header banner

Live From @sheffieldttimes

Howrah: Once Ma kali was worshiped here by robbers!! Famous Siddheswari Kali Temple and it's history
LIVE Cyclone Dana News: Rains started due to impact of Cyclone Dana. The location of Dana is 460 km from Sagar Dwip.
Meeting with Junior Doctors
LIVE: Protestor's statement from Dharmatala hunger strike on Tuesday
Kumari Puja | Belur Math
<br />
<b>Notice</b>:  Undefined variable: headerad in <b>/home/u937603675/domains/sheffieldttimes.com/public_html/components/ads-sidebar.php</b> on line <b>26</b><br />
<br />
<b>Notice</b>:  Trying to get property 'name' of non-object in <b>/home/u937603675/domains/sheffieldttimes.com/public_html/components/ads-sidebar.php</b> on line <b>26</b><br />
<br />
<b>Notice</b>:  Undefined variable: headerad in <b>/home/u937603675/domains/sheffieldttimes.com/public_html/components/ads-sidebar.php</b> on line <b>26</b><br />
<br />
<b>Notice</b>:  Trying to get property 'name' of non-object in <b>/home/u937603675/domains/sheffieldttimes.com/public_html/components/ads-sidebar.php</b> on line <b>26</b><br />
Don't Miss
Photo Booth
featured
featured
featured
featured

ব্যবসা ও বাণিজ্য

আরো পড়ুন

Earn Money: শীতকালে মরশুমি ফুলের ব্যবসায় প্রচুর লাভ

শেফিল্ড টাইম্‌স ডিজিটাল ডেস্ক : প্রথম শর্ত কৃষি-কাজকে ভালোবাসতে হবে। যদি সামান্য জমি থাকে ও কৃষি-কাজে মন থাকে তাহলে মরশুমি ফুলের চাষ করে প্রচুর লাভ করা সম্ভব। মুরশুমি ফুলের নার্সারি বর্তমানে বিকল্প রোজকারের পথ দেখাচ্ছে। ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকা, এস্টার, ক্যালেন্ডুলা সহ নানা শীতকালীন ফুল বাড়ির সামনের ছোট্ট জায়গায় শোভা পায় প্রতিটি পরিবারে। ফলে নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর এমন কি জানুয়ারী পর্যন্ত বিভিন্ন শীতকালীন (Winter) ফুল গাছের চাহিদা বাজারে থাকে। ফলে অত্যন্ত লাভজনক ব্যবসা। {link} শীতের সময়টা বাড়িতে বাগান করতে ভালবাসেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। বাড়ির সামনে উঠোনের একটু ফাঁকা জায়গা হোক বা ছাদে তবে শীতকালীন নানা ধরনের ফুলের গাছ লাগান বহু মানুষ। ফলে নার্সারি থেকে ডালিয়া চন্দ্রমল্লিকা সহ নানান ধরনের ফুলের গাছ বহু সংখ্যক বিক্রি হয়। ফলে এবার শীতের আগেই মরশুমি ফুল গাছের ব্যবসা আপনাকে লাভবান করে তুলবে। এই বিষয়ে আমরা কথা বলেছিলাম একাধিক নার্সারি মালিক ও কৃষি আধিকারিকের সঙ্গে। তাঁরা জানালেন, এই শীতকালীন ফুলের নার্সারি খুব সহজেই কম জায়গায় তৈরি করা সম্ভব। বর্তমান সময়ে এটি একটি বিকল্প রোজগারের পথ। বিশেষ করে শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতীদের কাছে স্বনির্ভর বা স্বাবলম্বী হয়ে ওঠার একটি আদর্শ উপায়। {link} সামান্য খরচে ছোট্ট জায়গায় মুরশুমি ফুল গাছের নার্সারি থেকে মাসিক ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। এ বিষয়ে এক নার্সারীর মালিক জানান, শেষ পাঁচ বছর ধরে বিভিন্ন মুরশুমি ফুল ও ফল চারা গাছে নার্সারি করেছেন। এখান থেকে রোজকার হচ্ছে ভালই। তিনি  আরও জানান, নিজের হাতে বীজ থেকে বা কলম পদ্ধতিতে গাছ তৈরি করেন না। অন্য কোন বড় নার্সারি থেকে পাইকারি মূল্যে বিভিন্ন চারা গাছ নিয়ে আসেন। এবং তা খুচরো বাজারে বিক্রি করেন। আর তাতেই লভ্যাংশের পরিমাণ যথেষ্ট ভাল। বর্তমান সময়ে গাছ লাগান বহু মানুষ। নার্সারিতে বিভিন্ন ফুল ফলের চারা গাছের চাহিদা বাড়ছে। অন্যদিকে শীতের মরশুমী বিভিন্ন শীতকালীন ফুল ও ফল চাহিদা দ্বিগুণ বৃদ্ধি পায়। সহজেই এই নার্সারি তৈরি করে বেকার যুবক-যুবতীরা আর্থিকভাবে নিজেরা স্বাবলম্বী হতে পারবে। {ads}

article thumbnail

Tata group: বিকশিত ভারত’ গঠনে পদক্ষেপ নেবে টাটা গ্রুপ

 শেফিল্ড টাইম্‌স ডিজিটাল ডেস্ক : রতন টাটা সদ্য প্রয়াত হয়েছেন। কিন্তু তাই বলে, টাটা গ্রুপ কিন্তু থেমে থাকে নি। তাদের ব্যবসার প্রসার ঘটিয়েই চলেছে। অটোমোবাইল, প্রযুক্তি থেকে স্বাস্থ্য- বিভিন্ন ক্ষেত্রে টাটার বিশাল কর্মকাণ্ড চলে দেশ জুড়ে। আগামী কয়েক বছরে এই গ্রুপের হাত ধরে কর্মসংস্থান যে আরও বাড়বে, সে কথাই জানালেন টাটা গ্রুপের চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরন। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, ১০২৫ সালে তাঁরা কয়েক লক্ষ কর্মী নিয়োগ করবেন। মঙ্গলবার ‘ইন্ডিয়ান ফাউন্ডেশন ফর কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট’ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এ কথা বলেন এন চন্দ্রশেখরন। {link}   তিনি জানান, তাদের আগ্রগতি কেউ আটকাতে পারবে না। দেশের বেকারত্বর কথা ভেবে তাঁরা ম্যানুফ্যাকচারিং শিল্পকে আরও বাড়াতে চলেছে। তিনি জানিয়েছেন, আগামী ৫ বছরে নির্মাণ ক্ষেত্রে অন্তত ৫ লক্ষ কর্মী নিয়োগ করবে টাটা গ্রুপ। ভারতকে উন্নততর দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার কাজে এই সংস্থা যে পদক্ষেপ করছে, তার উল্লেখ করেন তিনি। টাটা-র ই শীর্ষকর্তা জানিয়েছেন, ইলেকট্রিক ভেইকল, ব্যাটারি, সেমিকন্ডাকটারের মতো ক্ষেত্রে এই নিয়োগ হবে। চন্দ্রশেখরনের মতে, নির্মাণ ক্ষেত্রে উন্নতি না হলে, দেশের উন্নয়নের পথ প্রশস্ত হবে না। ‘বিকশিত ভারত’ ভারত গঠনে এই পদক্ষেপ খুব জরুরি বলে মনে করেন তিনি। {link} এন চন্দ্রশেখরন উল্লেখ করেছেন, সেমিকনডাক্টার, ইলেকট্রিক ভেইকল, ব্যাটারি সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে টাটা গ্রুপ যে বিনিয়োগ করেছে, তাতে আগামী ৫ বছরে ৫০ লক্ষ নতুন চাকরি তৈরি হবে। চাকরির যারা সন্ধান করছেন, তাঁরা নিয়মিত টাটাদের বিজ্ঞাপন লক্ষ রাখুন। {ads}

article thumbnail

Budget Expectations: আসন্ন বাজেটটিতে কী কী বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে কেন্দ্র? পড়ে নিন

শেফিল্ড টাইমস ডিজিটাল ডেস্ক: 2024-25 আর্থিক বছরের সম্পূর্ণ বাজেট প্রকাশিত হওয়ার মাঝে আর মাত্র কয়েকটি দিন বাকি। চলতি বছরের জুলাই মাসের 23 তারিখ, অর্থাৎ পরবর্তী সপ্তাহের মঙ্গলবার বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফিরে আসার পর এটিই মোদি সরকারের প্রথম বাজেট হতে চলেছে। এই বাজেটে কেন্দ্রীয় সরকারের পরবর্তী পাঁচ বছরের পরিকল্পনা সম্পর্কে একটি ইঙ্গিত মিলতে পারে বলে করছেন বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ। ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মতে, বাজেট ঘোষণার সময় যত এগিয়ে আসছে, এটিকে কেন্দ্র করে থাকা উত্তেজনার পারদ চড়তে শুরু করেছে। আসন্ন বাজেটে বেশ কয়েকটি খাতে বাড়তি গুরুত্ব প্রদান করতে পারে কেন্দ্র। একটি সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ব্রোকারেজ সংস্থাগুলির মতে কনজিউমার গুডস, আবাসন, হাউজিং ফিনান্স, অটোমোবাইল ছাড়াও পরিকাঠামোর মত শিল্পগুলি ক্রয়ের উন্নতির কারণে বাজেট থেকে উপকৃত হতে পারে। কোন কোন খাতে দেওয়া হতে পারে বিশেষ নজর? দেখে নিন-  {link} গ্রামীণ অর্থনীতির সঙ্গে জড়িত খাত গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়নে সরকার আসন্ন বাজেটে বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করতে পারে। বাজেটে সরকার ক্রয় বা খরচ বাড়ানোর জন্য গ্রামীণ প্রকল্পগুলিতে আরও ফান্ড বরাদ্দ করতে পারে। ফলে এর থেকে গ্রামীণ অর্থনীতির সঙ্গে জড়িত থাকা খাতগুলি বিশেষভাবে উপকৃত হতে পারে।  আবাসন আসন্ন বাজেটটিতে সরকার সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসনের জন্য বরাদ্দ বৃদ্ধি করতে পারে। আবাসন খাতের উপর বাড়তি গুরুত্ব প্রদান করা হলে দেশের আরও মানুষ নিজেদের ঘর পেতে সক্ষম হয়ে উঠবেন। একইসঙ্গে নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হওয়ার সম্ভাবনাও বৃদ্ধি পেতে পারে। উৎপাদন বিশেষজ্ঞদের মতে, স্থানীয় উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি আরও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার লক্ষ্যে সরকার উৎপাদন খাতের উপর বাড়তি গুরুত্ব প্রদান করতে পারে। সেই কারণেই PLI স্কিমগুলিতে ধারাবাহিকতা দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে বাজেটে উতপাদন খাতটিও বিশেষভাবে উপকৃত হতে পারে।  {ads}

article thumbnail

Split In Godrej : ভাঙন ধরল গোদরেজ পরিবারে

শেফিল্ড টাইম্‌স ডিজিটাল ডেস্ক :  ১২৭ বছর এক ছাদের নীচে থাকা। শেষমেশ সেই পরিবারেই ধরল ভাঙন। দু’টুকরো হয়ে গেল গোদরেজ গোষ্ঠী (Split In Godrej)। সংস্থার তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, গোদজের গ্রুপের সমস্ত সংস্থাকে নিজেদের মধ্যে দু’টি ভাগে ভাগ করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।দরজার তালা থেকে গায়ে মাখার সুগন্ধী সাবান, ফ্রিজ, আলমারি সহ গৃহস্থালির নানা জিনিসপত্র বিক্রি করে গোদরেজ। টাটার মতো গোদরেজও ভারতীয় পরিবার নিয়ন্ত্রিত ব্যবসাগুলির অন্যতম। সংস্থার পথ চলা শুরু হয়েছিল ১৮৯৭ সালে, আর্দেশির গোদরেজের হাত ধরে। {link} ওকালতি পেশা ছেড়ে ব্যবসা শুরু করেন আর্দেশির। পরে গোদরেজ গোষ্ঠীর হাল ধরেন আর্দেশিরের ভাই পিরোজশা ও তাঁর উত্তরসূরিরা। এখন গোদরেজের মালিকানা ছিল পিরোজশার প্রপৌত্র আদি ও নাদির গোদরেজ এবং জামশেদ ও স্মিতা গোদরেজ ক্রিশনার হাতে। গোদরেজ গোষ্ঠীর সংস্থাগুলিকে এই চারজনের মধ্যেই দু’ভাগে বাঁটোয়ারা করে দেওয়া হয়েছে।জানা গিয়েছে, গোদরেজ ইন্ডাস্ট্রিজ গ্রুপের অধীনে থাকা পাঁচটি লিস্টেড সংস্থার রাশ থাকছে আদি ও নাদিরের হাতে। এই সংস্থাগুলি হল গোদরেজ ইন্ডাস্ট্রিজ, গোদরেজ কনজিউমার প্রোডাক্টস, গোদরেজ প্রপার্টিজ, গোদরেজ অ্যাক্রোভেট এবং অ্যাজটেক লাইফসায়েন্সেস। এই সংস্থাগুলির চেয়ারম্যান হিসেবে থাকবেন বছর তিয়াত্তরের নাদির। {link}   এক্সিকিউটিভ ভাইস চেয়ারম্যান আদির ছেলে পিরোজশা। নয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২০২৬ সালের অগাস্টে তিনিই বসবেন নাদিরের চেয়ারে (Split In Godrej)।গোদরেজ এন্টারপ্রাইজ গ্রুপের অধীনে থাকা আনলিস্টেড সংস্থার নিয়ন্ত্রণ থাকবে জামশিদ গোদরেজের হাতে। গোদরেজ অ্যান্ড বয়েজের অধীনে রয়েছে অনেকগুলি ছোট ছোট সংস্থা। এর মধ্যে বিমান পরিবহণ,এয়ারোস্পেস, প্রতিরক্ষা, আসবাবপত্র, তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পও রয়েছে। এই সংস্থাগুলির চেয়ারপার্সন ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর হবেন জামশেদ। এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর নিরিকা। মুম্বই শহরের মূল অংশে থাকা ৩ হাজার ৪০০ একর জমির রাশ থাকবে জামশেদ ও স্মিতার হাতে।জামশেদ বলেন, “১৮৯৭ সাল থেকে দেশ গঠনের লক্ষ্যে কাজ করে গিয়েছে গোদরেজ অ্যান্ড বয়েজ। ভবিষ্যৎমুখী এই চুক্তির ফলে আগামী দিনে জটিলতামুক্ত হয়ে নিজেদের লক্ষ্য এগোতে পারব আমরা। নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করতে পারব।” নাদির বলেন, “মূল্যবোধ ও বিশ্বাসে ভর করেই ১৮৯৭ সাল থেকে এতদূর এগিয়েছি আমরা। আরও মনযোগ ও তৎপরতা সহকারে সেই উত্তরাধিকারকে এগিয়ে নিয়ে যাব আমরা (Split In Godrej)।” {ads}

article thumbnail

Norse Atlantic Airways: আন্টার্কটিকার ব্লু আইস রানওয়েতে নামল অতিকায় বিমান, জানুন কী বলছে সংস্থা

Norse Atlantic Airways: এই প্রথম বড় যাত্রিবাহী বিমান অবতরণ করল আন্টার্কটিকার ব্লু আইস রানওয়েতে। নর্স আটলান্টিক এয়ারওয়েজের (Norse Atlantic Airways) বোয়িং ৭৮৭ বিমানটি অবতরণ করেছে প্রায় দু’ মাইল দীর্ঘ ওই রানওয়েতে। এর আগেও একবার একটি যাত্রিবাহী বিমান অবতরণ করেছিল আন্টার্কটিকায়। বছর দুই আগে আন্টার্কটিকার ট্রল এয়ারফিল্ড রানওয়েতে অবতরণ করেছিল ছোট ওই বিমানটি। এবার অবতরণ করল বড় বিমান। গত বুধবার সেটি ট্রল এয়ারফিল্ড রানওয়ে ছোঁয়। বিমানটি ৩৩০জন যাত্রী পরিবহণ করতে পারে। গত সোমবার বিমানটি অসলো থেকে আন্টার্কটিকার উদ্দেশে রওনা দেয়। দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে কিছুক্ষণের জন্য থামে। বুধবার অবতরণ করে ব্লু আইস রানওয়েতে। রানওয়েটি চওড়ায় ৬০ মিটার।  {link} নর্স আটলান্টিক এয়ারওয়েজের (Norse Atlantic Airways) তরফে ব্লু আইস রানওয়েতে অতিকায় যাত্রিবাহী বিমানের অবতরণকে মাইলফলক আখ্যা দেওয়া হয়েছে। এই এয়ারওয়েজের সিইও বজর্ন টোরে লারসেন বলেন, “আমাদের এই সাফল্যের নেপথ্যে সংস্থার প্রতিটি কর্মীর অবদান রয়েছে। বিশেষভাবে উল্লেখ করতে হয় বোয়িংয়ের পাইলট ও অন্য ক্রু-দের।” তিনি বলেন, “এটি আমাদের গোটা টিমের পক্ষে একই সঙ্গে সম্মানের ও উত্তেজনার। কারণ আমরাই প্রথম ব্লু আইসে বড় যাত্রিবাহী বিমান অবতরণ করাতে পেরেছি। আবিষ্কারের স্পিরিট নিয়ে আমরা এ কাজ করেছি। আমরা এজন্য গর্বিত। এটি আমাদের উন্নত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং দক্ষ পাইলট ও ক্রু-দের প্রকৃত পরীক্ষার জীবন্ত দলিল।” {link} বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অদূর ভবিষ্যতে আরও পণ্য যাত্রিবাহী বিমান অবতরণ করানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, বিমানটিতে একজন নরওয়ের পোলার ইনসস্টিটিউটের বিজ্ঞানী সহ মোট ৪৫ জন যাত্রী ছিলেন। ছিল গবেষণার জন্য প্রয়োজনীয় ১২ টন সরঞ্জামও। ঐতিহাসিক এই ঘটনার প্রমাণ স্বরূপ সংস্থার (Norse Atlantic Airways) তরফে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। {ads}

article thumbnail

Nobel Prize: গবেষণা পথ দেখিয়েছিল কোভিডের প্রতিষেধক তৈরিতে, চিনে নিন দুই নোবেলজয়ী বিজ্ঞানিকে

Nobel Price: তাঁদের গবেষণা সাহায্য করেছে কোভিডের এমআরএনএ প্রতিষেধক তৈরিতে। তার জেরে এ যাত্রায় রক্ষা পেয়েছেন বহু মানুষ। যুগান্তকারী এই গবেষণার জন্যই এবার নোবেল পুরস্কার পেলেন কাতালিন কারিকো ও ড্রু ওয়াইম্যান। কাতালিন কারিকো হাঙ্গেরির সেজড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। তিনি পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পেরেলম্যান স্কুল অফ মেডিসিনের সহযোগী অধ্যাপকও। আর ড্রু ওয়াইসম্যান ভাকসিন গবেষণার অধ্যাপক ও পেন ইনস্টিটিউট ফর আরএনএ ইনোভেশনের ডিরেক্টর। এই টিকা নিয়ে পেনসিলভেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌথভাবে গবেষণা চালান কাতালিয়া কারিকো এবং ড্রু ওয়াইসম্যান। {link} সোমবার নোবেল কমিটির তরফে চিকিৎসা বিজ্ঞানে পুরস্কার প্রাপকদের নাম ঘোষণা করা হয়। বলা হয়, আমাদের ইমিউন সিস্টেমের সঙ্গে এমআরএনএ কীভাবে সাড়া দেয়, সে সম্পর্কে আমাদের ধারণাকে মৌলিকভাবে পরিবর্তন করেছে তাঁদের যুগান্তকারী অনুসন্ধান। বিজয়ীরা আধুনিক সময়ে মানব স্বাস্থ্যের জন্য সব চেয়ে বড় হুমকির মধ্যে একটি টিকা তৈরিতে অভূতপূর্ব অবদান রেখেছেন। {link} নোবেল অ্যাসেম্বলির সেক্রেটারি টমাস পার্লম্যান পুরস্কার ঘোষণা করে বলেন, পুরস্কার ঘোষণার আগে যখন আমি তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করি, তখন দুই বিজ্ঞানীই পুরস্কারপ্রাপ্তির খবরে অভিভূত হন। গত বছর মেডিসিনে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন সুইডিশ বিজ্ঞানী সভান্তে পাবো। ১৯৮২ সালে চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন তাঁরা বাবা সুনে বার্গস্ট্রমও।  {ads}

article thumbnail

পুজো সংখ্যা ১৪২৮

আরো পড়ুন

বছর দুয়েক আগেও এ বাড়িতে দুর্গাপুজোয় পাত পড়ত কয়েক হাজার ভক্তের

পুজোর যে আনন্দ তাতে অনেকটাই প্রভাব বিস্তার করেছে করোনার মহামারী। মনের মধ্যে কাজ করছে আতঙ্ক, ভয় যে ছবিটা দেখা গিয়েছিল শেষ বছরেই। অতিমারী করোনা কেড়েছিল পুজোর জৌলুস। কিন্তু এবার পরিস্থিতির অনেকটাই উন্নতি হয়েছে। তাই এবারও ঘটা করে পুজো হবে তমলুকের নন্দকুমারের বনেদি বাড়িতে। বছর দুয়েক আগেও এ বাড়িতে পাত পড়ত কয়েক হাজার ভক্তের। করোনার জন্য তা বন্ধ থাকছে এবছরও। যদিও অন্নভোগই নিবেদন করা হবে দেবীকে। {link}  পূর্ব মেদিনীপুরের বর্ধিষ্ণু অঞ্চল তমলুক। স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে ওতোপ্রোতভাবে জড়িয়ে এই জনপদের নাম। এই তমলুকেরই ব্যবত্তারহাট এলাকার ভট্টাচার্য ও চক্রবর্তী পরিবার গত চারশো বছর ধরে নিষ্ঠা সহকারে পুজো করে আসছেন দেবী দুর্গার। বছরের পর বছর সুচারুভাবে পুজো হয়ে এলেও, করোনা অতিমারীর কারণে তা যেন ছন্নছাড়া হয়ে গিয়েছে এই দু বছর। তমলুকের রাজা তাম্বধ্বজের ব্যবস্থাপক ছিলেন এখানকার ভট্টাচার্য ও চক্রবর্তী পরিবারের পূর্বপুরুষরা। সেই থেকে এলাকার নাম হয় ব্যবত্তারহাট। এই ব্যবত্তা পরিবারের পূর্ব পুরুষ ছিলেন সার্থক রাম। একবার সার্থক রামের মা দুর্গাপুজোর অঞ্জলি দিতে গিয়েছিলেন পাশের একটি গ্রামে। সেখানে তাঁকে অপমান করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। মায়ের অপমান সহ্য করতে না পেরে বাড়িতেই দুর্গাপুজোর আয়োজন করেন তিনি। সেই থেকেই নিরবচ্ছিন্নভাবে দেবীর আরাধনা হয়ে আসছে এ বাড়িতে। কালক্রমে সেই পুজোই হয়ে আসছে দুই পরিবারের পারিবারিক পুজো। সুপ্রাচীন প্রথা মেনে আজও দেবীকে নিবেদন করা হয় নিরামিষ অন্নভোগ। {link} এ বাড়িতে দেবীকে নিজের হাতে তৈরি বড়ি দিয়ে ভোগ দেন মহিলারা। ষষ্ঠী এবং সপ্তমীতে দেবীকে নিবেদন করা হয় এক মণ ছ সের চালের ভোগ। সঙ্গে থাকে নানা পদ। অষ্টমীতে ভোগের চালের পরিমাণ বেড়ে হয় এক মণ ৮ সের চাল। আর নবমীতে চালের পরিমাণ হয় এক মণ ন সের। রীতি মনে এখনও হয় সন্ধিপুজো। সেখানেও দেবীকে নিবেদন করা হয় খিঁচুড়ি ভোগ। দশমীতে হয় দধিকর্মা। সিঁদুর খেলার পর বিসর্জন হয় দেবীর। এ বাড়িতে হাজার খানেক সলতে পোড়ানো হয়।  জমিদার আমলের দুর্গামণ্ডপ ভেঙে তৈরি হয়েছে নতুন মণ্ডপ। এতদিন দেবীকে ভোগ নিবেদন করে প্রসাদ খাওয়ানো হত দর্শানর্থীদের। করোনার কারণে গত বছর থেকে তা বন্ধ। অন্য সমস্ত পুজোগুলির মতো বদল আনা হয়েছে পুষ্পাঞ্জলি দেওয়ার রীতিতেও। আগে ফুল-বেলপাতা দিয়ে অঞ্জলি দেওয়া গেলেও, অতিমারী পরিস্থিতিতে হয়েছে শুধুই করজোড়ে প্রার্থনা। কিন্তু যা কমেনি তা হল পুজোর এই দিনগুলিতে ঘরে আসা মায়ের জন্য ভক্তি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। অপেক্ষা আর মাত্র কয়েকটা দিনের… তারপরেই আবার বছর ঘুরে মা আসবেন তমলুকের নন্দকুমারের বাড়িতে।  {ads}

article thumbnail

আজও রীতি মেনে দেবী দুর্গার সঙ্গে সঙ্গে এ বাড়িতে পুজো হয় মহামারীর

একসময় দেবীর আশির্বাদে মুক্তি মিলেছিল মহামারীর প্রকোপ থেকে। তাই আজও রীতি মেনে দেবী দুর্গার সঙ্গে সঙ্গে এ বাড়িতে পুজো হয় মহামারীরও। তিনশো বছরেরও বেশি সময় আগে যখন পুজো শুরু হয়, তখনও পুজো হত মহামারীর। প্রজাদের কল্যাণে প্রতিদিন পোড়ানো হয় দেড় কুইন্টাল খই। পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনের ঘোলাই গ্রাম পঞ্চায়েতের আঙ্গুয়া গ্রামের দাস মহাপাত্র বাড়ির এটাই রীতি। এখনও এবাড়িতে পুজোর দিনগুলিতে গাওয়া হয় চণ্ডীমঙ্গল, ভারতগান। তিনশো বছর আগেও মহামারী হত। তখন চিকিৎসা ব্যবস্থা ছিল বেশ অনুন্নত। রোগের প্রকোপে উজায় হয়ে যেত গাঁয়ের পর গাঁ। তাই প্রজাদের মঙ্গলের জন্য মহামারীর পুজো শুরু হয় জমিদার দাস মহাপাত্রদের বাড়িতে। এবারও করোনা অতিমারীর হাত থেকে বিশ্বকে মুক্ত করতে প্রার্থনা করবেন এই পরিবারের সদস্যরা।  {link} কটকের খোরদার থেকে এ রাজ্যের মুর্শিদাবাদের উদ্দেশ্যে আসছিলেন জনৈক বিরিঞ্চি মোহান্তি। দাঁতনের ঘোলাইয়ের কাছে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন তিনি। স্থানীয় এক ব্রাহ্মণ জমিদার তাঁকে উদ্ধার করেন। সুস্থ হয়ে জমিদারের সেরেস্তায় কাজ করতে শুরু করেন বিরিঞ্চি।  {link} বয়সকালে কাশী যাবেন মনস্থ করেন জমিদার। জমিদারি লিখে দিতে চান বিরিঞ্চিকে। বিশ্বস্ত কর্মচারী বিরিঞ্চি জমিদারকে প্রস্তাব দেন অর্ধেক সম্পত্তি জমিদারের মেয়েকে দিয়ে বাকিটা তাঁর নামে লিখে দেওয়ার। সেই মতো অর্ধেক জমিদারি নিয়ে ঘোলাইয়ের পলাশিয়ায় থেকে যান বিরিঞ্চি। {ads} বিরিঞ্চির দুই ছেলের মধ্যে ভাগ হয় জমিদার। ছোট ছেলের জমিদারিতেই শ্রীবৃদ্ধি ঘটে। এই ভাগের উত্তরসূরিদের মধ্যে রূপনারায়ণ দাস মহাপাত্র দুর্গাপুজো শুরু করেন। এর কয়েক পুরুষ আগে মোহান্তিরা ইংরেজদের কাছ থেকে উপাধি পেয়ে দাস মহাপাত্র হয়ে গিয়েছেন। এঁদের কেউ কেউ রাজার দেওয়া উপাধি চৌধুরীও ব্যবহার করেন। প্রতিপদ থেকে পুজো শুরু হয় এ বাড়িতে। চলে দশমী পর্যন্ত। প্রতিদিনই পুজো হয় মহামারীর। পোড়ানো হয় খই। দেশবাসীর মঙ্গলের জন্য। এবারেও সেই নীতি মেনেই হবে পুজো। দেবীর আশির্বাদে করোনার প্রকোপ থেকে মুক্তি মিলুক পৃথিবীবাসীর এই প্রার্থনাই মায়ের কাছে করছেন সকলে।  {ads}

article thumbnail

উত্তর দিনাজপুরের সেনবাড়ির দুর্গাপুজোয় আজও পুজোর দিনগুলিতে মন্দিরে প্রবেশ নিষিদ্ধ মহিলাদের

বাংলার কাছে সবচেয়ে উৎসব মুখর দিনগুলিতে যে ঠাকুরের পূজা সম্পন্ন হয়, তিনি নিজে মাতৃরূপে বাঙালির ঘরে আসেন। কিন্তু সেই মায়ের পুজোতেই পুজোর দিনগুলোতে মন্দিরে প্রবেশ নিষিদ্ধ মহিলাদের। সংসারের এহেন নিয়ম দেখলে অবাক হওয়াটাই স্বাভাবিক। এবং এই রীতিই চলেও আসছে বহু বছর ধরে।  উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ শহরের সেনবাড়ির দুর্গাপুজোয় এটাই রীতি। মন্দিরের বাইরে দাঁড়িয়ে দেবী দুর্গার দর্শন করেন এই পরিবারের মহিলা সদস্যরা। জমিদারি এখন আর নেই। তাই সেই জাঁকও আর নেই। তবে পুজো হয় নিয়ম নিষ্ঠা মেনেই। {link} রায়গঞ্জ শহরের সুদর্শনপুরেই বাস সেনেদের। এক সময় এঁদের বাস ছিল বাংলাদেশের যশোরে। পুজোর সূচনা করেন সুরেন্দ্রনাথ সেন। পরে বাংলাদেশের পাট চুকিয়ে সেন পরিবার চলে আসেন রায়গঞ্জে, সুদর্শনপুরে। এখানে এই পুজো পড়ল ৭৬ বছরে। বাংলাদেশে যে রীতি মেনে পুজো হত, এখানেও তেমনটাই হয়। বৈষ্ণব নয়, এখানে পুজো হয় শাক্ত মতে। সপ্তমী থেকে নবমী প্রতিদিনই বলি হয়। এ বাড়ির পুজোয় ছেলেরা অংশ নিতে পারলেও, মেয়েরা পারেন না। তবে মন্দিরের চাতালে বসে দেবদর্শন করতে পারেন।  {ads} কর্মসূত্রে বর্তমানে সেন পরিবারের সদস্যরা দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকেন। তবে পুজোর সময় সবাই একত্রিত হন। পরিবারের সদস্যদের দাবি, তিনশো বছর আগে পুজো শুরুর সময় থেকে এ পর্যন্ত একবারও পুজো বন্ধ হয়নি। পুজো চলাকালীন কোনও সদস্যের মৃত্যু হলেও, পুজো বন্ধ হয়নি। এ বাড়িতে দেবীকে অন্নভোগ নিবেদন করা হয় না। ফলমূল, লুচি-মিষ্টি দিয়েই পুজো হয়। একচালার প্রতিমায় পুজো হয়। এখানে দেবীর মহিষাসুরমর্দিনী রূপের পুজো হয়। দেবীর সঙ্গে লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ সবাই থাকেন। এসব প্রত্যক্ষ দেবতা ছাড়াও আরও অনেক দেবতার পুজো হয়। নিয়ম মেনে হয় সন্ধিপুজোও। তবে কুমারি পুজো হয় না এ বাড়িতে। জমিদার বাড়ির পুজো দেখতে এখনও ভিড় করেন দূর-দুরান্তের মানুষ।  {link} স্থানীয় বহু মানুষের এই মন্দিরে পুজোর সময় মহিলাদের প্রবেশ করা নিষিদ্ধ থাকলেও এর বিরুদ্ধে সেইভাবে আজ পর্যন্ত কেউ সেইভাবে প্রতিবাদ জানাতে আসেননি। বহু বছর ধরে চলতে আসা নিয়মের ছক ভাঙার চেষ্টাও করেননি কেউ। মহিলারাও মন্দিরের বাইরে থেকেই মায়ের আশির্বাদ নিয়ে চলে যান। হয়ত মায়ের ওপর আস্থা রয়েছে বিপুল, সেই কারনেই চেনা ছক ভাঙতে চান না তারা…  {ads}  

article thumbnail

বৈঁচির দাঁ পরিবারের মা দুর্গা লোকমুখে ছেলে ধরা দুর্গা নামে খ্যাত

দশ হাতের দেবী দুর্গাই শুধু নয়, বাংলার মাটিতে দেবী পূজিতা হন অভয়া রূপেও। কিন্তু অবাক করা কথা কোথায় জানেন? এই গ্রামে দেবী দুর্গা পরিচিত ছেলেধরা দুর্গা নামে। একইভাবে দেবী দুর্গা নন, বৈঁচির দাঁ পরিবারে পুজো হয় দেবী অভয়ার। মা দুর্গারই এক রূপ অভয়া। দুর্গা যেমন মহিষাসুরকে বধ করেন, অভয়া রূপ তেমন নয়। তাঁর হাতে ধরা এক বালক। লোকমুখে এ দুর্গা ছেলে ধরা দুর্গা নামেই খ্যাত। {link} জনৈক ব্যবসায়ী বিনোদ দাঁ এই পুজোর সূচনা করেন। শোনা যায়, চাঁদ সওদাগরের আমল থেকেই তাঁর পূর্ব পুরুষ ব্যবসা করে আসছেন। বিনোদবাবুর আমলে শ্রীবৃদ্ধি হয় ব্যবসার। তিনিই শুরু করেন অভয়া দুর্গার পুজো।  {ads} কেন এ রূপের পুজো হয়? বাণিজ্যে যাওয়ার পথে চাঁদ সওদাগর দেবীর কমলেকামিনী রূপ দেখেন। রাজাকে সে রূপ দেখাতে না পারায় তাঁকে বন্দি করা হয়। বাবার বন্দিদশা ঘুঁচাতে তাঁর পুত্র শ্রীমন্ত সওদাগর রওনা দেন। তিনিও দেবীর ওই রূপই দেখেন। তিনিও রাজাকে দেবীর ওই অপরূপ মূর্তির কথা বলেন। রাজা দেবীর ওই মূর্তি দর্শন করতে চান। শ্রীমন্ত তাঁকে তা দেখাতে না পারায়, বণিকপুত্রকে জলে ফেলে দেন রাজা। তখন অভয়া রূপে দেবী উদ্ধার করেন শ্রীমন্তকে। বাবার বন্দিদশা ঘুঁচিয়ে শ্রীমন্ত দেবীর অভয়া রূপেরই পুজো করেন। দাঁ বাড়িতে সেই রূপেই বিগত ২০০ বছর ধরে পূজিত হয়ে আসছেন দেবী অভয়া। {link} একচালার প্রতিমা। দেবীর সঙ্গে অসুর নেই। তবে লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ রয়েছেন। বিনোদবাবুর আমলেই একবার পুজো বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল। তখন দেবী স্বপ্নাদেশ দেন, থোড় ও কাশীর চিনি দিয়েই পুজো কর। সেই থেকেই থোড় ও কাশীর চিনি দিয়ে পুজো হয়। দাঁ পরিবারের প্রায় সব সদস্যই কর্মসূত্রে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকেন। পুজোর সময় সবাই একত্রিত হন। পুজোর সময় আনন্দে মুখরিত হয়ে হয়ে ওঠে এই বিখ্যাত পরিবারের বাড়ি, দূর দূর থেকে মানুষ দর্শন করতে আসেন মাতৃমূর্তি। কিন্তু পুজো মিটলেই আবার শূন্যতা তার দাপট দেখাতে শুরু করে। পুজো শেষে দেবীর কাঠামো পড়ে থাকা খাঁ খাঁ দালানবাড়িতে। {ads}  

article thumbnail

এ বাড়িতে দেবী দুর্গার সঙ্গে পুজো পান আরও একুশ দেবতা

কেউ যদি প্রশ্ন করে বাংলা ও বাঙালির সর্ববৃহৎ উৎসব কোনটি, তাহলে এককথায় উত্তর আসবে একটিই, দুর্গাপুজো। দুর্গাপুজো মানের অনেক আনন্দ ভালোলাগা ও আনন্দের সংমিশ্রণ। রাত জেগে ঠাকুর দেখা বড়ো বড়ো প্যান্ডেল হপিং, থিম পুজোর রমরমা। কিন্তু এসবের মাঝেই আমরা বাংলার একটা পুরোনো সংস্কৃতিকে প্রায় ভুলতে বসেছি। সেটা বাংলার সমস্ত ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক সমস্ত বহুকাল থেকে চলে আসতে থাকা বনোদি ও রাজবাড়ির পুজোগুলি। এহেন এক পুজোরই আশ্চর্য উপাখ্যান আজ রইল শেফিল্ড টাইমসের রাজবাড়ির পুজোর আরও একটি নতুন পর্বে।  উল্লেখযোগ্যভাবে এ বাড়িতে দেবী দুর্গার সঙ্গে পুজো পান আরও একুশ দেবতা। এঁরা প্রত্যেকেই হাজির জমিদার বাড়িতে। সেজন্য মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ানের জমিদার বাড়ির পুজো ‘বাইশ পুতুলের পুজো’ নামে খ্যাত। ইদানিং ধুলিয়ানে দুর্গাপুজো হলেও, পুজোর সূচনা হয়েছিল মালদহের দেওনাপুরে। এ পরিবারের প্রয়াত সদস্য রাঘবেন্দ্র রায় ছিলেন জমিদার। গঙ্গার ভাঙন ও বন্যার জেরে দুর্ভোগ পোহাতে হত পরিবারের সদস্যদের। বাধ্য হয়ে পাততাড়ি গুটিয়ে ১৮২৫ সালে ধুলিয়ানে চলে আসেন জমিদার পরিবার। নির্মাণ করা হয় দালানকোঠা। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সঙ্গে সপরিবারে আসেন দেবী দুর্গাও। সেই থেকে পুজো হচ্ছে ধুলিয়ানে।  পুজো শুরু হয় কৃষ্ণা নবমীতে। বিসর্জন হয় দশমীতে। অন্যত্র যেমন সন্তান-সন্ততি নিয়ে পুজো পান দেবী দুর্গা, এখানেও তেমনি। তবে এ বাড়িতে পুজো পান আরও ষোলোটি দেবদেবীর মূর্তি। এঁদের মধ্যে সবার ওপরে রয়েছেন মহাদেব। তাঁর দুপাশে থাকেন নন্দী ও ভৃঙ্গি। তাঁরও ওপরে থাকেন গঙ্গা। দেবীর বামদিকে থাকেন বিজয়া এবং নরসিংহ। দেবীর সঙ্গেই থাকেন রাম, লক্ষ্ণণ। থাকেন বিষবাহন। আরও কিছু প্রতিমাও থাকে। প্রাচীন রীতি মেনে প্রতিমার কাজ শুরু হয় রথের দিন।  পুজো হয় সূচনা লগ্নের সময়কার নিয়ম মেনে। বিসর্জনের দিন ঢাক বাজান পুরুষেরা। সিঁদুর খেলায় মাতেন মহিলারা। কাঁধে করে দেবী মূর্তি নিয়ে গিয়ে আজও বিসর্জন দেওয়া হয় গঙ্গায়। প্রাচীন ঐতিহ্য মেনে এখনও হয় বাইচ প্রতিযোগিতার। এক সময় বাইশ পুতুলের পুজো দেখতে আসতেন দূর-দুরান্তের মানুষ। এখন আর আসেন না। তবে এলাকাবাসী একবার হলেও দর্শন করে যান জমিদার বাড়ির মা-কে। দেবী মা-ও প্রত্যক্ষ করেন জমিদারদের ‘প্রজা’দের, হয়তবা তার আশির্বাদও লাভ করেন কেউ কেউ।  সারা বাংলা জুড়ে এহেন অসংখ্য অবাক করা বনোদি ও রাজবাড়ির পুজোর উপাখ্যান রয়েছে। যার বেশ কয়েকটি বা বলা চলে অধিকাংশই জানা এবং হয়ত বেশ কিছু অজানাও রয়েছে। মায়ের আসতে আর মাত্র কয়েকদিনের অপেক্ষা....   {ads}

article thumbnail

হারিয়ে খোঁজার পথে(ধারাবাহিক)- নিখিল কুমার চক্রবর্তী{পর্ব-১০}

ঘরে ঢুকে নিশাকে দেখে প্রাথমিকভাবে একটু অবাক হলেও পর মুহূর্তেই স্বাভাবিক হয়ে গেলেন অনিমেষ দত্ত। একমুখ হাসি ছড়িয়ে বললেন --নমস্কার ম্যাডাম। আপনিই তাহলে সুমিতের হাসপাতালে না যাওয়ার কারণ। ওদিকে হাসপাতালে হই হই হচ্ছে। ডাক্তার গায়েব! নিশা কিছু বলল না। শুধু হাত জোর করে নমস্কার করল। সুমিত বলল --অনিমেষদা বসুন। আমি আর এক রাউন্ড কফি নিয়ে আসি। নিশা ক্লান্ত থাকলে বারেবারে কফি খায়।  সুমিত কিচেনে ঢুকে গেল। অনিমেষ দত্ত নিশাকে বললেন --কিছু একটা রিলেশন যে আছে তা সুমিতের আগ্রহ দেখে বুঝেছিলাম। কিন্তু একেবারে আরামবাগে চলে আসার মতো রিলেশন বুঝতে পারিনি। সুমিত দেখলাম আপনার অভ্যাস সম্বন্ধেও ওয়াকিবহাল। তা, আপনি কেমন আছেন এখন? --মোটামুটি আছি।  --ভাল থাকতেই হবে। অতীতকে আঁকড়ে থাকলে ভাল থাকা যায় না ম্যাডাম। অতীত থেকে শিক্ষা নিলে তবেই ভাল থাকা যায়। আপনি চাকরি ছেড়ে দিলে জায়গাটা থেকে দূরে থাকতে পারবেন, কিন্তু নিজের থেকে দূরে থাকবেন কি করে?  নিশা এবারে সরাসরি অনিমেষ দত্তর মুখের দিকে তাকাল। খুব ধীরে ধীরে বলল --যা ঘটেছে আপনি সবই জানেন। এরপরেও কি ছাত্রছাত্রীরা আমাকে সম্মান দিতে পারবে? --সম্মান কেউ কাউকে দেয় না ম্যাডাম। নিজেকে অর্জন করতে হয়। কলেজে আপনার সুনাম ভাল পড়ানোর জন্য। ছাত্রছাত্রীরা আপনাকে ভালবাসে আপনার ব্যবহারের জন্য। আপনার জীবনে কি ঘটছে সেটা সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়। জীবন আর জীবিকা এক জিনিষ নয় ম্যাডাম। {link} একটা ট্রেতে তিনটে কফিমগ নিয়ে সুমিত এসে বসল। ওদেরকে একটা করে কফিমগ হাতে দিয়ে নিজেও একটা নিয়ে নিশার পাশে বড় সোফা সেটটায় বসল। অনিমেষ দত্ত ততক্ষণে সিঙ্গল সেটটায় বসে পড়েছেন। কফিতে চুমুক দিয়ে সুমিত বলল --অনিমেষদা, আপনাকে বলতে পারিনি যে নিশাকে আমি চিনি। একপাড়াতে আমরা বড় হয়েছি, একসাথে পড়াশোনা করেছি। ও একচুয়ালি একেবারে ছোট্টবেলা থেকে আমার সাথে ছিল। পাস্ট টেন্স ইউজ কেন করছি তা আপনি ভাল করেই জানেন। তবে ওর কাছে আমি ঋণী। ও মোহনকে বিয়ে করে আমাকে ছেড়ে চলে না গেলে আজকের সুমিতের জন্ম হত না। ওর কথা অনেকবার আপনাকে বলার ইচ্ছে হয়েছে, কিন্তু হাসির খোরাক হবার ভয়ে বলিনি। সুমিতকে থামিয়ে অনিমেষ দত্ত বললেন --এতদিনে দাদাকে এই চিনলে ভায়া? সবার জীবনেই কিছু না কিছু দুর্বল জায়গা থাকে। আমি মনে করি সেসব কথা সবাইকে না জানানই ভাল। সবাই সমানভাবে নিতে পারে না। তবে নির্ভরযোগ্য কারোর সাথে শেয়ার করতে পারলে ভাল হয়। জানলাম, তুমি আমাকে নির্ভরযোগ্য ভাবতে পার নি। সুমিত উঠে অনিমেষ দত্তর কাছে গিয়ে তার হাত দুটো ধরে বলল --আপনি এরকম বললে আমার অপরাধের শেষ থাকবে না। বুঝতে পারছি, আপনাকে না বলে ভুল করেছি। প্লিজ ক্ষমা করে দিন। অনিমেষ দত্ত সুমিতকে ধরে নিয়ে এসে সোফায় বসিয়ে দিয়ে বললেন --ওসব নিয়ে মন খারাপ করে লাভ নেই। যা বুঝলাম নিশা ম্যাডাম তোমার ছোটবেলার সঙ্গী। তোমাকে ছেড়ে মোহনকে বিয়ে করে চলে যাওয়াতে তোমার কষ্ট হয়েছিল। তুমি নিজের খোলনলচে বদলে ফেলেছ। মানে, তুমি নিশাকে খুব ভালোবাস। তা, ওকে কোনদিন বলেছ ভায়া যে, তুমি ওকে ভালবাসো? --সেটাও কি মুখে বলতে হয় দাদা? ও বুঝতে পারে নি কেন? --বলতে হয় ভায়া। অনেক কথা যেমন বলতে নেই, তেমনি অনেক কথা সময়ে বলতে হয়। ভালবাসার লোককেও বলতে হয় "আমি তোমাকে ভালবাসি।" "শক্তি" বলে একটা হিন্দী মুভি থেকে আমি এটা শিখেছিলাম। শেষ দৃশ্যে পুলিশ বাবা স্মাগলার ছেলেকে গুলি করার পর ছুটে গিয়ে তাকে কোলে তুলে নিয়ে বলছে,"তুই আমাকে ছেড়ে যাস না। তোকে ছেড়ে আমি বাঁচব না।" উত্তরে ছেলে বলছে, "বাবা, এতদিন একথা তুমি বল নি কেন? তাহলে তো আমি স্মাগলার হতাম না।" ছেলে ভাবত বাবা তাকে ভালবাসে না। তাই বলছি ভায়া, শুধু ম্যাডামকে দোষ দিয়ে তো লাভ নেই। দোষ তোমারও আছে। ভাষায় ভালবাসার প্রকাশটা খুব জরুরী। {ads} নিশা দুজনের কথোপকথন শুনে যাচ্ছে। অনিমেষ দত্তকে নতুন রূপে দেখছে এখানে। কলেজে এডমিনিস্ট্রেটর হিসাবে তার রূপ দেখেছে। এখানে তার রূপ এক অভিভাবকের। সত্যিই সে যেন সুমিতের দাদা। সে যদি এরকম এক দাদা পেত তাহলে হয়ত তার জীবনটা এভাবে তছনছ হত না। একটা গভীর দীর্ঘশ্বাস হালকাভাবে নিশার বুকের ভেতর থেকে বেরিয়ে এল। অনিমেষ দত্ত যাই বলুন না কেন সুমিতের থেকে তার অপরাধ অনেক বেশি। সুমিতের ডেডিকেশনে তার প্রতি ভালবাসা যথেষ্টই প্রকট ছিল। সেই বুঝতে পারেনি। বোধহয় এত ভালবাসার যোগ্য সে নয়। নিজের দোষে সে নিজের জীবন শুধু নষ্ট করেনি সুমিতের জীবনটাও শুকনো করে দিয়েছে। নিজের অজান্তেই তার দুচোখ ছাপিয়ে জলের ধারা নেমে এল। {link} অনিমেষ দত্ত পোড় খাওয়া লোক। জীবনে অনেক বাঁক, অনেক তরঙ্গের মুখোমুখি হয়েছেন। নিজের জীবনে এমন না হলেও অনেকটা একই রকম অবস্থার সম্মুখীন হয়েছেন। কলেজ জীবনের প্রেম সংসারে বাস্তবায়িত হয়েছিল।  ডাক্তারি পড়তে কলকাতায় গিয়েছিলেন অনিমেষ দত্ত। উচ্চবিত্ত পরিবারের ছেলে হলেও পড়াশোনায় কোন অবহেলা ছিল না তাঁর। কলকাতার কলেজে ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। তবে হস্টেলে না থেকে মেডিকেল কলেজের কাছাকাছি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকতেন। ওঁর যখন ফাইনাল ইয়ার তখন রুনিরা ঐ বিল্ডিঙের অন্য ফ্ল্যাটে আসে। রুনিরও তখন গ্র্যাজুয়েশনের ফাইনাল ইয়ার। ওরা আগে দমদমে থাকত। ওর বাবা মা দুজনেই করপোরেট সেক্টরের এমপ্লয়ি। ওদের পুরো পরিবারটাই অন্যরকম জীবনযাপনে অভ্যস্ত ছিল। যে যাপনে আবার অনিমেষ দত্তরা অভ্যস্ত নয়। দমদমের পরিবেশ বসবাসের উপযোগী না হওয়ায় ওরা নাকি এখানে উঠে আসে। তখন ওসব নিয়ে কিছু ভাবেই নি অনিমেষ দত্ত। এখন মনে হয় ভাবা উচিত ছিল। তবে মফস্বলের ছেলেকে কি কারণে কলকাতার রুনি মুখার্জী ভালবেসেছিল তা আজও অনিমেষ দত্তর কাছে অজানা। আদৌ ভালবেসেছিল কি? সেটাও তো অজানা এখনও। ভালবাসলে বিয়ের ছ মাসের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়ে গেল কেন?  {ads}

article thumbnail

সাহিত্যের পাতা

আরো পড়ুন

উপলব্ধিঃ ফাস্ট ফুড- নিখিল কুমার চক্রবর্তী

উপলব্ধি  (ফাস্ট ফুড)  খুব বেশিদিন আগেকার কথা নয়। তখনও ফাস্ট ফুডের ব্যবসা শিল্পের পর্যায়ে পৌঁছায় নি। নানা রকম পোষাকী নামে বিভূষিত হয়ে আলুর তৈরি আইটেম জাতে ওঠেনি। হাজারটা ব্যবসাদার হাজার রকম নামে একই পদ কে বিভিন্ন ভঙ্গীমায় পরিবেশনও করত না। ফাস্ট ফুড বলতে চপ, সিঙ্গারা, বেগুনী, কুমড়ী, ফুলুড়িকেই বোঝাত। সন্ধ্যেবেলায় বর্ষাবাদলের মেঘমল্লার বেজে উঠলে সরষের তেলে (সাদা তেল তখন বাঙালি চোখে বা চেখে দেখে নি) জিরে শুকনো লঙ্কা ভাজা আর চপ দিয়ে মুড়ি চটকে মেখে খবরের কাগজের ওপর ঢেলে দেওয়া হত। তার চারধারে বারো ইয়ার। ঐ মুড়ির সাথে সিঙ্গারা ভেঙে ভেঙে খাওয়া হত সবাই মিলে। সবাই একসাথে খাবলা মারার চেষ্টা করত। সব খাওয়ার পর বাইরের "চাঁপাকল” থেকে এক মগ জল এনে ঢক ঢক করে খেয়ে ঢেকুর তুলত বাঙালি। তারপর চিনিগোলা এক ভাঁড় চা। অবশ্যম্ভাবীভাবে দশ মিনিট পর থেকে গলায় মোবিল ছেটকাতো। রাতের খাওয়া শিকেয় উঠত। কোন কোন রসিক সুজন সন্ধ্যে হলেই এই ধরণের ফাস্ট ফুডের জন্য ছটফট করে মরে যেত। অবশ্য শুধু ফাস্ট ফুড কে দোষ দিয়ে লাভ নেই। সে তো সহযোগী। আসল ছটফটানি রঙিন তরলের বোতলের জন্য। বাড়ির লোক যাতে জানতে না পারে তার জন্য সাপের কামড়ের ভয়কে তুচ্ছজ্ঞান করে সন্ধ্যেবেলায় গ্রামের বাঁশতলায় কত যে মেহ্ফিল বসত! তখন মুঠোফোনের চল হয় নি। হুট করলেই বারো ইয়ার এক জায়গায় ঠেক মারার জন্য নির্দিষ্ট সময়ে আসার এত্তেলা পেত না। তবুও কী এক অমোঘ ইশারায় সবাই ঠিকঠাক চলে আসত। বাতাস দূতের কাজ করে গন্ধ পৌঁছে দিত ইয়ারমহলে। এসব দিন এখন অতীত। এখন শহরের ফুটপাতে মানুষ চলে না। পাত পেড়ে কাটলেট, রোল, মোগলাই, বিরিয়ানি খায়। অযুত নিযুত রেস্তোরাঁয় কত রকমের আইটেম! "স্টার্টার", "ডেজার্ট", "মেন কোর্স" ইত্যাদি নামে পকেট খালি করার এবং পেট ভর্তি করার কত রকম কারসাজি! এসবের একবারে প্রথমের দিকে আমার মত এক গাঁয়ের লোক "চিলি চিকেন" খেয়ে বলেছিল, "আরে, এ তো মুরগীর টক"। তা শুনে যে তাকে খাওয়াতে নিয়ে গিয়েছিল তার হড়কে পড়ে যাওয়ার মত অবস্থা। ছি ছি, এমনভাবে কেউ প্রেস্টিজ পাংচার করে! "শিক কাবাব" খেয়ে বলেছিল, "আরে দূর, আমার গ্রামের বন্ধু তামর হেমব্রোম তো তাদের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে হাঁসের মাংস পুড়িয়ে এমন করেই খাইয়েছিল।" বলা বাহুল্য হবে, এরপরে আর কোনদিন সেই বন্ধু এমন কোন সঙ্গী নিয়ে রেস্তোরাঁয় যাওয়ার সাহস দেখায় নি। এখন তো আরও সহজ হয়ে গেছে সবকিছু। মুঠোফোনের দৌলতে মুঠোয় এসে গেছে দুনিয়া। "অনলাইন" এ যা খুশী অর্ডার করে আনানো যায়। একটা ক্লিকের অপেক্ষা। খুব ভাল। বাড়িতে অতিথি এসেছে (যদিও খুব কম লোকই এখন চায় যে বাড়িতে অতিথি আসুক। আত্মসুখসর্বস্ব পরিবার নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত থাকতেই বেশি পছন্দ করে), অনলাইনে অর্ডার দাও। পরনিন্দা, পরচর্চা শেষ হওয়ার আগেই খাবার এসে হাজির। কে আর কষ্ট করে দুপুরের মেনুতে বাঙালির প্রিয় পেঁয়াজ রসুন দিয়ে কলমি শাক ভাজা, পোস্তবড়া (মহার্ঘ এখন), পুকুরে জাল ফেলে ধরা টাটকা মাছের ঝোল বা হাঁসখোপ থেকে সদ্য বের করে আনা ডিমের ঝোল দিয়ে ভাতার থালা সামনে ধরে আপ্যায়ন করে? হাঁসখোপের ডিম আর পুকুরের টাটকা মাছ শহরে না থাকলেও বাঙালির অতিথি আপ্যায়নে ব্যাগ ওপচানো সব্জির বাজার আর গোটা বড় একটা কাৎলার কানকোর ভেতর দিয়ে খড় ঢুকিয়ে বেঁধে অন্য হাতে তা ঝুলিয়ে আনার সুনাম ছিল। বাড়ির গিন্নীরা তখন বড় আঁশবঁটির ওপর থেবড়ে বসে সেই মাছ কাটত। বড় বড় পিস করত। এখনকার মত বাজারে মাছ কিনে অন্য কাউকে এক্সট্রা দশ টাকা দিয়ে পঁচিশ গ্রামের এক একটা পিস করিয়ে আনতে হত না। বাজার থেকে ফেরার পথে সবাই জানত বাড়িতে অথিথি এসেছে। কেউ কেউ মজা করে বলত, "বাড়িতে বড়কুটুম (শালা বা সম্বন্ধী) এসেছে না কি?" অতিথি অপ্যায়নে ফাস্ট ফুড তখন এত সুনাম কুড়োয় নি। এতে সুবিধা কি হয় নি? নিশ্চয়ই হয়েছে। এই বেগযুগে আবেগহীন মানুষের হাতে "সময় কোথায় সময় নষ্ট করবার"? স্বামী স্ত্রী আর একমাত্র সন্তানকে নিয়ে তৈরি পরমাণুপরিবারে সবাই ব্যস্ত। অতএব, পেটের ক্ষতি হলেও উপায় নেই। অনলাইনই জীবনকে অফলাইন হওয়া থেকে বাঁচিয়ে রেখেছে। মুশকিল অন্য জায়গায়। এই ধরণের ব্যবস্থা প্রচ্ছন্নভাবে নিস্পৃহ মানসিকতার জন্ম দেয়। শারীরিক অসুস্থতা ডেকে আনে। যে যখন খুশী এলেও অসুবিধা নেই। মুঠোফোন তো আছে! চটকদার মনোহারি ফাস্ট ফুড আনিয়ে নিলেই হবে। অতএব নিস্পৃহ থাকো। এই মানসিকতা আস্তে আস্তে সব ক্ষেত্রে ছড়িয়ে পড়লে বিপদ। সিরিয়াসনেসের অভাব দেখা দিতে পারে। আর চটকদারি, মশলাদার এই সব খাবার যে শরীরের পক্ষে খারাপ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তা হলে কি এসব খাবার পরিহার করতে হবে? কখনই না। তা হলে তো পিছিয়ে পড়তে হয়। যুগের সাথে তাল মেলানো যায় না। সুতরাং, খাওয়ার সীমা জানতে হবে। সব পরিস্থিতির মত এক্ষেত্রেও থামতে জানতে হবে। বাঙালিকে ব্যালান্স করা শিখতে হবে। {ads}

article thumbnail

উপলব্ধিঃ সংস্কৃতি- নিখিল কুমার চক্রবর্তী

সংস্কৃতি শব্দটা খুব গোলমেলে। কখন যে কোন দিকে টার্ণ নেয় বোঝা মুশকিল। মানে, কখন যে কোনটা সংস্কৃতি আর কোনটা অপসংস্কৃতি তা বোঝা খুবই দুরূহ ব্যাপার। আমার বাড়ির সংস্কৃতি অন্য কোন বাড়ির সংস্কৃতি নাও হতে পারে। আবার শহরে যেটা সংস্কৃতি সেটাই হয়ত প্রত্যন্ত গ্রামে অসভ্যতার চূড়ান্ত। উল্টোটাও হতে পারে। ছোটবেলায় দিদির শ্বশুর বাড়ি গেলে এক ভদ্রলোককে দেখলেই ভয়ে পালাতাম। তাকে তখন অসভ্য, বদমাশ লোক বলে মনে হত। অদ্ভূত অদ্ভূত বাংলা শব্দের ইংরাজি প্রতিশব্দ বলতে বলে আনন্দ পেতেন। জটিল সব বাক্যের ইংরাজি অনুবাদ জানতে চাইতেন। একবার জিজ্ঞাসা করেছিলেন, "মুরগীর ঝুঁটি ইংরাজি কি?" আর একবার বলেছিলন, "গরুর বাঁটের ইংরাজি জানো?" ভদ্রলোকের এই ব্যবহারটা মোটেই সেই গ্রামের সংস্কৃতি হতে পারে না। এটা মানুষকে হেয় প্রতিপন্ন করে নিজেকে জাহির করার ব্যক্তিগত প্রয়াস। ভদ্রলোকের এই অদ্ভূত মানসিকতার জন্য দিদির শ্বশুর বাড়ির গ্রামের সংস্কৃতিকেই খারাপ বলে মনে হত তখন। কিন্তু আসলে তা নিশ্চয়ই নয়। আমাদের স্কুলবেলায় একটা বিষয় নিয়ে খুব তর্কবিতর্ক হয়েছিল। একজন শিল্পীর গানকে কোন মন্ত্রী "অপসংস্কৃতি" আখ্যা দিয়েছিলেন। তা নিয়ে বাংলা জুড়ে হৈ হৈ। বাংলারই এক স্বনামধন্য ব্যক্তি সে প্রসঙ্গে বলেছিলেন, "যাঁর টেস্ট শহীদ মিনারের মাথায় লাল রঙ লাগানো, তিনি আবার সংস্কৃতির কি বুঝবেন?" আমি দুটো ব্যাপারই বুঝিনি। কেউ একজন কারোর গানকে অপসংস্কৃতি বলতেই পারেন। এটা তাঁর ব্যক্তিগত মতামত। তাতে তো আর সত্যি সত্যিই তা সংস্কৃতির বাউন্ডারির বাইরে চলে যায় না। তা যদি যেত তাহলে সেই শিল্পী এখনও এত জনপ্রিয় থাকতেন না। আবার শহীদ মিনারের মাথায় কি রঙ লাগানো হল তা দিয়েও নিশ্চয়ই ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রীর সংস্কৃতিমনস্কতার পরিচয় পাওয়া যায় না। একটা বাংলা সিনেমা ( আমার মতে সেটা সিনেমা পদবাচ্য নয়। বড়জোর যাত্রাপালা বলা যেতে পারে) তখন মাসের পর মাস "হাউসফুল" হয়ে রমরমিয়ে চলেছিল। আমার "পেয়ারের বন্ধু" সাধনকে বলেছিলাম, "এমন নিম্নমানের বই এত দিন ধরে চলে কি করে বল তো?" সাধন যা বলেছিল তা এখনও সমান প্রাসঙ্গিক। বলেছিল, "তুই বললেই তো হবে না! এত লোকে দেখছে যখন, তখন বইটা ডেমোক্রেটিক্যালি হিট।" অর্থাৎ  অপসংস্কৃতি নয়। তাহলে ব্যাপারটা কি দাঁড়াল? সংস্কৃতি ব্যাপারটাই কি আপেক্ষিক? হয়ত তাই। আমাদের দেশে নারী পুরুষের প্রিম্যারিট্যাল শারীরিক সম্পর্ক সংস্কৃতির আওতায় পড়ে না। আবার পৃথিবীর অনেক দেশেই এটার গ্রহনযোগ্যতা আছে। আমাদের দেশে বড়দের নাম ধরে ডাকা শোভনীয় নয় (যদিও আস্তে আস্তে তা শুরু হয়েছে)। অথচ পৃথিবীর অনেক দেশে ওটাই সংস্কৃতি। গ্রামে গঞ্জে এখন বাড়ির ছেলে মেয়েরা রাত ন'টার পর বাড়ির বাইরে থাকলে বড়দের কাছে অবধারিতভাবে ধমক খাবে। শহরে নগরে রাত ন'টার পর সন্ধ্যে শুরু হয়। আমাদের সিনেমা আর বিদেশি সিনেমা নিয়ে একজনের কাছে একটা কথা শুনেছিলাম। আমাদের সিনেমায় সারাদিনের কাজকর্ম সেরে স্বামী স্ত্রী রাতে খাওয়া দাওয়া করে যখন ঘরের দরজা বন্ধ করে ঘুমোতে যায় তখন বই শেষ হয়। বিদেশের বই ওখান থেকেই শুরু হয়। সব চেয়ে মজার ব্যাপার, আমরা এখনও সিনেমা, বই ইত্যাদি বলতে অভ্যস্ত। আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম কিন্তু "মুভি" বলতে ভালবাসে। আমরা এখনও ঘনিষ্ঠ কারোর শরীর খারাপের খবর পেলে ছুটে গিয়ে তার পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করি। অনেকে ফোনেই কর্তব্য সারে। বা, সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা জব্বর স্ট্যাটাস! তাহলে? আমরা কি সংস্কৃতির রূপ বদলানো প্রত্যক্ষ করছি না? পোস্ট কার্ড, ইনল্যান্ড লেটার, এনভেলাপ দিয়ে আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা শুরু হয়ে, ল্যান্ড ফোন - মোবাইল ফোন হয়ে এখন নেট - হোয়াটসঅ্যাপ ইত্যাদিতে পরিবর্তিত হয়নি কি? সংস্কৃতির হাত যত লম্বা হবে মানে, যত প্রযুক্তিনির্ভর হবে তত পুরনো ধ্যান ধারণা পাল্টাবে এতে কোন সন্দেহ নেই। তবে একটা কথা মনে রাখতে হবে। প্রযুক্তির কুফল নিয়ে গড়ে ওঠা সংস্কৃতি কোনদিন সমাজজীবনকে সমৃদ্ধ করতে পারে না। যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে যাওয়ার কারণে আজকে বৃদ্ধাশ্রমের প্রয়োজনীয়তা যদি বাড়ে তাহলে এই সংস্কৃতির নিশ্চয়ই কোন গুরুত্ব থাকতে পারে না। মূল্যবোধের ওপরে গড়ে ওঠা সংস্কৃতির মূল্য আগে ছিল, এখনও আছে। কোন দেশ, কোন সমাজ, কোন পরিবারের নিজস্ব আদর্শ, মূল্যবোধ, সংস্কৃতি থাকবে এটাই স্বাভাবিক। সেটা সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে পরিমার্জিত এবং পরিশীলিত হবে এটাও স্বাভাবিক। অস্বাভাবিক তখনই, যখন এটার গতিমুখ পাল্টে গিয়ে সম্পূর্ণ বিপরীত প্রতিক্রিয়ায় নেগেটিভ মানসিকতার জন্ম দিয়ে চলে গতিহীনভাবে। {ads}

article thumbnail

উপলব্ধিঃ মার্কেটিং- নিখিল কুমার চক্রবর্তী

উপলব্ধি  (মার্কেটিং) আমাদের বড়বেলায় (বুড়োবেলায় নয়) মার্কেটিং বলতে এম বি এ কোর্সের একটা শাখাকে বুঝতাম। জেনেছিলাম, বাজার সংক্রান্ত পড়াশোনা হয় সেই শাখায়। মনোপলি মার্কেট, কম্পিটিটিভ মার্কেট ইত্যাদি ইত্যাদি। সেই সব মার্কেটে দ্রব্যের মূল্য কিভাবে ঠিক করা হবে, কখন দ্রব্য বাজারে নিয়ে যেতে হবে -- এই সব ব্যাপার না কি পড়ানো হয় সে শাখায়! আরো অনেক কিছু নিশ্চয়ই পড়ানো হয়। তবে সে সবে গুরুত্ব দিতাম না। মার্কেটিং ব্যাপারটা নিয়ে এত গুরুত্ব দেওয়ার বিষয় সেটা ছিল না তখন। পাকাবেলায় এসে নিজে কস্টিং পড়তে গিয়ে জানলাম মার্কেটিং এত সহজ বিষয় নয়। মার্কেটিং ম্যানেজমেন্টকে তখন একটু অন্য চোখে দেখতে আরম্ভ করলাম। আরো বিশদে জানার চেষ্টা করলাম। আসলে তখনও ঠিক বুঝে উঠতে পারি নি যে মার্কেটিং ম্যানেজমেন্টটাই বর্তমান সমাজে আসল ম্যানেজমেন্ট। সেটা বুঝতে বুঝতেই মাথায় চকচকে টাক। যাই হোক, জানতে জানতেই কস্টিং কমপ্লিট হয়ে গেল। সবাই ভাবল আমি মার্কেটিং ব্যাপারটায় খুব দক্ষ হয়ে গেছি। কিন্তু আমি তো নিজেকে চিনি। বাজারের থলি হাতে বেরুলেই বুঝতে পারি, মার্কেটিংয়ের "ম" ও জানি না। পুঁই শাক কিনলে যে সাথে কুমড়ো কিনতে হয় তা মাথায় থাকে না। শুক্তোর বাজার করতে গৃহিণী ঠেলে পাঠালে হয় উচ্ছে না হয় কাঁচা কলা আনতে ভুলে যাবই। দামের কথা না ই বা বললাম। সব্জি বিক্রেতা আমার থেকে ভাল মার্কেটিং বোঝে। আমাকে দেখেই বলে উঠে, "আসুন দাদা, কত দিন পরে এলেন। শরীর ভাল তো? বাড়ির সবাই ভাল তো?" আমি গদগদ হয়ে যাই। কি ভাল লোক! আমার কত খেয়াল রাখে! সে আবার বলে, "পটল এক কিলো দিচ্ছি দাদা। হাজিগড়ের মাঠের টাটকা পটল। আপনি তো জানেন আমরা নিজেরাই চাষ করি। সত্তর টাকা কিলো বেচছি। আপনি ষাট করে দেবেন।" খুব খুশী হয়ে পটল কিনে বাড়িতে ফিরে গৃহিণীকে সব বলতেই খাঁটি সরষের তেলের ঝাঁঝ বেরিয়ে আসে। "ঐ ছেলেটার বাড়ি হাজিগড়ে? নিজেরা চাষ করে? তোমাকে ঢপ দিল আর তুমি মেনে নিলে? ওর বাড়ি তো এই বর্ধমানেই। মেহেদিবাগানে। বাপের জন্মে কোনদিন চাষের মাঠে পা দিয়েছে?" এর পর দাম শুনে আরো উগ্র ঝাঁঝ। "সে কী গো? আমাদের বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়া গলা কাটা সব্জির ভ্যানবালাগুলোও তো অত দাম নেয় না। পঞ্চাশ টাকা কিলো নেয়। হায় হায়! কি একটা গাড়োলের সাথে যে বাবা আমার বিয়ে দিয়েছে!" এর পরে স্বভাবতই স্থান ত্যাগ করা উচিত। এবং আমিও "সাকসেসফুল রিট্রিট" করি। কি যে হয় আমার! পরের বার বাজার গিয়ে আবার তার কাছে যাই। আবার সব্জি কিনি। আবার ঠকি। "ল অব ডিমিনিশিং রিটার্ণ" কাজই করে না। যখন একটু আধটু ছেড়ে একটু বেশিই লিখতে শুরু করলাম তখন "সাহিত্যের গৃহিণীপনা" বলে একটা কথা শুনেছিলাম। অর্থাৎ শুধু লিখলেই হবে না, তা গ্রন্থাকারে বা অন্য যেভাবে হোক পাঠকের হাতে যথোপযুক্ত(?) মূল্যে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। এটা না পারলে যত ভালই লেখা হোক, কেউ পাবলিশ করবে না। নিজের জীবনে প্রত্যক্ষ্য করছি এটা। তা, এটা কি মার্কেটিং নয়? মার্কেটিং হল সেই প্রজাতির প্রাণী যা সিচুয়েশন অনুযায়ী নিজের রূপ ও স্বভাব পাল্টাতে পারে। এখন ব্যাপারটা আরো ঘোরালো হয়ে গেছে। কর্পোরেট হসপিটাল, মিডিয়া হাউস, কর্পোরেট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, এন জি ও প্রভৃতি সবাই একটা করে মার্কেটিং উইং রাখছে। "বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সুচ্যগ্র মেদিনী"। সবাইকে বাজার ধরতে হবে। হসপিটালে পেশেন্ট বেশি আনতে হবে, মিডিয়াতে বেশি বিজ্ঞাপন আনতে হবে, স্কুল কলেজে বেশি ছাত্র ছাত্রী আনতে হবে, এন জি ওকে বেশি সেবা প্রদান করতে হবে ইত্যাদি। লিস্ট বাড়ালেই বাড়বে। কত আর বলব! সেটা খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ও নয়। গুরুত্বপূর্ণ হল, এই বাজার ধরার খেলায় ক্ষতিগ্রস্ত কে হচ্ছে? এই খেলায় মাততে গিয়ে কোয়ালিটির সাথে, পরিষেবার সাথে কমপ্রোমাইজ করছি না তো আমরা? তা যদি হয়, তাহলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সমাজ, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জনজীবন। একটা ছোট্ট উদাহরণ দিই। প্রায়ই আমরা খবর পাই, দুটো বাসের রেষারেষিতে জানলার ধারে বসে থাকা এক ব্যক্তির হাত কেটে রাস্তা পড়ে গেছে। জোরে ছুটতে গিয়ে দুটো বাস এত পাশাপাশি এসে গিয়েছিল যে ঘষটানিতে এই দুর্ঘটনা। তা, বাস দুটো এমন বেপরোয়াভাবে ছুটছিল কেন? ঘুরেফিরে সেই মার্কেটিং। একই রুটের দুটো বাসকেই বাজার ক্যাপচার করতে হবে। মুনাফা লুটতে হবে। আমরা পড়েছিলাম, বাজারে টিকে থাকার জন্য প্রথম দিকে কোন দ্রব্যের বাজার মূল্য দ্রব্যটি তৈরি করার খরচের থেকেও অনেকসময় কম রাখতে হয়। এখন ব্যাপারটা উল্টো বলে প্রতীয়মান হয়। প্রথমেই বেশি দামে দ্রব্য বাজারে নিয়ে এস, হেব্বি হেব্বি নায়িকাদের দিয়ে বিজ্ঞাপনে টিভির পর্দা কাঁপিয়ে দাও, প্রমাণ করে দাও এই বেশি দামে কেনাটাই স্ট্যাটাস সিম্বল। এর পরে পাবলিকে দ্রব্যটি খাবেই খাবে। পোস্ত এখন মহার্ঘ বস্তু। আগে মাসে এক কেজি পোস্ত যারা কিনত এখন মাসে একশ গ্রামে কাজ চালায়। দাম বেড়েছে মানে পোস্তর মান ভাল হয়েছে তা কিন্তু নয়। আমার দোকানদার জানাল অনেক অসাধু ব্যবসায়ী এক ধরনের শস্যবীজ পোস্তয় মিশিয়ে দিচ্ছে। কম পোস্ত বেচে বেশি লাভ। ওর কাছে আসল নকল দুটো পোস্তই আছে। আমি চাইলে নকলটা নিতে পারি। কিন্তু সেটা আমার শরীরের জন্য ঠিক হবে না। অাসলটার দাম একটু বেশি হলেও ওটাই নেওয়া ভাল। (মার্কেটিং এর সম্ভ্রান্ত নমুনা।) সুতরাং বেশি দামে পোস্ত কিনে পলিপ্যাকে নিয়ে সবাই কে দেখাতে দেখাতে বাড়ি ফিরলাম। এটাও মার্কেটিং। পোস্ত কিনেছি মানে, আমি অনেক বড় "হনু"। সেটা সবাইকে জানানো হল। আমার বাজার দর বাড়ল। টি আর পি বাড়াও আর মজায় থাকো। এই আদর্শে এখন চলছি আমরা। বলা ভুল হল। চলছি না, ছুটছি। হয়ত অপেক্ষায় আছি, ছুটতে গিয়ে কখন হোঁচট খেয়ে পড়ব। তারপর হয়ত পিঠদৌড় দিয়ে মূল স্রোতে ফিরব। কারণ ইতিহাস সাক্ষী, আজ পর্যন্ত হঠাৎ গজিয়ে ওঠা কোন কিছুই চিরস্থায়ী হয় নি।

article thumbnail

উপলব্ধিঃ সম্পর্ক- সম্পর্ক- নিখিল কুমার চক্রবর্তী

উপলব্ধি  (সম্পর্ক) খুব ছোট্টবেলায় পড়াশোনার পাঠ আমাদের ছিল না বললেই চলে। বাবা মায়ের কাছে শোনা, প্রথম ইস্কুলে গিয়েছিলাম পাঁচ বছর বয়সে। ইনফিন ক্লাসে। সেখান থেকে ডবল প্রমোশন পেয়ে এক লাফে ক্লাস টু তে। ঐ সময়েই শিখেছিলাম, ইস্কুলে মাস্টারমশাইরা সবাই গুরুজন। তাঁরা যা বলবেন অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হয়। এমন কি রোজ নিয়ম করে গাঁট্টা বা বেত্রাঘাত দিলেও মুখ বুজে সহ্য করতে হয়। আর সহপাঠীরা সবাই বন্ধু। তাদের সাথে সবকিছু শেয়ার করতে হয়। মিলেমিশে থাকতে হয়। সহপাঠী মানে শুধু নিজের ক্লাসের ছেলেমেয়েরা নয়। নীচে বা ওপরের ক্লাসের ছেলেমেয়েরাও সহপাঠী এবং বন্ধু। তাই করতামও আমরা। আজও তাই সেইসব মাষ্টারমশাই বা সহপাঠীদের সাথে সুসম্পর্ক বর্তমান। এখন চারিদিকে অন্যচিত্র। মাষ্টারমশাইদের গুরুজন মানা হয় কি না, জানি না। তবে ছাত্র ছাত্রীদের গায়ে হাত তোলার অধিকার তাঁদের নেই। রে রে করে লোকাল দাদা, জাতীয় নেতা, মানবাধিকার কমিশন, মিডিয়া ইত্যাদি যত প্রতিষ্ঠান বা পরিত্রাতা আছে সবাই টি আর পি বাড়ানোর ময়দানে নেমে পড়বে। এখন সবাই জানে, পাবলিকে কি খায়! যা খায়, তাই খাওয়াতে হবে তো না কি! সহপাঠীরাও কেউ বন্ধু নয় এখন। প্রতিযোগী। কারোর সাথে কিছু শেয়ার করতে নেই। তাহলে সেও ভাল নম্বর পেয়ে যাবে। প্রতিযোগী তৈরি হয়ে যাবে। এখন কেউ চায় না, ময়দানে তার কোন প্রতিযোগী থাকুক। সে ইস্কুল, চাকরির জায়গা বা রাজনীতির ময়দান যাই হোক না কেন! নারী পুরুষের সম্পর্কও আর নির্ভরশীলতা, বিশ্বাস বা ভরসার সম্পর্কে আটকে নেই। সভ্যতার ঝকমকানিতে সে সম্পর্কেও এখন পারস্পরিক বোঝাপড়ার চেয়ে পারস্পরিক স্বার্থসিদ্ধির আগ্রহ বেশি। এই সম্পর্কটা অনেকটা দাঁত আর জিভের মধ্যেকার সম্পর্কের মত হয়ে গেছে। সুযোগ পেলেই একে অপরকে কামড়ে দেয় বা আঘাত দেয়। দাঁত যেমন সুযোগ পেলেই জিভের রক্ত বের করে দেয়, তেমনি দাঁত দুর্বল হলেই জিভ তাকে ঠেলে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করে। তবে দাঁত আর জিভের মধ্যে কোনটা নারী আর কোনটা পুরুষ তা নির্ধারণ করা খুব কঠিন। দাঁত যেহেতু জিভের পরে জন্মায়, মানে, জিভের থেকে বয়সে ছোট তাই সামাজিক নিয়মে দাঁতকেই নারী ধরে নেওয়া যেতে পারে। তাছাড়া, চরিত্রগত মিলের জন্যও দাঁতকেই নারী ভাবা বাঞ্ছনীয়। আর একটা বিষয় উল্লেখযোগ্য। নারী পুরুষের যৌথ প্রচেষ্টাতেই সমাজ বা সংসার টিকে থাকবে এ বিষয়ে দ্বিমত থাকা উচিত নয়। আগেকার সম্পর্কে পুরুষ বহির্জগতে ব্যপ্ত থাকলে নারী অন্দরমহল সামলাত। এটা "ডিভিশন অব লেবার" ছাড়া আর কিছুই নয়। এতে পরবর্তী প্রজন্ম উপকৃত হত বেশি। এখন দুজনেই বহির্জগতে ব্যপ্তদ হয়ে যাওয়ায় পরবর্তী প্রজন্ম ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যাচ্ছে না তো? "ডিভিশন অব লেবার" যে আমাদের সমাজে সম্পর্ক তৈরিতে অনেককটাই ভূমিকা নিত বা নেয় তা অস্বীকার করার কোন উপায়ই নেই। সেই মুনি ঋষিদের সময়েই "ডিভিশন অব লেবার" এর ওপর ভিত্তি করেই তৈরি হয়েছিল "বর্ণাশ্রম" প্রথা। লেখাপড়া শেখা বুদ্ধিমান ব্রাহ্মণরা পুজোআচ্চার কাজ করবে, শারীরিকভাবে শক্তিশালী ক্ষত্রিয়রা দেশ রক্ষার কাজ করবে, বৈষয়িক বুদ্ধিসম্পন্ন বৈশ্যরা ব্যবসাবানিজ্য করবে, আর বাকিরা সব শূদ্র। তারা অন্যান্য কাজ করবে। এমন কি এদের বৈবাহিক সম্পর্কও নিজেদের গ্রুপের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। এখন ও সব বালাই নেই। ব্রাহ্মণ সন্তান দেশরক্ষার কাজ করছে আবার ব্যবসাবানিজ্যও করছে। ক্ষত্রিয়, বৈশ্য সবাই সবার কাজ করছে। তাহলে বৈবাহিক সম্পর্কও শুধুমাত্র নিজেদের গ্রুপে সীমাবদ্ধ থাকা উচিত নয়। থাকছেও না। অর্থাৎ, এক্ষেত্রেও সম্পর্কের সজ্ঞা পাল্টাচ্ছে। যুগোপযোগী হচ্ছে সম্পর্ক। তাই যদি হয়, তাহলে ইস্কুলে, চাকুরিস্থলে, রাজনীতির ময়দানে সর্বত্র সম্পর্ক যে অনেকটা প্রতিযোগীতামূলক হয়ে যাচ্ছে তাও কি সময়ের দাবীতে? মানুষের সাথে মানুষের, মানুষের সাথে অন্য প্রাণীর বা মানুষের সাথে প্রকৃতির পারস্পরিক নির্ভরশীলতা আর বোঝাপড়ার সম্পর্কের বদলে শুধুই কি স্বার্থসুখের সম্পর্ক নিয়ে বেঁচে থাকব আমরা? এতে "ইকোসিস্টেম" বজায় থাকবে তো? বজায় থাকবে তো প্রকৃতিনির্ভর মানবের সমাজ আর সভ্যতা? মনে হয়, কেউই এর উত্তর খুঁজতে আগ্রহী নয়। আগ্রহী হলে সম্পর্কের চরম অবনতি নিয়ে আমাদের বেঁচে থাকতে হত না। পাঁচ বছরের শিশুকন্যাকে তার বয়স্ক আত্মীয়ের ধর্ষণের বা পুত্র অথবা কন্যার হাতে পিতা/মাতা খুন হওয়ার খবর পরেও আমরা নিশ্চুপ থাকতাম না। এ এক অবক্ষয়ের সম্পর্কের, মূল্যবোধহীনতার সম্পর্কের আবর্তে ঘুরে মরছি আমরা।

article thumbnail

উপলব্ধিঃ ব্যবহারের ভাষা- নিখিল কুমার চক্রবর্তী

ব্রিটিশরা মোটামুটি দুশো বছরের মত আমাদের মাথায় চেপে বসেছিল। তাতে যা হওয়ার তা হয়েছে। এত বছর ধরে মাথার ওপর এমন ভারী বোঝা চাপানো থাকলে শিরদাঁড়া বেঁকে যেতে বাধ্য। গেছেও। বেঁকে গিয়ে এমন অবস্থা যে আর মাথা উঁচু করার কোন উপায়ই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। শুধু শারীরিক পরিবর্তন নয়, মানসিক পরিবর্তনও ঘটে গেছে। অভ্যাস খারাপ হয়ে গেছে ভীষণরকম। দুশো বছর মাথায় ইংরেজরা চেপে থাকলে যা হয় আর কি! ইংরাজি না বললে, ইংরেজদের পোষাক না পরলে নিজেকে যেন ভদ্রদুরস্ত বলে প্রমাণ দেওয়া যায় না। দুজন বাঙালি বা দুজন পাঞ্জাবি অথবা দুজন মাড়োয়াড়িও নিজেদের মধ্যে ইংরাজিতে কথা বলে আত্মপ্রসাদ অনুভব করে। যত দিন যাচ্ছে তত অভ্যাস খারাপ হচ্ছে। আমাদের নিজস্ব পোষাক ধূতি পাঞ্জাবি বা শাড়ি এখন উৎসবের পোষাক। অবশ্য এটা মেনে নেওয়া ভাল যে, আজকের জেট যুগে ধূতি পাঞ্জাবি বা শাড়ি পরে রাস্তাঘাটে বেরুনোটা বিপজ্জনক। সেই হিসাবে উৎসবে ব্যবহার হলেও অন্তত কিছুটা মর্যাদা দেওয়া হয় নিশ্চয়ই। অনেকবছর আগে যখন আমি কলকাতায় থাকতাম না, তখন একটা ঘটনা ঘটেছিল। আমার এক সিনিয়র সহকর্মী দাদার সাথে বিশেষ প্রয়োজনে কলকাতায় এক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে একাউন্ট ওপেন করতে এসেছি। বর্ধমানের এড্রেস দেখে প্রথমেই ওখানে একটু নাক সিঁটকিয়ে জানানো হল, বাড়ির ঠিকানায় একটা রেজিস্ট্রি চিঠি যাবে। সেটা নিয়ে এসে দেখালে তবেই চেকবুক, পাশবুক দেওয়া হবে। সন্তুষ্ট হয়ে চলে এলাম। ওমা, দু তিন মাস পরেও চিঠি আসে না। একাউন্টার আমার খুব প্রয়োজন ছিল। অথচ কাজ হচ্ছে না। যতবার কলকাতায় গিয়ে খোঁজ করি ততবারই শুনি এক কথা। চিঠিটা আনতে হবে। ওটাই না কি এড্রেস ভেরিফিকেশন। তখন এত মুঠোফোনের চল ছিল না। ল্যান্ডফোনও কতিপয় লোকের বাড়িতে শোভাবর্ধক উপাচার হিসাবে থাকত। সুতরাং, কলকাতায় গিয়ে বারবার খোঁজখবর নিতে হত। বারবার কলকাতা গিয়ে বিরক্ত হয়ে একদিন বলেই ফেললাম, "এড্রেস ভেরিফিকেশন করতে হয় তো লোক পাঠান। এত মাস ধরে চিঠি পাঠিয়ে বসে আছেন কেন?" বেশ ধমক খেতে হল। শুনলাম, "নিশ্চয়ই আপনার এড্রেসে  গণ্ডগোল আছে, না হলে চিঠি পাচ্ছেন না কেন?" অপমানিত বোধ করলাম। শেষে কিনা আমার ঠিকানা ঠিক নয়? খুব ঝামেলায় পড়লাম তো! সেই সহকর্মী দাদাকে বললাম। উনি সব শুনে বললেন, "বাংলায় কথা বললে কেউ শুনবে না। ওখানে গিয়ে ইংরিজিতে কথা বল। তার আগে নিজের প্যাডে ইংরিজিতে লিখে একটা ঝেড়ে কমপ্লেন কর। লিখবি যে ওদের ব্যবহারে তুই অপমানিত বোধ করছিস।" তাই করলাম। পরিস্কার জানালাম, "তোমাদের সিস্টেমের জন্য একজন ভ্যালুয়েবল কাস্টমার কেন সাফারার হবে? এড্রেস ভেরিফিকেশন করতে হলে লোক পাঠাও। যদি তোমরা এইভাবে আমাকে আরও হেনস্থা কর, তাহলে আমি লিগ্যাল একশন নোব।" এর সপ্তাহ দেড়েক পরে ব্যাঙ্কে দেখা করতে গেলাম। সেখানে কি হল তা আর ব্যক্ত করলাম না। ম্যাক্সিমাম মিনিট দশেক সময়ের মধ্যে সমস্ত কিছু আমার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। এমনকি ম্যানেজার তার চেম্বারে বসিয়ে চা খাইয়ে দেরি হওয়ার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী হয়েছিলেন। হ্যাঁ, সহকর্মী দাদার কথা অনুযায়ী আমি ওখানে আমার ক্ষমতা অনুযায়ী যথাসম্ভব ইংরাজিতেই কথা বলেছিলাম। ওনার কাছেই শেখা, কোথাও কাজের জন্য গিয়ে "এক্সকিউজ মি" বলে শুরু করলে এটেনশন বেশি পাওয়া যায়। জীবনে এই উপদেশ পালন করে যে উপকৃত হইনি তা জোর দিয়ে বলতে পারব না। আমি সবসময় "সুপ্রভাত", "শুভরাত্রি" এইভাবে বলতে ভালবাসি। এরজন্য যেমন আমার আলাদা পরিচয় তৈরি হয়েছে তেমনি লোকের বিরাগভাজনও হয়েছি বৈ কি! ফোন তুলে "সুপ্রভাত" বললেই অপর প্রান্তের মানুষটি বুঝে যেত এ প্রান্ত থেকে কে কথা বলছে। আবার অনেকে "বাঙালি প্রেমিক" তকমা দিয়ে অনেক বিরুদ্ধতাও করেছে। এই সংকীর্ণ মানসিকতাই আমাদের অভ্যাস খারাপ করে দিয়েছে। ইংরাজি ভাষাকে অবজ্ঞা বা অস্বীকার করার কোন উপায় আমাদের নেই। এত ব্যাপক এবং বিশাল পরিধি নিয়ে বিস্তৃত থাকা এই ভাষার গ্রহনযোগ্যতা নিয়ে সন্দেহের কোন অবকাশই নেই। কিন্তু তার জন্য অপ্রয়োজনে নিজের ভাষাকে পরিহার করতে হবে কেন? কেন অন্য ভাষাকে ব্রাত্য  করে দিতে হবে? ছোট ভাবতে হবে? মনের ভাব প্রকাশের মাধ্যমই যদি ভাষা হয়, তাহলে অনাবশ্যকভাবে মাতৃভাষা ছেড়ে অন্যভাষা ব্যবহার করার মধ্যে কি মাধুর্য থাকতে পারে, তা আমার বোধগম্য নয়। এখনকার ছেলেমেয়েরা বাংলা, ইংরাজি, হিন্দি মিলিয়ে অদ্ভূত এক ভাষা ব্যবহার করে। তারা এতেই সাবলীল। আমরা যদি তা মেনে নিতে না পারি তাহলে হয়ত খামতি টা আমাদের মধ্যেই রয়ে গেছে। ওরা তো আর ব্রিটিশের গোলামি করেনি। তাহলে? এটা বোধহয় অতি আধুনিকতার একটা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। আমাদের মত প্রাচীনপন্থীদের মাথায় ঢুকবে না। এতে ভাল হবে না মন্দ হবে তা সময়ই বলে দেবে।

article thumbnail

উপলব্ধিঃ বাথরুম- নিখিল কুমার চক্রবর্তী

বেশ কিছুদিন বা বেশ কিছুক্ষণ পরে বাইরে থেকে ঘুরে আসার পর বাথরুমে ঢুকে বাথরুমের মেঝেটা শুকনো খটখটে দেখলে বেশ আনন্দ হয়। এমনিতে বাথরুমের মেঝে সবসময় ভিজেই থাকে। জলে ভিজে থাকার কারণে হাল্কা শ্যাওলা জমে কখনও সখনও। শুকনো দেখার পর প্রথমে বিশ্বাস হয় না। চারদিক পা বুলিয়ে দেখে নিই, সত্যি সত্যিই শুকনো তো? নিশ্চিন্ত হওয়ার পর সারা মনে একটা প্রশান্তির, একটা সুখানুভূতির শিহরণ বয়ে যায়। কেন এমন হয়? বাবা বলতেন, "ঠাকুর বলেছেন রাজহংসের মত হও। দুধ আর জল মেশানো থাকলে সেখান থেকে দুধটুকু আলাদা করে নিতে শেখ।" তখন এত তত্ত্বকথা বুঝতাম না। মনে হত, এটা আবার হয় না কি? দুধ আর জল মেশানো থাকলে দুধকে আলাদা করা সম্ভব না কি? সত্যিই কি রাজহাঁস তা পারে? পরখ করে দেখি নি কোনদিন। বাবার কথাই সার কথা। তিনি তো জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে বলছেন! সুতরাং মেনে নিয়েছি। আজ এই জীবন সায়াহ্নে এসে বুঝি, বাবা কত খাঁটি কথা বলতেন। সমাজের প্রতিটা স্তরে দুধ আর জল এক হয়ে মিশে আছে। সেখান থেকে দুধকে আলাদা করাটাই কঠিন। তবে, তা করতে পারলে জীবন নিশ্চয়ই শান্তির হবে। সুখের হবে কি না, তা জানি না। কারণ, সুখ কথাটাই আপেক্ষিক! কার যে কিসে সুখ আসে তা হয়ত সে নিজেই জানে না। কেউ  দুধ বেচে মদ খেয়ে সুখের স্বাদ পায় তো কেউ মদ বেচে দুধ খেয়ে। এই যে বাথরুম শুকনো দেখে আনন্দ পাওয়া, এটাও তো সেই একই পর্যায়ের কথা। যা দেখতে অভ্যস্ত আমরা, তার থেকে আলাদা কিছু দেখে আনন্দ পাওয়া। কোথাও একটা কার্টুন দেখেছিলাম, বেতাল, অরণ্যদেব, শক্তিমান এবং এক সৎ রাজনীতিবিদের ছবি এঁকে বলা হয়েছিল এগুলোর মধ্যে একমাত্র সৎ রাজনীতিবিদই বাস্তবে সম্ভব নয়, বাকিগুলো বাস্তবে থাকলেও থাকতে পারে। তাই কোন রাজনীতিবিদ সৎভাবে সমাজের সেবা করার জন্য সামনে এলে তাঁকে মানুষ হৃদয়ে আসন দেয়। তাঁর সান্নিধ্যে আনন্দ পায়। এখনকার প্রজন্ম সাধারণত মূল্যবোধকে গুরুত্ব দেয় না। তারা কেরিয়ারের ভ্যালু বোঝে, চাকরির ভ্যালু বোঝে কিন্তু মূল্যবোধ বোঝে না। আমরাই তাদের বুঝতে শেখাই নি। ছোট্টবেলা থেকে নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকতে শিখিয়েছি। দু আড়াই বছর বয়স থেকে পিঠে বইয়ের বোঝা চাপিয়ে স্কুলে পাঠিয়ে কেরিয়ার সচেতন হতে শিখিয়েছি, দাদু দিদিমা ঠাকুমা মামা মাসী পিসির সম্পর্ক না বুঝিয়ে শুধুমাত্র ড্যাড মমে আবদ্ধ থাকতে শিখিয়েছি। অর্থাৎ বাড়ির বাগানে যত্ন করে বাবলাগাছ বসিয়েছি। সেই গাছে মিষ্টি আর রসাল আম ফলবে কি করে? তারই মধ্যে যদি কেউ যত্ন করে সত্যি সত্যিই মিষ্টি আর রসাল আম গাছ বসায় এবং সেরকম ফল পায় তাহলে তা সেই শুকনো খটখটে বাথরুমের মেঝের মতই হবে। তাই না? সমাজের প্রতিটা মেঝেতে জল জমতে জমতে যে শ্যাওলা পড়ে গেছে তা তুলে ফেলার জন্য প্রকৃত ব্লিচিং পাউডার প্রয়োজন। ব্যতিক্রম কি নেই? নিশ্চয়ই আছে। না থাকলে এই জগত সংসার চলছে কি করে? তবে, ব্যতিক্রম নিয়মের অস্তিত্বকেই প্রমাণ করে। যে কোন খারাপ নিয়মের ভাল ব্যতিক্রম থাকতে পারে আবার ভাল নিয়মের খারাপ ব্যতিক্রম থাকতে পারে। প্রথমের থেকে দ্বিতীয়টাই কাম্য হওয়া উচিত। তা হচ্ছে না বলেই চারদিকে বিশৃঙ্খলা! তবে ভাল মন্দে মেশানো জীবন শুধুমাত্র ব্যতিক্রমে আবদ্ধ থাকতে পারে না। অভিজ্ঞতার নিরিখে ভালকে ভাল বলে বা খারাপকে খারাপ বলে চিনতে পারাটাই আসল। যতদিন না সে শিক্ষা আমাদের হচ্ছে ততদিন বাথরুম শুকনো হবে না। শ্যাওলা জমে থাকবে মেঝেতে। হড়কে পড়ে যাওয়ার ভয় থাকবে। অর্থাৎ, সমাজে বা জীবনে শিক্ষা প্রতিফলিত হবে না। আমরা নচিকেতার গলায় "যে মেয়েটা রোজ রাতে বদলায় হাতে হাতে তার অভিশাপ নিয়ে চলাই জীবন" বা "প্রতিদিন চুরি যায় মূল্যবোধের সোনা আমাদের স্বপ্ন আমাদের চেতনা" গানে হাততালি দিয়ে আত্মরতিতে মগ্ন হই কিন্তু যে শ্যাওলার দিকে তিনি আঙ্গুল তুলেছেন তা পরিষ্কার করতে সচেষ্ট হই না। এ এক অন্য ধ্বংসলীলা, অন্য রতির খেলা। উত্তর আমাদেরই খুঁজতে হবে। কারণ বাথরুমটা আমাদের নিজেদের! এখানেই স্নান করে আমরা স্নিগ্ধ, শান্ত হই। {ads}

article thumbnail

নবান্নের লড়াই

আরো পড়ুন

কোভিড আতঙ্কের মাঝেই কেমন হল রাজ্যের অন্তিম দফার নির্বাচন ?

বিকেল ৫টা পর্যন্ত গড়ে মোট ভোট পড়েছে ৭৬.০৭ শতাংশ। মালদায় ভোট পড়েছে ৮০.০৬ শতাংশ, মুর্শিদাবাদে ভোট পড়েছে ৭৮.০৭ শতাংশ। এছাড়াও বাকি দুই বিধানসভা জেলায় অর্থাৎ বীরভূম এবং কলকাতা উত্তরে ভোট পড়েছে যথাক্রমে ৮১.৮৭ এবং ৫৭.৫৩ শতাংশ। আজকের দিনে রাজ্যের শেষ দফা নির্বাচনের ছবিটা মিলিয়ে মিশিয়ে। সকাল থেকে একাধিক যায়গায় বিক্ষিপ্ত অশান্তির ছবি ধরা পড়ে। আবার বেশ কিছু যায়গায় শান্তিপূর্ন ভোট হলেও স্বয়ং বুথ কর্মী ও পোলিং এজেন্ট রাই অভিযোগ করছেন মানা হচ্ছেনা করোনাবিধি, বজায় থাকছেনা সামাজিক দূরত্বও।  {link} আজকে সকাল থেকেই উত্তর কলকাতার বিভিন্ন যায়গা থেকে বিক্ষোভের খবর আসতে থাকে। বেলেঘাটা ও মানিকতলার নাম উঠে আসে বিশেষভাবে। অন্যদিকে জোড়াসাঁকোয় বুথে অভিযোগ উঠেছে কোভিড বিধি না মেনে চলার। বোলপুরের বিজেপি প্রার্থী অনির্বান গঙ্গোপাধ্যায়কে তাড়া করা হয় বাঁশ নিয়ে। সেইখানে উন্মত্ত জনতা ভেঙে দেয় তার গাড়ির কাঁচ। সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সংবাদমাধ্যম সহ সোশ্যাল মিডিয়াতে। বোলপুরের ইলামবাজারের এই কান্ড নিয়ে যথেষ্ট উত্তপ্ত রাজনৈতিক মহল। এছাড়াও শীতলকুচি বিধানসভা কেন্দ্রের সেই মর্মান্তিক ঘটনার পর আজ সেই কেন্দ্রে পুনঃনির্বাচন ছিল। এবারে ভোট শান্তিপূর্নই হয়েছে। রাজ্যে আজকে অবশেষে আটটি দফা সম্পূর্ন হওয়ার সাথে সাথেই সম্পূর্ন হল রাজ্যের ভোটগ্রহন পর্ব। কোথাও গিয়ে আজকের ভোটে মানুষের মধ্যে করোনা আতঙ্কের চিত্রটা অনেকটাই স্পষ্ট ছিল। এবার অপেক্ষা শুধু ফলপ্রকাশের।  {ads}

article thumbnail

বেলা ১টা পর্যন্ত গড়ে ভোট পড়েছে ৫৬.১৯ শতাংশ, বিক্ষিপ্ত অশান্তির মাঝেই চলছে অন্তিম দফার নির্বাচন

আজ রাজ্যে অন্তিম দফা অর্থাৎ অষ্টম দফার নির্বাচন। প্রথম সাতটি দফা সম্পূর্ন হওয়ার পর আজ অষ্টম দফায় নির্বাচনী লড়াই ৪টি জেলার মোট ৩৫টি বিধানসভা কেন্দ্রে। যার মধ্যে মালদহের ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রে, মুর্শিদাবাদের ১১টি বিধানসভা কেন্দ্রে, বীরভূমের ১১টি এবং কলকাতার ৭টি বিধানসভা কেন্দ্রে। আজকেই রাজ্যে গণতান্ত্রিক উৎসবের শেষ দিন। কিন্তু ভোটের আবহে আজ অনেকটাই আতঙ্ক রয়েছে করোনার। বাড়তে থাকা মারণ ভাইরাসের প্রকোপে অনেকটাই ম্লান হয়ে পড়েছে একুশের বিধানসভা নির্বাচন। সকাল থেকেই সমস্ত বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহন শুরু হয়েছে। কিন্তু সকাল থেকেই বিভিন্ন যায়গা থেকে বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর ভেসে আসছে।  {link} আজ অর্থাৎ ২৯শে মে অষ্টম দফার নির্বাচনে যে কটি কেন্দ্রে বিশেষভাবে নজর থাকবে তার মধ্যে কলকাতার মানিকতলা, জোড়াসাঁকো, বেলেঘাটা অন্যতম। সকাল থেকেই বেলেঘাটা ও মানিকতলায় বিভিন্ন যায়গা থেকে বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর আসছে। এছাড়াও বিশেষ নজর থাকবে বোলপুর বিধানসভা কেন্দ্রে, অনুব্রত মন্ডলকে গতকাল থেকেই নজরবন্দী করে দেওয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। অজ ইতিমধ্যেই তিনি বাইকে চড়ে এসে তার ভোটও দিয়ে গেছেন। এছাড়াও যেসব কেন্দ্রে নজর থাকবে তার মধ্যে রয়েছে মানিকচক, মালদহ, ইংলিশবাজার, বহরমপুর, জলঙ্গি ইত্যাদি। আজকের ৩৫টি আসনেই লড়াই খুব জোরদার, সকালে টুইট করে বিপুল ভোটের ডাক দিয়েছেন অমিত শাহ, কোভিড বিধি মেনে চলার কথা বলেছে নরেন্দ্র মোদী। বেলা ১টা পর্যন্ত গড়ে ভোট পড়েছে ৫৬.১৯ শতাংশ।  {ads}

article thumbnail

বেলা ১টা পর্যন্ত গড়ে ভোট পড়েছে ৫৫.১২ শতাংশ, চলছে সপ্তম দফার নির্বাচনের ভোটগ্রহন

একে একে মোট ছয় দফা সম্পূর্ন হওয়ার পর আজ রাজ্যে সপ্তম দফার নির্বাচন। আজ অর্থাৎ ২৬শে এপ্রিল ভোট পশ্চিমবঙ্গের ৪টি জেলার মোট ৩৬টি কেন্দ্রে। যার মধ্যে মালদহে ৬টি আসনে, মুর্শীদাবাদে নির্বাচন ১১টি আসনে, পশ্চিম বর্ধমানের ৯টি এবং কলকাতা ও দক্ষিন দিনাজপুরে যথাক্রমে ৪ ও ৬ টি বিধানসভা কেন্দ্রে আজ নির্বাচনী লড়াই। সকাল থেকেই ভোটগ্রহন শুরু হয়েছে সমস্ত বিধানসভা কেন্দ্রগুলিতে। কিন্তু করোনার দাপটে অনেকটাই ম্লান হয়ে উঠেছে গনতান্ত্রিক উৎসব। কড়া পাহারার মধ্যেও কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর থাকলেও মোটামুটি ভাবে ভোট হচ্ছে শান্তিপূর্ন ভাবেই।  {link} আজকের সপ্তম দফার নির্বাচনী লড়াইয়ে যে সকল কেন্দ্রের দিকে বাংলার মানুষের বিশেষ নজর থাকবে তার মধ্যে একটি অবশ্যই আসানসোল দক্ষিন একদিকে তৃণমূলের প্রার্থী সায়নি ঘোষ আর অন্যদিকে তার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অগ্নিমিত্রা পাল। সকাল থেকে বিভিন্ন বুথে বুথে ঘুরে বেড়াচ্ছেন সায়নি ঘোষ। কয়েকটি যায়গায় তার সাথে পুলিশের বচসাও বেঁধেছে বলে সূত্রের খবর। এছাড়াও নজর থাকবে ভবানীপুর, মুর্শিদাবাদ, রাসবিহারী, বালিগঞ্জ ও পান্ডবেশ্বর সহ সাগরদিঘী ও আরও বিভিন্ন কেন্দ্রে।  {ads}

article thumbnail

রাতভর চলেছে বোমাবৃষ্টি, সকালেও উদ্ধার বোমা, ভোটের দিনে উত্তপ্ত ব্যারাকপুর

ষষ্ঠ দফার নির্বাচনকে ঘিরে উত্তপ্ত উত্তর ২৪ পরগনা।ভোটের আগের রাতে উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুর লোকসভার অন্তর্গত্ আমডাঙা বিধানসভা কেন্দ্রে রাতভর বোমাবাজি চলে।এলাকার থানীয় বাসিন্দাদের মতে আমডাঙ্গা বিধানসভার সাধনপুর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত রাহানা এক নম্বর এলাকায় রাত বারোটা নাগাদ বোমাবাজি হয়। তার উপর আজকে ফের ষষ্ঠ দফার ভোট শুরু হওয়ার সাড়ে ৪ ঘণ্টার মধ্যে আবারও তাজা বোমা উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পডে আমডাঙ্গা বিধানসভা কেন্দ্রের রংমহল ৮৩ নম্বর বুথের বাইরে।স্বাভাবিক ভাবেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিপুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে সধারন মানুষের মধ্যে।  {link} স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ আই এস এফ এর কর্মীরা এই তাজা বোমা রেখেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে আমডাঙা থানার বিশাল পুলিশবাহিনী পুলিশ গোটা এলাকা ঘিরে রেখেছে এবং বোম স্কোয়ার্ডকে খবর দেওয়া হয়েছে বোমা-গুলি কে উদ্ধার করার জন্য। এছাড়াও প্রায় ১০ থেকে ১২ টি বোমা ফাটানো হয়েছে রাতের অন্ধকারে কে বা কারা এই বোমা ফাটিয়েছে তা নিয়েও তদন্ত শুরু করেছে আমডাঙা থানার পুলিশ। {ads}

article thumbnail

বেলা ১টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৫৭.৩ শতাংশ, শান্তিপূর্নভাবেই চলছে ষষ্ঠ দফার নির্বাচন

পঞ্চম দফা পর্যন্ত নির্বাচন সম্পূর্ন হওয়ার পর আজ রাজ্যে ষষ্ঠ দফার নির্বাচন। আজ ভোট মোট ৪৩টি বিধানসভা কেন্দ্রে। উত্তর ২৪ পরগনার ১৭টি আসনে, নদীয়ার ৯টি আসন সহ পূর্ব বর্ধমানের ৮টি ও উত্তর দিনাজপুরের ৯টি বিধানসভা কেন্দ্রে আজ নির্বাচনী লড়াই। সকাল থেকেই শান্তিপূর্নভাবে সমস্ত কেন্দ্রে ভোটগ্রহন চলছে। {link} আজ যে সমস্ত কেন্দ্রে জমাটি লড়াইয়ের সাক্ষী থাকতে পারে বাংলার মানুষ, তার মধ্যে অন্যতম কেন্দ্রে কৃষ্ণনগর উত্তর। মুখোমুখী লড়াইয়ে মুকুল রায় ও কৌশানি চট্টোপাধ্যায়। এছাড়াও ভাটপাড়া, চোপড়া, ইসলামপুর, করনদিঘি, রায়গঞ্জ, ইটাহার, নবদ্বীপ, বনগাঁ উত্তর ও দক্ষিণ উল্লেখযোগ্য কেন্দ্র। এর পাশাপাশি হাবড়া, ব্যারাকপুর, দমদম উত্তর সহ পূর্বস্থলীর দুই কেন্দ্রেও রাজ্যের মানুষের নজর থাকবে। সকাল থেকে কিছু যায়গায় বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর থাকলেও মোটামুটিভাবে শান্তিপূর্ন ভাবেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে রাজ্যের ষষ্ঠ দফার নির্বাচন। বেলা একটা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৫৭.৩ শতাংশ।  {ads}

article thumbnail

তৃণমূল বিজেপি সংঘর্ষে রনক্ষেত্র সল্টেলেকের শান্তিনগর, ইটবৃষ্টি

আজ গনতন্ত্রের উৎসবের পঞ্চম দফা। সেই পঞ্চম দফা নির্বাচনেই রনক্ষেত্র হয়ে উঠল সল্টলেক। আজকে সকাল থেকেই উত্তেজনার আবহ সল্টলেকের শান্তিনগর এলাকায়। দুই পক্ষের হাতাহাতি ও ইটবৃষ্টিতে রনক্ষেত্র হয়ে উঠেছে এলাকা। দীর্ঘক্ষন অশান্তির পরিবেশ থাকার পর সেই স্থানে এসে পৌছায় বিশাল পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং তারা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসে। একজন মহিলা ভোটারকে রাস্তায় ফেলে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে।  {link} স্থানীয় সূত্রের খবর বেলা ১০টা নাগাৎ হঠাতই সল্টলেকের শান্তিনগর এলাকায় পারস্পরিক বচসায় জড়িয়ে পড়ে তৃণমূল ও বিজেপির কর্মী সমর্থকেরা। সেই বচসাই ক্রমে হাতাহাতির আকার ধারন করে। ইটবৃষ্টিতে পরিস্থিতি আরও ধুন্ধুমার হয়ে ওঠে। গোটা রাস্তা ইটে ভরে যায়, এমনকি মহিলাদেরও মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাস্থলে দুই পক্ষেরই বেশ কিছুজন জখম হয়েছেন। দুই পক্ষই দুই পক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি সম্পূর্ন নিয়ন্ত্রনে। পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হতেই মাইকিং করে জমায়েত হটানোর চেষ্টা করা হয়। ভোটারদের বুথে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়ার পাশাপাশি বহিরাগতদের এলাকা থেকে বের করে দেয় পুলিশ। {ads}

article thumbnail

আবহাওয়া

আরো পড়ুন

Weather Update : শুষ্ক আবহাওয়া রাজ্যজুড়ে

শেফিল্ড টাইম্‌স ডিজিটাল ডেস্ক : এবার সত্যি সত্যি বৃষ্টি বিদায়  নিতে চলেছে। আনুষ্ঠানিকভাবে বর্ষা আগেই বিদায় নিয়েছে কিন্তু 'দানা' (dana cyclone) অনেকটা জলীয় বাষ্প আনায় বেশ কিছুটা বৃষ্টি হয়েছে। এবার সম্পূর্ণ হেমন্তের পরিবেশ। আবহাওয়া অফিস জানাচ্ছে, আপাতত দুই বঙ্গেই আর ভারী বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই। {link} কালীপুজোতে (Kali Puja)  কোথাও কোথাও হাল্কা বৃষ্টি হলেও হতে পারে। কালীপুজোর আগে উত্তরবঙ্গে (North Bengal) বৃষ্টির পূর্বাভাস। দক্ষিণবঙ্গে (South Bengal) বিক্ষিপ্তভাবে দু-এক জায়গায় খুব হালকা বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা রয়েছে। কালীপুজো ও দীপাবলিতে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও ভাই ফোঁটাতে মেঘমুক্ত পরিষ্কার আকাশ ৷ বৃষ্টির সম্ভাবনা কার্যত নেই। এমনটাই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর ৷ {link} আগামী এক সপ্তাহে দুর্যোগ বা ভারী বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। কোনও কোনও জেলার দু-এক জায়গায় স্থানীয়ভাবে হালকা বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা। নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে আবহাওয়ার বদল হবে। শুষ্ক আবহাওয়া রাজ্যজুড়ে। কলকাতায় (Kolkata) মূলত পরিষ্কার আকাশ। কখনও আংশিক মেঘলা আকাশ। বৃষ্টির সম্ভাবনা সামান্য শহরে। বাতাসে কমবে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ। কমবে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি। কালী পুজোতে হালকা বৃষ্টির খুব সামান্য সম্ভাবনা থাকলেও তারপর ধীরে ধীরে শুষ্ক আবহাওয়ার শুরু। {ads}

article thumbnail

Weather Update : 'দানা' শীতকে টেনে আনছে

শেফিল্ড টাইম্‌স ডিজিটাল ডেস্ক : দানার প্রভাব (dana cyclone) কাটিয়ে উঠেছে বাংলা ও ওড়িশা (Odisha)। তবে দানা রেখে গেছে অনেক ধ্বংসের ছবি। প্রচুর গাছ পড়েছে, বিপুল ক্ষতি হয়েছে কৃষির। সেই পরিস্থিতিতে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর প্রকাশ করলো রবিবারের ফোরকাস্ট। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় 'দানা'র প্রভাব অনেকাংশে কমেছে। তবে এর প্রভাব এখনও ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal), ঝাড়খণ্ড (Jharkhand) এবং বিহারে (Bihar) রয়েছে। {link} রবিবারও ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের কিছু জায়গায় হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে এসব এলাকায় তাপমাত্রা কমেছে। বাতাসে হৈমন্তিক প্রভাব বেশ স্পষ্ট। সকালের দিকে একটা মৃদু শীতল হাওয়া বইছে। ঘূর্ণিঝড় 'দানা'র প্রকোপে পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা-সহ উপকূলীয় অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। ঝড়ের প্রভাব দেখা গেছে ঝাড়খণ্ড, বিহার, মধ্যপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, কেরালা ও পশ্চিমবঙ্গে। আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে, এই দানা শীতকে টেনে আনছে। {link} ঘূর্ণিঝড় দানার কারণে পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার পূর্ব উপকূলে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে বিহার ও ঝাড়খণ্ডেও। তবে এখনই এখানে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। রবিবার এসব এলাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকতে পারে। আজ বাংলা ও ঝাড়খন্ডে মৃদু বৃষ্টি হতে পারে। দক্ষিণবঙ্গের  কোনো কোনো জেলায় হাল্কা বৃষ্টি হতে পারে। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গে তেমন কোনো বৃষ্টির পূর্বাভাস না থাকলেও পাহাড়ে দু'য়েক পশাল হাল্কা বৃষ্টি হতে পারে। তাপমাত্রা অনেকটা কমা শুরু করেছে। {ads}

article thumbnail

Dana cyclone : ‘দানা’ নিয়ে আরো সতর্ক হল পূর্বরেলওয়ে

শেফিল্ড টাইম্‌স ডিজিটাল ডেস্ক : আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাসের পর ঘূর্ণিঝড় দানা (dana cyclone) নিয়ে এবার আরো সতর্ক হল পূর্বরেলওয়ে (Eastern Railway)।  শিয়ালদহ (Sealdah) এবং হাওড়া স্টেশনে (Howrah station) ইতিমধ্যেই কন্ট্রোল রুম (Control room) খোলা হয়েছে। যেখানে রেলের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা উপস্থিত থাকবেন ২৪ ও ২৫ তারিখ। ঘূর্ণিঝড় প্রবণ যে সমস্ত এলাকাগুলি রয়েছে সেখানেও সতর্ক থাকবেন রেল কর্মীরা। {link} সমস্ত ঘূর্ণিঝড় প্রবন এলাকা গুলিতে সিকিউরিটির ব্যবস্থা করা হয়েছে। টাওয়ার সিস্টেম করা হয়েছে যাতে কোথাও কোনো বিপত্তি ঘটলে সেই খবর দ্রুত পাওয়া যায়। এছাড়াও যেসব হোডিং এবং যে সমস্ত বিপদজনক গাছ ছিল সেগুলো ইতিমধ্যেই কেটে সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। গাড়ির ড্রাইভার দেরও সতর্ক থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। {link} হাওড়া স্টেশনের ক্ষেত্রে যেহেতু কাজ চলছে তাই কাজের জন্য বালি থেকে শুরু করে স্টনচিপ সেগুলিকে ঢাকা দিয়ে রাখা হয়েছে। যেহেতু হাওড়া স্টেশনে ওয়াটার লগিং এর সমস্যা দেখা যায় তাই সেটি নিয়েও আগেভাগে ব্যবস্থা করার রাখা হয়েছে। এছাড়া রিলিফ ট্রেন প্রস্তুত রাখা হয়েছে। কোথাও যদি কোন বিপত্তি ঘটে সে ক্ষেত্রে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে। {ads}

article thumbnail

Ali pore: ওড়িশা-বাংলার কাছে পৌঁছবে ‘দানা’

শেফিল্ড টাইম্‌স ডিজিটাল ডেস্ক :  খবর পাওয়া গিয়েছিল কয়েকদিন আগেই। এবার তা আরও শক্তি বাড়িয়ে ছুটে আসছে। ঠিক কোথায় স্থল ভূমিতে আঘাত করবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। ইতিমধ্যেই ওড়িশা ও বাংলার উপকূলে ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে ওড়িশা-বাংলার কাছে পৌঁছবে ‘দানা’। তবে বুধবার থেকেই আবহাওয়ার পরিবর্তন হতে শুরু করবে। {link} দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া থাকবে উপকূলে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস বলছে, ১২০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিবেগে বইতে পারে ঝড়। ফলে সমুদ্র হলে উত্তাল। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। যথেষ্ট শঙ্কিত প্রশাসন।আমাদের স্মরণে আছে, ২০০৯ সালে আয়লা ঘূর্ণিঝড়েরও গতিবেগ ছিল ১২০ থেকে ১৩০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। তাই আবারও ঝড়ের প্রভাবে সব তছনছ হয়ে যেতে পারে কি না, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রাত কাটাচ্ছেন উপকূলবর্তী এলাকার বাসিন্দারা। দানা’ ঘূর্ণিঝড়ের আতঙ্কে ত্রস্ত সুন্দরবনের উপকূল এলাকা। আজ, সোমবার থেকে আগামী শনিবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে, সেই সঙ্গে মৎস্য দফতরের পক্ষ থেকে সোমবার সন্ধ্যার মধ্যে সব মৎস্যজীবী ট্রলারকে উপকূলে ফিরে আসতে বলা হয়েছে। একটানা তিন দিন ভারী বৃষ্টি হতে পারে, সঙ্গে ঝড়। পূর্বাভাসে এমনটাই বলা হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা প্রশাসনও প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। সুন্দরবন পুলিশ জেলার পক্ষ থেকে উপকূলবর্তী সাগর, নামখানা, ফ্রেজারগঞ্জ, বকখালি, পাথরপ্রতিমা ও রায়দিঘি এলাকায় মাইক নিয়ে প্রচার করা হচ্ছে। {link} ইতিমধ্যে কাকদ্বীপ মহকুমার সাগর, কাকদ্বীপ, পাথরপ্রতিমা ও নামখানা ব্লকে সাইক্লোন সেন্টার খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাঁধের কাছে বসবাসকারী বাসিন্দাদের ধীরে ধীরে বাড়ি থেকে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গুছিয়ে নিয়ে উচুঁ এলাকা বা সাইক্লোন সেন্টারে আশ্রয় নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। {ads}

article thumbnail

Weather Update : মঙ্গলবার পর্যন্ত শুষ্ক আবহাওয়া রাজ্যে

শেফিল্ড টাইম্‌স ডিজিটাল ডেস্ক : গত দু'দিনের মতো সকাল থেকেই আকাশ কিছুটা মেঘাচ্ছন্ন। সকালের দিকে হেমন্তের (Late Autumn) একটা ঠান্ডা বাতাস বইছে। ইতিমধ্যে হেমন্তের বার্তা বাহক ছাতিম ফুল (Blackboard tree) গন্ধ ছাড়ানো শুরু করেছে। এই অবস্থায় সামনে আসলো আজকের আবহাওয়ার খবর। আজ , শনিবার বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টির পূর্বাভাস দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলাতে। কোথাও মেঘলা আকাশ কোথাও বা আংশিক মেঘলা আকাশ। {link} জলীয় বাষ্প বেশি থাকায় আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিও থাকবে। আজ, শনিবার থেকেই শুষ্ক আবহাওয়া বাড়বে। বাতাসে জলীয়বাষ্প এবং বৃষ্টির সম্ভাবনা কমবে। মঙ্গলবার পর্যন্ত শুষ্ক আবহাওয়া রাজ্যে। জোড়া নিম্নচাপের আশঙ্কা ! কালীপুজোর আগেই একের পর এক নিম্নচাপ। আরব সাগর থেকে বঙ্গোপসাগর কাঁপাবে নিম্নচাপ। বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা বলছে বিশ্বের বিভিন্ন আবহাওয়া মডেল। যদিও ভারতের মৌসম ভবন এখনও পর্যন্ত গভীর নিম্নচাপ হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে। নিম্নচাপের প্রভাবে মঙ্গলবার বেলার দিক থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তন হবে। ওড়িশা ও গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে বুধ ও বৃহস্পতিবার বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। {link} বেশি প্রভাব পড়বে উপকূল ও ওড়িশা সংলগ্ন জেলা গুলিতে। রবিবার আন্দামান সাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হবে। মঙ্গলবার সেই সিস্টেম নিম্নচাপে পরিণত হবে মধ্য বঙ্গোপসাগরে এসে। বৃহস্পতিবার মধ্য বঙ্গোপসাগরেই অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত।মৎস্যজীবীদের জন্য সতর্কবার্তা রয়েছে আবহাওয়া দফতরের। মঙ্গল ও বুধবার মধ্য ও দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে মৎস্যজীবীদের (Fishermen) গভীর সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গে দার্জিলিং এবং কালিম্পং-এর পার্বত্য এলাকায় হালকা বৃষ্টি চলবে। বিক্ষিপ্তভাবে হালকা বৃষ্টি হবে জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ারেও। বাকি জেলাতে শুষ্ক আবহাওয়া। আরও কয়েকদিন এমন আবহাওয়া থাকবে বলেই জানা গেছে। {ads}

article thumbnail

Weather Report : আজ দক্ষিণবঙ্গের প্রতিটি জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা

শেফিল্ড টাইম্‌স ডিজিটাল ডেস্ক : খাতায়-কলমে বর্ষা (Monsoon) বিদায় নিলেও বৃষ্টি থেকে বাংলা কিন্তু এখনই রেহাই পাচ্ছে না। মঙ্গল ও বুধবার বিকেলের দিকে দক্ষিণবঙ্গে ভালোই বৃষ্টি হয়েছে। আবহাওয়া অফিস জানাচ্ছে বৃষ্টি এখনই বন্ধ হচ্ছে না। আরও কয়েকদিন মাঝে মাঝেই  বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। {link} যার অভিমুখ তামিলনাড়ু (Tamil Nadu) ও পণ্ডিচেরি (Pondicherry) উপকূলের দিকে। তবে এর জেরে বাংলায় প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা নেই। পরোক্ষ প্রভাবে বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গে (South Bengal Weather)। আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে আগামী সপ্তাহে আরও একটি নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। রবিবার নাগাদ উত্তর আন্দামান সাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে পারে। যা মঙ্গলবার নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা। আজ দক্ষিণবঙ্গের প্রতিটি জেলায় হাওড়া (Howrah), হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়া বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে। {link} কোথাও ভারী বৃষ্টি হবে না আপাতত। দক্ষিণবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়ায় অধিক বৃষ্টির সম্ভাবনা। বৃষ্টি হবে কলকাতাতেও। শহরে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। ২২ অক্টোবর পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সমস্ত জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গতেও হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। আজ দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি জেলায় বৃষ্টি হবে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বর্ষণের সম্ভাবনা। বাকি জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্ত হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ধীরে ধীরে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ক্রমশ কমবে। আবহাওয়ার পরিবর্তন হবে। তবে আর ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বলেই মনে করছে হাওয়া অফিস। {ads}

article thumbnail

বিনোদন

আরো পড়ুন

Horoscope : আজকের দিনটা আপনাদের কেমন যাবে ?

শেফিল্ড টাইম্‌স ডিজিটাল ডেস্ক : বৈদিক জ্যোতিষে ১২টি রাশি-মেষ, বৃষভ, মিথুন, কর্কট, সিংহ, কন্যা, তুলা, বৃশ্চিক, ধনু, মকর, কুম্ভ ও মীন- এর ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়। একইরকম ভাবে ২৩টি নক্ষত্রেরও ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়ে থাকে। প্রতিটি রাশির নিজস্ব স্বভাব এবং গুন-ধর্ম থাকে, তাই প্রতিদিন গ্রহের স্থিতির অনুসারে তাদের সাথে যুক্ত জাতকের জীবনে ঘটিত স্থিতি ভিন্ন-ভিন্ন হয়। এই কারণের জন্যই প্রত্যেক রাশির রাশিফল আলাদা-আলাদা হয়।  মেষ  (ARIES)   অত্যন্ত প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সমর্থন আপনার সাহসকে এক বড় উৎসাহদান করবে। আপনি অর্থ-সংক্রান্ত বিষয়ে কোনও মামলায় জড়িত থাকলে আদালত আজ আপনার পক্ষে সিদ্ধান্ত নেবে। এটি আপনার আর্থিক উপকারে আসবে। আপনার রসিক স্বভাব আপনার চারপাশের পরিবেশকে আলোকিত করবে। প্রেম সংক্রান্ত বিষয়ে ভৃত্যসুলভ আচরণ করবেন না। বৃষভ (TAURUS) অফিস থেকে তাড়াতাড়ি বেরোতে চেষ্টা করুন এবং এমন কিছু করুন যা আপনি উপভোগ করেন। যে কোনও জায়গায় বিনিয়োগ করা লোকেরা আজ আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন। যুক্তিসম্মত হতে চেষ্টা করুন বিশেষত যাঁরা আপনাকে ভালোবাসে এবং পরোয়া করে। আপনার প্রাণের বন্ধু সমস্ত দিন আপনি সম্পর্কে চিন্তা করবে। অন্যরা আপনার সময়ের অত্যধিক চাহিদা করতে পারেন- তাদের প্রতি আপনি কোন দায়বদ্ধতা গ্রহণের পূর্বে নিশ্চিত করুন যে আপনার কাজ প্রভাবিত হচ্ছে না এবং তারাও আপনার উদারতা ও দয়াশীলতার সুযোগ নিচ্ছে না। মিথুন (GEMINI)  স্বাস্হ্য সুন্দর থাকবে। সন্দেহজনক আর্থিক কারবারে জড়িয়ে পড়া থেকে সতর্ক থাকুন। বন্ধুরা সন্ধ্যেবেলার জন্য আকর্ষণীয় কিছু পরিকল্পনা করে আপনার দিনটি উজ্জ্বল করে তুলবে। আপনি আপনার ভালোবাসার মানুষটির সাথে সাক্ষাৎ করায় প্রেম আপনার মন আচ্ছন্ন করে রাখবে। একটি কঠিন পর্যায়ের পর, দিনটি কর্মক্ষেত্রে সুন্দর কিছু সঙ্গে আপনাকে অবাক করবে।  কর্কট (CANCER)  আপনার আবেগপ্রবণ এবং জেদী প্রকৃতি নিয়ন্ত্রণ করতে চেষ্টা করুন, বিশেষ করে পার্টিতে যেহেতু এটি পার্টির মেজাজ খারাপ করতে পারে। আপনি দ্রুত অর্থ উপার্জন করার আকাঙ্ক্ষার অধিকারী হবেন। বিশ্বাস করুন বা নাই করুন, আপনার ঘনিষ্ঠ কেউ আপনাকে খুব কাছ থেকে দেখে এবং আপনাকে আদর্শ হিসাবে মান্য করে- কেবলমাত্র প্রশংসনীয় কাজগুলিই করুন যা আপনারখ্যাতি বাড়িয়ে তুলবে। সিংহ (LEO) নিজেকে আরো আশাবাদী হতে প্রেরণা জোগান। এটি প্রত্যয় এবং নমনীয়তা বাড়িয়ে তোলে, কিন্তু একই সময়ে এটিকে ভয়, ঘৃণা, হিংসা এবং প্রতিশোধের মত নেতিবাচক অনুভূতিগুলি ছাড়তে প্রস্তুত করে। আজ, আপনি একটি দলের কোনও ব্যক্তির মুখোমুখি হতে পারেন যিনি আপনাকে আপনার অর্থনৈতিক দিকটি শক্তিশালী করার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিতে পারেন। আপনার বাচ্চার কোন পুরস্কার গ্রহণের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়ে আপনি খুশি হবেন।  কন্যা (VIRGO)  এমন একটি দিন যেখানে আপনি আরাম করতে সমর্থ হবেন। আপনার পেশীগুলিকে আরাম দিতে তেল দিয়ে আপনার শরীর মালিশ করুন। আজ, এই রাশিচক্রের ব্যবসায়ীদের তাদের পরিবারের সদস্যদের থেকে দূরে থাকা উচিত যারা আপনার আর্থিক সহায়তার জন্য জিজ্ঞাসা করে এবং পরে এটি ফেরত দেয় না।  তুলা (LIBRA)  আপনার দয়ালু স্বভাব আজ অনেক খুশির মুহূর্ত বয়ে আনবে। অর্থ সম্পর্কিত যে কোনও সমস্যা আজই সমাধান হতে পারে এবং আপনি আর্থিক সুবিধা অর্জন করতে পারেন। যদি আপনি একটি পার্টির পরিকল্পনা করেন তাহলে আপনার সবথেকে ভাল বন্ধুদের আমন্ত্রণ জানান- সেখানে অনেক মানুষই থাকবে যারা আপনাকে উৎসাহিত করবে। আপনার বিষণ্ণ জীবন আপনার পত্নীর উত্তেজনা কারণ হতে পারে। বৃশ্চিক (SCORPIO)   কোন ঝগড়াটে ব্যক্তির সাথে বিবাদ আপনার মেজাজ খারাপ করতে পারে। বিবেচক হোন এবং যদি পারেন তাহলে এটি এড়িয়ে যান, য়েহেতু সংঘর্ষ এবং অতিরিক্ত উত্তেজনা কখনোই আপনাকে সাহায্য করবে না। জীবনের অন্ধকার সময়ে অর্থ আপনাকে চালিয়ে যেতে সহায়তা করবে। অতএব, আজ থেকে আপনার অর্থ বিনিয়োগ এবং সংরক্ষণের কথা বিবেচনা করুন, অন্যথায় সমস্যা দেখা দিতে পারে।  ধনু (SAGITTARIUS) আপনার ব্যক্তিত্ব আজ একটি সুগন্ধি মত কাজ করবে। আপনি আজ ব্যবসায় প্রচুর লাভ অর্জন করতে পারেন। আপনি আজ আপনার ব্যবসায় নতুন উচ্চতা দিতে পারেন। পরিবারের সদস্যদের সাথে কিছু হালকা মূহুর্ত কাটান। আপনার প্রি়য়জন একটু বিরক্তকর বলে মনে হবে- যা আপনার মনের উপর চাপ সৃষ্টি করবে। অফিসে আজ আপনাকে পরিস্থিতি বুঝে আচার ব্যবহার করা উচিত।  মকর (CAPRICORN) আজ আপনি পরোপকারের কাজে মানসিক শান্তি আর আরাম পাবেন। আজ, আপনি অর্থের গুরুত্ব এবং অযথা এটি কীভাবে ব্যয় করা আপনার ভবিষ্যতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে তা বুঝতে পারবেন। আপনার সঙ্গী সহায়ক এবং সাহায্যকারী হবে। আপনি জনপ্রিয় হবেন এবং সহজেই বিপরীত লিঙ্গের সদস্যদের আকর্ষিত করবেন।  কুম্ভ  (AQUARIUS) আপনার শিশুসুলভ স্বভাব ভেসে উঠবে এবং আপনি একটি কৌতুকপূর্ণ মেজাজের মধ্যে থাকবেন। আপনার ভবিষ্যতকে সমৃদ্ধ করতে অতীতে আপনি যে সমস্ত অর্থ বিনিয়োগ করেছিলেন তা আজ ফলস্বরূপ ফল পাবে। তরুণদের অন্তর্ভুক্ত করে এমন ক্রিয়াকলাপে জড়িত হওয়ার পক্ষে ভালো সময়। ভালবাসার ছলনা সমস্ত দিন আপনাকে আবদ্ধ করে রাখবে। শুধুমাত্র সুখ অনুভব করুন।  মীন  (PISCES) আপনার ব্যক্তিত্ব আজ একটি সুগন্ধি মত কাজ করবে। অপরিকল্পিত উত্স থেকে টাকাপয়সা লাভ আপনার দিন উজ্জ্বলতর করতে তুলবে। আপনার ঘনিষ্ঠ কেউ এক অত্যন্ত অনিশ্চিত মেজাজে থাকবে। প্রেমের সম্ভাবনা আছে কিন্তু কামুক অনুভূতির বিস্ফোরণ ঘটতে পারে যা আপনার সম্পর্ককে নষ্ট করবে। {ads}  

article thumbnail

Kali Puja 2024:দেবী যোগাদ্যকে ঘিরে রয়েছে অজানা নানান কথা

শেফিল্ড টাইম্‌স ডিজিটাল ডেস্ক : একান্ন সতী পীঠের অন্যতম পূর্ব বর্ধমানের (East Burdwan) মঙ্গলকোট থানার ক্ষীরগ্রাম (Kshirgram)। পুরাণ মতে ভগবান বিষ্ণুর সুদর্শন চক্রের দ্বারা খন্ডিত হয়ে দেবী সতীর ডান পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ পড়েছিল এই ক্ষীরগ্রামেই। দেবীর নাম এখানে যোগাদ্যা। দেবী যোগাদ্যকে ঘিরে রয়েছে জানা অজানা নানান কথা। দেবীর মহিমা প্রচারিত হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। কথিত রয়েছে অতীতে নররক্তে সন্তুষ্ট হতেন দেবী। দেবীর আদেশেই বন্ধ হয় সেই প্রথা। একবার এক ব্রাহ্মণের একমাত্র সন্তানের পালা পড়ে নরবলির। সন্তানের প্রাণহানির ভয়ে রাতের অন্ধকারে সপরিবারে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যেতে যায় সেই ব্রাহ্মণ। ক্ষীরগ্রামের সীমানা পার হওয়ার আগেই এক বৃদ্ধার মুখোমুখি হতেই সেই বৃদ্ধা ব্রাহ্মণকে গ্রাম ত্যাগ করার কারণ জানতে চান। ব্রাহ্মণের মুখ থেকে দেবী যোগাদ্যার নরবলির কথা শুনে সেই বৃদ্ধা ব্রাহ্মণকে নিজের পরিচয় দিয়ে বলেন, "যার ভয়ে পালাও তুমি সেই মা যোগাদ্যা আমি"। এরপর ব্রাহ্মণকে অভয় দিয়ে দেবী সেইদিন থেকে নরবলি না নেওয়ার কথা বলেন। {link} কিন্তু তাতেও পুত্রের প্রাণহানিতে চিন্তিত ব্রাহ্মণ আশ্বত না হলে দেবী অশ্বিনের অম্বিকা রূপ দেখান এবং তারপর আশ্বস্ত হয়ে সপরিবারে বাড়ি ফিরে যায় ব্রাহ্মণ। সেই থেকে নরবলির জায়গায় মোষ বলি চলে আসছে ক্ষীরগ্রামে। এক শাঁখারীর মাতৃ দর্শনের কথাও প্রচলিত আছে এই সতীপিঠে। একসময় এক শাঁখারী শাঁখা নিয়ে আসছিলেন ক্ষীরগ্রামের দিকে। ক্ষীরগ্রাম থেকে অনতিদূরে ধামাচিয়া দীঘির পাড়ে এক যুবতী শাঁখারী কাছে শাখা পড়তে চেয়ে আবদার করে এবং শাঁখা পড়ানোর পর যখন শাঁখারী তার শাঁখার দাম চায় তখন সেই যুবতী নিজেকে যোগাদ্যা মন্দিরের পুরোহিতের কন্যা বলে পরিচয় দেয় এবং বলে যে মন্দিরের গম্ভীরের (গর্ভগৃহ) কুলুঙ্গিতে পাঁচ টাকা রাখা আছে । সেই শাঁখারী পুরোহিতের কাছে এসে সেই কথা বলতেই পুরোহিত আশ্চর্য্য হয়ে বলেন যে তার সাতকুলে কোনও কন্যা নেই তখন মন্দিরে গম্ভীরের কুলুঙ্গিতে গিয়ে গিয়ে পাঁচ টাকা দেখতে পেয়ে মায়ের লীলা বুঝতে পেরে শাঁখারীকে সাথে নিয়ে ধামাচিয়া দীঘির পাড়ে গিয়ে সেখানে কোনও যুবতীর দেখা না পেয়ে হতাশায় আত্মহত্যা করার কথা বললে সেই দীঘি থেকেই শাঁখা পড়া দুটি হাত তুলে দেখান জগদম্বা। সেই থেকে সেই শাঁখারী প্রত্যেক বছর মহাপুজোর দিন মাকে শাঁখা পড়ানোর প্রতিজ্ঞা করেন যে প্রতিজ্ঞা পালন করে আজও সেই শাঁখারীর বংশধরেরা বৈশাখ সংক্রান্তিতে মহাপুজোর দিন মাকে শাঁখা পরিয়ে যান। {link} ক্ষীরগ্রামের সঙ্গেই জড়িয়ে আছে রামায়ণের কথা। রাবণ পুত্র মহীরাবনকে বধ করার পর মহিরাবণের আরাধ্যা দেবী ভদ্রকালী তাকে পৃথিবীর মধ্যস্থলে নিয়ে যাওয়ার আদেশ দেন সেই মতো এক কাঁধে রাম লক্ষণ এবং অপর কাঁধে মা ভদ্রকালীকে চাপিয়ে পাতাল থেকে এই ক্ষীরগ্রামেই নিয়ে আসেন স্বয়ং পবনপুত্র হনুমান। এছাড়াও ক্ষীরগ্রামের মাটিতে কান পাতলেই শোনা যায় না যোগাদ্যার মাহাত্ম্যের কথা। বৈশাখ সংক্রান্তিতে মায়ের মহাপুজো অনুষ্ঠিত হয় মহা ধুমধামের সাথে। বছরের মাত্র কয়েকবার মায়ের প্রস্তর মূর্তি জল থেকে তুলে এনে পুজো করা হয় তার মধ্যে মাত্র দুবার জনসমক্ষে নিয়ে আসা হয় মাতৃমূর্তি। ক্ষীরগ্রামের নিয়মানুযায়ী কালী পুজোতেও মায়ের মন্দিরে ঘট এনে কালী পুজো হয় এবং মা যোগাদ্যার মন্দিরে কালী পুজো শুরু হওয়ার পরে তবেই গোটা গ্রামে কালী পুজো শুরু হয়। {ads}

article thumbnail

Bollywood: প্রাণনাশের হুমকি দিল বরেলির এক যুবক

 শেফিল্ড টাইম্‌স ডিজিটাল ডেস্ক:  সলমান খান ও বাবা সিদ্দিকির ছেলে জিশান সিদ্দিকিকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে গ্রেফতার বরেলির এক যুবক। তাকে জেরা করে তাজ্জব নয়ডা ও মুম্বই পুলিস। তৈয়ব আলি নামে ২০ বছরের ওই যুবক জানিয়েছে মজা করার জন্যই সে সলমানকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছিল। নয়ডার সেক্টর ৩৯-এ নিজের কাকার সঙ্গে থাকে সে। একটি কনস্ট্রাকশন সাইটে সে দৈনিক মজুরের কাজ করে।বরেলির ভোজিপুরা গ্রামে থাকেন তৈয়বের বাবা-মা। {link} তৈয়বের মা জানিয়েছেন, ও ওরকম অনেক বোকা বোকা কাজ করে। যা করেছে তা নিছক মজা করার জন্যই। ওর কোনও অসৎ উদ্দেশ্য ছিল না।তৈয়বের কাকা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, পুলিসে বাড়িতে এসে তল্লাশি চালিয়েছে। সন্দেহজনক কিছু পায়নি। নয়ড়ায় আসার পর তৈয়ব মদের নেশা শুরু করে। ও যে এমন কিছু করতে পারে তা ভাবতেই পারছি না। তৈয়বের গ্রামের বাড়ির লোকজনও ওই হুমকি নিয়ে অবাক। এক গ্রামবাসী সংবাদমাধ্যমে বলেন, তৈয়ব খুব গরিব ঘরের ছেলে। ওর বাবা পেশায় দর্জি। ছোটবেলা থেকেই ও ডাকাবুকো। এর জন্য ও বহুবার বিতর্কে জড়িয়েছে। ওর ইচ্ছে ও একদিন খুব বিখ্যাত হবে। {link} নয়ডার পুলিস সুপার প্রবীণ কুমার সিং সংবাদমাধ্যমে জানান, তৈয়ব নয়ডার একটি কনস্টাকশন সাইটে দৈনিক মজুরের কাজ করে। রোজ ৪০০-৫০০ টাকা আয় করে। জেরায় সে জানিয়েছে স্রেফ মজা করার জন্যই সেই ওই হুমকি দিয়েছে। রাজস্থানে কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলায় নাম জড়ানোর পর থেকেই লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের নিশানায় সলমান খান। আতঙ্ক বাড়ে বাবা সিদ্দিকির হত্যাকাণ্ডের পর থেকে। আসতে থাকে একের পর এক হুমকি। {ads}

article thumbnail

Horoscope : আজকের দিনটা আপনাদের কেমন যাবে ?

শেফিল্ড টাইম্‌স ডিজিটাল ডেস্ক : বৈদিক জ্যোতিষে ১২টি রাশি-মেষ, বৃষভ, মিথুন, কর্কট, সিংহ, কন্যা, তুলা, বৃশ্চিক, ধনু, মকর, কুম্ভ ও মীন- এর ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়। একইরকম ভাবে ২৩টি নক্ষত্রেরও ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়ে থাকে। প্রতিটি রাশির নিজস্ব স্বভাব এবং গুন-ধর্ম থাকে, তাই প্রতিদিন গ্রহের স্থিতির অনুসারে তাদের সাথে যুক্ত জাতকের জীবনে ঘটিত স্থিতি ভিন্ন-ভিন্ন হয়। এই কারণের জন্যই প্রত্যেক রাশির রাশিফল আলাদা-আলাদা হয়। মেষ (ARIES)  সাফল্য হাতের নাগালে এলেও শক্তি কমে আসবে। যারা অচেনা ব্যক্তির পরামর্শে তাদের অর্থ বিনিয়োগ করেছিলেন তারা আজ খুব সুবিধা পাবেন। সন্ধ্যাবেলায় আপনার বাচ্চাদের সাথে কিছু আনন্দাদায়ক সময় কাটান। দিনটি আপনার ভালবাসার জীবনের পরিপ্রেক্ষিতে অবিশ্বাস্য। প্রেম করতে থাকুন। আজ নতুন অংশীদারিত্ব আশাপ্রদ হবে।  বৃষভ (TAURUS) পিতা আপনাকে সম্পত্তির উত্তরাধিকার থেকে বঞ্চিত করতে পারেন। কিন্তু মনোক্ষুণ্ণ হবেন না। মনে রাখবেন সমৃদ্ধি মনকে প্রশ্রয় দেয়, বঞ্চনা এটিকে মজবুত করে। আপনার আজ অ্যালকোহল বা এ জাতীয় কোনও খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকা উচিত, কারণ আপনি আপনার আইটেমগুলি বিষাক্ত অবস্থায় হারিয়ে যেতে পারেন। অন্যদের মনে আপনার ছাপ ফেলার ক্ষমতা আপনাকে পুরষ্কৃত করবে। আপনি আপনার ভালোবাসার মানুষটির সাথে সাক্ষাৎ করায় প্রেম আপনার মন আচ্ছন্ন করে রাখবে। মিথুন (GEMINI) অত্যন্ত প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সমর্থন আপনার সাহসকে এক বড় উৎসাহদান করবে। আজ, আপনার অর্থ অনেক কিছুতে ব্যয় করা যেতে পারে। সুতরাং, সমস্ত চ্যালেঞ্জ এবং অর্থ-সংক্রান্ত সমস্যা মোকাবেলায় আপনার আজ একটি দক্ষ বাজেট পরিকল্পনা করা দরকার। মানুষজন আপনাকে নতুন আশা এবং স্বপ্ন প্রদান করবে- কিন্তু তার অনেকটাই আপনার নিজস্ব উদ্যোগের উপর নির্ভরশীল। আপনার প্রিয়়জন আপনাকে খুশি রাখতে চেষ্টা করবে। কর্মক্ষেত্রে ঠিক সময়ে সহকর্মীদের সহায়তায় কঠিন পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পাবেন। {link}   কর্কট (CANCER)   যদি আপনি ভাবপ্রবণ মেজাজ পেতে চান যা আপনি আজও আঁকড়ে ধরে থাকতে চান তাহলে অতীতে ফিরে যান। দিনের শুরুতে আপনি কোনও আর্থিক ক্ষতিতে ভুগতে পারেন, যা পুরো দিনটিকে লুণ্ঠন করতে পারে। আপনি যতটা চান তার সব আকর্ষণই কেড়ে নেওয়ার পক্ষে দুর্দান্ত দিন- আপনার সামনে হয়তো অনেক কিছু জড়ো হয়ে থাকবে এবং কোনটি অনুসরণ করবেন সে নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আপনার অসুবিধা হবে।  সিংহ (LEO)  স্বাস্হ্য সুন্দর থাকবে। আজ, আপনি অর্থ জমা এবং সঞ্চয় করার দক্ষতা শিখতে পারেন এবং এটিকে সঠিক কাজে লাগাতে পারেন। আপনার অসংযত জীবনযাত্রা বাড়িতে উত্তেজনার সৃষ্টি করতে পারে তাই দেরী করে রাত্রে বাড়ি ফেরা এবং অন্যদের উপর খুব বেশী খরচ এড়ানোর চেষ্টা করুন। আপনার প্রেমিকার খামখেয়ালী ব্যবহার আপনার মেজাজ খারাপ করতে পারে। কন্যা (VIRGO)   ধ্যান পরিত্রাণ আনবে। যদি আপনি আপনার বন্ধুদের সাথে বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা করে থাকেন তবে চিন্তাভাবনা করে অর্থ ব্যয় করুন, যেহেতু আপনার অর্থের ক্ষতি হতে পারে। আপনার বড় অনুষ্ঠানে সবাইকেই আমন্ত্রণ জানান- আজকে আপনার সেই অতিরিক্ত শক্তিটি আছে যা আপনাকে আপনার দলের জন্য অনুষ্ঠান পরিকল্পনা করতে সাহায্য করবে। আপনার ভালবাসার জীবনে আজ একটি সুন্দর মোড় আসবে। আপনি প্রেমে স্বর্গীয় অনুভূতি পেতে পারেন। তুলা (LIBRA) নিরাপত্তাহীনতা/অস্থিতিশীলতার অনুভূতি বিহ্বলতার সৃষ্টি করতে পারে। আপনি চমৎকার নতুন ধারণা নিয়ে আসবেন যা আপনাকে আর্থিক ভাবে লাভবান করবে। শিশুর অসুস্থতা আপনাকে ব্যস্ত রাখবে। আপনার অবিলম্বে নজর দেওয়া প্রয়োজন। সঠিক উপদেশ গ্রহণ করুন যেহেতু আপনার তরফে সামান্য অবহেলাও সমস্যাটিকে আরো খারাপ করতে পারে। ভালোবাসার শক্তি আপনাকে ভালোবাসবার একটি উদ্দেশ্য প্রদান করবে।  বৃশ্চিক  (SCORPIO)   আপনার শক্তি পুনরুদ্ধার করতে সম্পূর্ণ বিশ্রাম নিন। অপ্রত্যাশিত রসিদগুলি আর্থিক বোঝা বাড়িয়ে তুলবে। কোন শিশুর স্বাস্হ্য কিছু উদ্বেগের সৃষ্টি করতে পারে। আপনার প্রেমিকার খামখেয়ালী ব্যবহার আজকের প্রেম নষ্ট করবে। আপনার প্রাণের বন্ধু সমস্ত দিন আপনি সম্পর্কে চিন্তা করবে। যদি আপনি আজ সত্যিই উপকৃত হতে চান- তাহলে অন্যদের দেওয়া উপদেশ শুনুন।  ধনু (SAGITTARIUS) যারা মজা করার উদ্দেশ্য নিয়ে বেরিয়েছেন তাঁদের জন্য নিছকই আনন্দ এবং উপভোগ। দিনের শুরুটা ভাল হতে পারে তবে সন্ধ্যায় কোনও কারণে আপনি আপনার অর্থ ব্যয় করতে পারেন যা আপনাকে বিরক্ত করবে। আপনার সঙ্গী সহায়ক এবং সাহায্যকারী হবে। জানলার উপর ফুল রেখে আপনার ভালোবাসা প্রকাশ করুন। উর্ধ্বতন কারোর কাছে সবদিক দিয়ে ঠিক হবার পরেই ফাইল হস্তান্তর করুন। {link}   মকর (CAPRICORN)  আজ আপনি আপনার স্বাস্হ্য এবং চেহারা উন্নত করার যথেষ্ট সময় পাবেন। খুব একটা লাভদায়ক দিন নয়- কাজেই আপনার টাকাকড়ির অবস্থা দেখে নিয়ে আপনার খরচ সীমিত করুন। দিনের শেষ ভাগের জন্য উত্তেজক এবং বিনোদনমূলক কিছু স্থির করুন। সুন্দর এবং উদার প্রেমের জন্য পুরস্কৃত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। কুম্ভ (AQUARIUS)  যদি সম্ভব হয় তাহলে দীর্ঘ ভ্রমণ এড়িয়ে চলুন কারণ আপনি খুবই দুর্বল এবং এটি আপনাকে আরো দুর্বল করে তুলতে পারে। কিছু নির্দিষ্ট কাজ হতাশাব্যঞ্জক অর্থনৈতিক অবস্থার জন্য থমকে যেতে পারে। আপনার প্রিয়জনের সঙ্গে তর্ক হতে পারে এমন বিতর্কিত বিষয় এড়িয়ে চলা উচিত। আপনার ভালোবাসার মানুষটির সাথে আজ শিষ্ট আচরণ করুন।  মীন (PISCES)  আপনার স্ত্রীর মনোরম মেজাজ আপনার দিনকে উজ্জ্বল করে তুলতে পারে। দীর্ঘসময়ের স্থগিত বকেয়া এবং পাওনাগুলি শেষমেশ পুনরুদ্ধার করা যাবে। আপনার জীবনক

article thumbnail

Health News : গর্ভাবস্থায় কিছু জিনিস খাওয়া বন্ধ করুন

শেফিল্ড টাইম্‌স ডিজিটাল ডেস্ক : সাধারণভাবে চিকিৎসকেরা এই জাতীয় পরামর্শ দেন না। কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণার পরে বিশ্বের অন্যতম কয়েকজন পুষ্টিবিশারদ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য আপনি গর্ভাবস্থায় (during pregnancy) যে খাদ্য গ্রহণ করবেন,তার অংশ দিয়েই গড়ে উঠবে আপনার গর্ভের শিশুর দেহ। তাঁরা বলছেন,বিবর্তনের ধারায় মানুষের দেহ রান্না করা খাবার খেতেই অভ্যস্ত। বিশেষ করে প্রাণীজ খাবার রান্না করে মানুষ খায়। কিন্তু তা যদি ঠিকঠাক রান্না না হয়,তাহলে তার প্রভাব পড়ে গর্ভের সন্তানের উপর। তাই তাঁদের নিষেধাজ্ঞা - {link} ১) এই সময়ে কাঁচা বা অর্ধসিদ্ধ মাছ খাওয়া চলবে না। আসলে অর্ধসিদ্ধ মাছে থাকতে পারে বিভিন্ন ধরনের জীবাণু। সেই জীবাণু কিন্তু জটিল অসুখ তৈরি করে। এক্ষেত্রে নোরো ভাইরাস, ভিব্রিও, সালমোনেল্লা, লিস্টেরিয়া ইত্যাদি ক্ষতিকর জীবাণু মায়ের দেহে বাসা বাঁধতে পারে। এর থেকে ভয়ংকর রোগভোগের আশঙ্কা তৈরি হয় - যার প্রভাব পড়বে শিশুর উপর। ২) মাংসের ক্ষেত্রেই একই বিধি। এতেও ব্যাকটেরিয়া ও প্যারাসাইটস, যেমন- টোক্সোপ্লাসমা, ই-কোলি, লিস্টেরিয়া এবং সালমোনেল্লা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। এই ধরনের সংক্রমণ থেকে স্টিল বার্থ, স্নায়ুর অসুখ, চোখের সমস্যা, মৃগী ইত্যাদি জটিলতা দেখা দিতে পারে। তাই চেষ্টা করুন মাংস সম্পূর্ণ সিদ্ধ করে রান্না করার। ৩) অর্ধসিদ্ধ ডিম খেলে আদতে শরীরিক সমস্যার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। এর মাধ্যমে দেহে প্রবেশ করতে পারে সালমোনেল্লা ব্যাকটেরিয়া। এই ব্যাকটেরিয়া জ্বর, বমি, পায়খানা, পেটে ব্যথার কারণ হতে পারে। আর গর্ভাবস্থায় এই পরিস্থিতি কিন্তু একদমই সুখদায়ক নয়। {link} ৪) এতদিন কফি ছাড়া একদিনও চলতে পারতেন না? সারাদিনে কাপের পর কাপ চা-কফি খেয়ে গিয়েছেন? গর্ভধারণের পর কিন্তু এই অভ্যাস ছাড়তে হবে। এই সময়ে দিনে ২০০ মিলিগ্রামের বেশি চা বা কফি খেলে শরীরে সমস্যা তৈরি হতে পারে। এমনকী গর্ভস্থ শিশুর ওজন বৃদ্ধি আটকে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। ৫) মদ (alcohol) সবসময়ই খারাপ। বিশেষত, প্রেগন্যান্সির সময় নিয়মিত মদ্যপান করলে স্টিল বার্থের আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। এমনকি ভ্রূণের বিকাশ ঠিকমতো হয় না। এছাড়া ভ্রূণের ফেটাল অ্যালকোহল সিনড্রোম হতে পারে। এতে জন্মের পর শিশুর হার্টের সমস্যা সহ একাধিক অঙ্গের নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষজ্ঞদের এই নিধিনিষেধ মেনে চললে আপনি ও আপনার গর্ভস্থ শিশু সুস্থ থাকবে। {ads}

article thumbnail

Diwali 2024 : দীপাবলির দিন একটি সোনার মুদ্রা কিনে আনুন

শেফিল্ড টাইম্‌স ডিজিটাল ডেস্ক : দীপাবলিতে (Diwali 2024) করুন বাস্তু প্রতিকার - আর্থিক সংকট দূর হবে। দীপাবলি একেবারে দরজায় এসে উপস্থিত। কিন্তু আপনার আর্থিক সংকট মিটছে না। অনেক কিছু পাবার প্রবল সম্ভাবনা থাকলেও কিছুতেই হাতে আসছে না। এই সমস্যা নিয়েই আমরা কয়েকজন বিশিষ্ট বাস্তুশাস্ত্রবিদের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। বাস্তুশাস্ত্রবিদেরা বলেন, বাস্তু দোষ থাকলে অনেক হয়ে যাওয়া কাজও হয় না। দীপাবলি হলো আদর্শ সময়, যখন আপনি আপনার বাস্তুদোষ কাটিয়ে উঠতে পারেন। তাঁদের পরামর্শ হলো - {link}   ১) দীপাবলি দিন বাড়িতে সুখ, সমৃদ্ধি আনতে বাড়ির উত্তর-পশ্চিম কোণে একটি সুন্দর মাটির পাত্র লাল কাপড়ের মুড়ে তার ভেতরে সোনা ও রুপোর টুকরো দিয়ে রেখে দিন। এতে আপনার বাড়িতে থাকা বাস্তুত্রুটি দূর হবে। সেই সঙ্গে ভাগ্যের দ্বার খুলবে আপনার।  ২) যদি আপনি মাটির পাত্রে কিছু চাল, গম বাড়ির দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে রেখে দেন তাহলে আপনার অর্থের অভাব কোনদিনই হবে না। এমনকি জীবনে সফলতা লেগে থাকবে।  ৩) আর্থিক অভাব দূর করতে এবং বাস্তুত্রুটি কাটাতে দীপাবলির দিন পরিবারের সকলের মাথায় সাতবার কালো তিল ঘুরিয়ে বাড়ির উত্তর দিকে ছুড়ে ফেলে দিন। এতে আপনার অর্থহানি হবে না। সঙ্গে পরিবারের শান্তি বজায় থাকবে। {link}   ৪) আর্থিক অবস্থার উন্নতি আপনি আরও করতে চাইছেন অর্থাৎ অর্থ সঙ্কট কাটিয়ে আপনি যদি জীবনে উন্নতির মুখ দেখতে চান, তাহলে দীপাবলির দিন একটি সোনার মুদ্রা (gold coin) কিনে ঘরে নিয়ে আসুন। আপনার প্রতি লক্ষ্মী সদয় হবেন। ৫) সম্পদের দেবী লক্ষ্মী ও কুবেরকে খুশি করতে আপনি দীপাবলির দিন ঘরে একটি ময়ূরের পালক আনুন ও কুকুরকে দুধ খাওয়ান। ৬) বাস্তুত্রুটি কাটাতে আপনি দীপাবলির আগেই বাড়িতে একটি নারকেল আনুন। দীপাবলি কেটে যাবার পর আপনি সেই নারকেল জলে ভাসিয়ে দিন। এতে ঘরে সুখ-শান্তি বজায় থাকবে। {ads}

article thumbnail