header banner

Live From @SheffieldTtimes


Warning: file_get_contents(https://graph.facebook.com/sheffieldttimes/live_videos?access_token=EAAFejWauqZA4BO4sOMFBCBJDpZCZBT9MaMem3HD8vjYjUJpBC84sJLau4dDEl63MCeEjipRdK1WxZCeVUhAgbKaS9MlFQdAFZBqYTnfEOMiYCgYXZC6j8ZA0s0EomYg4Jr3hKfNeQiDde3nNFNl7KCiQH8NSfjqFYfn1kfQYILM2GMuXiJXuyRF53y6): failed to open stream: HTTP request failed! HTTP/1.1 400 Bad Request in /home/u937603675/domains/sheffieldttimes.com/public_html/components/fbLive.php on line 15

Warning: count(): Parameter must be an array or an object that implements Countable in /home/u937603675/domains/sheffieldttimes.com/public_html/components/fbLive.php on line 19

Warning: count(): Parameter must be an array or an object that implements Countable in /home/u937603675/domains/sheffieldttimes.com/public_html/components/fbLive.php on line 47
<br />
<b>Notice</b>:  Undefined variable: headerad in <b>/home/u937603675/domains/sheffieldttimes.com/public_html/components/ads-sidebar.php</b> on line <b>26</b><br />
<br />
<b>Notice</b>:  Trying to get property 'name' of non-object in <b>/home/u937603675/domains/sheffieldttimes.com/public_html/components/ads-sidebar.php</b> on line <b>26</b><br />
<br />
<b>Notice</b>:  Undefined variable: headerad in <b>/home/u937603675/domains/sheffieldttimes.com/public_html/components/ads-sidebar.php</b> on line <b>26</b><br />
<br />
<b>Notice</b>:  Trying to get property 'name' of non-object in <b>/home/u937603675/domains/sheffieldttimes.com/public_html/components/ads-sidebar.php</b> on line <b>26</b><br />
Photo Booth
featured
featured
featured
featured

ব্যবসা ও বাণিজ্য

আরো পড়ুন

Budget Expectations: আসন্ন বাজেটটিতে কী কী বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে কেন্দ্র? পড়ে নিন

শেফিল্ড টাইমস ডিজিটাল ডেস্ক: 2024-25 আর্থিক বছরের সম্পূর্ণ বাজেট প্রকাশিত হওয়ার মাঝে আর মাত্র কয়েকটি দিন বাকি। চলতি বছরের জুলাই মাসের 23 তারিখ, অর্থাৎ পরবর্তী সপ্তাহের মঙ্গলবার বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফিরে আসার পর এটিই মোদি সরকারের প্রথম বাজেট হতে চলেছে। এই বাজেটে কেন্দ্রীয় সরকারের পরবর্তী পাঁচ বছরের পরিকল্পনা সম্পর্কে একটি ইঙ্গিত মিলতে পারে বলে করছেন বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ। ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মতে, বাজেট ঘোষণার সময় যত এগিয়ে আসছে, এটিকে কেন্দ্র করে থাকা উত্তেজনার পারদ চড়তে শুরু করেছে। আসন্ন বাজেটে বেশ কয়েকটি খাতে বাড়তি গুরুত্ব প্রদান করতে পারে কেন্দ্র। একটি সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ব্রোকারেজ সংস্থাগুলির মতে কনজিউমার গুডস, আবাসন, হাউজিং ফিনান্স, অটোমোবাইল ছাড়াও পরিকাঠামোর মত শিল্পগুলি ক্রয়ের উন্নতির কারণে বাজেট থেকে উপকৃত হতে পারে। কোন কোন খাতে দেওয়া হতে পারে বিশেষ নজর? দেখে নিন-  {link} গ্রামীণ অর্থনীতির সঙ্গে জড়িত খাত গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়নে সরকার আসন্ন বাজেটে বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করতে পারে। বাজেটে সরকার ক্রয় বা খরচ বাড়ানোর জন্য গ্রামীণ প্রকল্পগুলিতে আরও ফান্ড বরাদ্দ করতে পারে। ফলে এর থেকে গ্রামীণ অর্থনীতির সঙ্গে জড়িত থাকা খাতগুলি বিশেষভাবে উপকৃত হতে পারে।  আবাসন আসন্ন বাজেটটিতে সরকার সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসনের জন্য বরাদ্দ বৃদ্ধি করতে পারে। আবাসন খাতের উপর বাড়তি গুরুত্ব প্রদান করা হলে দেশের আরও মানুষ নিজেদের ঘর পেতে সক্ষম হয়ে উঠবেন। একইসঙ্গে নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হওয়ার সম্ভাবনাও বৃদ্ধি পেতে পারে। উৎপাদন বিশেষজ্ঞদের মতে, স্থানীয় উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি আরও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার লক্ষ্যে সরকার উৎপাদন খাতের উপর বাড়তি গুরুত্ব প্রদান করতে পারে। সেই কারণেই PLI স্কিমগুলিতে ধারাবাহিকতা দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে বাজেটে উতপাদন খাতটিও বিশেষভাবে উপকৃত হতে পারে।  {ads}

article thumbnail

Split In Godrej : ভাঙন ধরল গোদরেজ পরিবারে

শেফিল্ড টাইম্‌স ডিজিটাল ডেস্ক :  ১২৭ বছর এক ছাদের নীচে থাকা। শেষমেশ সেই পরিবারেই ধরল ভাঙন। দু’টুকরো হয়ে গেল গোদরেজ গোষ্ঠী (Split In Godrej)। সংস্থার তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, গোদজের গ্রুপের সমস্ত সংস্থাকে নিজেদের মধ্যে দু’টি ভাগে ভাগ করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।দরজার তালা থেকে গায়ে মাখার সুগন্ধী সাবান, ফ্রিজ, আলমারি সহ গৃহস্থালির নানা জিনিসপত্র বিক্রি করে গোদরেজ। টাটার মতো গোদরেজও ভারতীয় পরিবার নিয়ন্ত্রিত ব্যবসাগুলির অন্যতম। সংস্থার পথ চলা শুরু হয়েছিল ১৮৯৭ সালে, আর্দেশির গোদরেজের হাত ধরে। {link} ওকালতি পেশা ছেড়ে ব্যবসা শুরু করেন আর্দেশির। পরে গোদরেজ গোষ্ঠীর হাল ধরেন আর্দেশিরের ভাই পিরোজশা ও তাঁর উত্তরসূরিরা। এখন গোদরেজের মালিকানা ছিল পিরোজশার প্রপৌত্র আদি ও নাদির গোদরেজ এবং জামশেদ ও স্মিতা গোদরেজ ক্রিশনার হাতে। গোদরেজ গোষ্ঠীর সংস্থাগুলিকে এই চারজনের মধ্যেই দু’ভাগে বাঁটোয়ারা করে দেওয়া হয়েছে।জানা গিয়েছে, গোদরেজ ইন্ডাস্ট্রিজ গ্রুপের অধীনে থাকা পাঁচটি লিস্টেড সংস্থার রাশ থাকছে আদি ও নাদিরের হাতে। এই সংস্থাগুলি হল গোদরেজ ইন্ডাস্ট্রিজ, গোদরেজ কনজিউমার প্রোডাক্টস, গোদরেজ প্রপার্টিজ, গোদরেজ অ্যাক্রোভেট এবং অ্যাজটেক লাইফসায়েন্সেস। এই সংস্থাগুলির চেয়ারম্যান হিসেবে থাকবেন বছর তিয়াত্তরের নাদির। {link}   এক্সিকিউটিভ ভাইস চেয়ারম্যান আদির ছেলে পিরোজশা। নয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২০২৬ সালের অগাস্টে তিনিই বসবেন নাদিরের চেয়ারে (Split In Godrej)।গোদরেজ এন্টারপ্রাইজ গ্রুপের অধীনে থাকা আনলিস্টেড সংস্থার নিয়ন্ত্রণ থাকবে জামশিদ গোদরেজের হাতে। গোদরেজ অ্যান্ড বয়েজের অধীনে রয়েছে অনেকগুলি ছোট ছোট সংস্থা। এর মধ্যে বিমান পরিবহণ,এয়ারোস্পেস, প্রতিরক্ষা, আসবাবপত্র, তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পও রয়েছে। এই সংস্থাগুলির চেয়ারপার্সন ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর হবেন জামশেদ। এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর নিরিকা। মুম্বই শহরের মূল অংশে থাকা ৩ হাজার ৪০০ একর জমির রাশ থাকবে জামশেদ ও স্মিতার হাতে।জামশেদ বলেন, “১৮৯৭ সাল থেকে দেশ গঠনের লক্ষ্যে কাজ করে গিয়েছে গোদরেজ অ্যান্ড বয়েজ। ভবিষ্যৎমুখী এই চুক্তির ফলে আগামী দিনে জটিলতামুক্ত হয়ে নিজেদের লক্ষ্য এগোতে পারব আমরা। নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করতে পারব।” নাদির বলেন, “মূল্যবোধ ও বিশ্বাসে ভর করেই ১৮৯৭ সাল থেকে এতদূর এগিয়েছি আমরা। আরও মনযোগ ও তৎপরতা সহকারে সেই উত্তরাধিকারকে এগিয়ে নিয়ে যাব আমরা (Split In Godrej)।” {ads}

article thumbnail

Norse Atlantic Airways: আন্টার্কটিকার ব্লু আইস রানওয়েতে নামল অতিকায় বিমান, জানুন কী বলছে সংস্থা

Norse Atlantic Airways: এই প্রথম বড় যাত্রিবাহী বিমান অবতরণ করল আন্টার্কটিকার ব্লু আইস রানওয়েতে। নর্স আটলান্টিক এয়ারওয়েজের (Norse Atlantic Airways) বোয়িং ৭৮৭ বিমানটি অবতরণ করেছে প্রায় দু’ মাইল দীর্ঘ ওই রানওয়েতে। এর আগেও একবার একটি যাত্রিবাহী বিমান অবতরণ করেছিল আন্টার্কটিকায়। বছর দুই আগে আন্টার্কটিকার ট্রল এয়ারফিল্ড রানওয়েতে অবতরণ করেছিল ছোট ওই বিমানটি। এবার অবতরণ করল বড় বিমান। গত বুধবার সেটি ট্রল এয়ারফিল্ড রানওয়ে ছোঁয়। বিমানটি ৩৩০জন যাত্রী পরিবহণ করতে পারে। গত সোমবার বিমানটি অসলো থেকে আন্টার্কটিকার উদ্দেশে রওনা দেয়। দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে কিছুক্ষণের জন্য থামে। বুধবার অবতরণ করে ব্লু আইস রানওয়েতে। রানওয়েটি চওড়ায় ৬০ মিটার।  {link} নর্স আটলান্টিক এয়ারওয়েজের (Norse Atlantic Airways) তরফে ব্লু আইস রানওয়েতে অতিকায় যাত্রিবাহী বিমানের অবতরণকে মাইলফলক আখ্যা দেওয়া হয়েছে। এই এয়ারওয়েজের সিইও বজর্ন টোরে লারসেন বলেন, “আমাদের এই সাফল্যের নেপথ্যে সংস্থার প্রতিটি কর্মীর অবদান রয়েছে। বিশেষভাবে উল্লেখ করতে হয় বোয়িংয়ের পাইলট ও অন্য ক্রু-দের।” তিনি বলেন, “এটি আমাদের গোটা টিমের পক্ষে একই সঙ্গে সম্মানের ও উত্তেজনার। কারণ আমরাই প্রথম ব্লু আইসে বড় যাত্রিবাহী বিমান অবতরণ করাতে পেরেছি। আবিষ্কারের স্পিরিট নিয়ে আমরা এ কাজ করেছি। আমরা এজন্য গর্বিত। এটি আমাদের উন্নত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং দক্ষ পাইলট ও ক্রু-দের প্রকৃত পরীক্ষার জীবন্ত দলিল।” {link} বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অদূর ভবিষ্যতে আরও পণ্য যাত্রিবাহী বিমান অবতরণ করানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, বিমানটিতে একজন নরওয়ের পোলার ইনসস্টিটিউটের বিজ্ঞানী সহ মোট ৪৫ জন যাত্রী ছিলেন। ছিল গবেষণার জন্য প্রয়োজনীয় ১২ টন সরঞ্জামও। ঐতিহাসিক এই ঘটনার প্রমাণ স্বরূপ সংস্থার (Norse Atlantic Airways) তরফে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। {ads}

article thumbnail

Nobel Prize: গবেষণা পথ দেখিয়েছিল কোভিডের প্রতিষেধক তৈরিতে, চিনে নিন দুই নোবেলজয়ী বিজ্ঞানিকে

Nobel Price: তাঁদের গবেষণা সাহায্য করেছে কোভিডের এমআরএনএ প্রতিষেধক তৈরিতে। তার জেরে এ যাত্রায় রক্ষা পেয়েছেন বহু মানুষ। যুগান্তকারী এই গবেষণার জন্যই এবার নোবেল পুরস্কার পেলেন কাতালিন কারিকো ও ড্রু ওয়াইম্যান। কাতালিন কারিকো হাঙ্গেরির সেজড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। তিনি পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পেরেলম্যান স্কুল অফ মেডিসিনের সহযোগী অধ্যাপকও। আর ড্রু ওয়াইসম্যান ভাকসিন গবেষণার অধ্যাপক ও পেন ইনস্টিটিউট ফর আরএনএ ইনোভেশনের ডিরেক্টর। এই টিকা নিয়ে পেনসিলভেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌথভাবে গবেষণা চালান কাতালিয়া কারিকো এবং ড্রু ওয়াইসম্যান। {link} সোমবার নোবেল কমিটির তরফে চিকিৎসা বিজ্ঞানে পুরস্কার প্রাপকদের নাম ঘোষণা করা হয়। বলা হয়, আমাদের ইমিউন সিস্টেমের সঙ্গে এমআরএনএ কীভাবে সাড়া দেয়, সে সম্পর্কে আমাদের ধারণাকে মৌলিকভাবে পরিবর্তন করেছে তাঁদের যুগান্তকারী অনুসন্ধান। বিজয়ীরা আধুনিক সময়ে মানব স্বাস্থ্যের জন্য সব চেয়ে বড় হুমকির মধ্যে একটি টিকা তৈরিতে অভূতপূর্ব অবদান রেখেছেন। {link} নোবেল অ্যাসেম্বলির সেক্রেটারি টমাস পার্লম্যান পুরস্কার ঘোষণা করে বলেন, পুরস্কার ঘোষণার আগে যখন আমি তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করি, তখন দুই বিজ্ঞানীই পুরস্কারপ্রাপ্তির খবরে অভিভূত হন। গত বছর মেডিসিনে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন সুইডিশ বিজ্ঞানী সভান্তে পাবো। ১৯৮২ সালে চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন তাঁরা বাবা সুনে বার্গস্ট্রমও।  {ads}

article thumbnail

6G Network: স্বীকৃতি পেল ভারতে 6G টেলিকমিউনিকেশন যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার দৃষ্টিভঙ্গী

6G Network: উন্নত প্রযুক্তির সুবিধা নিতে হবে বলে বিভিন্ন সময় মন্তব্য করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি নিজেও টেক-স্যাভি। ৬জি টেলিকমিউনিকেশন পরিষেবা গড়ে তোলার বিষয়েও তিনি যে বিশেষ আগ্রহী, তাও বিভিন্ন সময় প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর এই দৃষ্টিভঙ্গীকে মান্যতা দিল রাষ্ট্রসংঘের অধীনস্ত সংস্থা আইটিইউ। এই সংস্থার স্টাডি গ্রুপের বৈঠকে ভারতের ৬জি টেলিকমিউনিকেশন যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার দৃষ্টিভঙ্গীকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। আইটিইউয়ের স্টাডি গ্রুপের এই স্বীকৃতিতে ৬জি প্রযুক্তি স্থাপনের খরচ কমাতে এবং ভারতকে ৬জি মানের সংজ্ঞা নির্ধারণে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ করে দেবে। {link} তামাম বিশ্বের মোবাইল টেলিকমিউনিকেশনের মান নির্ধারণ করে থাকে আইটিইউ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে ৬জি ভিশন নথি প্রকাশ করেছেন, তাতে ৬জি প্রযুক্তির বাস্তবায়ন সাশ্রয়ী, টেকসই এবং সর্বজনীন হওয়া উচিত বলে প্রস্তাব করা হয়েছে। স্টাডি গ্রুপের আগের বৈঠকে ভারতীয় প্রতিনিধি দল আইএমটি২০৩০ কাঠামোয় ৬জি সর্বজনীন সংযোগকে ব্যবহারের দৃশ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছে। এই প্রস্তাবটি গৃহীত হয়েছে রাষ্ট্রসংঘের অধীনস্থ সংস্থা আইটিইউয়ের স্টাডি গ্রুপের বৈঠকে। ভারতের এই স্বীকৃতি কেবল একটি প্রযুক্তিগত সাফল্য নয়, কূটনৈতিক সাফল্যও। খালিস্তানপন্থী জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জর খুনে ভারতের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে কানাডার জাস্টিন ট্রুডো সরকার। যদিও এ ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত কাউকে পাশে পায়নি ট্রুডোর দেশ। এহেন আবহে ভারতের এই স্বীকৃতির গুরুত্ব যে অপরিসীম, তা মানছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশও।  {link} ৬জি প্রযুক্তি সূচনা করবে নয়া যুগের। এই প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হলে সুবিধা মিলবে হাইস্পিডের ইন্টারনেটের। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং অন্যান্য প্রযুক্তির জন্যও তৈরি হবে নয়া সুযোগ। ডিজিটাল অর্থনীতিতে ভারতের ভূমিকা বৃদ্ধিতেও সাহায্য করবে এই প্রযুক্তি। আইটিইউয়ের স্টাডি গ্রুপের বৈঠকে ভারতের এই প্রস্তাব গৃহীত হওয়ায় মোদির দেশ যে ক্রমেই প্রযুক্তিগত আলোচনায় উল্লেখযোগ্য স্থান দখল করছে, তা বলাই বাহুল্য। আইটিইউয়ের এনজিএন বিষয়ক বিশেষজ্ঞ গ্রুপের সদস্য সত্য গুপ্তা বলেন, স্বীকৃত প্রস্তাবগুলি প্রযুক্তি কীভাবে বিবর্তন হবে, তা নির্ধারণ করে। ভারতের ৬জি প্রস্তাব গ্রহণ দেশের ভিশনকে একটি বিশ্বব্যাপী স্তরে নিয়ে এসেছে এবং ৬জি মান গঠনে অংশ নেওয়ার জন্য দেশকে সুযোগ দেয়।  {ads}

article thumbnail

Bajaj Pulsar N150: দেশের বাজারে 1.17 লক্ষ টাকা দামে এই নতুন বাইক লঞ্চ করল বাজাজ, জানুন বিস্তারিত

Bajaj Pulsar N150: দেশজুড়ে আর মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই শুরু হতে চলেছে উৎসবের মরশুম। স্বাভাবিকভাবেই এই সময় অটোমোবাইল সংস্থাগুলির পণ্যের বিক্রি বাড়ে অনেকটাই। বহু ক্রেতার কাছেই এই সময়টি নিজেদের পছন্দের বাইক কিংবা গাড়ি ক্রয় করার একটি আদর্শ সময়। সেই বিষয়টির উপর লক্ষ্য রেখেই দেশের দুই-চাকার গাড়ির বাজারে ক্রমাগত একের পর এক নতুন বাইক লঞ্চ করে চলেছে প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল বাজাজের নাম (Bajaj)। দেশের এই জনপ্রিয় গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থাটি মঙ্গলবার ভারতীয় গাড়ির বাজারে তাদের বিখ্যাত বাইকের সিরিজ পালসারের একটি নতুন মডেল পালসার N150 (Pulsar N150) লঞ্চ করেছে।  {link} একটি সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, পালসারের এই অত্যাধুনিক মডেলটি ভারতীয় গাড়ির বাজারে 1.17 লক্ষ টাকা দামে লঞ্চ করা হয়েছে। একইসঙ্গে বাইকটিতে যুক্ত করা হয়েছে একাধিক অত্যাধুনিক বৈশিষ্ট্য। প্রসঙ্গত, বাজাজের পক্ষ থেকে বিগত 18 মাসের মধ্যে পালসার সিরিজের বেশ কয়েকটি নতুন বাইক লঞ্চ করা হয়েছে, যার মধ্যে Pulsar N160 অবিশ্বাস্য সাফল্য লাভ করতে সক্ষম হয়েছে। এছাড়াও এই তালিকায় রয়েছে N250-র মতো মডেলও। এই বাইকটিও ক্রেতাদের একটি বড় অংশের মনে যায়গা করে নিতে সক্ষম হবে বলে ধারণা করছেন ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ। কি কি অত্যাধুনিক ফিচার্স রয়েছে এই বাইকটিতে, দেখে নিন এক ঝলকে-   2023 পালসার N150 ডিজাইন- এই নতুন বাইকটি চমকপ্রদ এবং অত্যাধুনিক ডিজাইনিং-এর সঙ্গে নির্মাণ করা হয়েছে। বাইকটির ট্যাঙ্কটি মসৃণ এবং আড়ম্বরপূর্ণ ডিজাইনে নির্মাণ করা হয়েছে, যা বাইকটিকে একটি নজরকাড়া প্রোফাইল তৈরি করে। এছাড়াও বাইকটিতে একটি স্পোর্টিয়ার আন্ডারবেলি এক্সজস্ট প্রদান করা হয়েছে। এক্সজস্টটি উচ্চতর RPM-এ গর্জন করে, যার ফলে এটি যুব প্রজন্মের জন্য অত্যন্ত আকর্ষণীয় একটি মডেল হতে চলেছে। সর্বোপরি, বাইকটিতে ফ্লোটিং বডি প্যানেল যেমন- বেলি প্যান, ফ্রন্ট ফেয়ারিং এবং ফ্রন্ট ইমোসিং প্রোফাইল প্রদান করা হয়েছে।  {link} 2023 বাজাজ পালসার N150: পারফরম্যান্স নতুন এই বাইকের মডেলের ইঞ্জিনটি 14.5 ps পিক পাওয়া এবং 13.5 Nm টর্ক উৎপন্ন করতে সক্ষম। এই মোটরসাইকেলটির সাহায্যে বাইক চালকেরা যে কোন পরিস্থিতিতে রোমাঞ্চকর পারফরম্যান্স এবং অনায়াসে দ্রুতগতির বাইক চালানোর অভিজ্ঞতা প্রদান করতে সক্ষম। এছাড়াও চালকের নিরাপত্তার উপর এই বাইকটিতে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। চালকের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে একটি একক চ্যানেল এবিএস উচ্চতর ব্রেকিং কন্ট্রোল এবং ট্র্যাকশন অফার করে। যে সুবিধাটি নিশ্চিত করে, চালকেরা সহজেই যে কোন কঠিন রাস্তায় বাইক নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।   বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে এই বাইকটি আসন্ন সময়ে যুব প্রজন্মের কাছ একটি অত্যন্ত আকর্ষণীয় বাইক হয়ে উঠতে চলেছে। এছাড়াও বাড়তে থাকা বাজার মূল্যের মাঝে অত্যন্ত কম দামে একাধিক বৈশিষ্ট্যর সঙ্গে নির্মাণ করা এই বাইকটি অন্যান্য বাইকের মাঝে অবশ্যই একটি নেতিবাচক অবস্থানে থাকতে চলেছে।   {ads}

article thumbnail

পুজো সংখ্যা ১৪২৮

আরো পড়ুন

বছর দুয়েক আগেও এ বাড়িতে দুর্গাপুজোয় পাত পড়ত কয়েক হাজার ভক্তের

পুজোর যে আনন্দ তাতে অনেকটাই প্রভাব বিস্তার করেছে করোনার মহামারী। মনের মধ্যে কাজ করছে আতঙ্ক, ভয় যে ছবিটা দেখা গিয়েছিল শেষ বছরেই। অতিমারী করোনা কেড়েছিল পুজোর জৌলুস। কিন্তু এবার পরিস্থিতির অনেকটাই উন্নতি হয়েছে। তাই এবারও ঘটা করে পুজো হবে তমলুকের নন্দকুমারের বনেদি বাড়িতে। বছর দুয়েক আগেও এ বাড়িতে পাত পড়ত কয়েক হাজার ভক্তের। করোনার জন্য তা বন্ধ থাকছে এবছরও। যদিও অন্নভোগই নিবেদন করা হবে দেবীকে। {link}  পূর্ব মেদিনীপুরের বর্ধিষ্ণু অঞ্চল তমলুক। স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে ওতোপ্রোতভাবে জড়িয়ে এই জনপদের নাম। এই তমলুকেরই ব্যবত্তারহাট এলাকার ভট্টাচার্য ও চক্রবর্তী পরিবার গত চারশো বছর ধরে নিষ্ঠা সহকারে পুজো করে আসছেন দেবী দুর্গার। বছরের পর বছর সুচারুভাবে পুজো হয়ে এলেও, করোনা অতিমারীর কারণে তা যেন ছন্নছাড়া হয়ে গিয়েছে এই দু বছর। তমলুকের রাজা তাম্বধ্বজের ব্যবস্থাপক ছিলেন এখানকার ভট্টাচার্য ও চক্রবর্তী পরিবারের পূর্বপুরুষরা। সেই থেকে এলাকার নাম হয় ব্যবত্তারহাট। এই ব্যবত্তা পরিবারের পূর্ব পুরুষ ছিলেন সার্থক রাম। একবার সার্থক রামের মা দুর্গাপুজোর অঞ্জলি দিতে গিয়েছিলেন পাশের একটি গ্রামে। সেখানে তাঁকে অপমান করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। মায়ের অপমান সহ্য করতে না পেরে বাড়িতেই দুর্গাপুজোর আয়োজন করেন তিনি। সেই থেকেই নিরবচ্ছিন্নভাবে দেবীর আরাধনা হয়ে আসছে এ বাড়িতে। কালক্রমে সেই পুজোই হয়ে আসছে দুই পরিবারের পারিবারিক পুজো। সুপ্রাচীন প্রথা মেনে আজও দেবীকে নিবেদন করা হয় নিরামিষ অন্নভোগ। {link} এ বাড়িতে দেবীকে নিজের হাতে তৈরি বড়ি দিয়ে ভোগ দেন মহিলারা। ষষ্ঠী এবং সপ্তমীতে দেবীকে নিবেদন করা হয় এক মণ ছ সের চালের ভোগ। সঙ্গে থাকে নানা পদ। অষ্টমীতে ভোগের চালের পরিমাণ বেড়ে হয় এক মণ ৮ সের চাল। আর নবমীতে চালের পরিমাণ হয় এক মণ ন সের। রীতি মনে এখনও হয় সন্ধিপুজো। সেখানেও দেবীকে নিবেদন করা হয় খিঁচুড়ি ভোগ। দশমীতে হয় দধিকর্মা। সিঁদুর খেলার পর বিসর্জন হয় দেবীর। এ বাড়িতে হাজার খানেক সলতে পোড়ানো হয়।  জমিদার আমলের দুর্গামণ্ডপ ভেঙে তৈরি হয়েছে নতুন মণ্ডপ। এতদিন দেবীকে ভোগ নিবেদন করে প্রসাদ খাওয়ানো হত দর্শানর্থীদের। করোনার কারণে গত বছর থেকে তা বন্ধ। অন্য সমস্ত পুজোগুলির মতো বদল আনা হয়েছে পুষ্পাঞ্জলি দেওয়ার রীতিতেও। আগে ফুল-বেলপাতা দিয়ে অঞ্জলি দেওয়া গেলেও, অতিমারী পরিস্থিতিতে হয়েছে শুধুই করজোড়ে প্রার্থনা। কিন্তু যা কমেনি তা হল পুজোর এই দিনগুলিতে ঘরে আসা মায়ের জন্য ভক্তি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। অপেক্ষা আর মাত্র কয়েকটা দিনের… তারপরেই আবার বছর ঘুরে মা আসবেন তমলুকের নন্দকুমারের বাড়িতে।  {ads}

article thumbnail

আজও রীতি মেনে দেবী দুর্গার সঙ্গে সঙ্গে এ বাড়িতে পুজো হয় মহামারীর

একসময় দেবীর আশির্বাদে মুক্তি মিলেছিল মহামারীর প্রকোপ থেকে। তাই আজও রীতি মেনে দেবী দুর্গার সঙ্গে সঙ্গে এ বাড়িতে পুজো হয় মহামারীরও। তিনশো বছরেরও বেশি সময় আগে যখন পুজো শুরু হয়, তখনও পুজো হত মহামারীর। প্রজাদের কল্যাণে প্রতিদিন পোড়ানো হয় দেড় কুইন্টাল খই। পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনের ঘোলাই গ্রাম পঞ্চায়েতের আঙ্গুয়া গ্রামের দাস মহাপাত্র বাড়ির এটাই রীতি। এখনও এবাড়িতে পুজোর দিনগুলিতে গাওয়া হয় চণ্ডীমঙ্গল, ভারতগান। তিনশো বছর আগেও মহামারী হত। তখন চিকিৎসা ব্যবস্থা ছিল বেশ অনুন্নত। রোগের প্রকোপে উজায় হয়ে যেত গাঁয়ের পর গাঁ। তাই প্রজাদের মঙ্গলের জন্য মহামারীর পুজো শুরু হয় জমিদার দাস মহাপাত্রদের বাড়িতে। এবারও করোনা অতিমারীর হাত থেকে বিশ্বকে মুক্ত করতে প্রার্থনা করবেন এই পরিবারের সদস্যরা।  {link} কটকের খোরদার থেকে এ রাজ্যের মুর্শিদাবাদের উদ্দেশ্যে আসছিলেন জনৈক বিরিঞ্চি মোহান্তি। দাঁতনের ঘোলাইয়ের কাছে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন তিনি। স্থানীয় এক ব্রাহ্মণ জমিদার তাঁকে উদ্ধার করেন। সুস্থ হয়ে জমিদারের সেরেস্তায় কাজ করতে শুরু করেন বিরিঞ্চি।  {link} বয়সকালে কাশী যাবেন মনস্থ করেন জমিদার। জমিদারি লিখে দিতে চান বিরিঞ্চিকে। বিশ্বস্ত কর্মচারী বিরিঞ্চি জমিদারকে প্রস্তাব দেন অর্ধেক সম্পত্তি জমিদারের মেয়েকে দিয়ে বাকিটা তাঁর নামে লিখে দেওয়ার। সেই মতো অর্ধেক জমিদারি নিয়ে ঘোলাইয়ের পলাশিয়ায় থেকে যান বিরিঞ্চি। {ads} বিরিঞ্চির দুই ছেলের মধ্যে ভাগ হয় জমিদার। ছোট ছেলের জমিদারিতেই শ্রীবৃদ্ধি ঘটে। এই ভাগের উত্তরসূরিদের মধ্যে রূপনারায়ণ দাস মহাপাত্র দুর্গাপুজো শুরু করেন। এর কয়েক পুরুষ আগে মোহান্তিরা ইংরেজদের কাছ থেকে উপাধি পেয়ে দাস মহাপাত্র হয়ে গিয়েছেন। এঁদের কেউ কেউ রাজার দেওয়া উপাধি চৌধুরীও ব্যবহার করেন। প্রতিপদ থেকে পুজো শুরু হয় এ বাড়িতে। চলে দশমী পর্যন্ত। প্রতিদিনই পুজো হয় মহামারীর। পোড়ানো হয় খই। দেশবাসীর মঙ্গলের জন্য। এবারেও সেই নীতি মেনেই হবে পুজো। দেবীর আশির্বাদে করোনার প্রকোপ থেকে মুক্তি মিলুক পৃথিবীবাসীর এই প্রার্থনাই মায়ের কাছে করছেন সকলে।  {ads}

article thumbnail

উত্তর দিনাজপুরের সেনবাড়ির দুর্গাপুজোয় আজও পুজোর দিনগুলিতে মন্দিরে প্রবেশ নিষিদ্ধ মহিলাদের

বাংলার কাছে সবচেয়ে উৎসব মুখর দিনগুলিতে যে ঠাকুরের পূজা সম্পন্ন হয়, তিনি নিজে মাতৃরূপে বাঙালির ঘরে আসেন। কিন্তু সেই মায়ের পুজোতেই পুজোর দিনগুলোতে মন্দিরে প্রবেশ নিষিদ্ধ মহিলাদের। সংসারের এহেন নিয়ম দেখলে অবাক হওয়াটাই স্বাভাবিক। এবং এই রীতিই চলেও আসছে বহু বছর ধরে।  উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ শহরের সেনবাড়ির দুর্গাপুজোয় এটাই রীতি। মন্দিরের বাইরে দাঁড়িয়ে দেবী দুর্গার দর্শন করেন এই পরিবারের মহিলা সদস্যরা। জমিদারি এখন আর নেই। তাই সেই জাঁকও আর নেই। তবে পুজো হয় নিয়ম নিষ্ঠা মেনেই। {link} রায়গঞ্জ শহরের সুদর্শনপুরেই বাস সেনেদের। এক সময় এঁদের বাস ছিল বাংলাদেশের যশোরে। পুজোর সূচনা করেন সুরেন্দ্রনাথ সেন। পরে বাংলাদেশের পাট চুকিয়ে সেন পরিবার চলে আসেন রায়গঞ্জে, সুদর্শনপুরে। এখানে এই পুজো পড়ল ৭৬ বছরে। বাংলাদেশে যে রীতি মেনে পুজো হত, এখানেও তেমনটাই হয়। বৈষ্ণব নয়, এখানে পুজো হয় শাক্ত মতে। সপ্তমী থেকে নবমী প্রতিদিনই বলি হয়। এ বাড়ির পুজোয় ছেলেরা অংশ নিতে পারলেও, মেয়েরা পারেন না। তবে মন্দিরের চাতালে বসে দেবদর্শন করতে পারেন।  {ads} কর্মসূত্রে বর্তমানে সেন পরিবারের সদস্যরা দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকেন। তবে পুজোর সময় সবাই একত্রিত হন। পরিবারের সদস্যদের দাবি, তিনশো বছর আগে পুজো শুরুর সময় থেকে এ পর্যন্ত একবারও পুজো বন্ধ হয়নি। পুজো চলাকালীন কোনও সদস্যের মৃত্যু হলেও, পুজো বন্ধ হয়নি। এ বাড়িতে দেবীকে অন্নভোগ নিবেদন করা হয় না। ফলমূল, লুচি-মিষ্টি দিয়েই পুজো হয়। একচালার প্রতিমায় পুজো হয়। এখানে দেবীর মহিষাসুরমর্দিনী রূপের পুজো হয়। দেবীর সঙ্গে লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ সবাই থাকেন। এসব প্রত্যক্ষ দেবতা ছাড়াও আরও অনেক দেবতার পুজো হয়। নিয়ম মেনে হয় সন্ধিপুজোও। তবে কুমারি পুজো হয় না এ বাড়িতে। জমিদার বাড়ির পুজো দেখতে এখনও ভিড় করেন দূর-দুরান্তের মানুষ।  {link} স্থানীয় বহু মানুষের এই মন্দিরে পুজোর সময় মহিলাদের প্রবেশ করা নিষিদ্ধ থাকলেও এর বিরুদ্ধে সেইভাবে আজ পর্যন্ত কেউ সেইভাবে প্রতিবাদ জানাতে আসেননি। বহু বছর ধরে চলতে আসা নিয়মের ছক ভাঙার চেষ্টাও করেননি কেউ। মহিলারাও মন্দিরের বাইরে থেকেই মায়ের আশির্বাদ নিয়ে চলে যান। হয়ত মায়ের ওপর আস্থা রয়েছে বিপুল, সেই কারনেই চেনা ছক ভাঙতে চান না তারা…  {ads}  

article thumbnail

বৈঁচির দাঁ পরিবারের মা দুর্গা লোকমুখে ছেলে ধরা দুর্গা নামে খ্যাত

দশ হাতের দেবী দুর্গাই শুধু নয়, বাংলার মাটিতে দেবী পূজিতা হন অভয়া রূপেও। কিন্তু অবাক করা কথা কোথায় জানেন? এই গ্রামে দেবী দুর্গা পরিচিত ছেলেধরা দুর্গা নামে। একইভাবে দেবী দুর্গা নন, বৈঁচির দাঁ পরিবারে পুজো হয় দেবী অভয়ার। মা দুর্গারই এক রূপ অভয়া। দুর্গা যেমন মহিষাসুরকে বধ করেন, অভয়া রূপ তেমন নয়। তাঁর হাতে ধরা এক বালক। লোকমুখে এ দুর্গা ছেলে ধরা দুর্গা নামেই খ্যাত। {link} জনৈক ব্যবসায়ী বিনোদ দাঁ এই পুজোর সূচনা করেন। শোনা যায়, চাঁদ সওদাগরের আমল থেকেই তাঁর পূর্ব পুরুষ ব্যবসা করে আসছেন। বিনোদবাবুর আমলে শ্রীবৃদ্ধি হয় ব্যবসার। তিনিই শুরু করেন অভয়া দুর্গার পুজো।  {ads} কেন এ রূপের পুজো হয়? বাণিজ্যে যাওয়ার পথে চাঁদ সওদাগর দেবীর কমলেকামিনী রূপ দেখেন। রাজাকে সে রূপ দেখাতে না পারায় তাঁকে বন্দি করা হয়। বাবার বন্দিদশা ঘুঁচাতে তাঁর পুত্র শ্রীমন্ত সওদাগর রওনা দেন। তিনিও দেবীর ওই রূপই দেখেন। তিনিও রাজাকে দেবীর ওই অপরূপ মূর্তির কথা বলেন। রাজা দেবীর ওই মূর্তি দর্শন করতে চান। শ্রীমন্ত তাঁকে তা দেখাতে না পারায়, বণিকপুত্রকে জলে ফেলে দেন রাজা। তখন অভয়া রূপে দেবী উদ্ধার করেন শ্রীমন্তকে। বাবার বন্দিদশা ঘুঁচিয়ে শ্রীমন্ত দেবীর অভয়া রূপেরই পুজো করেন। দাঁ বাড়িতে সেই রূপেই বিগত ২০০ বছর ধরে পূজিত হয়ে আসছেন দেবী অভয়া। {link} একচালার প্রতিমা। দেবীর সঙ্গে অসুর নেই। তবে লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ রয়েছেন। বিনোদবাবুর আমলেই একবার পুজো বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল। তখন দেবী স্বপ্নাদেশ দেন, থোড় ও কাশীর চিনি দিয়েই পুজো কর। সেই থেকেই থোড় ও কাশীর চিনি দিয়ে পুজো হয়। দাঁ পরিবারের প্রায় সব সদস্যই কর্মসূত্রে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকেন। পুজোর সময় সবাই একত্রিত হন। পুজোর সময় আনন্দে মুখরিত হয়ে হয়ে ওঠে এই বিখ্যাত পরিবারের বাড়ি, দূর দূর থেকে মানুষ দর্শন করতে আসেন মাতৃমূর্তি। কিন্তু পুজো মিটলেই আবার শূন্যতা তার দাপট দেখাতে শুরু করে। পুজো শেষে দেবীর কাঠামো পড়ে থাকা খাঁ খাঁ দালানবাড়িতে। {ads}  

article thumbnail

এ বাড়িতে দেবী দুর্গার সঙ্গে পুজো পান আরও একুশ দেবতা

কেউ যদি প্রশ্ন করে বাংলা ও বাঙালির সর্ববৃহৎ উৎসব কোনটি, তাহলে এককথায় উত্তর আসবে একটিই, দুর্গাপুজো। দুর্গাপুজো মানের অনেক আনন্দ ভালোলাগা ও আনন্দের সংমিশ্রণ। রাত জেগে ঠাকুর দেখা বড়ো বড়ো প্যান্ডেল হপিং, থিম পুজোর রমরমা। কিন্তু এসবের মাঝেই আমরা বাংলার একটা পুরোনো সংস্কৃতিকে প্রায় ভুলতে বসেছি। সেটা বাংলার সমস্ত ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক সমস্ত বহুকাল থেকে চলে আসতে থাকা বনোদি ও রাজবাড়ির পুজোগুলি। এহেন এক পুজোরই আশ্চর্য উপাখ্যান আজ রইল শেফিল্ড টাইমসের রাজবাড়ির পুজোর আরও একটি নতুন পর্বে।  উল্লেখযোগ্যভাবে এ বাড়িতে দেবী দুর্গার সঙ্গে পুজো পান আরও একুশ দেবতা। এঁরা প্রত্যেকেই হাজির জমিদার বাড়িতে। সেজন্য মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ানের জমিদার বাড়ির পুজো ‘বাইশ পুতুলের পুজো’ নামে খ্যাত। ইদানিং ধুলিয়ানে দুর্গাপুজো হলেও, পুজোর সূচনা হয়েছিল মালদহের দেওনাপুরে। এ পরিবারের প্রয়াত সদস্য রাঘবেন্দ্র রায় ছিলেন জমিদার। গঙ্গার ভাঙন ও বন্যার জেরে দুর্ভোগ পোহাতে হত পরিবারের সদস্যদের। বাধ্য হয়ে পাততাড়ি গুটিয়ে ১৮২৫ সালে ধুলিয়ানে চলে আসেন জমিদার পরিবার। নির্মাণ করা হয় দালানকোঠা। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সঙ্গে সপরিবারে আসেন দেবী দুর্গাও। সেই থেকে পুজো হচ্ছে ধুলিয়ানে।  পুজো শুরু হয় কৃষ্ণা নবমীতে। বিসর্জন হয় দশমীতে। অন্যত্র যেমন সন্তান-সন্ততি নিয়ে পুজো পান দেবী দুর্গা, এখানেও তেমনি। তবে এ বাড়িতে পুজো পান আরও ষোলোটি দেবদেবীর মূর্তি। এঁদের মধ্যে সবার ওপরে রয়েছেন মহাদেব। তাঁর দুপাশে থাকেন নন্দী ও ভৃঙ্গি। তাঁরও ওপরে থাকেন গঙ্গা। দেবীর বামদিকে থাকেন বিজয়া এবং নরসিংহ। দেবীর সঙ্গেই থাকেন রাম, লক্ষ্ণণ। থাকেন বিষবাহন। আরও কিছু প্রতিমাও থাকে। প্রাচীন রীতি মেনে প্রতিমার কাজ শুরু হয় রথের দিন।  পুজো হয় সূচনা লগ্নের সময়কার নিয়ম মেনে। বিসর্জনের দিন ঢাক বাজান পুরুষেরা। সিঁদুর খেলায় মাতেন মহিলারা। কাঁধে করে দেবী মূর্তি নিয়ে গিয়ে আজও বিসর্জন দেওয়া হয় গঙ্গায়। প্রাচীন ঐতিহ্য মেনে এখনও হয় বাইচ প্রতিযোগিতার। এক সময় বাইশ পুতুলের পুজো দেখতে আসতেন দূর-দুরান্তের মানুষ। এখন আর আসেন না। তবে এলাকাবাসী একবার হলেও দর্শন করে যান জমিদার বাড়ির মা-কে। দেবী মা-ও প্রত্যক্ষ করেন জমিদারদের ‘প্রজা’দের, হয়তবা তার আশির্বাদও লাভ করেন কেউ কেউ।  সারা বাংলা জুড়ে এহেন অসংখ্য অবাক করা বনোদি ও রাজবাড়ির পুজোর উপাখ্যান রয়েছে। যার বেশ কয়েকটি বা বলা চলে অধিকাংশই জানা এবং হয়ত বেশ কিছু অজানাও রয়েছে। মায়ের আসতে আর মাত্র কয়েকদিনের অপেক্ষা....   {ads}

article thumbnail

হারিয়ে খোঁজার পথে(ধারাবাহিক)- নিখিল কুমার চক্রবর্তী{পর্ব-১০}

ঘরে ঢুকে নিশাকে দেখে প্রাথমিকভাবে একটু অবাক হলেও পর মুহূর্তেই স্বাভাবিক হয়ে গেলেন অনিমেষ দত্ত। একমুখ হাসি ছড়িয়ে বললেন --নমস্কার ম্যাডাম। আপনিই তাহলে সুমিতের হাসপাতালে না যাওয়ার কারণ। ওদিকে হাসপাতালে হই হই হচ্ছে। ডাক্তার গায়েব! নিশা কিছু বলল না। শুধু হাত জোর করে নমস্কার করল। সুমিত বলল --অনিমেষদা বসুন। আমি আর এক রাউন্ড কফি নিয়ে আসি। নিশা ক্লান্ত থাকলে বারেবারে কফি খায়।  সুমিত কিচেনে ঢুকে গেল। অনিমেষ দত্ত নিশাকে বললেন --কিছু একটা রিলেশন যে আছে তা সুমিতের আগ্রহ দেখে বুঝেছিলাম। কিন্তু একেবারে আরামবাগে চলে আসার মতো রিলেশন বুঝতে পারিনি। সুমিত দেখলাম আপনার অভ্যাস সম্বন্ধেও ওয়াকিবহাল। তা, আপনি কেমন আছেন এখন? --মোটামুটি আছি।  --ভাল থাকতেই হবে। অতীতকে আঁকড়ে থাকলে ভাল থাকা যায় না ম্যাডাম। অতীত থেকে শিক্ষা নিলে তবেই ভাল থাকা যায়। আপনি চাকরি ছেড়ে দিলে জায়গাটা থেকে দূরে থাকতে পারবেন, কিন্তু নিজের থেকে দূরে থাকবেন কি করে?  নিশা এবারে সরাসরি অনিমেষ দত্তর মুখের দিকে তাকাল। খুব ধীরে ধীরে বলল --যা ঘটেছে আপনি সবই জানেন। এরপরেও কি ছাত্রছাত্রীরা আমাকে সম্মান দিতে পারবে? --সম্মান কেউ কাউকে দেয় না ম্যাডাম। নিজেকে অর্জন করতে হয়। কলেজে আপনার সুনাম ভাল পড়ানোর জন্য। ছাত্রছাত্রীরা আপনাকে ভালবাসে আপনার ব্যবহারের জন্য। আপনার জীবনে কি ঘটছে সেটা সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়। জীবন আর জীবিকা এক জিনিষ নয় ম্যাডাম। {link} একটা ট্রেতে তিনটে কফিমগ নিয়ে সুমিত এসে বসল। ওদেরকে একটা করে কফিমগ হাতে দিয়ে নিজেও একটা নিয়ে নিশার পাশে বড় সোফা সেটটায় বসল। অনিমেষ দত্ত ততক্ষণে সিঙ্গল সেটটায় বসে পড়েছেন। কফিতে চুমুক দিয়ে সুমিত বলল --অনিমেষদা, আপনাকে বলতে পারিনি যে নিশাকে আমি চিনি। একপাড়াতে আমরা বড় হয়েছি, একসাথে পড়াশোনা করেছি। ও একচুয়ালি একেবারে ছোট্টবেলা থেকে আমার সাথে ছিল। পাস্ট টেন্স ইউজ কেন করছি তা আপনি ভাল করেই জানেন। তবে ওর কাছে আমি ঋণী। ও মোহনকে বিয়ে করে আমাকে ছেড়ে চলে না গেলে আজকের সুমিতের জন্ম হত না। ওর কথা অনেকবার আপনাকে বলার ইচ্ছে হয়েছে, কিন্তু হাসির খোরাক হবার ভয়ে বলিনি। সুমিতকে থামিয়ে অনিমেষ দত্ত বললেন --এতদিনে দাদাকে এই চিনলে ভায়া? সবার জীবনেই কিছু না কিছু দুর্বল জায়গা থাকে। আমি মনে করি সেসব কথা সবাইকে না জানানই ভাল। সবাই সমানভাবে নিতে পারে না। তবে নির্ভরযোগ্য কারোর সাথে শেয়ার করতে পারলে ভাল হয়। জানলাম, তুমি আমাকে নির্ভরযোগ্য ভাবতে পার নি। সুমিত উঠে অনিমেষ দত্তর কাছে গিয়ে তার হাত দুটো ধরে বলল --আপনি এরকম বললে আমার অপরাধের শেষ থাকবে না। বুঝতে পারছি, আপনাকে না বলে ভুল করেছি। প্লিজ ক্ষমা করে দিন। অনিমেষ দত্ত সুমিতকে ধরে নিয়ে এসে সোফায় বসিয়ে দিয়ে বললেন --ওসব নিয়ে মন খারাপ করে লাভ নেই। যা বুঝলাম নিশা ম্যাডাম তোমার ছোটবেলার সঙ্গী। তোমাকে ছেড়ে মোহনকে বিয়ে করে চলে যাওয়াতে তোমার কষ্ট হয়েছিল। তুমি নিজের খোলনলচে বদলে ফেলেছ। মানে, তুমি নিশাকে খুব ভালোবাস। তা, ওকে কোনদিন বলেছ ভায়া যে, তুমি ওকে ভালবাসো? --সেটাও কি মুখে বলতে হয় দাদা? ও বুঝতে পারে নি কেন? --বলতে হয় ভায়া। অনেক কথা যেমন বলতে নেই, তেমনি অনেক কথা সময়ে বলতে হয়। ভালবাসার লোককেও বলতে হয় "আমি তোমাকে ভালবাসি।" "শক্তি" বলে একটা হিন্দী মুভি থেকে আমি এটা শিখেছিলাম। শেষ দৃশ্যে পুলিশ বাবা স্মাগলার ছেলেকে গুলি করার পর ছুটে গিয়ে তাকে কোলে তুলে নিয়ে বলছে,"তুই আমাকে ছেড়ে যাস না। তোকে ছেড়ে আমি বাঁচব না।" উত্তরে ছেলে বলছে, "বাবা, এতদিন একথা তুমি বল নি কেন? তাহলে তো আমি স্মাগলার হতাম না।" ছেলে ভাবত বাবা তাকে ভালবাসে না। তাই বলছি ভায়া, শুধু ম্যাডামকে দোষ দিয়ে তো লাভ নেই। দোষ তোমারও আছে। ভাষায় ভালবাসার প্রকাশটা খুব জরুরী। {ads} নিশা দুজনের কথোপকথন শুনে যাচ্ছে। অনিমেষ দত্তকে নতুন রূপে দেখছে এখানে। কলেজে এডমিনিস্ট্রেটর হিসাবে তার রূপ দেখেছে। এখানে তার রূপ এক অভিভাবকের। সত্যিই সে যেন সুমিতের দাদা। সে যদি এরকম এক দাদা পেত তাহলে হয়ত তার জীবনটা এভাবে তছনছ হত না। একটা গভীর দীর্ঘশ্বাস হালকাভাবে নিশার বুকের ভেতর থেকে বেরিয়ে এল। অনিমেষ দত্ত যাই বলুন না কেন সুমিতের থেকে তার অপরাধ অনেক বেশি। সুমিতের ডেডিকেশনে তার প্রতি ভালবাসা যথেষ্টই প্রকট ছিল। সেই বুঝতে পারেনি। বোধহয় এত ভালবাসার যোগ্য সে নয়। নিজের দোষে সে নিজের জীবন শুধু নষ্ট করেনি সুমিতের জীবনটাও শুকনো করে দিয়েছে। নিজের অজান্তেই তার দুচোখ ছাপিয়ে জলের ধারা নেমে এল। {link} অনিমেষ দত্ত পোড় খাওয়া লোক। জীবনে অনেক বাঁক, অনেক তরঙ্গের মুখোমুখি হয়েছেন। নিজের জীবনে এমন না হলেও অনেকটা একই রকম অবস্থার সম্মুখীন হয়েছেন। কলেজ জীবনের প্রেম সংসারে বাস্তবায়িত হয়েছিল।  ডাক্তারি পড়তে কলকাতায় গিয়েছিলেন অনিমেষ দত্ত। উচ্চবিত্ত পরিবারের ছেলে হলেও পড়াশোনায় কোন অবহেলা ছিল না তাঁর। কলকাতার কলেজে ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। তবে হস্টেলে না থেকে মেডিকেল কলেজের কাছাকাছি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকতেন। ওঁর যখন ফাইনাল ইয়ার তখন রুনিরা ঐ বিল্ডিঙের অন্য ফ্ল্যাটে আসে। রুনিরও তখন গ্র্যাজুয়েশনের ফাইনাল ইয়ার। ওরা আগে দমদমে থাকত। ওর বাবা মা দুজনেই করপোরেট সেক্টরের এমপ্লয়ি। ওদের পুরো পরিবারটাই অন্যরকম জীবনযাপনে অভ্যস্ত ছিল। যে যাপনে আবার অনিমেষ দত্তরা অভ্যস্ত নয়। দমদমের পরিবেশ বসবাসের উপযোগী না হওয়ায় ওরা নাকি এখানে উঠে আসে। তখন ওসব নিয়ে কিছু ভাবেই নি অনিমেষ দত্ত। এখন মনে হয় ভাবা উচিত ছিল। তবে মফস্বলের ছেলেকে কি কারণে কলকাতার রুনি মুখার্জী ভালবেসেছিল তা আজও অনিমেষ দত্তর কাছে অজানা। আদৌ ভালবেসেছিল কি? সেটাও তো অজানা এখনও। ভালবাসলে বিয়ের ছ মাসের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়ে গেল কেন?  {ads}

article thumbnail

সাহিত্যের পাতা

আরো পড়ুন

উপলব্ধিঃ ফাস্ট ফুড- নিখিল কুমার চক্রবর্তী

উপলব্ধি  (ফাস্ট ফুড)  খুব বেশিদিন আগেকার কথা নয়। তখনও ফাস্ট ফুডের ব্যবসা শিল্পের পর্যায়ে পৌঁছায় নি। নানা রকম পোষাকী নামে বিভূষিত হয়ে আলুর তৈরি আইটেম জাতে ওঠেনি। হাজারটা ব্যবসাদার হাজার রকম নামে একই পদ কে বিভিন্ন ভঙ্গীমায় পরিবেশনও করত না। ফাস্ট ফুড বলতে চপ, সিঙ্গারা, বেগুনী, কুমড়ী, ফুলুড়িকেই বোঝাত। সন্ধ্যেবেলায় বর্ষাবাদলের মেঘমল্লার বেজে উঠলে সরষের তেলে (সাদা তেল তখন বাঙালি চোখে বা চেখে দেখে নি) জিরে শুকনো লঙ্কা ভাজা আর চপ দিয়ে মুড়ি চটকে মেখে খবরের কাগজের ওপর ঢেলে দেওয়া হত। তার চারধারে বারো ইয়ার। ঐ মুড়ির সাথে সিঙ্গারা ভেঙে ভেঙে খাওয়া হত সবাই মিলে। সবাই একসাথে খাবলা মারার চেষ্টা করত। সব খাওয়ার পর বাইরের "চাঁপাকল” থেকে এক মগ জল এনে ঢক ঢক করে খেয়ে ঢেকুর তুলত বাঙালি। তারপর চিনিগোলা এক ভাঁড় চা। অবশ্যম্ভাবীভাবে দশ মিনিট পর থেকে গলায় মোবিল ছেটকাতো। রাতের খাওয়া শিকেয় উঠত। কোন কোন রসিক সুজন সন্ধ্যে হলেই এই ধরণের ফাস্ট ফুডের জন্য ছটফট করে মরে যেত। অবশ্য শুধু ফাস্ট ফুড কে দোষ দিয়ে লাভ নেই। সে তো সহযোগী। আসল ছটফটানি রঙিন তরলের বোতলের জন্য। বাড়ির লোক যাতে জানতে না পারে তার জন্য সাপের কামড়ের ভয়কে তুচ্ছজ্ঞান করে সন্ধ্যেবেলায় গ্রামের বাঁশতলায় কত যে মেহ্ফিল বসত! তখন মুঠোফোনের চল হয় নি। হুট করলেই বারো ইয়ার এক জায়গায় ঠেক মারার জন্য নির্দিষ্ট সময়ে আসার এত্তেলা পেত না। তবুও কী এক অমোঘ ইশারায় সবাই ঠিকঠাক চলে আসত। বাতাস দূতের কাজ করে গন্ধ পৌঁছে দিত ইয়ারমহলে। এসব দিন এখন অতীত। এখন শহরের ফুটপাতে মানুষ চলে না। পাত পেড়ে কাটলেট, রোল, মোগলাই, বিরিয়ানি খায়। অযুত নিযুত রেস্তোরাঁয় কত রকমের আইটেম! "স্টার্টার", "ডেজার্ট", "মেন কোর্স" ইত্যাদি নামে পকেট খালি করার এবং পেট ভর্তি করার কত রকম কারসাজি! এসবের একবারে প্রথমের দিকে আমার মত এক গাঁয়ের লোক "চিলি চিকেন" খেয়ে বলেছিল, "আরে, এ তো মুরগীর টক"। তা শুনে যে তাকে খাওয়াতে নিয়ে গিয়েছিল তার হড়কে পড়ে যাওয়ার মত অবস্থা। ছি ছি, এমনভাবে কেউ প্রেস্টিজ পাংচার করে! "শিক কাবাব" খেয়ে বলেছিল, "আরে দূর, আমার গ্রামের বন্ধু তামর হেমব্রোম তো তাদের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে হাঁসের মাংস পুড়িয়ে এমন করেই খাইয়েছিল।" বলা বাহুল্য হবে, এরপরে আর কোনদিন সেই বন্ধু এমন কোন সঙ্গী নিয়ে রেস্তোরাঁয় যাওয়ার সাহস দেখায় নি। এখন তো আরও সহজ হয়ে গেছে সবকিছু। মুঠোফোনের দৌলতে মুঠোয় এসে গেছে দুনিয়া। "অনলাইন" এ যা খুশী অর্ডার করে আনানো যায়। একটা ক্লিকের অপেক্ষা। খুব ভাল। বাড়িতে অতিথি এসেছে (যদিও খুব কম লোকই এখন চায় যে বাড়িতে অতিথি আসুক। আত্মসুখসর্বস্ব পরিবার নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত থাকতেই বেশি পছন্দ করে), অনলাইনে অর্ডার দাও। পরনিন্দা, পরচর্চা শেষ হওয়ার আগেই খাবার এসে হাজির। কে আর কষ্ট করে দুপুরের মেনুতে বাঙালির প্রিয় পেঁয়াজ রসুন দিয়ে কলমি শাক ভাজা, পোস্তবড়া (মহার্ঘ এখন), পুকুরে জাল ফেলে ধরা টাটকা মাছের ঝোল বা হাঁসখোপ থেকে সদ্য বের করে আনা ডিমের ঝোল দিয়ে ভাতার থালা সামনে ধরে আপ্যায়ন করে? হাঁসখোপের ডিম আর পুকুরের টাটকা মাছ শহরে না থাকলেও বাঙালির অতিথি আপ্যায়নে ব্যাগ ওপচানো সব্জির বাজার আর গোটা বড় একটা কাৎলার কানকোর ভেতর দিয়ে খড় ঢুকিয়ে বেঁধে অন্য হাতে তা ঝুলিয়ে আনার সুনাম ছিল। বাড়ির গিন্নীরা তখন বড় আঁশবঁটির ওপর থেবড়ে বসে সেই মাছ কাটত। বড় বড় পিস করত। এখনকার মত বাজারে মাছ কিনে অন্য কাউকে এক্সট্রা দশ টাকা দিয়ে পঁচিশ গ্রামের এক একটা পিস করিয়ে আনতে হত না। বাজার থেকে ফেরার পথে সবাই জানত বাড়িতে অথিথি এসেছে। কেউ কেউ মজা করে বলত, "বাড়িতে বড়কুটুম (শালা বা সম্বন্ধী) এসেছে না কি?" অতিথি অপ্যায়নে ফাস্ট ফুড তখন এত সুনাম কুড়োয় নি। এতে সুবিধা কি হয় নি? নিশ্চয়ই হয়েছে। এই বেগযুগে আবেগহীন মানুষের হাতে "সময় কোথায় সময় নষ্ট করবার"? স্বামী স্ত্রী আর একমাত্র সন্তানকে নিয়ে তৈরি পরমাণুপরিবারে সবাই ব্যস্ত। অতএব, পেটের ক্ষতি হলেও উপায় নেই। অনলাইনই জীবনকে অফলাইন হওয়া থেকে বাঁচিয়ে রেখেছে। মুশকিল অন্য জায়গায়। এই ধরণের ব্যবস্থা প্রচ্ছন্নভাবে নিস্পৃহ মানসিকতার জন্ম দেয়। শারীরিক অসুস্থতা ডেকে আনে। যে যখন খুশী এলেও অসুবিধা নেই। মুঠোফোন তো আছে! চটকদার মনোহারি ফাস্ট ফুড আনিয়ে নিলেই হবে। অতএব নিস্পৃহ থাকো। এই মানসিকতা আস্তে আস্তে সব ক্ষেত্রে ছড়িয়ে পড়লে বিপদ। সিরিয়াসনেসের অভাব দেখা দিতে পারে। আর চটকদারি, মশলাদার এই সব খাবার যে শরীরের পক্ষে খারাপ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তা হলে কি এসব খাবার পরিহার করতে হবে? কখনই না। তা হলে তো পিছিয়ে পড়তে হয়। যুগের সাথে তাল মেলানো যায় না। সুতরাং, খাওয়ার সীমা জানতে হবে। সব পরিস্থিতির মত এক্ষেত্রেও থামতে জানতে হবে। বাঙালিকে ব্যালান্স করা শিখতে হবে। {ads}

article thumbnail

উপলব্ধিঃ সংস্কৃতি- নিখিল কুমার চক্রবর্তী

সংস্কৃতি শব্দটা খুব গোলমেলে। কখন যে কোন দিকে টার্ণ নেয় বোঝা মুশকিল। মানে, কখন যে কোনটা সংস্কৃতি আর কোনটা অপসংস্কৃতি তা বোঝা খুবই দুরূহ ব্যাপার। আমার বাড়ির সংস্কৃতি অন্য কোন বাড়ির সংস্কৃতি নাও হতে পারে। আবার শহরে যেটা সংস্কৃতি সেটাই হয়ত প্রত্যন্ত গ্রামে অসভ্যতার চূড়ান্ত। উল্টোটাও হতে পারে। ছোটবেলায় দিদির শ্বশুর বাড়ি গেলে এক ভদ্রলোককে দেখলেই ভয়ে পালাতাম। তাকে তখন অসভ্য, বদমাশ লোক বলে মনে হত। অদ্ভূত অদ্ভূত বাংলা শব্দের ইংরাজি প্রতিশব্দ বলতে বলে আনন্দ পেতেন। জটিল সব বাক্যের ইংরাজি অনুবাদ জানতে চাইতেন। একবার জিজ্ঞাসা করেছিলেন, "মুরগীর ঝুঁটি ইংরাজি কি?" আর একবার বলেছিলন, "গরুর বাঁটের ইংরাজি জানো?" ভদ্রলোকের এই ব্যবহারটা মোটেই সেই গ্রামের সংস্কৃতি হতে পারে না। এটা মানুষকে হেয় প্রতিপন্ন করে নিজেকে জাহির করার ব্যক্তিগত প্রয়াস। ভদ্রলোকের এই অদ্ভূত মানসিকতার জন্য দিদির শ্বশুর বাড়ির গ্রামের সংস্কৃতিকেই খারাপ বলে মনে হত তখন। কিন্তু আসলে তা নিশ্চয়ই নয়। আমাদের স্কুলবেলায় একটা বিষয় নিয়ে খুব তর্কবিতর্ক হয়েছিল। একজন শিল্পীর গানকে কোন মন্ত্রী "অপসংস্কৃতি" আখ্যা দিয়েছিলেন। তা নিয়ে বাংলা জুড়ে হৈ হৈ। বাংলারই এক স্বনামধন্য ব্যক্তি সে প্রসঙ্গে বলেছিলেন, "যাঁর টেস্ট শহীদ মিনারের মাথায় লাল রঙ লাগানো, তিনি আবার সংস্কৃতির কি বুঝবেন?" আমি দুটো ব্যাপারই বুঝিনি। কেউ একজন কারোর গানকে অপসংস্কৃতি বলতেই পারেন। এটা তাঁর ব্যক্তিগত মতামত। তাতে তো আর সত্যি সত্যিই তা সংস্কৃতির বাউন্ডারির বাইরে চলে যায় না। তা যদি যেত তাহলে সেই শিল্পী এখনও এত জনপ্রিয় থাকতেন না। আবার শহীদ মিনারের মাথায় কি রঙ লাগানো হল তা দিয়েও নিশ্চয়ই ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রীর সংস্কৃতিমনস্কতার পরিচয় পাওয়া যায় না। একটা বাংলা সিনেমা ( আমার মতে সেটা সিনেমা পদবাচ্য নয়। বড়জোর যাত্রাপালা বলা যেতে পারে) তখন মাসের পর মাস "হাউসফুল" হয়ে রমরমিয়ে চলেছিল। আমার "পেয়ারের বন্ধু" সাধনকে বলেছিলাম, "এমন নিম্নমানের বই এত দিন ধরে চলে কি করে বল তো?" সাধন যা বলেছিল তা এখনও সমান প্রাসঙ্গিক। বলেছিল, "তুই বললেই তো হবে না! এত লোকে দেখছে যখন, তখন বইটা ডেমোক্রেটিক্যালি হিট।" অর্থাৎ  অপসংস্কৃতি নয়। তাহলে ব্যাপারটা কি দাঁড়াল? সংস্কৃতি ব্যাপারটাই কি আপেক্ষিক? হয়ত তাই। আমাদের দেশে নারী পুরুষের প্রিম্যারিট্যাল শারীরিক সম্পর্ক সংস্কৃতির আওতায় পড়ে না। আবার পৃথিবীর অনেক দেশেই এটার গ্রহনযোগ্যতা আছে। আমাদের দেশে বড়দের নাম ধরে ডাকা শোভনীয় নয় (যদিও আস্তে আস্তে তা শুরু হয়েছে)। অথচ পৃথিবীর অনেক দেশে ওটাই সংস্কৃতি। গ্রামে গঞ্জে এখন বাড়ির ছেলে মেয়েরা রাত ন'টার পর বাড়ির বাইরে থাকলে বড়দের কাছে অবধারিতভাবে ধমক খাবে। শহরে নগরে রাত ন'টার পর সন্ধ্যে শুরু হয়। আমাদের সিনেমা আর বিদেশি সিনেমা নিয়ে একজনের কাছে একটা কথা শুনেছিলাম। আমাদের সিনেমায় সারাদিনের কাজকর্ম সেরে স্বামী স্ত্রী রাতে খাওয়া দাওয়া করে যখন ঘরের দরজা বন্ধ করে ঘুমোতে যায় তখন বই শেষ হয়। বিদেশের বই ওখান থেকেই শুরু হয়। সব চেয়ে মজার ব্যাপার, আমরা এখনও সিনেমা, বই ইত্যাদি বলতে অভ্যস্ত। আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম কিন্তু "মুভি" বলতে ভালবাসে। আমরা এখনও ঘনিষ্ঠ কারোর শরীর খারাপের খবর পেলে ছুটে গিয়ে তার পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করি। অনেকে ফোনেই কর্তব্য সারে। বা, সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা জব্বর স্ট্যাটাস! তাহলে? আমরা কি সংস্কৃতির রূপ বদলানো প্রত্যক্ষ করছি না? পোস্ট কার্ড, ইনল্যান্ড লেটার, এনভেলাপ দিয়ে আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা শুরু হয়ে, ল্যান্ড ফোন - মোবাইল ফোন হয়ে এখন নেট - হোয়াটসঅ্যাপ ইত্যাদিতে পরিবর্তিত হয়নি কি? সংস্কৃতির হাত যত লম্বা হবে মানে, যত প্রযুক্তিনির্ভর হবে তত পুরনো ধ্যান ধারণা পাল্টাবে এতে কোন সন্দেহ নেই। তবে একটা কথা মনে রাখতে হবে। প্রযুক্তির কুফল নিয়ে গড়ে ওঠা সংস্কৃতি কোনদিন সমাজজীবনকে সমৃদ্ধ করতে পারে না। যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে যাওয়ার কারণে আজকে বৃদ্ধাশ্রমের প্রয়োজনীয়তা যদি বাড়ে তাহলে এই সংস্কৃতির নিশ্চয়ই কোন গুরুত্ব থাকতে পারে না। মূল্যবোধের ওপরে গড়ে ওঠা সংস্কৃতির মূল্য আগে ছিল, এখনও আছে। কোন দেশ, কোন সমাজ, কোন পরিবারের নিজস্ব আদর্শ, মূল্যবোধ, সংস্কৃতি থাকবে এটাই স্বাভাবিক। সেটা সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে পরিমার্জিত এবং পরিশীলিত হবে এটাও স্বাভাবিক। অস্বাভাবিক তখনই, যখন এটার গতিমুখ পাল্টে গিয়ে সম্পূর্ণ বিপরীত প্রতিক্রিয়ায় নেগেটিভ মানসিকতার জন্ম দিয়ে চলে গতিহীনভাবে। {ads}

article thumbnail

উপলব্ধিঃ মার্কেটিং- নিখিল কুমার চক্রবর্তী

উপলব্ধি  (মার্কেটিং) আমাদের বড়বেলায় (বুড়োবেলায় নয়) মার্কেটিং বলতে এম বি এ কোর্সের একটা শাখাকে বুঝতাম। জেনেছিলাম, বাজার সংক্রান্ত পড়াশোনা হয় সেই শাখায়। মনোপলি মার্কেট, কম্পিটিটিভ মার্কেট ইত্যাদি ইত্যাদি। সেই সব মার্কেটে দ্রব্যের মূল্য কিভাবে ঠিক করা হবে, কখন দ্রব্য বাজারে নিয়ে যেতে হবে -- এই সব ব্যাপার না কি পড়ানো হয় সে শাখায়! আরো অনেক কিছু নিশ্চয়ই পড়ানো হয়। তবে সে সবে গুরুত্ব দিতাম না। মার্কেটিং ব্যাপারটা নিয়ে এত গুরুত্ব দেওয়ার বিষয় সেটা ছিল না তখন। পাকাবেলায় এসে নিজে কস্টিং পড়তে গিয়ে জানলাম মার্কেটিং এত সহজ বিষয় নয়। মার্কেটিং ম্যানেজমেন্টকে তখন একটু অন্য চোখে দেখতে আরম্ভ করলাম। আরো বিশদে জানার চেষ্টা করলাম। আসলে তখনও ঠিক বুঝে উঠতে পারি নি যে মার্কেটিং ম্যানেজমেন্টটাই বর্তমান সমাজে আসল ম্যানেজমেন্ট। সেটা বুঝতে বুঝতেই মাথায় চকচকে টাক। যাই হোক, জানতে জানতেই কস্টিং কমপ্লিট হয়ে গেল। সবাই ভাবল আমি মার্কেটিং ব্যাপারটায় খুব দক্ষ হয়ে গেছি। কিন্তু আমি তো নিজেকে চিনি। বাজারের থলি হাতে বেরুলেই বুঝতে পারি, মার্কেটিংয়ের "ম" ও জানি না। পুঁই শাক কিনলে যে সাথে কুমড়ো কিনতে হয় তা মাথায় থাকে না। শুক্তোর বাজার করতে গৃহিণী ঠেলে পাঠালে হয় উচ্ছে না হয় কাঁচা কলা আনতে ভুলে যাবই। দামের কথা না ই বা বললাম। সব্জি বিক্রেতা আমার থেকে ভাল মার্কেটিং বোঝে। আমাকে দেখেই বলে উঠে, "আসুন দাদা, কত দিন পরে এলেন। শরীর ভাল তো? বাড়ির সবাই ভাল তো?" আমি গদগদ হয়ে যাই। কি ভাল লোক! আমার কত খেয়াল রাখে! সে আবার বলে, "পটল এক কিলো দিচ্ছি দাদা। হাজিগড়ের মাঠের টাটকা পটল। আপনি তো জানেন আমরা নিজেরাই চাষ করি। সত্তর টাকা কিলো বেচছি। আপনি ষাট করে দেবেন।" খুব খুশী হয়ে পটল কিনে বাড়িতে ফিরে গৃহিণীকে সব বলতেই খাঁটি সরষের তেলের ঝাঁঝ বেরিয়ে আসে। "ঐ ছেলেটার বাড়ি হাজিগড়ে? নিজেরা চাষ করে? তোমাকে ঢপ দিল আর তুমি মেনে নিলে? ওর বাড়ি তো এই বর্ধমানেই। মেহেদিবাগানে। বাপের জন্মে কোনদিন চাষের মাঠে পা দিয়েছে?" এর পর দাম শুনে আরো উগ্র ঝাঁঝ। "সে কী গো? আমাদের বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়া গলা কাটা সব্জির ভ্যানবালাগুলোও তো অত দাম নেয় না। পঞ্চাশ টাকা কিলো নেয়। হায় হায়! কি একটা গাড়োলের সাথে যে বাবা আমার বিয়ে দিয়েছে!" এর পরে স্বভাবতই স্থান ত্যাগ করা উচিত। এবং আমিও "সাকসেসফুল রিট্রিট" করি। কি যে হয় আমার! পরের বার বাজার গিয়ে আবার তার কাছে যাই। আবার সব্জি কিনি। আবার ঠকি। "ল অব ডিমিনিশিং রিটার্ণ" কাজই করে না। যখন একটু আধটু ছেড়ে একটু বেশিই লিখতে শুরু করলাম তখন "সাহিত্যের গৃহিণীপনা" বলে একটা কথা শুনেছিলাম। অর্থাৎ শুধু লিখলেই হবে না, তা গ্রন্থাকারে বা অন্য যেভাবে হোক পাঠকের হাতে যথোপযুক্ত(?) মূল্যে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। এটা না পারলে যত ভালই লেখা হোক, কেউ পাবলিশ করবে না। নিজের জীবনে প্রত্যক্ষ্য করছি এটা। তা, এটা কি মার্কেটিং নয়? মার্কেটিং হল সেই প্রজাতির প্রাণী যা সিচুয়েশন অনুযায়ী নিজের রূপ ও স্বভাব পাল্টাতে পারে। এখন ব্যাপারটা আরো ঘোরালো হয়ে গেছে। কর্পোরেট হসপিটাল, মিডিয়া হাউস, কর্পোরেট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, এন জি ও প্রভৃতি সবাই একটা করে মার্কেটিং উইং রাখছে। "বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সুচ্যগ্র মেদিনী"। সবাইকে বাজার ধরতে হবে। হসপিটালে পেশেন্ট বেশি আনতে হবে, মিডিয়াতে বেশি বিজ্ঞাপন আনতে হবে, স্কুল কলেজে বেশি ছাত্র ছাত্রী আনতে হবে, এন জি ওকে বেশি সেবা প্রদান করতে হবে ইত্যাদি। লিস্ট বাড়ালেই বাড়বে। কত আর বলব! সেটা খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ও নয়। গুরুত্বপূর্ণ হল, এই বাজার ধরার খেলায় ক্ষতিগ্রস্ত কে হচ্ছে? এই খেলায় মাততে গিয়ে কোয়ালিটির সাথে, পরিষেবার সাথে কমপ্রোমাইজ করছি না তো আমরা? তা যদি হয়, তাহলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সমাজ, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জনজীবন। একটা ছোট্ট উদাহরণ দিই। প্রায়ই আমরা খবর পাই, দুটো বাসের রেষারেষিতে জানলার ধারে বসে থাকা এক ব্যক্তির হাত কেটে রাস্তা পড়ে গেছে। জোরে ছুটতে গিয়ে দুটো বাস এত পাশাপাশি এসে গিয়েছিল যে ঘষটানিতে এই দুর্ঘটনা। তা, বাস দুটো এমন বেপরোয়াভাবে ছুটছিল কেন? ঘুরেফিরে সেই মার্কেটিং। একই রুটের দুটো বাসকেই বাজার ক্যাপচার করতে হবে। মুনাফা লুটতে হবে। আমরা পড়েছিলাম, বাজারে টিকে থাকার জন্য প্রথম দিকে কোন দ্রব্যের বাজার মূল্য দ্রব্যটি তৈরি করার খরচের থেকেও অনেকসময় কম রাখতে হয়। এখন ব্যাপারটা উল্টো বলে প্রতীয়মান হয়। প্রথমেই বেশি দামে দ্রব্য বাজারে নিয়ে এস, হেব্বি হেব্বি নায়িকাদের দিয়ে বিজ্ঞাপনে টিভির পর্দা কাঁপিয়ে দাও, প্রমাণ করে দাও এই বেশি দামে কেনাটাই স্ট্যাটাস সিম্বল। এর পরে পাবলিকে দ্রব্যটি খাবেই খাবে। পোস্ত এখন মহার্ঘ বস্তু। আগে মাসে এক কেজি পোস্ত যারা কিনত এখন মাসে একশ গ্রামে কাজ চালায়। দাম বেড়েছে মানে পোস্তর মান ভাল হয়েছে তা কিন্তু নয়। আমার দোকানদার জানাল অনেক অসাধু ব্যবসায়ী এক ধরনের শস্যবীজ পোস্তয় মিশিয়ে দিচ্ছে। কম পোস্ত বেচে বেশি লাভ। ওর কাছে আসল নকল দুটো পোস্তই আছে। আমি চাইলে নকলটা নিতে পারি। কিন্তু সেটা আমার শরীরের জন্য ঠিক হবে না। অাসলটার দাম একটু বেশি হলেও ওটাই নেওয়া ভাল। (মার্কেটিং এর সম্ভ্রান্ত নমুনা।) সুতরাং বেশি দামে পোস্ত কিনে পলিপ্যাকে নিয়ে সবাই কে দেখাতে দেখাতে বাড়ি ফিরলাম। এটাও মার্কেটিং। পোস্ত কিনেছি মানে, আমি অনেক বড় "হনু"। সেটা সবাইকে জানানো হল। আমার বাজার দর বাড়ল। টি আর পি বাড়াও আর মজায় থাকো। এই আদর্শে এখন চলছি আমরা। বলা ভুল হল। চলছি না, ছুটছি। হয়ত অপেক্ষায় আছি, ছুটতে গিয়ে কখন হোঁচট খেয়ে পড়ব। তারপর হয়ত পিঠদৌড় দিয়ে মূল স্রোতে ফিরব। কারণ ইতিহাস সাক্ষী, আজ পর্যন্ত হঠাৎ গজিয়ে ওঠা কোন কিছুই চিরস্থায়ী হয় নি।

article thumbnail

উপলব্ধিঃ সম্পর্ক- সম্পর্ক- নিখিল কুমার চক্রবর্তী

উপলব্ধি  (সম্পর্ক) খুব ছোট্টবেলায় পড়াশোনার পাঠ আমাদের ছিল না বললেই চলে। বাবা মায়ের কাছে শোনা, প্রথম ইস্কুলে গিয়েছিলাম পাঁচ বছর বয়সে। ইনফিন ক্লাসে। সেখান থেকে ডবল প্রমোশন পেয়ে এক লাফে ক্লাস টু তে। ঐ সময়েই শিখেছিলাম, ইস্কুলে মাস্টারমশাইরা সবাই গুরুজন। তাঁরা যা বলবেন অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হয়। এমন কি রোজ নিয়ম করে গাঁট্টা বা বেত্রাঘাত দিলেও মুখ বুজে সহ্য করতে হয়। আর সহপাঠীরা সবাই বন্ধু। তাদের সাথে সবকিছু শেয়ার করতে হয়। মিলেমিশে থাকতে হয়। সহপাঠী মানে শুধু নিজের ক্লাসের ছেলেমেয়েরা নয়। নীচে বা ওপরের ক্লাসের ছেলেমেয়েরাও সহপাঠী এবং বন্ধু। তাই করতামও আমরা। আজও তাই সেইসব মাষ্টারমশাই বা সহপাঠীদের সাথে সুসম্পর্ক বর্তমান। এখন চারিদিকে অন্যচিত্র। মাষ্টারমশাইদের গুরুজন মানা হয় কি না, জানি না। তবে ছাত্র ছাত্রীদের গায়ে হাত তোলার অধিকার তাঁদের নেই। রে রে করে লোকাল দাদা, জাতীয় নেতা, মানবাধিকার কমিশন, মিডিয়া ইত্যাদি যত প্রতিষ্ঠান বা পরিত্রাতা আছে সবাই টি আর পি বাড়ানোর ময়দানে নেমে পড়বে। এখন সবাই জানে, পাবলিকে কি খায়! যা খায়, তাই খাওয়াতে হবে তো না কি! সহপাঠীরাও কেউ বন্ধু নয় এখন। প্রতিযোগী। কারোর সাথে কিছু শেয়ার করতে নেই। তাহলে সেও ভাল নম্বর পেয়ে যাবে। প্রতিযোগী তৈরি হয়ে যাবে। এখন কেউ চায় না, ময়দানে তার কোন প্রতিযোগী থাকুক। সে ইস্কুল, চাকরির জায়গা বা রাজনীতির ময়দান যাই হোক না কেন! নারী পুরুষের সম্পর্কও আর নির্ভরশীলতা, বিশ্বাস বা ভরসার সম্পর্কে আটকে নেই। সভ্যতার ঝকমকানিতে সে সম্পর্কেও এখন পারস্পরিক বোঝাপড়ার চেয়ে পারস্পরিক স্বার্থসিদ্ধির আগ্রহ বেশি। এই সম্পর্কটা অনেকটা দাঁত আর জিভের মধ্যেকার সম্পর্কের মত হয়ে গেছে। সুযোগ পেলেই একে অপরকে কামড়ে দেয় বা আঘাত দেয়। দাঁত যেমন সুযোগ পেলেই জিভের রক্ত বের করে দেয়, তেমনি দাঁত দুর্বল হলেই জিভ তাকে ঠেলে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করে। তবে দাঁত আর জিভের মধ্যে কোনটা নারী আর কোনটা পুরুষ তা নির্ধারণ করা খুব কঠিন। দাঁত যেহেতু জিভের পরে জন্মায়, মানে, জিভের থেকে বয়সে ছোট তাই সামাজিক নিয়মে দাঁতকেই নারী ধরে নেওয়া যেতে পারে। তাছাড়া, চরিত্রগত মিলের জন্যও দাঁতকেই নারী ভাবা বাঞ্ছনীয়। আর একটা বিষয় উল্লেখযোগ্য। নারী পুরুষের যৌথ প্রচেষ্টাতেই সমাজ বা সংসার টিকে থাকবে এ বিষয়ে দ্বিমত থাকা উচিত নয়। আগেকার সম্পর্কে পুরুষ বহির্জগতে ব্যপ্ত থাকলে নারী অন্দরমহল সামলাত। এটা "ডিভিশন অব লেবার" ছাড়া আর কিছুই নয়। এতে পরবর্তী প্রজন্ম উপকৃত হত বেশি। এখন দুজনেই বহির্জগতে ব্যপ্তদ হয়ে যাওয়ায় পরবর্তী প্রজন্ম ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যাচ্ছে না তো? "ডিভিশন অব লেবার" যে আমাদের সমাজে সম্পর্ক তৈরিতে অনেককটাই ভূমিকা নিত বা নেয় তা অস্বীকার করার কোন উপায়ই নেই। সেই মুনি ঋষিদের সময়েই "ডিভিশন অব লেবার" এর ওপর ভিত্তি করেই তৈরি হয়েছিল "বর্ণাশ্রম" প্রথা। লেখাপড়া শেখা বুদ্ধিমান ব্রাহ্মণরা পুজোআচ্চার কাজ করবে, শারীরিকভাবে শক্তিশালী ক্ষত্রিয়রা দেশ রক্ষার কাজ করবে, বৈষয়িক বুদ্ধিসম্পন্ন বৈশ্যরা ব্যবসাবানিজ্য করবে, আর বাকিরা সব শূদ্র। তারা অন্যান্য কাজ করবে। এমন কি এদের বৈবাহিক সম্পর্কও নিজেদের গ্রুপের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। এখন ও সব বালাই নেই। ব্রাহ্মণ সন্তান দেশরক্ষার কাজ করছে আবার ব্যবসাবানিজ্যও করছে। ক্ষত্রিয়, বৈশ্য সবাই সবার কাজ করছে। তাহলে বৈবাহিক সম্পর্কও শুধুমাত্র নিজেদের গ্রুপে সীমাবদ্ধ থাকা উচিত নয়। থাকছেও না। অর্থাৎ, এক্ষেত্রেও সম্পর্কের সজ্ঞা পাল্টাচ্ছে। যুগোপযোগী হচ্ছে সম্পর্ক। তাই যদি হয়, তাহলে ইস্কুলে, চাকুরিস্থলে, রাজনীতির ময়দানে সর্বত্র সম্পর্ক যে অনেকটা প্রতিযোগীতামূলক হয়ে যাচ্ছে তাও কি সময়ের দাবীতে? মানুষের সাথে মানুষের, মানুষের সাথে অন্য প্রাণীর বা মানুষের সাথে প্রকৃতির পারস্পরিক নির্ভরশীলতা আর বোঝাপড়ার সম্পর্কের বদলে শুধুই কি স্বার্থসুখের সম্পর্ক নিয়ে বেঁচে থাকব আমরা? এতে "ইকোসিস্টেম" বজায় থাকবে তো? বজায় থাকবে তো প্রকৃতিনির্ভর মানবের সমাজ আর সভ্যতা? মনে হয়, কেউই এর উত্তর খুঁজতে আগ্রহী নয়। আগ্রহী হলে সম্পর্কের চরম অবনতি নিয়ে আমাদের বেঁচে থাকতে হত না। পাঁচ বছরের শিশুকন্যাকে তার বয়স্ক আত্মীয়ের ধর্ষণের বা পুত্র অথবা কন্যার হাতে পিতা/মাতা খুন হওয়ার খবর পরেও আমরা নিশ্চুপ থাকতাম না। এ এক অবক্ষয়ের সম্পর্কের, মূল্যবোধহীনতার সম্পর্কের আবর্তে ঘুরে মরছি আমরা।

article thumbnail

উপলব্ধিঃ ব্যবহারের ভাষা- নিখিল কুমার চক্রবর্তী

ব্রিটিশরা মোটামুটি দুশো বছরের মত আমাদের মাথায় চেপে বসেছিল। তাতে যা হওয়ার তা হয়েছে। এত বছর ধরে মাথার ওপর এমন ভারী বোঝা চাপানো থাকলে শিরদাঁড়া বেঁকে যেতে বাধ্য। গেছেও। বেঁকে গিয়ে এমন অবস্থা যে আর মাথা উঁচু করার কোন উপায়ই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। শুধু শারীরিক পরিবর্তন নয়, মানসিক পরিবর্তনও ঘটে গেছে। অভ্যাস খারাপ হয়ে গেছে ভীষণরকম। দুশো বছর মাথায় ইংরেজরা চেপে থাকলে যা হয় আর কি! ইংরাজি না বললে, ইংরেজদের পোষাক না পরলে নিজেকে যেন ভদ্রদুরস্ত বলে প্রমাণ দেওয়া যায় না। দুজন বাঙালি বা দুজন পাঞ্জাবি অথবা দুজন মাড়োয়াড়িও নিজেদের মধ্যে ইংরাজিতে কথা বলে আত্মপ্রসাদ অনুভব করে। যত দিন যাচ্ছে তত অভ্যাস খারাপ হচ্ছে। আমাদের নিজস্ব পোষাক ধূতি পাঞ্জাবি বা শাড়ি এখন উৎসবের পোষাক। অবশ্য এটা মেনে নেওয়া ভাল যে, আজকের জেট যুগে ধূতি পাঞ্জাবি বা শাড়ি পরে রাস্তাঘাটে বেরুনোটা বিপজ্জনক। সেই হিসাবে উৎসবে ব্যবহার হলেও অন্তত কিছুটা মর্যাদা দেওয়া হয় নিশ্চয়ই। অনেকবছর আগে যখন আমি কলকাতায় থাকতাম না, তখন একটা ঘটনা ঘটেছিল। আমার এক সিনিয়র সহকর্মী দাদার সাথে বিশেষ প্রয়োজনে কলকাতায় এক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে একাউন্ট ওপেন করতে এসেছি। বর্ধমানের এড্রেস দেখে প্রথমেই ওখানে একটু নাক সিঁটকিয়ে জানানো হল, বাড়ির ঠিকানায় একটা রেজিস্ট্রি চিঠি যাবে। সেটা নিয়ে এসে দেখালে তবেই চেকবুক, পাশবুক দেওয়া হবে। সন্তুষ্ট হয়ে চলে এলাম। ওমা, দু তিন মাস পরেও চিঠি আসে না। একাউন্টার আমার খুব প্রয়োজন ছিল। অথচ কাজ হচ্ছে না। যতবার কলকাতায় গিয়ে খোঁজ করি ততবারই শুনি এক কথা। চিঠিটা আনতে হবে। ওটাই না কি এড্রেস ভেরিফিকেশন। তখন এত মুঠোফোনের চল ছিল না। ল্যান্ডফোনও কতিপয় লোকের বাড়িতে শোভাবর্ধক উপাচার হিসাবে থাকত। সুতরাং, কলকাতায় গিয়ে বারবার খোঁজখবর নিতে হত। বারবার কলকাতা গিয়ে বিরক্ত হয়ে একদিন বলেই ফেললাম, "এড্রেস ভেরিফিকেশন করতে হয় তো লোক পাঠান। এত মাস ধরে চিঠি পাঠিয়ে বসে আছেন কেন?" বেশ ধমক খেতে হল। শুনলাম, "নিশ্চয়ই আপনার এড্রেসে  গণ্ডগোল আছে, না হলে চিঠি পাচ্ছেন না কেন?" অপমানিত বোধ করলাম। শেষে কিনা আমার ঠিকানা ঠিক নয়? খুব ঝামেলায় পড়লাম তো! সেই সহকর্মী দাদাকে বললাম। উনি সব শুনে বললেন, "বাংলায় কথা বললে কেউ শুনবে না। ওখানে গিয়ে ইংরিজিতে কথা বল। তার আগে নিজের প্যাডে ইংরিজিতে লিখে একটা ঝেড়ে কমপ্লেন কর। লিখবি যে ওদের ব্যবহারে তুই অপমানিত বোধ করছিস।" তাই করলাম। পরিস্কার জানালাম, "তোমাদের সিস্টেমের জন্য একজন ভ্যালুয়েবল কাস্টমার কেন সাফারার হবে? এড্রেস ভেরিফিকেশন করতে হলে লোক পাঠাও। যদি তোমরা এইভাবে আমাকে আরও হেনস্থা কর, তাহলে আমি লিগ্যাল একশন নোব।" এর সপ্তাহ দেড়েক পরে ব্যাঙ্কে দেখা করতে গেলাম। সেখানে কি হল তা আর ব্যক্ত করলাম না। ম্যাক্সিমাম মিনিট দশেক সময়ের মধ্যে সমস্ত কিছু আমার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। এমনকি ম্যানেজার তার চেম্বারে বসিয়ে চা খাইয়ে দেরি হওয়ার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী হয়েছিলেন। হ্যাঁ, সহকর্মী দাদার কথা অনুযায়ী আমি ওখানে আমার ক্ষমতা অনুযায়ী যথাসম্ভব ইংরাজিতেই কথা বলেছিলাম। ওনার কাছেই শেখা, কোথাও কাজের জন্য গিয়ে "এক্সকিউজ মি" বলে শুরু করলে এটেনশন বেশি পাওয়া যায়। জীবনে এই উপদেশ পালন করে যে উপকৃত হইনি তা জোর দিয়ে বলতে পারব না। আমি সবসময় "সুপ্রভাত", "শুভরাত্রি" এইভাবে বলতে ভালবাসি। এরজন্য যেমন আমার আলাদা পরিচয় তৈরি হয়েছে তেমনি লোকের বিরাগভাজনও হয়েছি বৈ কি! ফোন তুলে "সুপ্রভাত" বললেই অপর প্রান্তের মানুষটি বুঝে যেত এ প্রান্ত থেকে কে কথা বলছে। আবার অনেকে "বাঙালি প্রেমিক" তকমা দিয়ে অনেক বিরুদ্ধতাও করেছে। এই সংকীর্ণ মানসিকতাই আমাদের অভ্যাস খারাপ করে দিয়েছে। ইংরাজি ভাষাকে অবজ্ঞা বা অস্বীকার করার কোন উপায় আমাদের নেই। এত ব্যাপক এবং বিশাল পরিধি নিয়ে বিস্তৃত থাকা এই ভাষার গ্রহনযোগ্যতা নিয়ে সন্দেহের কোন অবকাশই নেই। কিন্তু তার জন্য অপ্রয়োজনে নিজের ভাষাকে পরিহার করতে হবে কেন? কেন অন্য ভাষাকে ব্রাত্য  করে দিতে হবে? ছোট ভাবতে হবে? মনের ভাব প্রকাশের মাধ্যমই যদি ভাষা হয়, তাহলে অনাবশ্যকভাবে মাতৃভাষা ছেড়ে অন্যভাষা ব্যবহার করার মধ্যে কি মাধুর্য থাকতে পারে, তা আমার বোধগম্য নয়। এখনকার ছেলেমেয়েরা বাংলা, ইংরাজি, হিন্দি মিলিয়ে অদ্ভূত এক ভাষা ব্যবহার করে। তারা এতেই সাবলীল। আমরা যদি তা মেনে নিতে না পারি তাহলে হয়ত খামতি টা আমাদের মধ্যেই রয়ে গেছে। ওরা তো আর ব্রিটিশের গোলামি করেনি। তাহলে? এটা বোধহয় অতি আধুনিকতার একটা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। আমাদের মত প্রাচীনপন্থীদের মাথায় ঢুকবে না। এতে ভাল হবে না মন্দ হবে তা সময়ই বলে দেবে।

article thumbnail

উপলব্ধিঃ বাথরুম- নিখিল কুমার চক্রবর্তী

বেশ কিছুদিন বা বেশ কিছুক্ষণ পরে বাইরে থেকে ঘুরে আসার পর বাথরুমে ঢুকে বাথরুমের মেঝেটা শুকনো খটখটে দেখলে বেশ আনন্দ হয়। এমনিতে বাথরুমের মেঝে সবসময় ভিজেই থাকে। জলে ভিজে থাকার কারণে হাল্কা শ্যাওলা জমে কখনও সখনও। শুকনো দেখার পর প্রথমে বিশ্বাস হয় না। চারদিক পা বুলিয়ে দেখে নিই, সত্যি সত্যিই শুকনো তো? নিশ্চিন্ত হওয়ার পর সারা মনে একটা প্রশান্তির, একটা সুখানুভূতির শিহরণ বয়ে যায়। কেন এমন হয়? বাবা বলতেন, "ঠাকুর বলেছেন রাজহংসের মত হও। দুধ আর জল মেশানো থাকলে সেখান থেকে দুধটুকু আলাদা করে নিতে শেখ।" তখন এত তত্ত্বকথা বুঝতাম না। মনে হত, এটা আবার হয় না কি? দুধ আর জল মেশানো থাকলে দুধকে আলাদা করা সম্ভব না কি? সত্যিই কি রাজহাঁস তা পারে? পরখ করে দেখি নি কোনদিন। বাবার কথাই সার কথা। তিনি তো জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে বলছেন! সুতরাং মেনে নিয়েছি। আজ এই জীবন সায়াহ্নে এসে বুঝি, বাবা কত খাঁটি কথা বলতেন। সমাজের প্রতিটা স্তরে দুধ আর জল এক হয়ে মিশে আছে। সেখান থেকে দুধকে আলাদা করাটাই কঠিন। তবে, তা করতে পারলে জীবন নিশ্চয়ই শান্তির হবে। সুখের হবে কি না, তা জানি না। কারণ, সুখ কথাটাই আপেক্ষিক! কার যে কিসে সুখ আসে তা হয়ত সে নিজেই জানে না। কেউ  দুধ বেচে মদ খেয়ে সুখের স্বাদ পায় তো কেউ মদ বেচে দুধ খেয়ে। এই যে বাথরুম শুকনো দেখে আনন্দ পাওয়া, এটাও তো সেই একই পর্যায়ের কথা। যা দেখতে অভ্যস্ত আমরা, তার থেকে আলাদা কিছু দেখে আনন্দ পাওয়া। কোথাও একটা কার্টুন দেখেছিলাম, বেতাল, অরণ্যদেব, শক্তিমান এবং এক সৎ রাজনীতিবিদের ছবি এঁকে বলা হয়েছিল এগুলোর মধ্যে একমাত্র সৎ রাজনীতিবিদই বাস্তবে সম্ভব নয়, বাকিগুলো বাস্তবে থাকলেও থাকতে পারে। তাই কোন রাজনীতিবিদ সৎভাবে সমাজের সেবা করার জন্য সামনে এলে তাঁকে মানুষ হৃদয়ে আসন দেয়। তাঁর সান্নিধ্যে আনন্দ পায়। এখনকার প্রজন্ম সাধারণত মূল্যবোধকে গুরুত্ব দেয় না। তারা কেরিয়ারের ভ্যালু বোঝে, চাকরির ভ্যালু বোঝে কিন্তু মূল্যবোধ বোঝে না। আমরাই তাদের বুঝতে শেখাই নি। ছোট্টবেলা থেকে নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকতে শিখিয়েছি। দু আড়াই বছর বয়স থেকে পিঠে বইয়ের বোঝা চাপিয়ে স্কুলে পাঠিয়ে কেরিয়ার সচেতন হতে শিখিয়েছি, দাদু দিদিমা ঠাকুমা মামা মাসী পিসির সম্পর্ক না বুঝিয়ে শুধুমাত্র ড্যাড মমে আবদ্ধ থাকতে শিখিয়েছি। অর্থাৎ বাড়ির বাগানে যত্ন করে বাবলাগাছ বসিয়েছি। সেই গাছে মিষ্টি আর রসাল আম ফলবে কি করে? তারই মধ্যে যদি কেউ যত্ন করে সত্যি সত্যিই মিষ্টি আর রসাল আম গাছ বসায় এবং সেরকম ফল পায় তাহলে তা সেই শুকনো খটখটে বাথরুমের মেঝের মতই হবে। তাই না? সমাজের প্রতিটা মেঝেতে জল জমতে জমতে যে শ্যাওলা পড়ে গেছে তা তুলে ফেলার জন্য প্রকৃত ব্লিচিং পাউডার প্রয়োজন। ব্যতিক্রম কি নেই? নিশ্চয়ই আছে। না থাকলে এই জগত সংসার চলছে কি করে? তবে, ব্যতিক্রম নিয়মের অস্তিত্বকেই প্রমাণ করে। যে কোন খারাপ নিয়মের ভাল ব্যতিক্রম থাকতে পারে আবার ভাল নিয়মের খারাপ ব্যতিক্রম থাকতে পারে। প্রথমের থেকে দ্বিতীয়টাই কাম্য হওয়া উচিত। তা হচ্ছে না বলেই চারদিকে বিশৃঙ্খলা! তবে ভাল মন্দে মেশানো জীবন শুধুমাত্র ব্যতিক্রমে আবদ্ধ থাকতে পারে না। অভিজ্ঞতার নিরিখে ভালকে ভাল বলে বা খারাপকে খারাপ বলে চিনতে পারাটাই আসল। যতদিন না সে শিক্ষা আমাদের হচ্ছে ততদিন বাথরুম শুকনো হবে না। শ্যাওলা জমে থাকবে মেঝেতে। হড়কে পড়ে যাওয়ার ভয় থাকবে। অর্থাৎ, সমাজে বা জীবনে শিক্ষা প্রতিফলিত হবে না। আমরা নচিকেতার গলায় "যে মেয়েটা রোজ রাতে বদলায় হাতে হাতে তার অভিশাপ নিয়ে চলাই জীবন" বা "প্রতিদিন চুরি যায় মূল্যবোধের সোনা আমাদের স্বপ্ন আমাদের চেতনা" গানে হাততালি দিয়ে আত্মরতিতে মগ্ন হই কিন্তু যে শ্যাওলার দিকে তিনি আঙ্গুল তুলেছেন তা পরিষ্কার করতে সচেষ্ট হই না। এ এক অন্য ধ্বংসলীলা, অন্য রতির খেলা। উত্তর আমাদেরই খুঁজতে হবে। কারণ বাথরুমটা আমাদের নিজেদের! এখানেই স্নান করে আমরা স্নিগ্ধ, শান্ত হই। {ads}

article thumbnail

নবান্নের লড়াই

আরো পড়ুন

কোভিড আতঙ্কের মাঝেই কেমন হল রাজ্যের অন্তিম দফার নির্বাচন ?

বিকেল ৫টা পর্যন্ত গড়ে মোট ভোট পড়েছে ৭৬.০৭ শতাংশ। মালদায় ভোট পড়েছে ৮০.০৬ শতাংশ, মুর্শিদাবাদে ভোট পড়েছে ৭৮.০৭ শতাংশ। এছাড়াও বাকি দুই বিধানসভা জেলায় অর্থাৎ বীরভূম এবং কলকাতা উত্তরে ভোট পড়েছে যথাক্রমে ৮১.৮৭ এবং ৫৭.৫৩ শতাংশ। আজকের দিনে রাজ্যের শেষ দফা নির্বাচনের ছবিটা মিলিয়ে মিশিয়ে। সকাল থেকে একাধিক যায়গায় বিক্ষিপ্ত অশান্তির ছবি ধরা পড়ে। আবার বেশ কিছু যায়গায় শান্তিপূর্ন ভোট হলেও স্বয়ং বুথ কর্মী ও পোলিং এজেন্ট রাই অভিযোগ করছেন মানা হচ্ছেনা করোনাবিধি, বজায় থাকছেনা সামাজিক দূরত্বও।  {link} আজকে সকাল থেকেই উত্তর কলকাতার বিভিন্ন যায়গা থেকে বিক্ষোভের খবর আসতে থাকে। বেলেঘাটা ও মানিকতলার নাম উঠে আসে বিশেষভাবে। অন্যদিকে জোড়াসাঁকোয় বুথে অভিযোগ উঠেছে কোভিড বিধি না মেনে চলার। বোলপুরের বিজেপি প্রার্থী অনির্বান গঙ্গোপাধ্যায়কে তাড়া করা হয় বাঁশ নিয়ে। সেইখানে উন্মত্ত জনতা ভেঙে দেয় তার গাড়ির কাঁচ। সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সংবাদমাধ্যম সহ সোশ্যাল মিডিয়াতে। বোলপুরের ইলামবাজারের এই কান্ড নিয়ে যথেষ্ট উত্তপ্ত রাজনৈতিক মহল। এছাড়াও শীতলকুচি বিধানসভা কেন্দ্রের সেই মর্মান্তিক ঘটনার পর আজ সেই কেন্দ্রে পুনঃনির্বাচন ছিল। এবারে ভোট শান্তিপূর্নই হয়েছে। রাজ্যে আজকে অবশেষে আটটি দফা সম্পূর্ন হওয়ার সাথে সাথেই সম্পূর্ন হল রাজ্যের ভোটগ্রহন পর্ব। কোথাও গিয়ে আজকের ভোটে মানুষের মধ্যে করোনা আতঙ্কের চিত্রটা অনেকটাই স্পষ্ট ছিল। এবার অপেক্ষা শুধু ফলপ্রকাশের।  {ads}

article thumbnail

বেলা ১টা পর্যন্ত গড়ে ভোট পড়েছে ৫৬.১৯ শতাংশ, বিক্ষিপ্ত অশান্তির মাঝেই চলছে অন্তিম দফার নির্বাচন

আজ রাজ্যে অন্তিম দফা অর্থাৎ অষ্টম দফার নির্বাচন। প্রথম সাতটি দফা সম্পূর্ন হওয়ার পর আজ অষ্টম দফায় নির্বাচনী লড়াই ৪টি জেলার মোট ৩৫টি বিধানসভা কেন্দ্রে। যার মধ্যে মালদহের ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রে, মুর্শিদাবাদের ১১টি বিধানসভা কেন্দ্রে, বীরভূমের ১১টি এবং কলকাতার ৭টি বিধানসভা কেন্দ্রে। আজকেই রাজ্যে গণতান্ত্রিক উৎসবের শেষ দিন। কিন্তু ভোটের আবহে আজ অনেকটাই আতঙ্ক রয়েছে করোনার। বাড়তে থাকা মারণ ভাইরাসের প্রকোপে অনেকটাই ম্লান হয়ে পড়েছে একুশের বিধানসভা নির্বাচন। সকাল থেকেই সমস্ত বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহন শুরু হয়েছে। কিন্তু সকাল থেকেই বিভিন্ন যায়গা থেকে বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর ভেসে আসছে।  {link} আজ অর্থাৎ ২৯শে মে অষ্টম দফার নির্বাচনে যে কটি কেন্দ্রে বিশেষভাবে নজর থাকবে তার মধ্যে কলকাতার মানিকতলা, জোড়াসাঁকো, বেলেঘাটা অন্যতম। সকাল থেকেই বেলেঘাটা ও মানিকতলায় বিভিন্ন যায়গা থেকে বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর আসছে। এছাড়াও বিশেষ নজর থাকবে বোলপুর বিধানসভা কেন্দ্রে, অনুব্রত মন্ডলকে গতকাল থেকেই নজরবন্দী করে দেওয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। অজ ইতিমধ্যেই তিনি বাইকে চড়ে এসে তার ভোটও দিয়ে গেছেন। এছাড়াও যেসব কেন্দ্রে নজর থাকবে তার মধ্যে রয়েছে মানিকচক, মালদহ, ইংলিশবাজার, বহরমপুর, জলঙ্গি ইত্যাদি। আজকের ৩৫টি আসনেই লড়াই খুব জোরদার, সকালে টুইট করে বিপুল ভোটের ডাক দিয়েছেন অমিত শাহ, কোভিড বিধি মেনে চলার কথা বলেছে নরেন্দ্র মোদী। বেলা ১টা পর্যন্ত গড়ে ভোট পড়েছে ৫৬.১৯ শতাংশ।  {ads}

article thumbnail

বেলা ১টা পর্যন্ত গড়ে ভোট পড়েছে ৫৫.১২ শতাংশ, চলছে সপ্তম দফার নির্বাচনের ভোটগ্রহন

একে একে মোট ছয় দফা সম্পূর্ন হওয়ার পর আজ রাজ্যে সপ্তম দফার নির্বাচন। আজ অর্থাৎ ২৬শে এপ্রিল ভোট পশ্চিমবঙ্গের ৪টি জেলার মোট ৩৬টি কেন্দ্রে। যার মধ্যে মালদহে ৬টি আসনে, মুর্শীদাবাদে নির্বাচন ১১টি আসনে, পশ্চিম বর্ধমানের ৯টি এবং কলকাতা ও দক্ষিন দিনাজপুরে যথাক্রমে ৪ ও ৬ টি বিধানসভা কেন্দ্রে আজ নির্বাচনী লড়াই। সকাল থেকেই ভোটগ্রহন শুরু হয়েছে সমস্ত বিধানসভা কেন্দ্রগুলিতে। কিন্তু করোনার দাপটে অনেকটাই ম্লান হয়ে উঠেছে গনতান্ত্রিক উৎসব। কড়া পাহারার মধ্যেও কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর থাকলেও মোটামুটি ভাবে ভোট হচ্ছে শান্তিপূর্ন ভাবেই।  {link} আজকের সপ্তম দফার নির্বাচনী লড়াইয়ে যে সকল কেন্দ্রের দিকে বাংলার মানুষের বিশেষ নজর থাকবে তার মধ্যে একটি অবশ্যই আসানসোল দক্ষিন একদিকে তৃণমূলের প্রার্থী সায়নি ঘোষ আর অন্যদিকে তার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অগ্নিমিত্রা পাল। সকাল থেকে বিভিন্ন বুথে বুথে ঘুরে বেড়াচ্ছেন সায়নি ঘোষ। কয়েকটি যায়গায় তার সাথে পুলিশের বচসাও বেঁধেছে বলে সূত্রের খবর। এছাড়াও নজর থাকবে ভবানীপুর, মুর্শিদাবাদ, রাসবিহারী, বালিগঞ্জ ও পান্ডবেশ্বর সহ সাগরদিঘী ও আরও বিভিন্ন কেন্দ্রে।  {ads}

article thumbnail

রাতভর চলেছে বোমাবৃষ্টি, সকালেও উদ্ধার বোমা, ভোটের দিনে উত্তপ্ত ব্যারাকপুর

ষষ্ঠ দফার নির্বাচনকে ঘিরে উত্তপ্ত উত্তর ২৪ পরগনা।ভোটের আগের রাতে উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুর লোকসভার অন্তর্গত্ আমডাঙা বিধানসভা কেন্দ্রে রাতভর বোমাবাজি চলে।এলাকার থানীয় বাসিন্দাদের মতে আমডাঙ্গা বিধানসভার সাধনপুর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত রাহানা এক নম্বর এলাকায় রাত বারোটা নাগাদ বোমাবাজি হয়। তার উপর আজকে ফের ষষ্ঠ দফার ভোট শুরু হওয়ার সাড়ে ৪ ঘণ্টার মধ্যে আবারও তাজা বোমা উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পডে আমডাঙ্গা বিধানসভা কেন্দ্রের রংমহল ৮৩ নম্বর বুথের বাইরে।স্বাভাবিক ভাবেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিপুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে সধারন মানুষের মধ্যে।  {link} স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ আই এস এফ এর কর্মীরা এই তাজা বোমা রেখেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে আমডাঙা থানার বিশাল পুলিশবাহিনী পুলিশ গোটা এলাকা ঘিরে রেখেছে এবং বোম স্কোয়ার্ডকে খবর দেওয়া হয়েছে বোমা-গুলি কে উদ্ধার করার জন্য। এছাড়াও প্রায় ১০ থেকে ১২ টি বোমা ফাটানো হয়েছে রাতের অন্ধকারে কে বা কারা এই বোমা ফাটিয়েছে তা নিয়েও তদন্ত শুরু করেছে আমডাঙা থানার পুলিশ। {ads}

article thumbnail

বেলা ১টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৫৭.৩ শতাংশ, শান্তিপূর্নভাবেই চলছে ষষ্ঠ দফার নির্বাচন

পঞ্চম দফা পর্যন্ত নির্বাচন সম্পূর্ন হওয়ার পর আজ রাজ্যে ষষ্ঠ দফার নির্বাচন। আজ ভোট মোট ৪৩টি বিধানসভা কেন্দ্রে। উত্তর ২৪ পরগনার ১৭টি আসনে, নদীয়ার ৯টি আসন সহ পূর্ব বর্ধমানের ৮টি ও উত্তর দিনাজপুরের ৯টি বিধানসভা কেন্দ্রে আজ নির্বাচনী লড়াই। সকাল থেকেই শান্তিপূর্নভাবে সমস্ত কেন্দ্রে ভোটগ্রহন চলছে। {link} আজ যে সমস্ত কেন্দ্রে জমাটি লড়াইয়ের সাক্ষী থাকতে পারে বাংলার মানুষ, তার মধ্যে অন্যতম কেন্দ্রে কৃষ্ণনগর উত্তর। মুখোমুখী লড়াইয়ে মুকুল রায় ও কৌশানি চট্টোপাধ্যায়। এছাড়াও ভাটপাড়া, চোপড়া, ইসলামপুর, করনদিঘি, রায়গঞ্জ, ইটাহার, নবদ্বীপ, বনগাঁ উত্তর ও দক্ষিণ উল্লেখযোগ্য কেন্দ্র। এর পাশাপাশি হাবড়া, ব্যারাকপুর, দমদম উত্তর সহ পূর্বস্থলীর দুই কেন্দ্রেও রাজ্যের মানুষের নজর থাকবে। সকাল থেকে কিছু যায়গায় বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর থাকলেও মোটামুটিভাবে শান্তিপূর্ন ভাবেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে রাজ্যের ষষ্ঠ দফার নির্বাচন। বেলা একটা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৫৭.৩ শতাংশ।  {ads}

article thumbnail

তৃণমূল বিজেপি সংঘর্ষে রনক্ষেত্র সল্টেলেকের শান্তিনগর, ইটবৃষ্টি

আজ গনতন্ত্রের উৎসবের পঞ্চম দফা। সেই পঞ্চম দফা নির্বাচনেই রনক্ষেত্র হয়ে উঠল সল্টলেক। আজকে সকাল থেকেই উত্তেজনার আবহ সল্টলেকের শান্তিনগর এলাকায়। দুই পক্ষের হাতাহাতি ও ইটবৃষ্টিতে রনক্ষেত্র হয়ে উঠেছে এলাকা। দীর্ঘক্ষন অশান্তির পরিবেশ থাকার পর সেই স্থানে এসে পৌছায় বিশাল পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং তারা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসে। একজন মহিলা ভোটারকে রাস্তায় ফেলে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে।  {link} স্থানীয় সূত্রের খবর বেলা ১০টা নাগাৎ হঠাতই সল্টলেকের শান্তিনগর এলাকায় পারস্পরিক বচসায় জড়িয়ে পড়ে তৃণমূল ও বিজেপির কর্মী সমর্থকেরা। সেই বচসাই ক্রমে হাতাহাতির আকার ধারন করে। ইটবৃষ্টিতে পরিস্থিতি আরও ধুন্ধুমার হয়ে ওঠে। গোটা রাস্তা ইটে ভরে যায়, এমনকি মহিলাদেরও মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাস্থলে দুই পক্ষেরই বেশ কিছুজন জখম হয়েছেন। দুই পক্ষই দুই পক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি সম্পূর্ন নিয়ন্ত্রনে। পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হতেই মাইকিং করে জমায়েত হটানোর চেষ্টা করা হয়। ভোটারদের বুথে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়ার পাশাপাশি বহিরাগতদের এলাকা থেকে বের করে দেয় পুলিশ। {ads}

article thumbnail

আবহাওয়া

আরো পড়ুন

Weather Update : বঙ্গোপসাগরে ফের নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে

শেফিল্ড টাইম্‌স ডিজিটাল ডেস্ক : শুক্রবার সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার। কোথাও কোথাও অল্প বৃষ্টি শুরু হয়েছে। অথচ সাধারণ পুজো মন্ডপগুলোতে আজ থেকেই প্রতিমা আনা শুরু হচ্ছে। এই অবস্থায় আজকের আবহাওয়ার পূর্বাভাস পাওয়া গেলো। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, বঙ্গোপসাগরে ফের নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। যার জেরে ফের একবার ঝেঁপে বৃষ্টির সম্ভাবনা কলকাতা (Kolkata) সহ গোটা দক্ষিণবঙ্গে (South Bengal Weather)। {link} পাশাপাশি উত্তরবঙ্গেও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আজ শুক্রবার থেকেই বৃষ্টি বাড়ার পূর্বাভাস বাংলার অধিকাংশ জেলায়। আজ দক্ষিণবঙ্গের দুই ২৪ পরগনায় (24 Parganas) ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতেও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। কোনও কোনও জেলায় বিক্ষিপ্ত ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে। আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে, ৮ অক্টোবর পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্ত বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আপাতত শনিবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে কম-বেশি বৃষ্টি চলবে। {link} যথেষ্ট চিন্তায় পুজো কমিটিগুলো ও আম বাঙালি। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, ঘূর্ণাবর্ত এবং অক্ষরেখার জোড়া ফলায় শুক্রবার নিম্নচাপ তৈরি হবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে। পাশাপাশি উত্তর-পূর্ব ভারতে মৌসুমি অক্ষরেখাও সক্রিয় রয়েছে। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গের আকাশে মেঘ জমেছে। শুক্রবার উত্তরবঙ্গের (North Bengal Weather) দার্জিলিং (Darjeeling), , জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri), কালিম্পঙের (Kalimpong) ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এদিকে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি হয়েছে আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারে। পুজোর এই ক'টা দিন মানুষ উৎসবের মেজাজে থাকে। এবার পুজোতে কি তা নষ্ট হতে চলেছে! উদ্বিগ্ন সাধারণ মানুষ। {ads}

article thumbnail

Weather Update : আগামী কয়েকদিন চলবে এই বৃষ্টি

শেফিল্ড টাইম্‌স ডিজিটাল ডেস্ক : সকাল থেকেই মেঘাচ্ছন্ন আকাশ। কোথাও কোথাও অল্প বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বুধে বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিলই। কিন্তু হাওয়া অফিস জানাচ্ছে আগামী কয়েকদিন চলবে এই বৃষ্টি। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের রিপোর্ট,বঙ্গোপসাগরের উপরে একটি নিম্নচাপ রয়েছে। যে কারণে আজ রাজ্যজুড়ে ঝেঁপে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তর থেকে দক্ষিণ, কমবেশি সর্বত্র দেখা যাবে এক চিত্র। দক্ষিণবঙ্গের জেলায় জেলায় জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতা (yellow alert)। {link} আজ দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে বর্ষণের পূর্বাভাস রয়েছে। প্রত্যেকটি জেলায় হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। যদিও সব জেলায় ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস নেই। হুগলি, নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগণা, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ এবং বীরভূমের একটি অথবা দু’টি অংশে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। অন্যান্য যেতেও মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস আছে। হাওয়া অফিস আরও জানচ্ছে, বৃহস্পতিবারও ভিজবে দক্ষিণবঙ্গ। আগামীকাল পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম বর্ধমানের কিছু কিছু জায়গায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। সেই সঙ্গেই দক্ষিণ ২৪ পরগণা, বাঁকুড়া, বীরভূম, পূর্ব মেদিনীপুর এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতা। {link} কারণ ওই জেলাগুলিতে বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি বর্ষণ হতে পারে। অন্যদিকে উত্তরের আকাশেও জমেছে কালো মেঘ। তাই বৃষ্টি থেকে নিস্তার নেই উত্তরবঙ্গেরও। উত্তরের সকল জেলায় জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতা। আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি এবং দার্জিলিংয়ের কিছু অংশে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। বাকি জেলাগুলিতে বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে উত্তরে বৃষ্টি বাড়বে। সেদিন দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সব মিলিয়ে বুধবার বাংলার আকাশে কালো মেঘের ঘনঘটা। {ads}

article thumbnail

Weather Report : কলকাতায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই

শেফিল্ড টাইম্‌স ডিজিটাল ডেস্ক : আজ সোমবার যখন সারা দেশের মানুষ তাকিয়ে আছে আর জি কর কান্ড নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দিকে তখন আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানালো এবার ভারী বৃষ্টির দিন এগিয়ে আসছে। বঙ্গোপসাগরের গভীর নিম্নচাপ ক্রমশ শক্তি বাড়িয়ে ওড়িশা (Odisha) বাংলা উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে। আজ, সোমবার দুপুরের মধ্যে এটি ওড়িশার পুরীর (Puri) কাছাকাছি স্থলভাগে প্রবেশ করবে অতি গভীর নিম্নচাপ রূপে। {link} এর প্রভাবেই দক্ষিণবঙ্গে (South Bengal) আজ হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে। কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টি হতে পারে। কলকাতায় (Kolkata) ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা না থাকলেও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ কয়েক পশলা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টায়। দিনভর মেঘলা আকাশ এবং আবহাওয়ার পরিবর্তন (Weather changes) হওয়ার সম্ভাবনা। সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি থাকবে। এমনটাই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। দক্ষিণবঙ্গের উপকূল-সহ সংলগ্ন জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। {link} মৎস্যজীবীদের (Fishermen) সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। বুধবার পর্যন্ত বাংলা ও ওড়িশার মৎস্যজীবীদের জন্য সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করেছে আবহাওয়া দফতর। দীঘায় (Digha) ঢেউ উত্তাল হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। আজ, সোমবার কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিক তাপমাত্রার থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। আবার উত্তরবঙ্গ (North Bengal) সম্পর্কে হাওয়া অফিস জানাচ্ছে,ভারী বৃষ্টি হবে উত্তরবঙ্গের পার্বত্য এলাকাতেও। তবে মালদা, জলপাইগুড়িতে হাল্কা বৃষ্টি হলেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। {ads}

article thumbnail

Weather Report : ফের বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা

শেফিল্ড টাইম্‌স ডিজিটাল ডেস্ক : আজ হয়তো হাল্কা বৃষ্টি হবে। শুধু দক্ষিণবঙ্গ (South Bengal) নয়, উত্তরবঙ্গের (North Bengal) কোথাও কোথাও আজ শুক্রবার হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস আছে। আজ সকলে আলিপুর আবহাওয়া অফিস থেকে জানানো হয়েছে,ফের নতুন করে বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় সেই নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এরফলে শনিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। তবে আজ বিকেলের দিকে হাল্কা বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। {link} সেই অর্থে বৃষ্টির পূর্বাভাস না থাকলেও আজ ও কাল বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে। বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এদিন বজ্রবিদ্যুতের পূর্বাভাস রয়েছে হাওড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, বীরভূম ও মুর্শিদাবাদ জেলায়। তবে মৎস্যজীবীদের (Fishermen) জন্য কোনো সতর্কবার্তা নেই। একটু বেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পুরুলিয়া, দুই বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ, নদিয়ায়। শনিবার গণেশ চতুর্থীর (Ganesh Chaturthi) দিন থেকে আরও বৃষ্টি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। {link} সম্ভবত আজ সারাদিন আকাশ মেঘলা থাকবে। এদিন মহানগরীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৪ সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। অন্যদিকে আজ উত্তরবঙ্গের কোনো কোনো জেলায় হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শুক্রবার অধিক বর্ষণের সম্ভাবনা কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারের কোনও কোনও জায়গায়। আজ ও আগামীকাল উত্তরবঙ্গের কোনো জেলাতেই ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই। বজ্রবিদ্যুতের সম্ভাবনাও সেভাবে নেই। আবহাওয়ার বদল হতে পারে রবিবার থেকে। {ads}

article thumbnail

Weather Update : আজ ভাসবে সারা বাংলার অনেক জেলা

শেফিল্ড টাইম্‌স ডিজিটাল ডেস্ক :  বেশ কয়েকদিন ধরেই এক নাগাড়ে বৃষ্টি হচ্ছে। রবিবার কমবেশি সব জেলাতে প্রবল বৃষ্টি হয়েছে। প্রবল জল জমেছে কলকাতায় (Kolkata) সহ দক্ষিণবঙ্গের (South Bengal) একাধিক জেলায়। আলিপুর আবহাওয়া অফিস জানাচ্ছে আজ, সোমবার ভাসবে সারা বাংলার অনেক জেলা। নিম্নচাপের জেরে আজ, সোমবারও ভারী বৃষ্টি হবে দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে, এমনটাই পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের। {link} আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের (Bangladesh) উপরে তৈরি নিম্নচাপের জেরে আজও দিনভর বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বিগত দিনকয়েক ধরেই নিম্নচাপের জেরে বৃষ্টি হচ্ছে দক্ষিণবঙ্গ সহ একাধিক জেলায়। সেই প্রভাব এখনও বর্তমান। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টি চলবে আজও। এই মুহূর্তে নিম্নচাপ ঝাড়খন্ড (Jharkhand) থেকে ধীরে ধীরে বাংলাদেশের দিকে সরে যাচ্ছে। {link} মনে করা হচ্ছে মঙ্গলবার থেকে বাংলায় বৃষ্টি কিছুটা কমবে। তাপমাত্রা অনেকটাই কমেছে। এদিকে, বৃষ্টি শুরু হতেই বাড়ছে প্লাবনের আশঙ্কা। ঝাড়খণ্ডে বেশি বৃষ্টি হলে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জায়গা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। পাশাপাশি ডিভিসিও জল ছাড়ছে। এর ফলে গঙ্গার পার্শ্ববর্তী হাওড়া, হুগলীতে প্লাবনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গেও বৃষ্টি চলেছে। দার্জিলিং ও কালিংপঙে আজকে ভারী বৃষ্টির কথা জানানো হয়েছে। অন্যান্য জেলাতেও মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে। {ads}

article thumbnail

Weather Update : উত্তর থেকে দক্ষিণ সর্বত্রই আজ বৃষ্টিতে ভিজবে

শেফিল্ড টাইম্‌স ডিজিটাল ডেস্ক : বৃহস্পতিবার বেলা বাড়লেই ভিজবে দুই বঙ্গ। উত্তর থেকে দক্ষিণ সর্বত্রই আজ বৃষ্টিতে ভিজবে। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার ভারী বৃষ্টিতে ভিজতে পারে দক্ষিণবঙ্গের (South Bengal Weather) চারটি জেলা। এছাড়াও প্রায় সমস্ত জেলাতেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলবে। দক্ষিণবঙ্গে (South Bengal) আজ ভালো বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। {link} আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার দক্ষিণবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়ায় কিছু অংশে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি বাকি দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সমস্ত জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যেই হলুদ সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দপ্তর। শুক্রবার অবধি বৃষ্টি চলবে দক্ষিণ বঙ্গের নানা জেলায়। ভিজবে কলকাতাও (kolkata)। এমনটাই জানা যাচ্ছে। শুক্রবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের কিছু অংশে। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে শনিবার থেকে বৃষ্টি কমবে দক্ষিণবঙ্গে (South Bengal Weather)।  {link} শনিবার দক্ষিণের কোনও জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টির সঙ্গে উষ্ণতা অনেকটাই কমবে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। আজ বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গেও ভালো  বৃষ্টির ফোরকাস্ট (Rain forecast) আছে। উত্তরবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই আজ বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা উত্তরের মালদা এবং উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর এবং জলপাইগুড়িতে। হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বাকি জেলাগুলিতে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। শুক্রবারে ভারী বৃষ্টিতে ভিজতে পারে দার্জিলিং, কালিম্পং আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়ি জেলা। তবে দক্ষিণে আজ ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস আছে। {ads}

article thumbnail

বিনোদন

আরো পড়ুন

Ditipriya Roy : দুর্গাপুজো কেমন ভাবে কাটাবেন দিতিপ্রিয়া ?

শেফিল্ড টাইম্‌স ডিজিটাল ডেস্ক : সারা বছর বাঙালি অপেক্ষা করে এই পুজোর কয়েকটা দিনের জন্য। প্রত্যেকেই নিজেদের মতো করে আনন্দে সময় কাটায়। এই বিষয়ে অবশ্য সেলিব্রেটিদের (celebrity) আলাদা কিছু প্রোগ্রাম থাকে। কারণ পথে-ঘাটে তাদের ভক্তদের আবদার তো মানতেই হবে। বিনোদন জগতের অনেকেই এবছর ব্যস্ত থাকবার  আর জি কর কাণ্ডের (R G kar Incident) প্রতিবাদে। {link} চলবে প্রতিবাদ মিছিল। মিছিলের মাঝে চলতি বছরের দুর্গাপুজোটা কেমন ভাবে কাটাবেন অভিনেত্রী দিতিপ্রিয়া রায় (Ditipriya Roy)? প্রতি বছর পুজোয় বেশির ভাগ সময়টাই কাজে কাজে কেটে যায় অভিনেত্রীর। তবে এই বছরটা তাঁর কাছে কিন্তু একটু অন্যরকম। জীবনে এসেছে নতুন মানুষ। দিতিপ্রিয়ার কাছে আমরা জানতে চাই এবার পুজোতে তিনি কি করবেন? দিতিপ্রিয়ার স্পষ্ট উত্তর - "আমার পুজোটা সাধারণত কাজে কাজেই কেটে যায়। আর তাছাড়া হয়তো বন্ধুদের সঙ্গে একটু বাড়িতে আড্ডা দেব।” {link} এখানে তিনি শেষ করলেন না। আমাদের পরের প্রশ্নের উত্তরে দিতিপ্রিয়া বলেন,"আমার বয়ফ্রেন্ড (Boyfriend) আর আমি দুজনেই খুব লাজুক মানুষ। তাই প্লিজ আমাদের প্রেম (Prem) নিয়ে আলোচনা করবেন না। খুব অস্বস্তি করছে। তবে এটা বলতে পারি। ও নিজের পেশার জন্য শহরের বাইরে থাকে। পুজোয় ছুটি পাওয়ার সুযোগও কম। যদি ছুটি পেয়ে কলকাতায় আসে তাহলে হয়তো একদিন বেরোব।” বাকি দিনগুলো বাড়িতে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিয়ে আর জমিয়ে খাওয়া দাওয়া করেই কেটে যাবে নায়িকার। উল্লেখ্য, অভিনেত্রীর প্রেমিক পেশায় ফুটবলার (football player)। চেন্নাইয়িন (Chennai) এফসির বাঙালি ফুটবলার শমীক মিত্রর সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন দিতিপ্রিয়া। চেন্নাই এফসির গোলকিপার (Goalkeeper) শমীক, শিলিগুড়ির (Siliguri) ছেলে। {ads}

article thumbnail

U.S.A: জিন সংক্রান্ত গবেষণায় চূড়ান্ত নিদর্শন দিলেন দুই মার্কিন গবেষক

শেফিল্ড টাইম্‌স ডিজিটাল ডেস্ক :  জিন সংক্রান্ত গবেষণা আধুনিক বিজ্ঞানে এক অন্যতম গবেষণা। যে গবেষণা থেকে চিকিৎসা সংক্রান্ত পরীক্ষার ও সফল চিকিৎসার দরজা খুলে গেছে অনেকটাই। এবার সেই গবেষণার চূড়ান্ত নিদর্শন দিলেন দুই মার্কিন গবেষক ভিক্টর অ্যামব্রোস এবং গ্যারি রুভকুন। মাইক্রো-আরএনএ বা এম-আরএনএ নিয়ে তাঁদের অগ্রগামী গবেষণার কারণে এই স্বীকৃতি দেওয়া হল তাঁদের। পোস্ট-ট্রান্সক্রিপশনাল জিন নিয়ন্ত্রণে এম-আরএনএ-র বড় ভূমিকা রয়েছে। মেডিসিনে নোবেল বিজয়ীদের বাছাই করে সুইডেনের স্টকহোমের ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউটের নোবেল অ্যাসেম্বলি। {link} তারা জানিয়েছে, এই দুই মার্কিন বিজ্ঞানীর যুগান্তকারী আবিষ্কার জিন নিয়ন্ত্রণের একটি সম্পূর্ণ নতুন নীতির খোঁজ দিয়েছে। ফলে চিকিৎসা বিজ্ঞানে ভবিষ্যতে এই আবিস্কার হয়ে উঠবে একটা অন্যতম স্তম্ভ।গবেষণা সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কীভাবে মানুষের ডিএনএর মধ্যে থাকা একই জেনেটিক তথ্য থেকে, মানুষের হাড়, স্নায়ু, ত্বক এবং হৃদপিণ্ডের কোষ-সহ বিভিন্ন ধরণের বিশেষ কোষের জন্ম হয়, সেই সম্পর্কে মূল্যবান অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করেছে অ্যামব্রোস এবং রুভকুনের গবেষণা। অভিন্ন জেনেটিক উপাদান থাকা সত্ত্বেও, কীভাবে এই বিভিন্ন টিস্যুগুলি বিকাশিত হয়, সেই জটিল প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করতে সাহায্য করেছে তাঁদের কাজ। {link} আর্থিক পুরস্কার হিসেবে মার্কিন বিজ্ঞানী জুটি ১ কোটি ১০ লক্ষ সুইডিশ ক্রাউন (প্রায় ৯,২৩,৬৭,৫০১ টাকা) পাবেন, যা তাদের মধ্যে সমানভাগে ভাগ করা হবে। রীতি অনুযায়ী, প্রথমেই মেডিসিনে প্রতিবছরের মতো, নোবেলজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। এরপর একে একে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, সাহিত্য এবং শান্তিতে নোবেলজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে। {ads}

article thumbnail

Ratan Tata : রতন টাটার অজানা প্রেমের কাহিনী এবার প্রকাশ্যে

শেফিল্ড টাইম্‌স ডিজিটাল ডেস্ক : 'রতন টাটা' (Ratan Tata) নামটাই এখন বিশ্ববাসীর কাছে যথেষ্ট। তিনি শুধুই ধন কুবের নন, সঙ্গে একজন বিরাট সমাজসেবীও। বিশ্বের একমাত্র ব্যবসায়ী (businessman) যিনি তাঁর লাভের একটা বড়ো অংশ গরিব মানুষকে দান করেন। ৮৬ বছরের রতন টাটা অবিবাহিত। কিন্তু কেন? সেই প্রশ্নের উত্তর তিনি নিজেই দিয়েছেন। {link} শোনা যায়, টাটা নাকি ভালবেসেছিলে অভিনেত্রী সিমি গারেওয়ালকে (Simi Garewal)। তবে সেই প্রেমও পরিণতি পায়নি। সিমির সঙ্গে প্রেম নিয়ে কোনওদিন প্রকাশ্যে মুখ খুলতে দেখা যায়নি টাটাকে। তবে যে প্রেম নিয়ে প্রকাশ্যেই মুখ খুলেছিলেন তিনি।  টাটার জীবনে কে সেই নারী? কে সেই স্বপ্নসুন্দরী? এবার তা সকলের সামনে এসেছে। সে বহুযুগ আগের কথা। তখন ইন্দো-চিন যুদ্ধ চলেছে। যুদ্ধের কারণে সে প্রেম কার্যত বলি দিতে হয়েছিল এই মহান শিল্পপতিকে। সিমি গারেওয়ালের টক শো’তেই জীবনের সেই কাহিনী শেয়ার করেছেন টাটা। তিনি জানান, সে সময় লস এঞ্জেলসে কাজ করছিলেন। সেখানেই তাঁর আলাপ হয় তাঁর স্বপ্নসুন্দরীর সঙ্গে। {link} তাঁর কথায়, “কলেজ শেষ হওয়ার পর আমি লস এঞ্জেলসে একটি কাজ পাই। দুই বছর সেখানে কাজ করি আমি। কী সুন্দর সময় কাটাই।" তখনই তিনি প্রেমে পারেন এক নারীর। তার স্বপ্ন সুন্দরী! তিনি বলেন,"সে সময় প্রেমে পড়ি আমি। বিয়েটাও করে ফেলতাম। তবে আমায় ভারতে ফিরতে হত। খবর পাই ঠাকুমা খুব অসুস্থ।” ভারতে কিছু সময় কাটিয়ে আবারও প্রেমের টানে লস এঞ্জেলসে (Los Angeles) ফিরে যান টাটা প্রেমের টানে। ঠিক করেন এবার দেশে ফিরবেন তাঁকে নিয়েই। বিয়ে করবেন, গড়ে তুলবেন স্বপ্নের সংসার। তবে সেই ইচ্ছে অপূর্ণ থেকে যায়। কিন্তু তা আর হলো না। তাঁর কথায়, ‘'সে সময় ইন্দো-চিন যুদ্ধ চলছিল। আমি তাঁকে নিয়ে এই দেশে চলে আসি এমনটা চাননি ওঁর বাবা-মা। ও সেই সিদ্ধান্ত মেনে নেয়। আমার সঙ্গে ভারতে আসতে চায় না। কিন্তু আমাকে যে দেশে ফিরতেই হত। তাই আমি ফিরে আসি। আমাদের সম্পর্কটাও তাসের ঘরের মতো ভেঙে যায়।” এমন করুন কাহিনী সকলের চোখেই জল এনে দেয়। {ads}

article thumbnail

Rocky Island : উত্তরবঙ্গে মূর্তি নদীর তীরে অসাধারণ 'রকি আইল্যান্ড'

 শেফিল্ড টাইম্‌স ডিজিটাল ডেস্ক : এবার আমাদের ভ্রমণ সঙ্গীর একদম নতুন ঠিকানা রকি আইল্যান্ড। উত্তরবঙ্গ মানেই পাহাড় জঙ্গল এমনটা কিন্তু নয়। তার বাইরেও একাধিক জায়গা রয়েছে। তেমনই একটা জায়গা রকি আইল্যান্ড (Rocky Island)। একেবারে অন্য রকমের বেড়ানোর মজা পাওয়া যায়। মূর্তি নদীর তীরে অসাধারণ এক জায়গা এই রকি আইল্যান্ড। উত্তরবঙ্গের (North Bengal) একটি দিকে যেমন রয়েছে কাঞ্জনজঙ্ঘার (Kangchenjunga) হাতছানি। অন্যদিকে রয়েছে জঙ্গলের হাতছানি। তার মাঝেই মূর্তি নদীর পাড়ে রয়েছে এই ছোট্ট অফবিট জায়গা রকি আইল্যান্ড। {link}   রকি আইল্যান্ড ভ্রমণের নির্দিষ্ট কোনো সময় নেই। শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা প্রায় সব ঋতুতেই এখানে আসা যায়। রকি আইল্যান্ডের সৌন্দর্য লুকিয়ে রয়েছে মূর্তি নদীকে ঘিরে। পাহাড়ের পাদদেশে মূর্তি নদীর পাড়ে ছোট্ট একটা জায়গা। রকি আইল্যান্ড এমনই একটা জায়গা যেটির কাছেই রয়েছে ভুটান সীমান্ত (Bhutan border)। পায়ে হেঁটেই ভুটান সীমান্তের গ্রাম ঘুরে আসতে পারবেন। পাহাড় আর ডুয়ার্সের মধ্যবর্তী জায়গায় অবস্থান এই রকি আইল্যান্ডের। মার্চ এপ্রিম মাসে মূর্তি নদীর জল অনেকটাই শুকিয়ে যায়। মূর্তি নদীর পাড়েই অনেক্ষণ বসে কাটিয়ে দেওয়া যায়। মূর্তি নদীর উপরে রয়েছে একটি ব্রেল ব্রিজ। এই ব্রেল ব্রিজের উপরে দাঁড়িয়ে পর্যটকরা ছবি তোলেন। সেলফি তোলার সেরা জায়গা বললে ভুল হবে না। {link} রিভার বেডে নেমে ঘুরতে পারেন পর্যটকরা (tourist)। তবে মূর্তি নদীর জলের স্রোত এতটাই যে সেখানে বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা যায় না। স্নান তো দূরের কথা। পাথুরের রাস্তার সব বাধা পেরিয়ে কুলকুল শব্দে বয়ে চলে নদী। তীব্র তার গর্জন। আপনাকে মুগ্ধ করবে ওই জলধ্বনি। রকি আইল্যান্ডে কাছে থাকার অনেক জায়গা রয়েছে। হোম স্টে থেকে হোটেল যেখানে পছন্দ থাকতে পারেন। এখানে শুধু দক্ষিণবঙ্গ নয় উত্তরবঙ্গের পর্যটকরাও বেড়াতে যান। শিলিগুড়ি (Siliguri) শহর থেকে ৮২ কিলোমিটার দূরে রয়েছে রকি আইল্যান্ড। সামসিং থেকে তার দূরত্ব ২ কিলোমিটার। সামসিংও বেড়ানোর সুন্দরপ একটা জায়গা। ৩/৪ দিন মনের আনন্দে ঘুরে আসুন রকি আইল্যান্ড। {ads}

article thumbnail

Japanese curry : জাপানি 'কারি রাইস'- স্বাস্থ্য ও স্বাদে অনন্য

শেফিল্ড টাইম্‌স ডিজিটাল ডেস্ক : পৃথিবীর সবচেয়ে স্বাস্থ্য-সচেতন (Health-conscious) সম্প্রদায় হলো জাপানিরা (Japanese)। তাঁরা স্বাস্থ্যের সঙ্গে কখনো কম্প্রোমাইজ করে না। তাদের রান্নার কালচারে আছে 'স্বাস্থ্যবিধি' কখনো উপেক্ষিত হয় না। বাঙালির কাছে মাংসের ঝোল ও ভাত যেমন উপাদেয় খাদ্য ঠিক তেমনি জাপানিদের প্রিয় খাদ্য হলো 'কারি রাইস' (Curry Rice)।  উপকরণ - ভাতের জন্য ৩০০/৩৫০ গ্রাম ভালো চাল। মূল আমিষ হিসাবে ৫০০ গ্রামের মত বোনলেস চিকেন (Boneless Chicken) বা কাঁটা ছড়ানো যেকোনো সামুদ্রিক মাছ। সবজির (vegetable) মধ্যে - আলু,গাজর,করাইশুঁটি, আপেল কোরা। {link}   মশলা - পিয়াঁজ কুচি,আদা ও রসুন বাটা,সয়া সস, এলাচ,নুন, বাটার,ময়দা,কেয়াপ।  প্রণালী -  প্রথম পর্ব -  ভাত করে শুকিয়ে আলাদা পাত্রে রাখুন দ্বিতীয় পর্ব - একটি ছোট সসপ্যানে ২ টেবিল চামচ বাটার দিন। বাটার অল্প গলে গেলে তাতে ১ টেবিল চামচ ময়দা দিয়ে নাড়তে থাকুন। ব্রাউন রঙের হয়ে এলে ও ফুটতে শুরু করলে ৩ টেবিল চামচ সয়া সস দিন। ভালো করে নাড়তে থাকুন। এবার এতে কেচাপ দিন ২ টেবিল চামচ। নাড়তে থাকুন।এতে জল দেবেন না। জল-ছাড়াই যে মিশ্রণটি তেরি হবে, সেটি ওভেন থেকে নামিয়ে রাখুন।  {link}   তৃতীয় পর্ব - এবার একটি বড় সসপ্যানে তেল গরম করুন। কুচি কুচি করা পেঁয়াজ গরম তেলে ছেড়ে দিন। অল্প আঁচে পেঁয়াজ ভাজুন। অল্প বাদামি রঙের হয়ে এলে তাতে বোনলেশ চিকেন বা সিফিস দিয়ে দিন। ভালো করে রান্না করুন। আদা-রসুন বাটা দিয়ে ভালো করে কষে নিন। এবার এতে যে যে ভেজিটেবিলগুলি কেটেছেন সেগুলি দিয়ে দিন। অল্প রান্না করার পর ২ কাপ জল দিয়ে দিন। একটু ফুটে উঠলে এলাচ দিতে পারেন। গন্ধের জন্য। এবার সসপ্যানের ঢাকনা দিয়ে দিন। ১০ মিনিট পর ঢাকনা খুলে চৌকো করে কাটা আলুগুলি দিয়ে আবার ঢাকনাটি দিয়ে দিন। বেশ কিছুক্ষণ রেখে ঢাকনা খুলুন। দেখুন, মাংস/মাছগুলি সেদ্ধ হয়েছে কিনা।  এতে অল্প মিষ্টতা আনতে, আপেল কোরা করে দিতে পারেন। একদম আলাদা স্বাদের এটি রান্না। জাপানে যেভাবে রান্নাটি করা হয়, সেই হিসেবে এখানে আপেল ব্যবহার করতে পারেন। অল্প নাড়াচাড়া করার পর, ১ টেবলচামচ গরম মশালা ছড়িয়ে দিন। স্বাদমতো নুন দিন। জল যদি দরকার পড়ে, তাহলে দেবেন। দরকার না হলে সসপ্যানের ঢাকনা বন্ধ করে ফুটতে দিন। এবার যে মশালাটি বানানো হয়েছিল, সেটি এবার এতে দিয়ে দিন। মশালা ভালো করে মিশিয়ে দেওয়ার পর তাতে মটরশুটি দিয়ে দিন। গরম গরম ভাতের উপর এই জাপানিজ কারি ঢেলে দিন। {ads}

article thumbnail

Health News : কালো কিসমিস বহু গুণের আধার

শেফিল্ড টাইম্‌স ডিজিটাল ডেস্ক : সভ্যতার বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের খাদ্যের অভ্যাসও পরিবর্তন হচ্ছে। কিন্তু এখন আমাদের ক্যালোরি মেপে ও খাদ্যের খাদ্যগুণ মেপে খাবার খাওয়া উচিত। তা নাহলেই ওজন বৃদ্ধি ও তার কারণে একাধিক রোগের আবির্ভাব। পুষ্টিবিদ থেকে চিকিৎসকরাও নানা ধরনের ফলের বীজ বা ডিটক্স ওয়াটার খাবার পরামর্শ দেন। {link} তেমনই একটি উপকারী ফল হল কালো কিশমিশ (Raisins)। কালো কিশমিশের (Black raisins) জল খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে অনেকের। পুষ্টিবিদরা (Nutritionists) জানাচ্ছেন - ১) কালো কিশমিশে আছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন (iron)। শরীরে লোহিত রক্তকণিকা তৈরিতে সাহায্য করে এই শুকনো ফল। তাই যাঁরা রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়ার (Anemia) সমস্যায় ভুগছেন তাঁরা, নিয়মিত কালো কিশমিশ খেয়ে দেখতে পারেন। ২) কিশমিশে আছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম (potassium)। পটাশিয়াম হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। শরীরের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখতে এবং খারাপ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। {link} ৩) কালো কিশমিশে আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট (Antioxidants)। এতেই আছে পলিফেনল, ফ্ল্যাভোনয়েডের মতো উপাদান। এই সব উপাদান ফ্রি র‌্যাডিক্যালের সমতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। ৪) কালো কিশমিশে ফাইবারের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। তাই হজমের সমস্যা অথবা কোষ্ঠকাঠিন্য (Constipation) কমাতে দারুণ উপকারী এই ফল। {ads}

article thumbnail