিটাল ডেস্ক : শীত আবার অনেকটাই কমে গেছে। এ বছর শীত অনেকটাই ভেলকি দেখাচ্ছে। কখনো আছে তো কখনো নেই। শনিবার আলিপুর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, পশ্চিমী ঝঞ্ঝায় উত্তর পশ্চিমের শীতল হাওয়া আটকে রয়েছে। এদিকে বঙ্গোপসাগর থেকে আগত পূবালী হাওয়ার প্রভাব বাড়বে। সবমিলিয়ে উইকেন্ডে চড়বে পারদ। কাল শনিবার পর্যন্ত সর্বনিম্ন তাপমাত্রার বিশেষ একটা পরিবর্তন হবে না। {link} তবে উইকেন্ডে আবহাওয়ার বদল ঘটবে। রবিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে বাড়বে তাপমাত্রা। চার ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা বাড়ার পূর্বাভাস। কলকাতা (Kolkata) সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বাড়বে তাপমাত্রা। অর্থাৎ সপ্তাহান্তে ফের কমবে শীতের আমেজ। আজ আকাশ পরিষ্কার থাকলেও আগামীকাল থেকে দু’দিন দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলার আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা। যদিও বৃষ্টি হবে না কোথাও। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে আগামী ৪-৫দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই দক্ষিণবঙ্গে। {link} দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় কুয়াশার প্রভাব রয়েছে। মূলত পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদে কুয়াশায় অধিক দাপট রয়েছে। বাকি জেলাগুলিতেও সকালের দিকে বিক্ষিপ্ত ভাবে খুব হালকা কুয়াশা থাকবে। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গেও (North Bengal Weather) তাপমাত্রা বাড়বে উইকেন্ডে। রয়েছে ফের বৃষ্টির সম্ভাবনাও। মঙ্গলবার নাগাদ দার্জিলিং-এ তুষারপাত হতে পারে। পাশাপাশি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ারে। ভারী বৃষ্টি হবে না। {ads}

article thumbnail

Weather News : কেমন থাকবে আজকের আবহাওয়া?

শেফিল্ড টাইম্‌স ডিজিটাল ডেস্ক : সকালের দিকে কিছুটা কুয়াশা। রাস্তায় দৃশ্যমানতার অভাব। তবে ঠান্ডা ভালোই অনুভূতি হচ্ছে। আলিপুর আবহাওয়া অফিস ৩ তারিখের বুলেটিনে জানিয়েছে, আজ কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ঘোরফেরা করবে ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে, যা কি না স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস নীচে। এদিকে আজ কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি, যা কি না স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি নীচে। {link} ৩ জানুয়ারি দক্ষিণবঙ্গের কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়ায় আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। কোথাও বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। এর মধ্যে সকালের দিকে পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকতে পারে। এর মধ্যে আর কোথাও বৃষ্টি বা কুয়াশার সতর্কতা জারি করা হয়নি আপাতত।এদিকে আগামী ২ দিন রাতের তাপমাত্রা একই থাকবে। এরপর থেকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে। {link} অন্যদিকে ৩ জানুয়ারি উত্তরবঙ্গের দার্জিলি, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদায় আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। কোথাও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। এর মধ্যে সকালের দিকে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকতে পারে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুরে। এদিকে উত্তরবঙ্গে ৪ থেকে ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত উত্তরের সব জেলার আবহাওয়া শুষ্কই থাকবে। এরপর ৭ জানুয়ারি দার্জিলি, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। {ads}

article thumbnail

Weather News: ফের কি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে?

শেফিল্ড টাইম্‌স ডিজিটাল ডেস্ক : এবার উত্তুরে বাতাস বেশ জোরে ঢোকা শুরু করেছে দক্ষিণবঙ্গে। পশ্চিম-পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) তো ঠান্ডায় কাঁপতে শুরু করেছে। বুধবার সকালে আলিপুর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের (South Bengal Weather) প্রায় সব জেলাতেই ২-৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পারদ পতন হবে। ফের কি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে? কলকাতায় কততে নামবে তাপমাত্রা? আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে আপাতত আর বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই দক্ষিণবঙ্গের কোনো জেলাতেই। {link} পাশাপাশি নামবে তাপমাত্রাও। আজ থেকে ৩ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা কমতে পারে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। চলতি সপ্তাহে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা নামতে পারে। যদিও শনি ও রবিবার তাপমাত্রা ফের একটু বাড়তে পারে। আগামী কয়েকদিন শহর কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। দিন ও রাতের তাপমাত্রা কমবে দুইই। বৃহস্পতিবারের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের কিছু কিছু জেলায় তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রি পর্যন্তও কমতে পারে। {link} আপাতত বৃষ্টির সম্ভাবনা না থাকলেও কুয়াশার প্রভাব থাকবে। সকাল ও রাতের দিকে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকবে রাজ্যের প্রায় সব জেলাতেই।উত্তরবঙ্গে (North Bengal Weather) হুড়মুড়িয়ে নামছে তাপমাত্রা। দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি আপাতত বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদাতেও। দার্জিলিং, কালিম্পঙ-এ শীতের দাপট বাড়বে। পার্বত্য এলাকায় তুষারপাতের সম্ভাবনাও রয়েছে। {ads}

article thumbnail

Weather News : জাঁকিয়ে শীত কি তবে এল?

শেফিল্ড টাইম্‌স ডিজিটাল ডেস্ক : আজ নতুন বছর শুরু হলো। ২০২৪ সালকে বিদায় জানিয়ে ২০২৫ সালকে স্বাগত জানাচ্ছি আমরা। এই প্রথম দিন অন্যান্য বছর বেশ ঠান্ডা থাকে। এ বছর কিন্তু ততটা ঠান্ডা নেই। আজ, বুধবার আবহাওয়া দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আজ থেকে ৩ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা কমতে পারে দক্ষিণবঙ্গের (South Bengal Weather) জেলাগুলিতে। জাঁকিয়ে শীত কি তবে এল? আবহাওয়ার আপডেট জেনে নিন। {link} চলতি সপ্তাহে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের (South Bengal Weather) প্রায় সব জেলাতেই ২-৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা নামতে পারে। তবে জানিয়ে রাখি প্রবল শীতের কোনও সম্ভাবনা এখনও নেই। সেই নিয়ে আশার খবর শোনাতে পারে নি আবহাওয়া দপ্তর। অর্থাৎ শীতপ্রেমীদের আরও বেশ কিছুদিন অপেক্ষা করতে হতে পারে। আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে আজ থেকে তাপমাত্রা নামবে একটু একটু করে। গোটা রাজ্যের পাশাপাশি শহর কলকাতাতেও শীতের আমেজ রয়েছে। আগামী কয়েকদিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। {link} শুক্রবার পর্যন্ত কলকাতায় (Kolkata) দিনে এবং রাতের তাপমাত্রা কিছুটা কমবে। এদিকে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দক্ষিণবঙ্গের কিছু কিছু জেলায় তাপমাত্রা এক লাফে ৫ ডিগ্রি পর্যন্ত নামতে পারে। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গে জমিয়ে শীতের আমেজ রয়েছে। আজ থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই দার্জিলিং, কালিম্পঙ, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদাতেও। দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদায় কুয়াশা থাকবে। বর্ষ শেষ থেকেই ব্যাপক ভিড় উত্তরের পাহাড়ে। {ads}

article thumbnail

Weather News : নতুন করে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ঢুকছে রাজ্যে

শেফিল্ড টাইম্‌স ডিজিটাল ডেস্ক : এ বছর আর সেইভাবে শীতের দেখা নেই। বঙ্গোপসাগরে বার বার করে ঝঞ্ঝা ঘনীভূত হওয়ায় প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকছে দক্ষিণবঙ্গে। তাই উত্তুরে বাঁধা পাচ্ছে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে, এ বছর আর হাড় কাঁপানো শীতের সম্ভাবনা নেই। পাশাপাশি দফায় দফায় হতে পারে বৃষ্টি। আজ শনিতেও ভিজবে দক্ষিণবঙ্গের(South Bengal )একাধিক জেলা। {link} আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, আগামী কদিন স্বাভাবিকের চেয়ে তাপমাত্রা কিছুটা কম থাকলেও জোরসে কামড় বসাতে পারবে না শীত। আজ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদে। তবে ভারী বৃষ্টি হবে না। হালকা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দক্ষিণবঙ্গের আর কোথাও আজ বৃষ্টি হবে না বলে জানিয়েছে আলিপুর হাওয়া অফিস। আগামীকাল ২৯ ডিসেম্বর দক্ষিণবঙ্গে পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদে বৃষ্টির সম্ভাবনা। এছাড়া দক্ষিণের আর বাকি সব জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে। তারপর থেকে অবশ্য বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই। নতুন করে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ঢুকছে রাজ্যে। যার প্রভাব পড়তে পারে বাংলায়। {link} দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলাতে রাতের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নামতে পারে। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গে (North Bengal Weather) আজ বৃষ্টি না হলেও আগামীকাল ভিজতে পারে একাধিক জেলা। ২৯ ডিসেম্বর দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদায় বৃষ্টি হতে পারে। হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা। {ads}

article thumbnail