header banner
Unable to load live videos at this time.
<br />
<b>Notice</b>:  Undefined variable: headerad in <b>/home/u937603675/domains/sheffieldttimes.com/public_html/components/ads-sidebar.php</b> on line <b>26</b><br />
<br />
<b>Notice</b>:  Trying to get property 'name' of non-object in <b>/home/u937603675/domains/sheffieldttimes.com/public_html/components/ads-sidebar.php</b> on line <b>26</b><br />
Photo Booth
featured
featured
featured
featured

আন্তর্জাতিক

আরো পড়ুন

Zohran Mamdani: 'ধন্যবাদ, নিউ ইয়র্ক সিটি! ইতিহাস তৈরির পর এবার আমি কাজে নেমে পড়ি', মন্তব্য নবনিযুক্ত মেয়রের

শেফিল্ড টাইমস ডিজিটাল ডেস্ক: ঐতিহাসিক নির্বাচনী জয়ের পর তাঁর প্রথম পোস্টে জোহরান মামদানি জোর দিয়েছেন নিজের প্রতিশ্রুতি পূরণে, নিউ ইয়র্ককে সকলের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যের করে তোলার অঙ্গীকার করেছেন তিনি। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সোশ্যাল মিডিয়া এক্স-এ মামদানি লেখেন, “ধন্যবাদ, নিউ ইয়র্ক সিটি। একসঙ্গে আমরা ইতিহাস তৈরি করেছি। এবার কাজে নেমে পড়ি”। ৩৪ বছর বয়সি এই ডেমোক্র্যাটিক সমাজতন্ত্রী প্রথম মুসলিম, প্রথম দক্ষিণ এশীয় এবং এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম শহরটির নেতৃত্বদানকারী সর্বকনিষ্ঠ ব্যক্তি হলেন মামদানি। {link} নিউ ইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলিতে কুইন্সের প্রতিনিধিত্বকারী মামদানি প্রাক্তন গভর্নর অ্যান্ড্রু কুওমো এবং রিপাবলিকান কার্টিস স্লিওয়ার বিরুদ্ধে ৫০ শতাংশেরও বেশি ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন। এছাড়া, এক্স-এ শেয়ার করা একটি ভিডিও বার্তায় মামদানি নির্বাচিত মেয়র হিসেবে তাঁর অগ্রাধিকারগুলো তুলে ধরেন। তিনি “উৎকর্ষতা, সততা এবং নতুন সমাধানের মাধ্যমে পুরনো সমস্যা সমাধানের ইচ্ছে দ্বারা পরিচালিত” একটি সিটি হল গঠনের প্রতিশ্রুতি দেন। {ads}

article thumbnail

Pakistan Army: অদূর ভবিষ্যতে কি পাকিস্তানেফের সেনা শাসন শুরু হওয়ার শঙ্কা রয়েছে? মিলছে তেমনই ইঙ্গিত

শেফিল্ড টাইমস ডিজিটাল ডেস্ক: পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে তৎপর পাকিস্তান সরকার। এর জন্য তারা শীঘ্রই ২৭তম সংবিধান সংশোধনী বিল আনতে চলেছে বলে জানা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, ওই বিলে পাক সেনার পাশাপাশি বিশেষ করে সেনাপ্রধানের ক্ষমতা বৃদ্ধি করার কথা বলা হয়ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি এই বিল সংসদে পাস হয়, তাহলে ধীরে ধীরে গোটা দেশটি ফের সেনার শাসনে চলে যাবে। পাকিস্তানের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী তথা পাকিস্তান পিপলস পার্টির প্রধান বিলাওয়াল ভুট্টো সমাজমাধ্যমে প্রথম খবরটি প্রকাশ্যে আনেন। তিনি জানান, ২৭তম সংবিধান সংশোধনী বিলে সমর্থনের জন্য শাহবাজ সরকার তাঁর কাছে আর্জি জানিয়েছেন।  {link}   অন্যদিকে, মঙ্গলবার পাকিস্তানের উপ প্রধানমন্ত্রী তথা বিদেশমন্ত্রী ইসাক দার সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাবের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। একাধিক পাক সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রস্তাবিত পরিবর্তনগুলির মধ্যে সাংবিধানিক আদালত গঠন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ, বিচারপতিদের বদলি-সহ একাধিক বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণভাবে এগুলি ছাড়াও প্রস্তাবিত ওই বিলে সংবিধানের ২৪৩ অনুচ্ছেদে বদল আনার কথা বলা হয়েছে। আর এই অনুচ্ছেদেই পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের নিয়োগ এবং সশস্ত্র বাহিনী নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত বিধি লেখা রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অনুচ্ছেদে পরিবর্তন করে পাক সেনাবাহিনী এবং সেনাপ্রধানের ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে চাইছে শাহবাজ সরকার। এখানে বলে রাখা ভালো, পাকিস্তানে সেনার শাসন নতুন নয়।  {ads}

article thumbnail

Zohran Mamdani: 'ট্রাম্পের পরাজয়ের পথ এই শহরই দেখাবে!', মন্তব্য নিউ ইয়র্কের নবনির্বাচিত মেয়রের

শেফিল্ড টাইমস ডিজিটাল ডেস্ক: ট্রাম্পের সঙ্গে প্রায় 'আদায়-কাঁচকলা' সম্পর্ক নিউয়র্কের নতুন নির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানির। এই অবস্থায়  লড়াই করে তিনি নির্বাচিত হন। তারপরই প্রথম ভাষণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে একহাত নিলেন তিনি। এতদিন মামদানিকে লাগাতার হুঁশিয়ারি দিয়ে এসেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এবার ট্রাম্পকে পালটা কটাক্ষ করলেন নিউ ইয়র্কের হবু মেয়র। বলেন, “ট্রাম্প, আমি জানি আপনি আমার কথা শুনছেন। আমার আপনাকে চারটি শব্দ বলার আছে: "আরও জোরে চিৎকার করুন।” তাঁর সংযোজন, “নিউ ইয়র্কে ট্রাম্প জন্মগ্রহণ করেছেন। কীভাবে তাঁকে পরাজিত করতে হয়, তার পথ এই শহরই দেখাবে। আমি দুর্নীতির অবসান ঘটাবো।” {link}   মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একাধিকবার মামদানিকে কটাক্ষ করেছিলেন। সম্প্রতি তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, ‘কমিউনিস্ট’ জোহরান নিউ ইয়র্কের মেয়র নির্বাচিত হলে তিনি শহরের কেন্দ্রীয় অনুদান বন্ধ করে দেবেন। কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্টের ‘রক্তচক্ষু’ আসলে ব্যর্থ হল। নিউ ইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে জয়ী হয়ে ইতিহাস গড়েছেন মামদানি। {ads}

article thumbnail

USA Pakistan Relation: এবার ট্রাম্পের দাবির বিরোধিতা পাকিস্তানের! কেন বন্ধুর বিপক্ষে ভারতের পড়শি দেশ?

শেফিল্ড টাইমস ডিজিটাল ডেস্ক: অনেকটা ইজরাইলের ধাচে পাকিস্তানকেও সম্পূর্ণ নিজের নিয়ন্ত্রনে রাখতে চায় ট্রাম্প। কিন্তু চিনের পাল্লায় পড়ে মাঝে মাঝে বেসুর গান ধরে পাকিস্তান।  এবারও তাই হলো। সরাসরি ট্রাম্পের বিরোধিতা পাকিস্তানের। পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা করছে না পাকিস্তান। ট্রাম্পের দাবি নস্যাৎ করে জানিয়ে দিল পাক নেতৃত্ব। এর আগে ঠিক একই কাজ করেছে চিন। ট্রাম্পের দাবি পত্রপাঠ নাকচ করে দিয়ে চিন জানিয়ে দেয়, ‘চিন দায়িত্ববান দেশ’। পারমাণবিক অস্ত্রের ক্ষেত্রে প্রথমে ব্যবহার না করার নীতি মেনে চলছে তারা। গত সপ্তাহেই একটি সংবাদ মাধ্যমের অনুষ্ঠানে ট্রাম্প দাবি করেন পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা করছে পাকিস্তান। সিটিবিটি স্বাক্ষর না করলেও পারমাণবিক পরীক্ষা করছে না বলে জানিয়ে দিয়েছে পাকিস্তান। ট্রাম্পের দাবি উড়িয়ে দিয়ে পাকিস্তান জানিয়েছে, “পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা ফের শুরু করবে না পাকিস্তান।”  {link}   তাঁদের আরও দাবি, “পাকিস্তান প্রথম দেশ নয় যারা পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা করেছিল। পাকিস্তান প্রথম দেশ হবে না যারা ফের পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা শুরু করবে।” সম্প্রতি পাক-মার্কিন বন্ধুত্ব নতুন দিশা দেখেছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প! এই অবস্থায় যখন দুই দেশ নিজেদের সম্পর্কে গতি আনার চেষ্টা করছে তখনই এমন ঘটনা ঘটেছে। সাম্প্রতিক অতীতে, ট্রাম্পের বিরোধিতা করতে দেখা যায়নি পাকিস্তানকে। সেই কারণেই, এই বিরোধিতা রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। {ads}

article thumbnail

Zohran Mamdani: ট্রাম্পের সঙ্গে মুখোমুখি লড়াইয়ে জয়! ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রথম মুসলিম মেয়র পেল নিউইয়র্ক সিটি

শেফিল্ড টাইমস ডিজিটাল ডেস্ক: একদম ট্রাম্পের সঙ্গে মুখোমুখি  দাঁড়িয়ে লড়াই। আর তাতেই জয় পেলেন মামদানি। মার্কিন রাজনীতিতে নতুন অধ্যায় রচনা করলেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জোহরান মামদানি (Zohran Mamdani)। মাত্র ৩৪ বছর বয়সে নিউইয়র্ক শহরের মেয়র নির্বাচিত হয়ে তিনি ইতিহাসের পাতায় নাম লিখিয়েছেন। প্রাক্তন গভর্নর অ্যান্ড্রু কুওমো এবং রিপাবলিকান প্রার্থী কার্টিস স্লিওয়াকে পরাজিত করে মামদানি শুধু প্রথম মুসলিম নয়, বরং প্রথম দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত ব্যক্তি হিসেবে নিউইয়র্কের মেয়রের আসনে বসছেন। নিউইয়র্ক সিটি বোর্ড অফ ইলেকশনের তথ্য অনুযায়ী, এবারের নির্বাচনে প্রায় ২০ লক্ষেরও বেশি নাগরিক ভোট দেন, যা গত ৫০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।  {link}   তাঁর জয় মার্কিন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির কাছে এক বড় বার্তা, প্রগতিশীল এবং বামঘেঁষা প্রার্থীরাও জনগণের আস্থা অর্জন করতে পারেন। আগামী ১ জানুয়ারি তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন, এবং দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি হবেন গত এক শতাব্দীর মধ্যে নিউইয়র্কের সবচেয়ে তরুণ মেয়র। বিজয়ের পর মামদানি সামাজিক মাধ্যম এক্সে (পূর্বে টুইটার) একটি ভিডিও পোস্ট করেন, যেখানে দেখা যায় মেট্রো ট্রেনের দরজা খুলছে, আর তার দেওয়ালে লেখা, “Zohran For New York City” ভিডিওটি মুহূর্তে ভাইরাল হয় এবং সমর্থকদের মধ্যে উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়ে। মামদানির এই ঐতিহাসিক সাফল্য ঘিরে বিতর্কও শুরু হয়েছে। রিপাবলিকান শিবির থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁকে “চরমপন্থী ডেমোক্র্যাটিক রাজনীতির প্রতীক” বলে আক্রমণ করেছেন। {ads}

article thumbnail

Bangladesh: তিস্তা প্রকল্প রূপায়নের মাধ্যমে চিনকে আমন্ত্রনের ইচ্ছা ইউনুউসের! বাড়ছে ভারত বিরোধীতা

শেফিল্ড টাইমস ডিজিটাল ডেস্ক: ইউনুস কিন্তু কোনো কারণেই হাসিনা নন। ইউনুস এখন পাকিস্তানের হাতের পুতুল হয়ে চূড়ান্ত ভারত বিরোধীতায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। বাংলাদেশে ভোট আসছে। ভোটের আগে পড়শি দেশে নতুন করে মাথা চাড়া দিয়েছে ভারত-বিরোধিতা। চাগাড় দিয়ে উঠেছে বললেও ভুল হবে না। আর এই আবহেই অবিলম্বে তিস্তা প্রকল্পের কাজ শুরুর দাবিতে গত ১৯শে অক্টোবর রাস্তায় নামে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। এই ঘটনা ঘিরে একটা নয়, বরং বাংলাদেশে হয়েছে একের পর এক মিছিল। পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়িয়েছে বিএনপি। যার সারমর্ম হল চিনকে আমন্ত্রণ। পড়ুয়াদের দাবি, ওদের হাতেই শুরু হোক তিস্তা প্রকল্পের কাজ। একাংশের মতে, তিস্তার স্রোতে একবার গা ভাসাতে পারলেই শিলিগুড়ি করিডর ওদের হাতের নাগালে চলে আসবে। ফলে গোটা বিষয়টাই ভারতের কাছেও যথেষ্ট উদ্বেগজনক। {link}  মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপত্তিতে ২০১১ সাল থেকে ভারত-বাংলাদেশের যে তিস্তা চুক্তি আটকে রয়েছে। সেটা কিন্তু এই তিস্তা প্রকল্প নয়। তিস্তা চুক্তি হল, শুখা মরসুমে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে নদীর জলের ভাগাভাগি। আর তিস্তা প্রকল্প হল বাংলাদেশের দিকে তিস্তায় নদীতে ব্যারাজ তৈরি। নদীর গভীরতা বাড়িয়ে সারাবছর পণ্যবাহী জলযান চলাচলের ব্যবস্থা। নদীর দুই তীরে শহর তৈরির মতো কাজ। তবে, তিস্তা চুক্তি আর তিস্তা প্রকল্পের মধ্যে একটা সম্পর্ক রয়েছে। কারণ, ভারত বাংলাদেশকে যতটা জল ছাড়বে, তার ওপরই নির্ভর করবে ওপারে তিস্তা প্রকল্পের ভবিষ্যত। বাংলাদেশের হিসেব প্রকল্পের কাজ শুরুর জন্য প্রথম ধাপে ওদের সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকা প্রয়োজন। চিন এটা দিতে রাজি হলেও হাসিনা সায় দেননি। বরং তিনি ভারতকেই এই কাজটা করার দায়িত্ব দিয়েছিলেন। মুহাম্মদ ইউনূস আবার গদিতে বসার পর ইঙ্গিত দিয়েছেন যে তিনি চিনকেই ডাকবেন। {ads}

article thumbnail

সুস্বাস্থ্য

আরো পড়ুন

Horoscope Today: আজকে কী দিন ভালো কাটবে নাকি, সামনে রয়েছে বিপদ? জেনে নিন রাশিফল

শেফিল্ড টাইমস ডিজিটাল ডেস্ক: বৈদিক জ্যোতিষে ১২টি রাশি-মেষ, বৃষভ, মিথুন, কর্কট, সিংহ, কন্যা, তুলা, বৃশ্চিক, ধনু, মকর, কুম্ভ ও মীন- এর ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়। একইরকম ভাবে ২৩টি নক্ষত্রেরও ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়ে থাকে। প্রতিটি রাশির নিজস্ব স্বভাব এবং গুন-ধর্ম থাকে, তাই প্রতিদিন গ্রহের স্থিতির অনুসারে তাদের সাথে যুক্ত জাতকের জীবনে ঘটিত স্থিতি ভিন্ন-ভিন্ন হয়। এই কারণের জন্যই প্রত্যেক রাশির রাশিফল আলাদা-আলাদা হয়।  মেষ রাশিফল: আপনি দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতা থেকে পরিত্রাণ পেতে পারেন। প্রাচীন জিনিস এবং গয়নায় বিনিয়োগ লাভ এবং সমৃদ্ধি আনবে। আপনি আজ সম্ভবত আপনার বাড়ির মধ্যে এবং চারপাশে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন করবেন। প্রেম সংক্রান্ত বিষয়ে ভৃত্যসুলভ আচরণ করবেন না। বৃষভ রাশিফল: স্ত্রীর ব্যাপারে অযথা নাক গলাবেন না– তাতে স্ত্রী রুষ্ট হবে। এর থেকে বরং নিজের দিকে নজর দিন। কিছু জিনিসে হস্তক্ষেপ করা যেতে পারে নাহলে নির্ভরশীলতা এসে যাবে। ফাটকায় লাভ আনবে। আপনার জ্ঞান এবং উত্তম রসবোধ আপনার চারপাশের মানুষের মনে রেখাপাত করতে পারে। মিথুন রাশিফল: আনন্দদায়র সফর এবং সামাজিক জমায়োত আপনাকে ভারমুক্ত এবং খুশি করে রাখবে। আপনি আজ এই সত্যটি বুঝতে পারবেন যে বিনিয়োগ প্রায়শই আপনার জন্য খুব উপকারী হিসাবে প্রমাণিত হয়, যে কোনও পুরানো বিনিয়োগ আপনার দ্বারা প্রস্তাবিত লাভজনক রিটার্ন হিসাবে।  কর্কট রাশিফল: অফিস থেকে তাড়াতাড়ি বেরোতে চেষ্টা করুন এবং এমন কিছু করুন যা আপনি উপভোগ করেন। আর্থিক ক্ষেত্রে উন্নতি আপনার পক্ষে দীর্ঘস্থায়ী বকেয়া এবং রসিদের টাকা প্রদান করা সুবিধাজনক করবে। পরিবারে কোন মহিলা সদস্যের স্বাস্হ্য দুশ্চিন্তার সৃষ্টি করতে পারে। সিংহ রাশিফল: আজকের বিনোদনের মধ্যে খেলাধুলো সংক্রান্ত ক্রিয়াকলাপ এবং বাইরের অনুষ্ঠান অন্তর্ভুক্ত থাকা উচিত। এই রাশিচক্রের লোকেরা যারা বিদেশ থেকে ব্যবসা করে থাকে তারা আজ আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আত্মীয়/বন্ধুরা এক চমৎকার সন্ধ্যার জন্য চলে আসতে পারে। {link} কন্যা রাশিফল:নিজেকে সুস্থ এবং সুন্দর রাখতে উচ্চ ক্যালোরির খাবার এড়িয়ে চলুন। অতীতের বিনিয়োগ থেকে উপার্জন বৃদ্ধি দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। পরিবারের সদস্যদের প্রয়োজনীয়তাকে অগ্রাধিকার দিন। তাঁদের আনন্দ এবং দুঃখ ভাগ করে নিতে নিজেকেও অন্তর্ভুক্ত করুন যাতে তাঁরা বুঝতে পারেন যে আপনি তাঁদের জন্য পরোয়া করেন।  তুলা রাশিফল: হতাশার মনোভাব আপনার নাগালে আসতে দেবেন না। যারা অচেনা ব্যক্তির পরামর্শে তাদের অর্থ বিনিয়োগ করেছিলেন তারা আজ খুব সুবিধা পাবেন। আজ আপনার সীমিত ধৈর্য্য হবে- কিন্তু এই ব্যাপারে যত্ন নিন কারণ রূঢ় বা অসামঞ্জস্য শব্দ আপনার চারপাশের মানুষের মন খারাপ করতে পারে।  বৃশ্চিক রাশিফল: কোন বন্ধুর কাছ থেকে পাওয়া কোন বিশেষ প্রশংসা আপনাকে খুশি করবে। কারণ আপনি আপনার জীবন গাছের মত করে তৈরী করেছেন, যে নিজে রোদে দাঁডিয়ে থেকে ঝলসানো রোদ সহ্য করে এবং অপরকে ছায়া দেয়। বুঝে খরচ করুন এবং আজ বাজে খরচ না করতে চেষ্টা করুন।  ধনু রাশিফল: খুশিতে ভরা ভালো দিন। কাউকে প্রভাবিত করার জন্য বেশী খরচ করবেন না। আপনাদের মধ্যে কারোর গয়না বা ঘরের সরঞ্জাম কেনার সম্ভাবনা আছে। ভালোবাসার ব্যক্তির প্রতি আপনার রুক্ষ মনোভাব আপনাদের সম্পর্কের মধ্যে বিরোধ আনতে পারে।  মকর রাশিফল: শ্রেষ্ঠতর জীবনের জন্য আপনার স্বাস্হ্য এবং সামগ্রিক ব্যক্তিত্ব উন্নত করার চেষ্টা করুন আর্থিক দিকে উন্নতি নিশ্চিত। পরিবারের সদস্যরা আপনাকে এক ইতিবাচক উপায়ে সাড়া দেওয়ায় আপনি আজ উপকৃত হবেন। আপনাদের ভাগ করে নেওয়া ভালো মূহুর্তগুলি মনে করিয়ে দিয়ে আপনাদের বন্ধুত্বকে সতেজ করে তোলার সময়। কুম্ভ রাশিফল: কিছু পরিবারের কিছু সদস্য তাঁদের ঈর্ষণীয় ব্যবহারের দ্বারা আপনাকে বিরক্ত করতে পারে। কিন্তু আপনার মেজাজ হারানোর প্রয়োজন নেই অন্যথায় পরিস্থিত হাতের বাইরে চলে যেতে পারে। মনে রাখবেন যা সারানো যায় না তা অবশ্যই সহ্য করে নিতে হয়। কোনও পুরানো বন্ধু আজ আপনাকে আর্থিক সাহায্য চাইতে পারে। মীন রাশিফল: পরিবারের সদস্যদের সাথে সময় কাটানোর মাধ্যমে একলা এবং একাকীত্বের অনুভূতি কাটিয়ে উঠুন। কোন দীর্ঘ-স্থায়ী লগ্নি এড়িয়ে চলুন এবং বাইরে গিয়ে আপনার ভালো বন্ধুর সাথে কিছু সুখপ্রদ স্মৃতি কাটান। আপনার স্ত্রীর সাথে ভালো বোঝাপড়া ঘরে সুখ-শান্তি এবং সমৃদ্ধি আনবে। {ads}

article thumbnail

Horoscope: আজ কোন রাশির জাতকদের জন্য শুভ দিন, কাদেরই বা সতর্ক থাকা উচিত? দেখে নিন

শেফিল্ড টাইমস ডিজিটাল ডেস্ক: বৈদিক জ্যোতিষে ১২টি রাশি-মেষ, বৃষভ, মিথুন, কর্কট, সিংহ, কন্যা, তুলা, বৃশ্চিক, ধনু, মকর, কুম্ভ ও মীন- এর ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়। একইরকম ভাবে ২৩টি নক্ষত্রেরও ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়ে থাকে। প্রতিটি রাশির নিজস্ব স্বভাব এবং গুন-ধর্ম থাকে, তাই প্রতিদিন গ্রহের স্থিতির অনুসারে তাদের সাথে যুক্ত জাতকের জীবনে ঘটিত স্থিতি ভিন্ন-ভিন্ন হয়। এই কারণের জন্যই প্রত্যেক রাশির রাশিফল আলাদা-আলাদা হয়। মেষ: আপনি আজ আপনার সুস্বাস্থ্য বজায় রাখবেন যা আপনাকে সাফল্য এনে দিতে পারে। যারা এখন অবধি অহেতুক তাদের অর্থ উড়িয়ে দিয়েছিল তাদের আজকের কাজটি নিয়ন্ত্রণ করা উচিত এবং সঞ্চয় করা শুরু করা উচিত। আপনার পরিবারের সঙ্গে কাঠিন্য দেখাবেন না– এতে শান্তি নষ্ট হবে। প্রেম সংক্রান্ত পদক্ষেপ পুরস্কৃত হবে না।  বৃষভ: আপনার সন্ধ্যা মিশ্র আবেগ মিশ্রিত হবে যা আপনাকে উত্তেজিত রাখবে। কিন্তু বেশি চিন্তা করার কোন প্রয়োজন নেই- কারণ আপনার সুখ আপনাকে হতাশার চেয়ে বেশি আনন্দ দেবে। যে সমস্ত লোকেরা ঋণ নিয়েছিল তারা আজ এই অর্থ ফেরত দিতে সমস্যায় পড়তে পারে। আত্মীয় এবং বন্ধুদের কাছ থেকে অপ্রত্যাশিত উপহার এবং উপঢৌকন পাবেন। মিথুন: আপনার বিরাট আস্থা এবং সহজ কাজের সময়সূচী আপনাকে আজ আরাম করতে যথেষ্ট সময় দেবে। জমি এবং আর্থিক লেনদেনের জন্য ভালো দিন। সামাজির অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার সুযোগ থাকতে পারে-যা আপনাকে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ঘনিষ্ঠ সান্নিধ্যে আনবে। সতর্ক থাকুন যেহেতু আজকের দিনে বন্ধুত্ব হারানো অত্যন্ত সম্ভবপর।  {linkl} কর্কট: রক্তচাপের রোগীরা ভিড় বাসে চাপার সময় তাঁদের স্বাস্হ্যের ব্যাপারে অতিরিক্ত যত্নশীল থাকবেন। আপনি একটি উত্তেজনাপূর্ণ নতুন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে পারেন- যা আপনাকে আর্থিকভাবে লাভবান করতে পারে। একটি পারিবারিক জমায়েতে আপনি মধ্যমণি হয়ে উঠবেন। নিজেকে ঠিক সঠিক প্রমাণ করার জন্য আপনি এই দিন আপনার সঙ্গীর সাথে ঝগড়া করতে পারেন।  সিংহ: অপ্রয়োজনীয় ব্যাপারে তর্ক করে সময় নষ্ট করবেন না। মনে রাখবেন তর্কে পাওয়ার কিছু নেই বরং কেবল হারাবার আছে। যদি আপনি আপনার বন্ধুদের সাথে বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা করে থাকেন তবে চিন্তাভাবনা করে অর্থ ব্যয় করুন, যেহেতু আপনার অর্থের ক্ষতি হতে পারে। আপনি আপনার অতিরিক্ত সময় শিশুদের সাহচর্য উপভোগ করতে ব্যয় করুন- এমনকি এটা ঘটাতে আপনি আপনার পথে এগিয়ে যান।  কন্যা: যদি আপনি একটি দীর্ঘ যাত্রায় যাবার পরিকল্পনা করেন তাহলে আপনার স্বাস্থ্য এবং শক্তি সংরক্ষণের অভ্যাস অত্যন্ত উপকারী প্রমাণিত হবে। একটি ব্যস্ত সময়সূচী সত্ত্বেও আপনি সহজেই ক্লান্তি সামলাতে সক্ষম হবেন। আপনি অর্থের গুরুত্বটি খুব ভালভাবেই জানেন, যে কারণে আপনি আজ যে অর্থ সঞ্চয় করছেন তা ভবিষ্যতে কার্যকর হবে এবং কোনও বড় সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসবে। একটি আনন্দময় এবং চমৎকার সন্ধ্যার জন্য ঘরে অতিথিরা ভিড় করবেন। তুলা: আজকের বিনোদনের মধ্যে খেলাধুলো সংক্রান্ত ক্রিয়াকলাপ এবং বাইরের অনুষ্ঠান অন্তর্ভুক্ত থাকা উচিত। আপনার অর্থ তখনই আপনার কাজে আসে যখন আপনি নিজেকে অতিরঞ্জিত ব্যয় করা থেকে বিরত রাখেন, আজ আপনি এই জিনিসটি ভালভাবে বুঝতে পারবেন। পরিবারের সদস্যদের হাসিখুশি প্রকৃতি ঘরের পরিবেশ উজ্জ্বল করতে তুলবে। আপনি আজ আপনার মিষ্টি ভালবাসা জীবনে চমকপ্রদ মশলার উপস্থিতি লক্ষ্য করতে পারেন। বৃশ্চিক: বিপদের সময় ধৈর্য্য হারাবেন না। বিনিয়োগের যে স্কিমগুলো আপনার কাছে আকর্ষণীয় লাগছে সেগুলো খুঁটিয়ে দেখুন- কথা দেওয়ার আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। শিশুদের সঙ্গে আপনার খারাপ ব্যবহার তাদের অসন্তুষ্ট করবে। আপনি নিজেকে সামলান এবং মনে রাখুন যে এটা আপনাদের মধ্যে বাধার সৃষ্টি করছে।  ধনু: একটি খুশির সংবাদ পাওয়া সম্ভবপর। অর্থ সংক্রান্ত বিষয়ে গ্রহনির্ভর স্থান আজ আপনার পক্ষে অনুকূল বলে মনে হচ্ছে না। সুতরাং, আপনার অর্থ নিরাপদ রাখুন। আপনি দেখতে পাবেন যে আপনার পিতামাতা সন্তুষ্ট করা কঠিন। তাদের বুঝতে এবং তাদের দৃষ্টিকোণ থেকে জিনিসকে দেখে ইতিবাচক ফলাফল দেওয়ার চেষ্টা করুন।  মকর: নিজের খাদ্য(তালিকা) নিয়ন্ত্রণের আওতায় রাখুন এবং শারীরিকভাবে সুস্থ থাকার জন্য ব্যায়াম করুন। অপরিকল্পিত উত্স থেকে টাকাপয়সা লাভ আপনার দিন উজ্জ্বলতর করতে তুলবে। যদি প্রয়োজন হয় তাহলে বন্ধুরা আপনার সাহায্যে এগিয়ে আসবে। আপনার হৃদয়ে এবং মনে প্রেম রাজ করবে। আজ আপনি বিচক্ষণতা ব্যবহার করে ঘরের লোকেদের সাথে কথা বলবেন যদি আপনি তা না করেন তাহলে অযথা লড়ায়ে আপনার সময় নষ্ট হতে পারে। {link} কুম্ভ: স্বাস্থ্য সুন্দর থাকবে। আজ কোনও নিকট আত্মীয়ের সহায়তায় আপনি আপনার ব্যবসায় ভাল করতে পারবেন যা আপনাকে আর্থিকভাবেও উপকৃত করবে। মেজাজ না সামলাতে পারলে পরিবারের সদস্যদের অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে ফেলতে পারেন। আপনি আপনার মনের মানুষ খুঁজে পাওয়ার ফলে একাকিত্বের দশা, যা আপনাকে দীর্ঘ সময় ধরে গ্রাস করছিল, তা শেষ হবে। মীন: আপনি দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতা থেকে সুস্থ হয়ে উঠবেন। কিন্তু একজন স্বার্থপর বদরাগী ব্যক্তিকে এড়িয়ে চলবেন কারণ তিনি আপনাকে কিছু মানসিক উত্তেজনা দেবে যা পুনরায় সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। নির্দিষ্ট কিছু জরুরী পরিকল্পনা নির্বাহিত হওয়ায় আপনাকে নতুন অর্থনৈতিক লক্ষ্য এনে দেবে। আপনার ঘরে ঐক্য আনতে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার মাধ্যমে কাজ করুন। {ads}

article thumbnail

Horoscope: নভেম্বরের ত্রিগ্রহী যোগের জন্য পাল্টে যাবে কয়েক রাশির ভাগ্য! জেনে নিন নিজের ভবিষ্যৎ

শেফিল্ড টাইমস ডিজিটাল ডেস্ক: গ্রহদের সেনাপতি মঙ্গল, ধন ও সুখ-সমৃদ্ধির দাতা শুক্র এবং গ্রহরাজ সূর্য এক সারিতে এসে এই যোগ তৈরি করবে। নভেম্বরে আরও কয়েকটি গ্রহের রাশি পরিবর্তনের ফলে ত্রিগ্রহী ও চতুর্গ্রহী যোগের সৃষ্টি হবে, যা জ্যোতিষশাস্ত্রে অত্যন্ত শুভ বলে বিবেচিত। এই ত্রিগ্রহী যোগের প্রভাবে কিছু রাশির জাতক-জাতিকার কর্মজীবন ও ব্যবসায় উন্নতি ঘটবে। কর্মহীন ব্যক্তিরা নতুন চাকরির সুযোগ পেতে পারেন এবং সুখ-সুবিধাও বৃদ্ধি পাবে। আসুন জেনে নিই, কোন কোন রাশির জন্য এই সময়টি অত্যন্ত ভালো হতে চলেছে।  {link} মকর রাশি: মকর রাশির জাতকদের জন্য নভেম্বরের এই ত্রিগ্রহী যোগ অত্যন্ত শুভ ও ফলদায়ক প্রমাণিত হবে। এটি তাঁদের কুণ্ডলীর আয় ও লাভ স্থানে গঠিত হচ্ছে। তা থেকে আয় বৃদ্ধির দারুণ সম্ভাবনা রয়েছে। ধন-সম্পত্তি বৃদ্ধি পাবে এবং হঠাৎ অর্থপ্রাপ্তির সুযোগ তৈরি হবে। বিনিয়োগ থেকে লাভ হওয়ার সম্ভাবনাও উজ্জ্বল। {link}  বৃশ্চিক: রাশিবৃশ্চিক রাশির জাতকদের জন্য ত্রিগ্রহী যোগের সৃষ্টি তাঁদের জীবনের ভালো দিনের সূচনা করতে পারে। এই যোগের ফলে বৃশ্চিক রাশির জাতকদের ব্যক্তিত্ব, সাহস ও পরাক্রম বৃদ্ধি পাবে। সম্মান ও প্রতিপত্তি অর্জিত হবে। যারা নতুন চাকরির সন্ধানে আছেন, তারা এই যোগের প্রভাবে ভালো সুযোগ পেতে পারেন। নতুন গাড়ি বা সম্পত্তির মালিক হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে। এই সময়ে স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় থাকবে। মীন রাশি: মীন রাশির জাতকদের জন্য ত্রিগ্রহী যোগ অত্যন্ত শুভ ও ফলদায়ক হবে। এই গোচর তাঁদের কুণ্ডলীর নবম ভাব, অর্থাৎ ভাগ্য স্থানে গঠিত হবে। এর ফলে ভাগ্যের পূর্ণ সমর্থন মিলবে। আটকে থাকা কাজগুলি সম্পূর্ণ হবে এবং ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক কাজে আগ্রহ বাড়বে। কর্মজীবন ও ব্যবসায় উন্নতির যোগ রয়েছে। শিক্ষার্থীদের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য পাওয়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল। আর্থিক অবস্থার উন্নতি হবে। {ads}

article thumbnail

Horoscope: আজ কোন কোন রাশির জন্য বিপদ অপেক্ষা করছে, কাদেরই বা দিন ভালো কাটবে? জেনে নিন

শেফিল্ড টাইমস ডিজিটাল ডেস্ক: বৈদিক জ্যোতিষে ১২টি রাশি-মেষ, বৃষভ, মিথুন, কর্কট, সিংহ, কন্যা, তুলা, বৃশ্চিক, ধনু, মকর, কুম্ভ ও মীন- এর ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়। একইরকম ভাবে ২৩টি নক্ষত্রেরও ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়ে থাকে। প্রতিটি রাশির নিজস্ব স্বভাব এবং গুন-ধর্ম থাকে, তাই প্রতিদিন গ্রহের স্থিতির অনুসারে তাদের সাথে যুক্ত জাতকের জীবনে ঘটিত স্থিতি ভিন্ন-ভিন্ন হয়। এই কারণের জন্যই প্রত্যেক রাশির রাশিফল আলাদা-আলাদা হয়।  মেষ রাশিফল: বহিরাঙ্গণ খেলাধূলা আপনাকে আকর্ষণ করবে- ধ্যান এবং যোগ লাভজনক হবে। নিযুক্ত যারা নিযুক্ত তারা একটি টেকসই পরিমাণ প্রয়োজন, কিন্তু অতীতে করা অপ্রয়োজনীয় ব্যয়ের কারণে তাদের পর্যাপ্ত পরিমাণ থাকবে না। বন্ধুরা আপনি যা প্রত্যাশা করবেন তার থেকেও বেশি সহায়ক হবে।  বৃষভ রাশিফল: ভাগ্যের ওপর নির্ভর করবেন না এবং স্বাস্থ্যের ব্যাপারটা ভাগ্যের হাতে ছাড়বেন না যে ভাগ্যদেবী অলস বলে তা আপনার কোনোদিন হবে না। নিজের ওজন নিয়ন্ত্রণে আনতে আর স্বাস্থ্যোদ্ধার করতে এখনই শরীরচর্চা শুরু করে দিন। নতুন চুক্তিগুলি লাভজনক মনে হতে পারে কিন্তু আকাঙ্খিত অনুযায়ী লাভ আনবে না- আর্থিক বিনিয়োগের সময় কোন হঠকারী সিদ্ধান্ত নেবেন না। মিথুন রাশিফল: অসুস্থতা থেকে সেরে ওঠার সুযোগ বেশী যা আপনাকে প্রতিযোগিতামূলক খেলাধুলাতে অংশ নিতে সাহায্য করবে। এই রাশিচক্রের সুপ্রতিষ্ঠিত ও সুপরিচিত ব্যবসায়ীদের আজকের অর্থটি খুব চিন্তা করেই বিনিয়োগ করতে হবে। পারিবারিক উত্তেজনায় আপনার মনোযোগ ভ্রষ্ট হতে দেবেন না। দুঃসময় আমাদেরকে অনেক বেশি কিছু দেয়।  কর্কট রাশিফল: আপনার ব্যাধি অসুখীর কারণ হতে পারে। পরিবারে সুখ ফিরিয়ে আনতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তা অতিক্রম করার চেষ্টা করুন। আপনি আজকে কার্ড ভাল খেললে কিছু অতিরিক্ত নগদ উপার্জন করতে পারেন। বন্ধু এবং একইভাবে অচেনা ব্যক্তিদের থেকে সাবধান হোন। আজ, আপনি আপনার জীবনসঙ্গীর সাথে ভাগ করে নিতে চাইবেন।  সিংহ রাশিফল: ভ্রমণ-ভোজ এবং আনন্দ আপনাকে আজ এক ভালো মেজাজে রাখবে। আপনি আজ ব্যবসায় প্রচুর লাভ অর্জন করতে পারেন। আপনি আজ আপনার ব্যবসায় নতুন উচ্চতা দিতে পারেন। যদি আপনি আপনার কমনীয়তা এবং বুদ্ধি ব্যবহার করেন তাহলে আপনি মানুষদের আপনার নিজের পথে নিয়ে আসতে পারবেন।  কন্যা রাশিফল: আজ আপনি হালকা বোধ করবেন এবং উপভোগ করার সঠিক মেজাজে থাকবেন। আপনার সন্তানদের কারণে আজ আপনি অর্থনৈতিক সুবিধা অর্জন করতে পারেন। এটি আপনাকে খুব আনন্দিত করবে। আপনার অত্যধিক শক্তি এবং অসাধারণ উদ্যম আপনার অনুকূলে ফলাফল আনতে পারে এবং গার্হস্থ্য উত্তেজনা প্রশমিত করতে পারে।  তুলা রাশিফল: অত্যধিক দুশ্চিন্তা আপনার মানসিক শান্তি বিঘ্নিত করতে পারে।এটি এড়িয়ে চলুন, যেহেতু উদ্বেগ,বদমেজাজ এবং দুশ্চিন্তার অল্পস্বল্পও শরীরকে বিরূপভাবে প্রভাবিত করতে পারে। আপনার পরিবারের কোনও সদস্য অসুস্থ হয়ে পড়ার কারণে আপনি আর্থিক সমস্যার মুখোমুখি হতে পারেন।  {link} বৃশ্চিক রাশিফল: আপনি দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতা থেকে পরিত্রাণ পেতে পারেন। আপনি কমিশন- ডিভিডেন্ট- বা রয়্যালটি থেকে বেনিফিট পাবেন। বন্ধুরা সন্ধ্যেবেলার জন্য আকর্ষণীয় কিছু পরিকল্পনা করে আপনার দিনটি উজ্জ্বল করে তুলবে। আপনি প্রেমময় মেজাজের মধ্যে আছেন- তাই আপনি এবং আপনার প্রি়য়জনের জন্য বিশেষ পরিকল্পনা নিশ্চিতভাবে করুন। ধনু রাশিফল: দুর্দশায় থাকা কারোকে সাহায্য করতে আপনার শক্তি ব্যবহার করুন। মনে রাখবেন এই অবিনশ্বর শরীরের থেকেই বা কি লাভ যদি এটা অন্যদের উপকারে লাগানোই না যায়। আপনি যদি একটি মসৃণ জীবনযাপন করতে চান এবং জীবনযাত্রার একটি স্থিতিশীল মান বজায় রাখতে চান তবে আপনার আর্থিক সম্পর্কে আপনার আজ মনোযোগী হওয়া দরকার।  মকর রাশিফল: আপনার ইচ্ছা শক্তির অভাব আপনাকে আবেগগত ও মানসিক মনোভাবের শিকার করতে পারে। আজ শুধু বসে থাকার পরিবর্তে- কেন এমন কিছুতে নিযুক্ত হচ্ছেন না- যা আপনার উপার্জন ক্ষমতা উন্নত করবে। আপনার পরিবারের সঙ্গে কাঠিন্য দেখাবেন না– এতে শান্তি নষ্ট হবে। ভালোবাসার জন্য উৎসাহময় দিন- সন্ধ্যের জন্য কিছু বিশেষ পরিকল্পনা করুন এবং এটিকে যতটা সম্ভব রোম্যান্টিক করতে চেষ্টা করুন। কুম্ভ রাশিফল: আপনি পরিস্থিতি সামলানোর ফলে আপনার উদ্বেগের সৃষ্টি হবে। আপনি সম্ভবত বুঝতে পারবেন যে এটি সাবানের বুদ্বুদের মতো সবই ভিত্তিহীন যা সাহসের প্রথম স্পর্শেই ধসে গেছে। আপনি আজকে কার্ড ভাল খেললে কিছু অতিরিক্ত নগদ উপার্জন করতে পারেন। আপনার বন্ধুদেরও আপনার উদারতার সুযোগ নিতে দেবেন না। সতর্ক থাকুন কেউ আপনার সাথে প্রেমের ছল করতে পারে। মীন রাশিফল: সাফল্য হাতের নাগালে এলেও শক্তি কমে আসবে। আপনি যদি আপনার পরিবারের কোনও সদস্যের কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নিয়ে থাকেন তবে আজই এটি ফিরিয়ে দেওয়া ভাল, অন্যথায় সেই সদস্যটি আপনার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নিতে পারে। বন্ধু এবং আত্মীয়রা আপনাকে সুনজরে দেখবে এবং আপনি তাদের সঙ্গে যথেষ্ট খুশি হবেন। {ads}

article thumbnail

Astrology: জীবনে কোন কোন সময়ে চুপ থাকা উচিত? জেনে নিন চানক্যর মত

শেফিল্ড টাইমস ডিজিটাল ডেস্ক: আচার্য চাণক্য তাঁর নীতিশাস্ত্রে সাফল্য, বিবাহ, বন্ধুত্ব, কর্মজীবন ও কর্মসংস্থান সহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে আমাদের জানিয়েছেন। একইভাবে তিনি বলেছেন যে, কিছু সময় কথা বলার চেয়ে নীরব থাকা মানুষের পক্ষে ভাল। চলুন দেখে নেওয়া যাক কখন কথা বলা ভাল, আর কখন নীরব থাকা ভাল। "কথা রূপা, নীরবতা সোনা” এই প্রবাদটি বহুল প্রচলিত। এর অর্থ হল, নীরবতা কথার চেয়ে বেশি শক্তিশালী। কখনও কখনও আমাদের কথা আমাদের ব্যক্তিত্ব এবং অন্যদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক নষ্ট করে। তাই, চাণক্য বলে গিয়েছেন, কিছু পরিস্থিতিতে কথা বলার চেয়ে নীরব থাকা ভাল। আচার্য চাণক্য তাঁর নীতিশাস্ত্রে সাফল্য, বিবাহ, বন্ধুত্ব, কর্মজীবন ও কর্মসংস্থান সহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে আমাদের জানিয়েছেন।   * কোন পরিস্থিতিতে কোনও ব্যক্তির চুপ থাকা উচিত?   ** ১) বোকা লোকদের সঙ্গে কথা বলার সময়: চাণক্য বলে গিয়েছেন যে বোকা লোকদের সঙ্গে তর্ক করা অর্থহীন। বোকা লোকের সঙ্গে কথা বলার চেয়ে চুপ থাকা শ্রেয়। এইভাবে আপনি নিজের সম্মান বজায় রাখতে পারবেন। অপ্রয়োজনীয় ঝগড়া এড়িয়ে যেতে পারবেন।   ** রাগের সময়: চাণক্য বলে গিয়েছেন যে, রাগ মানুষের সবচেয়ে বড় শত্রু। রাগের সময় নেওয়া সিদ্ধান্ত যেমন ভুল, তেমনই রাগের সময় কথা বলাও বড় ভুল। কারণ রাগের সময় কথা বললে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে ওঠে। ঠিক কথাবার্তাও খুব কঠিন হয়ে ওঠে। তাই যতটা সম্ভব চুপ থাকা ভাল। {link}   ** একগুঁয়ে লোকদের সঙ্গে কথা বলার সময়: চাণক্য বলেছেন যে একগুঁয়ে লোকদের সঙ্গে কথা বলার সময় অপ্রয়োজনীয় কথা এড়িয়ে চলাই ভাল। কারণ একগুঁয়ে লোকেরা ভুল যুক্তি দেয়। তাঁরা ভুল কাজ করলেও বলতে থাকে সঠিক কাজটি করেছে। এই ধরনের লোকদের সঙ্গে তর্ক করাই বৃথা।   ** মাদকাসক্তদের সঙ্গে: আচার্য চাণক্য বলেছেন যে মদ্যপ বা মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলা অর্থহীন। এই ধরনের লোকদের সঙ্গে কথা বলা সময়ের অপচয়। এতে মারপিটের সম্ভাবনা বাড়ে। তাই, চুপ থাকা এবং এই ধরনের লোকদের সঙ্গে কথা না বলাই ভাল।   ** কঠিন পরিস্থিতিতে: জীবনে যখন আপনি কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হন, তখন যতটা সম্ভব নীরব থাকা ভাল। এই ধরনের পরিস্থিতিতে নীরবতা বজায় রাখা শ্রেয়। এই সময় নীরব থাকলে আরও ভাল ভাবে চিন্তা করা যায়। সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য হয়। {ads}

article thumbnail

Toothache : দাঁতের যন্ত্রণা কমাতে পেয়ারা পাতা ও লবঙ্গের জাদু

শেফিল্ড টাইম্‌স ডিজিটাল ডেস্ক : দাঁতের যন্ত্রণা (toothache) কতটা ভয়ঙ্কর তা কেবল ভুক্তভুগীরাই। সেই যন্ত্রনা থেকে মুক্তি পাবার জন্য আমরা প্রচুর ব্যথার ওষুধ খাই। কিন্তু খুব বেশি কাজ হয় না। এমন পরিস্থিতিতে, ঘরোয়া প্রতিকারগুলি একটি কার্যকর এবং নিরাপদ বিকল্প হিসাবে প্রমাণিত হতে পারে। আসুন জেনে নিই কিভাবে আপনি এই ঘরোয়া প্রতিকারের মাধ্যমে দাঁত ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে পারেন, তাও কোনও ওষুধ ছাড়াই। দাঁতের ব্যথায় পেয়ারা পাতা এবং লবঙ্গ ব্যবহার খুবই উপকারী। {link} তাজা পেয়ারা পাতায় প্রাকৃতিক অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং প্রদাহ-বিরোধী উপাদান থাকে। একই সঙ্গে লবঙ্গে পাওয়া যৌগ ইউজেনল দাঁতের ব্যথা এবং মাড়ির সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করে। এই কারণেই প্রজ্নেমর পর প্রজন্ম ধরে প্রতিটি বাড়িতে এই টোটকা ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এটি ব্যবহার করা খুবই সহজ। একটি তাজা পেয়ারা পাতা থেঁতো করে তাতে একটি লবঙ্গ থেঁতো করে দিন। তারপর দাঁতের আকার অনুসারে এটি ছোট আকারে মন্ড তৈরি করে যেখানে ব্যথা আছে সেখানে দিয়ে রাখুন। অল্প সময়ের মধ্যেই ব্যথা এবং জ্বালাপোড়া থেকে মুক্তি পাবেন। এই প্রতিকার দাঁতের ব্যথা, মাড়ি ফুলে যাওয়া, রক্তপাত এবং মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে সাহায্য করে। {link} পেয়ারা পাতায় এমন যৌগ পাওয়া যায়, যা মুখের ব্যাকটেরিয়া দূর করার ক্ষমতা রাখে। দাঁতের ব্যথার জন্য লবঙ্গ তেল বহু বছর ধরেই ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। লবঙ্গ তেল থাকলে তুলোয় ভিজিয়ে দাঁতের উপরও রাখা যায়। এছাড়াও, হালকা গরম জলে লবণ দিয়ে গার্গল করলে দাঁতের ব্যথায় খুব উপকার পাওয়া যায়। এটি কেবল ব্যথা কমায় না, মুখের ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়াকেও মেরে ফেলে। কাঁচা হলুদ চিবোলে বা আক্রান্ত স্থানে এর পেস্ট লাগালেও আরাম পাওয়া যায়। {ads}  

article thumbnail

ব্যবসা ও বাণিজ্য

আরো পড়ুন

Baba Vanga Prediction: সোনার মাধ্যমেই ধনকুবের হওয়ার সুযোগ? বাবা ভাঙ্গারের ভবিষ্যতবাণী জেনে নিন

শেফিল্ড টাইমস ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বের সোনার দাম চূড়ান্ত জায়গায় পৌঁছেছে। গত দুএকদিন সোনার দামের পতন হচ্ছে ঠিকই কিন্তু আবার বাড়বে সোনার দাম। বাবা ভাঙ্গার এমনই বলেছেন। বুলগেরিয়ান এই অন্ধ ভবিষ্যৎদ্রষ্টা বহু আগেই গোটা বিশ্ব জুড়ে ২০২৬ সালে আর্থিক অস্থিরতার ইঙ্গিত দেন। সেই সূত্র ধরেই বিশেষজ্ঞরা আগামীতে সোনার মূল্য বৃদ্ধির আগাম আভাস দিয়েছেন। আর্থিক নিরাপত্তার সোপান হিসেবে সোনাকে অনেকেই প্রাধান্য দেন। এই ধাতু সংগ্রহে রাখলে আপদে বিপদে তা আমাদেরকে রক্ষা করে। সোনা সঞ্চয়ে থাকলে আর্থিক নিরাপত্তা সুনিশ্চিত হয়। ভাঙ্গার কথা কতটা মিলবে তা ভবিষ্যৎ বলবে। কিন্তু আগে বহু ক্ষেত্রেই মিলে গেছে। {link}   বাবা ভাঙ্গার মনে করেন, ২০২৬ সাল এক ভয়াবহ বিপর্যয়ের মধ্যে দিয়ে যাবে। আর প্রযুক্তি, রাজনীতি, অর্থনিতি সব ক্ষেত্রেই ঘটতে পারে বড়সড় অঘটন। যদিও এই সব ভবিষ্যদ্বাণীর কোনও প্রামাণ্য নথি নেই। তবে বাবা ভাঙ্গার সমর্থকরা মনে করেন, যেহেতু অতীতে এই ভবিষ্যৎদ্রষ্টার বহু গুরুত্বপূর্ণ ভবিষ্যদ্বাণী সত্য হয়েছিল, তাই এবারেও হয়তো তা অক্ষরে অক্ষরে মিলবে। বাবা ভাঙ্গার ভবিষ্যদ্বাণীগুলি বিশ্লেষণ করলে বোঝা যাবে তিনি ২০২৬-এ সরাসরি আর্থিক সংকটের ইঙ্গিত দিয়েছেন। সেই ইঙ্গিত মেনেই মনে করা হচ্ছে সোনার দাম ২০২৬ সালে আকাশ ছোঁয়া হবে। আর ঐতিহাসিক ভাবেও যেকোনও বিপর্যয় বা মন্দার সময় সোনার দাম যে হু হু করে বাড়ে, তা আমরা অতীতে দেখেছি। {ads}

article thumbnail

Purulia : তসর চাষে বদলাচ্ছে পুরুলিয়ার অর্থনীতি

শেফিল্ড টাইম্‌স ডিজিটাল ডেস্ক : খুব ধীরে ধীরে এগিয়ে চলেছে পুরুলিয়া (Purulia) জেলা। কখনো সরকারি আনিকুল্য পেয়ে আবার কখনো ব্যক্তিগত উদ্যোগে পুরুলিয়ার মানুষ জেলার অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে। তসর চাষ একটি বিশেষ ধরনের রেশম চাষ পদ্ধতি। যে চাষে রেশম পোকা পালন করে রেশম উৎপাদন করা হয়। পরবর্তীতে যা তসর বস্ত্র তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। {link} রেশম পোকা সাধারণত বন্য গাছের পাতায় প্রতিপালিত হয়। এই পোকাগুলি মূলত অ্যান্থেরিয়া মাইলিটা প্রজাতির, যাদের জীবনচক্র পুরোপুরি প্রকৃতির সঙ্গে মিশে রয়েছে। পোকাগুলো পাতায় পাতায় গুটি বাঁধে, আর সেখান থেকেই উৎপন্ন হয় তসর। এখন এই রেশম পোকা প্রতিপালন করে চলেছে পুরুলিয়া জেলার কাশীপুরের নারায়ণগড় তসর বীজ সরবরাহ কেন্দ্র। {link} এর ফলে ওই এলাকার অর্থনীতি দ্রুত উন্নত হচ্ছে। বহু মানুষ এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। রেশম পোকা প্রতিপালন করে তারা গড়ে তুলছেন একটি নতুন জীবিকা, যা শুধু তাদের সংসার নয়, প্রাণ ফিরিয়েছে গ্রামীণ অর্থনীতিতেও। এই কেন্দ্রটির মূল কাজ হল উন্নতমানের তসর বীজ বা ডিম সরবরাহ করা এবং কেন্দ্রের মধ্যেই থাকা ঘন জঙ্গলে রেশম পোকা প্রতিপালন করা। যেখানে গ্রামের চাষিরা আধুনিক বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে এই পোকা প্রতিপালন করছেন। জানা যায়, বর্ষাকালে এই তসর পোকা চাষের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি হয়। {ads}  

article thumbnail

Basirhat : গলদা চিংড়ি চাষেই ঘুরছে বসিরহাটের চাকা

শেফিল্ড টাইম্‌স ডিজিটাল ডেস্ক : উঃ ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) বসিরহাট (Basirhat) সংলগ্ন একটা বড়ো অংশের মানুষের জীবিকা গলদা চিংড়ি (Lobster) চাষের সঙ্গে যুক্ত। প্রকৃতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চিংড়ি চাষে জয়যাত্রা বসিরহাটের। উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার বিস্তীর্ণ উপকূলবর্তী অঞ্চল—সন্দেশখালি, হিঙ্গলগঞ্জ, মিনাখা, হাড়োয়া ও বসিরহাটে—দীর্ঘদিন ধরেই চিংড়ি চাষ একটি প্রধান জীবিকা হিসেবে চলে আসছে। বিশেষ করে গলদা ও বাগদা চিংড়ি চাষে এই অঞ্চল দীর্ঘদিন ধরে বিখ্যাত। {link} সুন্দরবনের সান্নিধ্য ও প্রকৃতিগতভাবে অনুকূল পরিবেশ এই চাষের পক্ষে সহায়ক। চাষের এই পুরনো প্রথা এখন আধুনিকতার ছোঁয়ায় আরও সফল হচ্ছে। গত কয়েক বছরে উত্তর ২৪ পরগনার চাষিরা নিয়মিতভাবে বায়োফ্লক, জিওমেমব্রেন পদ্ধতি, উন্নত খাদ্য ও স্বাস্থ্যপরীক্ষা ব্যবস্থার মত প্রযুক্তি ব্যবহার করতে শুরু করেছেন। এতে উৎপাদন যেমন বেড়েছে, তেমনই কমেছে মৃত্যুহার ও রোগ সংক্রমণ। এই পরিবর্তনে লাভের মুখ দেখছেন বহু চাষি। একসময় যারা শুধুমাত্র স্থানীয় বাজারে বিক্রি করতেন, আজ তারা বড় বাজার এমনকি রফতানির পথেও এগোচ্ছেন। বসিরহাট, ম, কলকাতা এমনকি ভিন রাজ্যের পাশাপাশি বিদেশেও এখানকার চিংড়ির চাহিদা যথেষ্ট। {link} চিংড়ি চাষের সঙ্গে যুক্ত স্থানীয় বহু পরিবার এখন স্থায়ীভাবে এই পেশার ওপর নির্ভরশীল। পাশাপাশি তরুণ প্রজন্মও এই চাষকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করছে। সরকার ও বেসরকারি সংস্থার তরফ থেকেও প্রশিক্ষণ, ঋণ ও প্রযুক্তিগত সহায়তা মিলছে। তবে সমস্যা একেবারে নেই তা নয়। জলবায়ু পরিবর্তন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, জলের মানের ওঠানামা এবং কিছু ক্ষেত্রে বাজারে দামের অনিশ্চয়তা এখনও চাষিদের চিন্তায় রাখে। {ads}

article thumbnail

Damask rose : দামাস্ক গোলাপ চাষে বাড়ছে কর্মসংস্থান

শেফিল্ড টাইম্‌স ডিজিটাল ডেস্ক : সারা দেশ জুড়ে বাড়ছে গোলাপ (rose) চাষ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই গোলাপের ব্যবসা অত্যন্ত লাভজনক হয়। সাজসজ্জা থেকে শুরু করে নানা সৌন্দর্য পণ্য পর্যন্ত বিস্তৃত এই ফুলের ব্যবসায়িক গুরুত্ব। গোলাপ থেকে সুগন্ধি, প্রয়োজনীয় তেল, গোলাপ জল এবং নানা ধরণের সৌন্দর্য পণ্য তৈরি করা হয়। তাই দিন দিন বাড়ছে এই ফুলের চাষ। কৃষকরা অনেক ধরণের গোলাপ চাষ করেন। {link} তবে, উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) কৃষকরা একটি বিশেষ ধরণের গোলাপ চাষ করে সারা ফেলে দিয়েছেন। এই গোলাপের হাত ধরেই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে কর্মসংস্থান। এই গোলাপকে 'দামাস্ক গোলাপ' (Damask rose) বলা হয়, যা সাধারণ গোলাপের তুলনায় অনেক বেশি মূল্যবান। সেন্টার অফ অ্যারোমেটিক প্ল্যান্টস'-এর পরিচালক ডঃ নৃপেন্দ্র চৌহান এক সাক্ষাৎকারে বলেন, দামাস্ক গোলাপ চাষকে সুগন্ধ পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে। {link} রাজ্যের পাহাড়ি জেলাগুলির ১৬০০ জনেরও বেশি কৃষক এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। ২০২১ সালে শুরু হওয়া এই প্রকল্পের আওতায় আজ দামাস্ক চাষ সারা দেশে ১৫০ হেক্টরে পৌঁছেছে। এর থেকে তৈরি পণ্য বিদেশে পাঠানোর কাজও চলছে। দামাস্ক গোলাপ তেলের বাজার মূল্য প্রতি লিটার ১২ থেকে ১৩ লক্ষ টাকা, যা সুগন্ধি, স্বাদ এবং সৌন্দর্য পণ্য তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। বিশেষজ্ঞ বলেন, প্রতি বছর প্রায় ৭০০ কুইন্টাল গোলাপ উৎপাদিত হচ্ছে। {ads}  

article thumbnail

Lychee : লিচু চাষে লোকসানের মুখে চাষিরা

শেফিল্ড টাইম্‌স ডিজিটাল ডেস্ক : অন্যান্য বার এতদিনে লিচু (Lychee) পৌঁছে যেত বিদেশ সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। কিন্তু এবছর তার ব্যতিক্রম দেখা গেল। যেটুকু ফল এখন পাওয়া যাচ্ছে তা স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে দিতে হচ্ছে চাষিদের। কার্যত লোকসানের মুখে পড়েছেন পূর্বস্থলীর ফলেয়া, সিমলা সহ বিস্তীর্ণ এলাকার লিচু বাগানের লিচু চাষিরা। কিভাবে যে এই সমস্যার সমাধান হবে সেই নিয়েই বর্তমানে চিন্তায় রয়েছেন একাকার অনেকেই। {link} ভারত-পাক সংঘাতের আবহে লিচু পাড়ি দিচ্ছে না বিদেশে! সেই কারণেই এবার সমস্যায় পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের লিচু চাষিরা। লিচু বাগান লিজ নিয়ে রীতিমত এবার হিমশিম খেতে হচ্ছে চাষিদের। এইধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়ে কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন জেলার একাধিক লিচু চাষি। কিন্তু এত টাকা খরচ করার পরে এবার আশাভঙ্গ হয়েছে চাষিদের। লাভ হবে কিনা সেই নিয়ে আশঙ্কায় রয়েছেন চাষিরা। এই প্রসঙ্গে লিচু চাষি হাসান শেখ জানিয়েছেন, “দুবাই, কাতার, আরব সহ বিভিন্ন দেশে এজেন্টের মারফত এই লিচু যেত। {link} কিন্ত যুদ্ধ আবহের জন্য এক্সপোর্ট বন্ধ রয়েছে। আমাদের পরিস্থিতি খুব খারাপ, ফলনও ভালো হয়নি।” রাজ্যের মধ্যে পূর্ব বর্ধমান জেলার পূর্বস্থলীর একটা আলাদা সুনাম রয়েছে। এই পূর্বস্থলী এলাকাজুড়ে চাষ হয় বিভিন্ন ধরনের সবজি। এছাড়া ফুলের চারার জন্যও এই জায়গার এক আলাদা খ্যাতি রয়েছে। কিন্তু সবজি,ফুল ছাড়াও এখানে আম, লিচুর মত ফলও চাষ হয়। সেরকমই লিচু চাষ করে থাকেন অনেকেই। তবে এবার লিচু চাষ করে তাদের সমস্যায় পড়তে হয়েছে। {ads}

article thumbnail

Baruipur : বারুইপুরে লিচুর রাজত্বে খালি মুকুট

শেফিল্ড টাইম্‌স ডিজিটাল ডেস্ক : দঃ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) বারুইপুর প্রধানত বিখ্যাত পেয়ারা, আম ও লিচু চাষের জন্য। কিন্তু এবার কৃষকদের কপালে অনেকটা ভাঁজ পড়েছে। বৈশাখ মাস শেষ , এখনও দেখা নেই বারুইপুরের (Baruipur) বিখ্যাত বোম্বাই লিচুর (lychee)। এদিকে, বাজারে শেষের মুখে দেশি লিচু বারুইপুরের ফলের বাজার ছেয়েছে জামরুল ও আমে। {link} শহরতলির বাজারেও একই চিত্র  কালিয়াচক, লালগোলা, মজফ্ফরপুরের লিচু ঢুকলে লিচুর বাজার জমজমাটি হবে বলে আশা ব্যবসায়ীদের। জামাই ষষ্ঠীতে জামাইয়ের পাতে এই লিচুই দেবেন শ্বশুর-শাশুড়িরা। বারুইপুরের শিখরবালি ১ শিখরবালি ২. কল্যাণপুর, শঙ্করপুর ১. শঙ্করপুর ২. ধপধপি ১. ধপধপি ২. বেলেগাছি, মদারাট, হাড়দহ, বৃন্দাখালি পঞ্চায়েত এলাকায় লিচুর রমরমা চাষ হয়। প্রতি বছরেই এপ্রিল-মে মাসে বারুইপুরের কাছারি বাজার চত্বর ছেয়ে থাকে লিচুতে। এ রাজ্যের পাশাপাশি অন্য রাজ্যেও যায় সেই লিচু। কৃষকদের কথায়, দু’ধরনের লিচু হয়। দেশি অর্থাৎ গোলা লিচু ও বোম্বাই লিচু। {link} এক কৃষকের কথায় , দেশি লিচু এখন খুবই অল্প আছে। এখন বাজারে থাকার কথা বোম্বাই লিচুর। কারণ, বোম্বাই লিচুর ফলন একটু পরে আসে। কিন্তু সেই লিচুর ফলন এবারে তেমন হয়নি। তাই ব্যবসা এখনও জমেনি। কেন ফলন হয়নি বোম্বাই লিচুর? আবহাওয়ার জন্য গাছে বোল আসেনি। কুয়াশা আর জমাটি শীত না আসার জন্য বঙ্গে লিচুর ফলন হয়নি। তবে লিচুর অভাব পূর্ণ করছে জামরুল, আম। হিমসাগর থেকে শুরু করে গোলাপখাস, মধুবুলবুলি, বঙ্গে আমে ভর্তি বাজার। বারুইপুরে এবার আম ও জামরুলের ভালো ফলন হয়েছে। {ads}

article thumbnail

পুজো পার্বন

আরো পড়ুন

Sadhak Bamakhyapa: কৈলাসপতি বাবার শিষ্য! তারাপিঠের 'বড় মা' -এর ছেলের কাহিনী জানেন?

বামাখ্যাপার জীবন কাহিনী: তিনি বীরভূমের আটলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন এবং তারাপীঠে বাস করতেন, যেখানে দেবী তারাকে "বড় মা" বলে ডাকতেন। কৈলাসপতি বাবার শিষ্য হিসেবে তিনি যোগব্যায়াম ও তন্ত্রসাধনায় পারদর্শী হয়ে ওঠেন এবং তারাপীঠের আধ্যাত্মিক প্রধান হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন।  জীবন কাহিনী: জন্ম ও ছোটবেলা: বামাচরণ চট্টোপাধ্যায় (জন্ম: ১২ ফাল্গুন ১২৪৪, ইংরেজি ২২ ফেব্রুয়ারি ১৮৩৭) বীরভূমের আটলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার बचपन শ্মশানে বা জ্বলন্ত চিতার কাছে বসে কাটতো এবং গ্রামবাসীরা তাকে "ক্ষ্যাপা" বা পাগল বলতে শুরু করে, যার থেকে তার নাম হয় বামাক্ষ্যাপা।  গুরু ও সাধনা: অল্প বয়স থেকেই তিনি বাড়ি ছেড়ে তারাপীঠে চলে যান এবং কৈলাসপতি বাবার শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। এখানে তিনি যোগব্যায়াম ও তন্ত্রসাধনায় পারদর্শী হয়ে ওঠেন।  তারাপীঠে জীবন: তিনি তারাপীঠ মন্দিরের কাছে শ্মশানে বাস করতেন এবং ধ্যান করতেন। তিনি দেবী তারার একনিষ্ঠ ভক্ত ছিলেন এবং তাকে "বড় মা" বলে ডাকতেন।  রামকৃষ্ণের সমসাময়িক: তিনি ছিলেন রামকৃষ্ণের সমসাময়িক সাধক।  মৃত্যু: ১৯১১ সালের ২ শ্রাবণ (১৮ই জুলাই) তার জীবনাবসান ঘটে।  {link} উল্লেখযোগ্য তথ্য: নামকরণ: "ক্ষ্যাপা" শব্দের অর্থ 'পাগল', যা গ্রামবাসীদের দেওয়া একটি উপাধি ছিল।  আধ্যাত্মিক প্রভাব: তিনি তারাপীঠের আধ্যাত্মিক প্রধান হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন।  অদ্ভুত আচরণ: তার জীবন কাহিনীতে অনেক অলৌকিক ঘটনার উল্লেখ আছে, যেমন শ্মশানের কাছে বা জ্বলন্ত চিতার কাছে বসে থাকা। {ads}

article thumbnail

বামাক্ষ্যাপা ও রামকৃষ্ণদেব! বাংলার ইতিহাসের দুই স্বনামধন্য সাধকের সাক্ষাৎ কীভাবে হয়েছিল জানেন?

শেফিল্ড টাইমস ডিজিটাল ডেক্স:  বাংলার ইতিহাসের দুই সাধক পুরুষ বামাখ্যাপা ও রামকৃষ্ণদেব। নবজাগরনের প্রথম পর্বেই এই দুই সাধকের দেখা মেলে। একই সময়ে, ঊনবিংশ শতকের দুই বিখ্যাত হিন্দু সাধক। বামাক্ষ্যাপা ছিলেন তারাপীঠের সিদ্ধ সাধক ও তারা মায়ের একনিষ্ঠ ভক্ত, যিনি তারাপীঠে শ্মশানঘাটে সাধনা করতেন। অন্যদিকে, শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেব দক্ষিণেশ্বরে তাঁর সাধনক্ষেত্র তৈরি করেছিলেন। তাঁদের মধ্যে সরাসরি সাক্ষাৎ হয়েছিল বলেও জানা যায়।  বামাক্ষ্যাপা: জন্ম: ২২ ফেব্রুয়ারি ১৮৩৭, বীরভূম জেলার আটলা গ্রামে। গুরুত্ব: তারা মায়ের একনিষ্ঠ ভক্ত এবং শ্মশানে সাধনার জন্য পরিচিত। কর্মক্ষেত্র: মূলত তারাপীঠের শ্মশানঘাটেই তাঁর সাধনা ও অলৌকিক কার্যকলাপের জন্য তিনি খ্যাত ছিলেন।  {link} শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেব:  গুরুত্ব: 'রামকৃষ্ণ' নামেই তিনি সুপরিচিত এবং তাঁর আধ্যাত্মিক দর্শন ও শিক্ষার জন্য বিখ্যাত। কর্মক্ষেত্র: দক্ষিণেশ্বরের বাড়িতে তাঁর সাধনক্ষেত্র ছিল।  দুজনের সাক্ষাৎ: একবার বামাক্ষ্যাপা কলকাতায় গিয়েছিলেন, যেখানে তিনি শ্রীরামকৃষ্ণের সাথে সাক্ষাৎ করেন। তাদের মধ্যে সাক্ষাৎ হওয়ার পর, শ্রীরামকৃষ্ণ বামাক্ষ্যাপাকে হাওড়া স্টেশনে পৌঁছে দেন এবং তিনি দক্ষিণেশ্বরে ফিরে যান। {ads}

article thumbnail

Rash Festival: দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে প্রথম রাস উৎসব! উপচে পড়া মানুষের ভিড়ে তীব্র উন্মাদনা

শেফিল্ড টাইমস ডিজিটাল ডেস্ক: বুধবার দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে দেখা গেলো জনজোয়ার। উপলক্ষ রাস উৎসব। কয়েক হাজার ভক্তের সমাগম ঘটে ওই উৎসবে। ভোর থেকেই শুরু হয়েছে মঙ্গলারতি ও রাস উৎসবের বিশেষ পুজো। সকাল থেকেই মন্দির চত্বর সেজে উঠেছে নয়া সাজে—রকমারি ফুল, অভ্যন্তরীণ আলোকসজ্জা ও ভক্তি সংগীতের সুরে মুখরিত হয়েছে গোটা পরিবেশ। দূরদূরান্ত থেকে হাজার হাজার ভক্ত এসে ভিড় জমিয়েছেন জগন্নাথ ধামে। কেউ পরিবার নিয়ে, কেউ বন্ধুদের সঙ্গে ভগবানের দর্শনে হাজির হয়েছেন। রাস উৎসবকে কেন্দ্র করে মন্দির চত্বরে ভক্তদের উচ্ছ্বাস ছিল তুঙ্গে। সকাল থেকেই চলেছে ভজন, কীর্তন ও নানা ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান। {link} এবছর প্রথম রাস উৎসব উপলক্ষে দিনভর রয়েছে একাধিক কর্মসূচি। সকালে মঙ্গলারতির মধ্য দিয়ে শুরু হয় দিনের আনুষ্ঠান, দুপুরে ভগবানের অভিষেকের। এরপর জগন্নাথ, বলভরাম ও সুভদ্রাকে পরানো হয় নতুন বস্ত্র ও অলঙ্কার। পুজারীরা নিষ্ঠা ও ভক্তিভরে সম্পন্ন করেন ভোগ প্রস্তুতি ও পুজো অর্চনা। ভোগের মেনুতেও রয়েছে এলাহী আয়োজন। মন্দির প্রাঙ্গণে ভক্তি গীত, ভজন ও শাস্ত্রীয় নৃত্যের আয়োজন মন কেড়েছে সকলের। সকাল থেকে মন্দির চত্বর ছিল উপচে পড়া ভিড়ে। জগন্নাথ ধামে প্রথমবারের রাস উৎসব দেখতে দূরদূরান্ত থেকে মানুষ এসে ভগবানের দর্শন করেন। {ads}

article thumbnail

Rash Purnima: বৃন্দাবনে রাস উৎসব! রাধাকৃষ্ণের প্রেমের এক অনুপম নিদর্শন

শেফিল্ড টাইমস ডিজিটাল ডেস্ক: সারা দেশ জুড়ে চলেছে 'রাস উৎসব'। তবে রাস উৎসবের কথা আসলে প্রথমেই মনে পড়ে বৃন্দাবনের রাস উৎসবের কথা। বৃন্দাবনের রাস উৎসব হল বৈষ্ণব ধর্মাবলম্বীদের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, যা প্রতি বছর কার্তিক পূর্ণিমায় পালিত হয়। এটি ভগবান কৃষ্ণের সঙ্গে রাধা ও গোপীদের রাসলীলার স্মরণে অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে প্রেম, ভক্তি এবং আধ্যাত্মিকতার এক পবিত্র সম্পর্ক ফুটিয়ে তোলা হয়। এই উৎসবে সাধারণত কৃষ্ণের জীবন ও লীলা সম্পর্কিত বিভিন্ন অনুষ্ঠান, যেমন - নৃত্য, নাটক ও সঙ্গীত, অনুষ্ঠিত হয়।  উৎসবের তাৎপর্য: * এটি শ্রীকৃষ্ণের ব্রজলীলার অনুকরণে অনুষ্ঠিত একটি ধর্মীয় উৎসব। * জীবাত্মা ও পরমাত্মার মধ্যে সংযোগ স্থাপন, দৈনন্দিন জীবনের অনুভূতিকে আধ্যাত্মিকতায় রূপান্তরিত করা এবং প্রেম ও ভক্তির আবেশ এই উৎসবের মূল উদ্দেশ্য।   {link} অনুষ্ঠানের সময়: এই উৎসবটি প্রতি বছর কার্তিক মাসের পূর্ণিমা তিথিতে পালিত হয়, যা গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারে সাধারণত নভেম্বর মাসে পড়ে। অনুষ্ঠানের রূপ: বৃন্দাবনের মতো বৈষ্ণব তীর্থস্থানগুলিতে এই উৎসব অত্যন্ত নিষ্ঠা ও আড়ম্বরের সাথে পালিত হয়। বিভিন্ন স্থানে রাসলীলা, মেলা এবং শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়।    এই সময়ে বিশেষ পুজো-আরাধনার মাধ্যমে রাধা-কৃষ্ণের আরাধনা করা হয়। {ads}

article thumbnail

Guru Nanak Jayanti: দেশজুড়ে কীভাবে শিখ ধর্মের মানুষ নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করছে আজকের উৎসব? জেনে নিন

শেফিল্ড টাইমস ডিজিটাল ডেস্ক: আজ, ৫ নভেম্বর গুরুনানক জয়ন্তী। সারা দেশের শিখ ধর্মের মানুষেরা খুবই নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করছে আজকের উৎসব। শিখ ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রথম গুরু শ্রী গুরু নানকের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এই উৎসব পালিত হয়। এটি ‘প্রকাশ পর্ব’ নামেও পরিচিত। প্রতি বছর কার্তিক মাসের পূর্ণিমা তিথিতে পালিত হয় গুরুপরব বা গুরু নানক জয়ন্তী। যা সাধারণত গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসারে অক্টোবর বা নভেম্বর মাসে পড়ে। গুরু নানক দেব জি-র ১৪৬৯ খ্রিস্টাব্দে বর্তমান পাকিস্তানের তালওয়ান্ডি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। যা এখন নানকানা সাহেব নামে পরিচিত। গুরু নানক জয়ন্তী দিনটি গুরু নানকের জীবন, শিক্ষা এবং মানবজাতির প্রতি তাঁর অবদানের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য পালিত হয়। তিনি সমতা, মানবতা, নিঃস্বার্থ সেবা এবং ‘এক ওমকার’ (ঈশ্বর এক) এই বিশ্বজনীন বার্তা প্রচার করেছিলেন।  গুরুপরবের উৎসব সাধারণত পূর্ণিমার দু’দিন আগে থেকে শুরু হয় এবং বিপুল উৎসাহের সঙ্গে পালিত হয়।  {link} অখণ্ড পাঠ: উৎসবের দু’দিন আগে থেকে গুরুদ্বারগুলিতে পবিত্র ‘গুরু গ্রন্থ সাহেব জি’-এর ৪৮ ঘণ্টা ধরে অবিরাম পাঠ করা হয়, যাকে অখণ্ড পাঠ বলা হয়। নগর কীর্তন: পূর্ণিমার আগের দিন ‘নগর কীর্তন’ নামে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। এই শোভাযাত্রার নেতৃত্বে থাকে ‘পঞ্চ পেয়ারা’ (পাঁচজন প্রিয় ভক্ত), এবং শোভাযাত্রায় ভক্তরা ভজন-কীর্তন করতে করতে গুরু নানক দেব জির বাণী ও শিক্ষা প্রচার করেন। গুরুপরবের দিনে গুরুদ্বারগুলিকে ফুল, আলো এবং পতাকা দিয়ে সুন্দরভাবে সাজানো হয়। গুরুপরবের মূল দিনে ভোরে ‘অমৃত বেলা’ থেকে উৎসব শুরু হয়। গুরুদ্বারগুলিতে বিশেষ কীর্তন, ধর্মোপদেশ ও প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে গুরু নানকের জীবন ও শিক্ষা স্মরণ করা হয়। এদিন লঙ্গর রাখা হয়। যা হল গুরুপরবের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। {ads}

article thumbnail

Buri Maa Krishnanagar: কৃষ্ণনগরের জাগ্রত বুড়ি মায়ের পুজোর নির্ঘন্ট কী? পড়ে নিন বিস্তারিত

শেফিল্ড টাইমস ডিজিটাল ডেস্ক: নদিয়ার কৃষ্ণনগরে বছরের অন্যতম জনপ্রিয় ও ঐতিহ্যবাহী উৎসব হল জগদ্ধাত্রী পুজো, এই পুজোর অন্যতম প্রাচীন বুড়িমা পুজো। শতাব্দী প্রাচীন এই পুজোকে কেন্দ্র করে প্রতিবছরই শহর জুড়ে দেখা যায় এক বিশেষ উন্মাদনা। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে বুড়িমা পুজোর নির্ঘণ্ট, যা অনুযায়ী আগামী ২৯ অক্টোবর (বুধবার) থেকে শুরু হবে পুজোর আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি। সেদিন সন্ধ্যায় সাজানো হবে বুড়িমাকে, আর ভোররাত ৪'টে থেকেই শুরু হবে মঙ্গলঘটের জল ভরার আচার। পরদিন অর্থাৎ ৩০ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) ভোর ৫ঃ৪৪ মিনিটে শুরু হবে সপ্তমীর পুজো। সকাল ৯ঃ৩০ মিনিটে সপ্তমীর পুষ্পাঞ্জলি, এরপর সকাল ১০ঃ৩০ মিনিটে অষ্টমীর পুজো অনুষ্ঠিত হবে। {link}   বেলা ১২'টায় অষ্টমীর পুষ্পাঞ্জলির পর দুপুর ১'টা থেকে নবমী পুজো শুরু হবে। নবমীর পুষ্পাঞ্জলি পড়েছে দুপুর ২ঃ৩০ মিনিটে, এরপর বেলা ৩'টেয় হবে বলিদান অনুষ্ঠান। বিকেল ৪'টেয় পুজোর আরতি ও হোম সম্পন্ন হবে এবং সন্ধ্যা ৬'টায় অনুষ্ঠিত হবে সন্ধ্যারতি, যেখানে ভক্তদের উপচে পড়া ভিড় থাকে প্রতি বছরই। শেষ দিনে, অর্থাৎ ৩১ অক্টোবর (শুক্রবার) সকাল ৮ঃ৩০ মিনিটে শুরু হবে দশমীপুজো। সমস্ত আচার-অনুষ্ঠান শেষে বিকেল ৪'টেয় দেবীকে আসন থেকে নামানো হবে, যা দিয়ে সমাপ্ত হবে এই বছরের বুড়িমা পুজোর মূল পর্ব। স্থানীয় মানুষজন জানিয়েছেন, বুড়িমা পুজো শুধু কৃষ্ণনগরের ধর্মীয় নয়, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যেরও এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ভক্তরা দূরদূরান্ত থেকে এসে এই পুজো দর্শন করেন। শহর প্রশাসন ইতিমধ্যেই নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য বিশেষ প্রস্তুতি শুরু করেছে, যাতে নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয় এই প্রাচীন পুজো উৎসব। {ads}

article thumbnail

সাহিত্যের পাতা

আরো পড়ুন

History: ৭ নভেম্বর বিশ্ব ঐতিহাসিক দিন

 শেফিল্ড টাইম্‌স ডিজিটাল ডেস্ক : আজ, ৭ নভেম্বর বিশ্বের সমাজতান্ত্রিক মনস্ক মানুষদের কাছে একটা বিশেষ ঐতিহাসিক দিন। ১৯১৭ সালের ৭ নভেম্বর সেই দিন, যেদিন সোভিয়েত রাশিয়ায় ভ্লাদিমির ইলিচ লেনিনের নেতৃত্বে বলশেভিকরা ক্ষমতা দখল করে এবং জারবাদী শাসনের ঐতিহ্যকে ধ্বংস করে। এটাই বিশ্বের প্রথম সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব। স্বাভাবিক কারণেই সমাজতন্ত্রীদের কাছে এই দিনটি সত্যি ঐতিহাসিক দিন। লেনিনের নেতৃত্বে বলসেভিকেরা ক্ষমতা দখল করার পরে সেই দলের নাম দেয় 'সোভিয়েত কমিউনিস্ট পার্টি'। সেই সময় জার শাসনে ক্ষত-বিক্ষত রাশিয়ার মানুষ। তীব্র অভাব, ভয়ঙ্কর শোষণ, নির্মম অত্যাচারের বিরুদ্ধে কমিউনিস্টদের নেতৃত্বে যে বিপ্লব ঘটেছিল, তা যেন মুক্তির হাওয়া এনে দিলো দরিদ্র শ্রমিক ও কৃষক শ্রেণীর সামনে। তারা গঠন করলো নিজেদের সরকার। আর সরকারের প্রধান নীতি আগেই কার্ল মার্ক্স বলেছিলেন - 'দেশের মানুষ সাধ্য অনুযায়ী শ্রম দেবে আর রাষ্ট্রশক্তি তাদের জীবন-জীবিকার দায়িত্ব নেবে।' বিশ্বজুরে তৈরী হলো এক নতুন উন্মাদনা। চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লো সমাজতন্ত্রের বার্তা।  {link}   রাশিয়ায় ১৯১৭ সালের এই বিপ্লবের পটভূমি তৈরী হয়েছিল বহু বছর আগের থেকেই। বিশেষ করে ১৯০৫ সালটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জার শাসন ও শোষনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার শ্রমজীবী মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে জার শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবার করলে জারদের পুলিশের নির্মম অত্যাচারে কয়েকশো শ্রমিক হতাহত হয়। এটাই অন্যতম কারণ যে, জারদের বিরুদ্ধে শ্রমজীবী মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে ওঠে। আর তখনই তারা তৈরী করেন 'সোভিয়েত' নামে এক কাউন্সিল। ওই ১৯০৫ সালেই জাপানের হাতে পরাজিত হয় জার শাসক ও তাদের বিপুল আর্থিক সংকট দেখা দেয়। এর পরেই রাশিয়া ১৯১৪ সালে ব্রিটিশ ও ফরাসিদের মিত্র হয়ে জার্মাণের বিরুদ্ধে যুদ্ধে পর্যদুস্থ হয়। দেশে নেমে আসে আরও গভীর সংকট। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে শ্রমিক ও কৃষকের মধ্যে ব্যাপক সংগঠন তৈরী করে বলসেভিকরা (পরে কমিউনিস্ট পার্টি)।  {link}   এর পরেই বিশ্বজুড়ে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলে কমিউনিস্ট আন্দোলেন। ধনতন্ত্রের বিরুদ্ধে নিজেদের অর্থাৎ জনগনের সরকার গড়ার আন্দোলনে সাফল্য আসে মাও-সে-তুঙয়ের নেতৃত্বে চিনে। তারপরে একে একে একে ফিদেল কাস্ত্রের নেতৃত্বে কিউবা,প্যাথ লাওয়ের নেতৃত্বে লাওস,হোচি মিনের নেতৃত্বে ভিয়েতনাম সহ আরও বেশ কয়েকটি দেশে। আর লাতিন আমেরিকা, আফ্রিকা ও এশিয়ার বহু দেশে গড়ে ওঠে কমিউনিস্ট পার্টি ও কমিউনিস্ট আন্দোলেন। স্বাভাবিক কারণেই ৭ নভেম্বর বিশ্বের 'সমাজতন্ত্রী' দের কাছে একটা বিশেষ সম্মানের দিন। কার্ল মার্ক্স যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, তাকে বাস্তবে রূপ দেবার জন্যই মহামতি লেনিন বার বার বলতেন -  'দুনিয়ার মজদুর এক হও' - তা আজও প্রাসঙ্গিক। {ads}

article thumbnail

Research: মানুষের মতো দাঁত রয়েছে এই বিস্ময়কর মাছের

শেফিল্ড টাইম্‌স ডিজিটাল ডেস্ক :  পৃথিবীর তিন চতুর্থাংশ জল। আর সেই জলের মধ্যেই লুকিয়ে আছে অজস্র বিস্ময়। এমনই এক বিস্ময়কর মাছের সন্ধান দিলো বিজ্ঞানীরা। একেবারে মানুষের মতো দাঁত রয়েছে এই বিস্ময়কর মাছের। সম্প্রতি এমন ভয়ঙ্কর মাছের খোঁজ মিলল প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে। বিস্ময়কর এই মাছটির নাম পেসিফিক লিংকোড। {link} সবথেকে অবাক করার মতো বিষয় হল, এই মাছের মুখেই রয়েছে ৫৫৫টি দাঁত। এই দাঁতগুলো রেজারের মতো ধারালো। বিজ্ঞানীরা এরপর বিস্ময়কর এই মাছটি নিয়ে গবেষণায় নেমে জানতে পারেন, এই মাছ প্রতিদিন ২০টি করে দাঁত হারায়। কিন্তু দিনের শেষে ফের সেই দাঁত গজিয়ে ওঠে সঠিক জায়গায়। উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরে দেখা মেলে মাংসাশি এই মাছের।এখানেই বিস্ময়ের শেষ নয়। এই মাছ নিয়ে গবেষণায় আরো অনেক বিস্ময়কর ঘটনা উঠে এসেছে।এর মুখ খুব ভয়ঙ্কর। তবে মাত্র ২০/২২ ইঞ্চি লম্বা হয় এই মাছ। বিশ্বের সবথেকে ভয়ঙ্কর মুখের মাছগুলির মধ্যে একটি হল এই পেসিফিক লিংকোড। এই মাছের চোয়ালের আস্তরণে প্রায় শত শত মাইক্রস্কোপিক দাঁত আছে। মাছটি ফ্যারিঞ্জিয়াল চোয়াল ও আনুষঙ্গিক চোয়ালের একটি সেট দিয়ে খাবার চিবোয়। {link} খাবার চিবনোর সমই তারা ২০টি করে দাঁত হারায়। পরে সেগুলি আবার গজিয়ে ওঠে এক দিনের মধ্যে। মাছটি সম্বন্ধে অনেকে জানলেও তাদের দাঁতের এই কাহিনি প্রায় অজানা। সেই নিয়ে চলেছে গবেষণা। {ads}

article thumbnail

উপলব্ধিঃ ফাস্ট ফুড- নিখিল কুমার চক্রবর্তী

উপলব্ধি  (ফাস্ট ফুড)  খুব বেশিদিন আগেকার কথা নয়। তখনও ফাস্ট ফুডের ব্যবসা শিল্পের পর্যায়ে পৌঁছায় নি। নানা রকম পোষাকী নামে বিভূষিত হয়ে আলুর তৈরি আইটেম জাতে ওঠেনি। হাজারটা ব্যবসাদার হাজার রকম নামে একই পদ কে বিভিন্ন ভঙ্গীমায় পরিবেশনও করত না। ফাস্ট ফুড বলতে চপ, সিঙ্গারা, বেগুনী, কুমড়ী, ফুলুড়িকেই বোঝাত। সন্ধ্যেবেলায় বর্ষাবাদলের মেঘমল্লার বেজে উঠলে সরষের তেলে (সাদা তেল তখন বাঙালি চোখে বা চেখে দেখে নি) জিরে শুকনো লঙ্কা ভাজা আর চপ দিয়ে মুড়ি চটকে মেখে খবরের কাগজের ওপর ঢেলে দেওয়া হত। তার চারধারে বারো ইয়ার। ঐ মুড়ির সাথে সিঙ্গারা ভেঙে ভেঙে খাওয়া হত সবাই মিলে। সবাই একসাথে খাবলা মারার চেষ্টা করত। সব খাওয়ার পর বাইরের "চাঁপাকল” থেকে এক মগ জল এনে ঢক ঢক করে খেয়ে ঢেকুর তুলত বাঙালি। তারপর চিনিগোলা এক ভাঁড় চা। অবশ্যম্ভাবীভাবে দশ মিনিট পর থেকে গলায় মোবিল ছেটকাতো। রাতের খাওয়া শিকেয় উঠত। কোন কোন রসিক সুজন সন্ধ্যে হলেই এই ধরণের ফাস্ট ফুডের জন্য ছটফট করে মরে যেত। অবশ্য শুধু ফাস্ট ফুড কে দোষ দিয়ে লাভ নেই। সে তো সহযোগী। আসল ছটফটানি রঙিন তরলের বোতলের জন্য। বাড়ির লোক যাতে জানতে না পারে তার জন্য সাপের কামড়ের ভয়কে তুচ্ছজ্ঞান করে সন্ধ্যেবেলায় গ্রামের বাঁশতলায় কত যে মেহ্ফিল বসত! তখন মুঠোফোনের চল হয় নি। হুট করলেই বারো ইয়ার এক জায়গায় ঠেক মারার জন্য নির্দিষ্ট সময়ে আসার এত্তেলা পেত না। তবুও কী এক অমোঘ ইশারায় সবাই ঠিকঠাক চলে আসত। বাতাস দূতের কাজ করে গন্ধ পৌঁছে দিত ইয়ারমহলে। এসব দিন এখন অতীত। এখন শহরের ফুটপাতে মানুষ চলে না। পাত পেড়ে কাটলেট, রোল, মোগলাই, বিরিয়ানি খায়। অযুত নিযুত রেস্তোরাঁয় কত রকমের আইটেম! "স্টার্টার", "ডেজার্ট", "মেন কোর্স" ইত্যাদি নামে পকেট খালি করার এবং পেট ভর্তি করার কত রকম কারসাজি! এসবের একবারে প্রথমের দিকে আমার মত এক গাঁয়ের লোক "চিলি চিকেন" খেয়ে বলেছিল, "আরে, এ তো মুরগীর টক"। তা শুনে যে তাকে খাওয়াতে নিয়ে গিয়েছিল তার হড়কে পড়ে যাওয়ার মত অবস্থা। ছি ছি, এমনভাবে কেউ প্রেস্টিজ পাংচার করে! "শিক কাবাব" খেয়ে বলেছিল, "আরে দূর, আমার গ্রামের বন্ধু তামর হেমব্রোম তো তাদের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে হাঁসের মাংস পুড়িয়ে এমন করেই খাইয়েছিল।" বলা বাহুল্য হবে, এরপরে আর কোনদিন সেই বন্ধু এমন কোন সঙ্গী নিয়ে রেস্তোরাঁয় যাওয়ার সাহস দেখায় নি। এখন তো আরও সহজ হয়ে গেছে সবকিছু। মুঠোফোনের দৌলতে মুঠোয় এসে গেছে দুনিয়া। "অনলাইন" এ যা খুশী অর্ডার করে আনানো যায়। একটা ক্লিকের অপেক্ষা। খুব ভাল। বাড়িতে অতিথি এসেছে (যদিও খুব কম লোকই এখন চায় যে বাড়িতে অতিথি আসুক। আত্মসুখসর্বস্ব পরিবার নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত থাকতেই বেশি পছন্দ করে), অনলাইনে অর্ডার দাও। পরনিন্দা, পরচর্চা শেষ হওয়ার আগেই খাবার এসে হাজির। কে আর কষ্ট করে দুপুরের মেনুতে বাঙালির প্রিয় পেঁয়াজ রসুন দিয়ে কলমি শাক ভাজা, পোস্তবড়া (মহার্ঘ এখন), পুকুরে জাল ফেলে ধরা টাটকা মাছের ঝোল বা হাঁসখোপ থেকে সদ্য বের করে আনা ডিমের ঝোল দিয়ে ভাতার থালা সামনে ধরে আপ্যায়ন করে? হাঁসখোপের ডিম আর পুকুরের টাটকা মাছ শহরে না থাকলেও বাঙালির অতিথি আপ্যায়নে ব্যাগ ওপচানো সব্জির বাজার আর গোটা বড় একটা কাৎলার কানকোর ভেতর দিয়ে খড় ঢুকিয়ে বেঁধে অন্য হাতে তা ঝুলিয়ে আনার সুনাম ছিল। বাড়ির গিন্নীরা তখন বড় আঁশবঁটির ওপর থেবড়ে বসে সেই মাছ কাটত। বড় বড় পিস করত। এখনকার মত বাজারে মাছ কিনে অন্য কাউকে এক্সট্রা দশ টাকা দিয়ে পঁচিশ গ্রামের এক একটা পিস করিয়ে আনতে হত না। বাজার থেকে ফেরার পথে সবাই জানত বাড়িতে অথিথি এসেছে। কেউ কেউ মজা করে বলত, "বাড়িতে বড়কুটুম (শালা বা সম্বন্ধী) এসেছে না কি?" অতিথি অপ্যায়নে ফাস্ট ফুড তখন এত সুনাম কুড়োয় নি। এতে সুবিধা কি হয় নি? নিশ্চয়ই হয়েছে। এই বেগযুগে আবেগহীন মানুষের হাতে "সময় কোথায় সময় নষ্ট করবার"? স্বামী স্ত্রী আর একমাত্র সন্তানকে নিয়ে তৈরি পরমাণুপরিবারে সবাই ব্যস্ত। অতএব, পেটের ক্ষতি হলেও উপায় নেই। অনলাইনই জীবনকে অফলাইন হওয়া থেকে বাঁচিয়ে রেখেছে। মুশকিল অন্য জায়গায়। এই ধরণের ব্যবস্থা প্রচ্ছন্নভাবে নিস্পৃহ মানসিকতার জন্ম দেয়। শারীরিক অসুস্থতা ডেকে আনে। যে যখন খুশী এলেও অসুবিধা নেই। মুঠোফোন তো আছে! চটকদার মনোহারি ফাস্ট ফুড আনিয়ে নিলেই হবে। অতএব নিস্পৃহ থাকো। এই মানসিকতা আস্তে আস্তে সব ক্ষেত্রে ছড়িয়ে পড়লে বিপদ। সিরিয়াসনেসের অভাব দেখা দিতে পারে। আর চটকদারি, মশলাদার এই সব খাবার যে শরীরের পক্ষে খারাপ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তা হলে কি এসব খাবার পরিহার করতে হবে? কখনই না। তা হলে তো পিছিয়ে পড়তে হয়। যুগের সাথে তাল মেলানো যায় না। সুতরাং, খাওয়ার সীমা জানতে হবে। সব পরিস্থিতির মত এক্ষেত্রেও থামতে জানতে হবে। বাঙালিকে ব্যালান্স করা শিখতে হবে। {ads}

article thumbnail

উপলব্ধিঃ সংস্কৃতি- নিখিল কুমার চক্রবর্তী

সংস্কৃতি শব্দটা খুব গোলমেলে। কখন যে কোন দিকে টার্ণ নেয় বোঝা মুশকিল। মানে, কখন যে কোনটা সংস্কৃতি আর কোনটা অপসংস্কৃতি তা বোঝা খুবই দুরূহ ব্যাপার। আমার বাড়ির সংস্কৃতি অন্য কোন বাড়ির সংস্কৃতি নাও হতে পারে। আবার শহরে যেটা সংস্কৃতি সেটাই হয়ত প্রত্যন্ত গ্রামে অসভ্যতার চূড়ান্ত। উল্টোটাও হতে পারে। ছোটবেলায় দিদির শ্বশুর বাড়ি গেলে এক ভদ্রলোককে দেখলেই ভয়ে পালাতাম। তাকে তখন অসভ্য, বদমাশ লোক বলে মনে হত। অদ্ভূত অদ্ভূত বাংলা শব্দের ইংরাজি প্রতিশব্দ বলতে বলে আনন্দ পেতেন। জটিল সব বাক্যের ইংরাজি অনুবাদ জানতে চাইতেন। একবার জিজ্ঞাসা করেছিলেন, "মুরগীর ঝুঁটি ইংরাজি কি?" আর একবার বলেছিলন, "গরুর বাঁটের ইংরাজি জানো?" ভদ্রলোকের এই ব্যবহারটা মোটেই সেই গ্রামের সংস্কৃতি হতে পারে না। এটা মানুষকে হেয় প্রতিপন্ন করে নিজেকে জাহির করার ব্যক্তিগত প্রয়াস। ভদ্রলোকের এই অদ্ভূত মানসিকতার জন্য দিদির শ্বশুর বাড়ির গ্রামের সংস্কৃতিকেই খারাপ বলে মনে হত তখন। কিন্তু আসলে তা নিশ্চয়ই নয়। আমাদের স্কুলবেলায় একটা বিষয় নিয়ে খুব তর্কবিতর্ক হয়েছিল। একজন শিল্পীর গানকে কোন মন্ত্রী "অপসংস্কৃতি" আখ্যা দিয়েছিলেন। তা নিয়ে বাংলা জুড়ে হৈ হৈ। বাংলারই এক স্বনামধন্য ব্যক্তি সে প্রসঙ্গে বলেছিলেন, "যাঁর টেস্ট শহীদ মিনারের মাথায় লাল রঙ লাগানো, তিনি আবার সংস্কৃতির কি বুঝবেন?" আমি দুটো ব্যাপারই বুঝিনি। কেউ একজন কারোর গানকে অপসংস্কৃতি বলতেই পারেন। এটা তাঁর ব্যক্তিগত মতামত। তাতে তো আর সত্যি সত্যিই তা সংস্কৃতির বাউন্ডারির বাইরে চলে যায় না। তা যদি যেত তাহলে সেই শিল্পী এখনও এত জনপ্রিয় থাকতেন না। আবার শহীদ মিনারের মাথায় কি রঙ লাগানো হল তা দিয়েও নিশ্চয়ই ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রীর সংস্কৃতিমনস্কতার পরিচয় পাওয়া যায় না। একটা বাংলা সিনেমা ( আমার মতে সেটা সিনেমা পদবাচ্য নয়। বড়জোর যাত্রাপালা বলা যেতে পারে) তখন মাসের পর মাস "হাউসফুল" হয়ে রমরমিয়ে চলেছিল। আমার "পেয়ারের বন্ধু" সাধনকে বলেছিলাম, "এমন নিম্নমানের বই এত দিন ধরে চলে কি করে বল তো?" সাধন যা বলেছিল তা এখনও সমান প্রাসঙ্গিক। বলেছিল, "তুই বললেই তো হবে না! এত লোকে দেখছে যখন, তখন বইটা ডেমোক্রেটিক্যালি হিট।" অর্থাৎ  অপসংস্কৃতি নয়। তাহলে ব্যাপারটা কি দাঁড়াল? সংস্কৃতি ব্যাপারটাই কি আপেক্ষিক? হয়ত তাই। আমাদের দেশে নারী পুরুষের প্রিম্যারিট্যাল শারীরিক সম্পর্ক সংস্কৃতির আওতায় পড়ে না। আবার পৃথিবীর অনেক দেশেই এটার গ্রহনযোগ্যতা আছে। আমাদের দেশে বড়দের নাম ধরে ডাকা শোভনীয় নয় (যদিও আস্তে আস্তে তা শুরু হয়েছে)। অথচ পৃথিবীর অনেক দেশে ওটাই সংস্কৃতি। গ্রামে গঞ্জে এখন বাড়ির ছেলে মেয়েরা রাত ন'টার পর বাড়ির বাইরে থাকলে বড়দের কাছে অবধারিতভাবে ধমক খাবে। শহরে নগরে রাত ন'টার পর সন্ধ্যে শুরু হয়। আমাদের সিনেমা আর বিদেশি সিনেমা নিয়ে একজনের কাছে একটা কথা শুনেছিলাম। আমাদের সিনেমায় সারাদিনের কাজকর্ম সেরে স্বামী স্ত্রী রাতে খাওয়া দাওয়া করে যখন ঘরের দরজা বন্ধ করে ঘুমোতে যায় তখন বই শেষ হয়। বিদেশের বই ওখান থেকেই শুরু হয়। সব চেয়ে মজার ব্যাপার, আমরা এখনও সিনেমা, বই ইত্যাদি বলতে অভ্যস্ত। আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম কিন্তু "মুভি" বলতে ভালবাসে। আমরা এখনও ঘনিষ্ঠ কারোর শরীর খারাপের খবর পেলে ছুটে গিয়ে তার পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করি। অনেকে ফোনেই কর্তব্য সারে। বা, সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা জব্বর স্ট্যাটাস! তাহলে? আমরা কি সংস্কৃতির রূপ বদলানো প্রত্যক্ষ করছি না? পোস্ট কার্ড, ইনল্যান্ড লেটার, এনভেলাপ দিয়ে আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা শুরু হয়ে, ল্যান্ড ফোন - মোবাইল ফোন হয়ে এখন নেট - হোয়াটসঅ্যাপ ইত্যাদিতে পরিবর্তিত হয়নি কি? সংস্কৃতির হাত যত লম্বা হবে মানে, যত প্রযুক্তিনির্ভর হবে তত পুরনো ধ্যান ধারণা পাল্টাবে এতে কোন সন্দেহ নেই। তবে একটা কথা মনে রাখতে হবে। প্রযুক্তির কুফল নিয়ে গড়ে ওঠা সংস্কৃতি কোনদিন সমাজজীবনকে সমৃদ্ধ করতে পারে না। যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে যাওয়ার কারণে আজকে বৃদ্ধাশ্রমের প্রয়োজনীয়তা যদি বাড়ে তাহলে এই সংস্কৃতির নিশ্চয়ই কোন গুরুত্ব থাকতে পারে না। মূল্যবোধের ওপরে গড়ে ওঠা সংস্কৃতির মূল্য আগে ছিল, এখনও আছে। কোন দেশ, কোন সমাজ, কোন পরিবারের নিজস্ব আদর্শ, মূল্যবোধ, সংস্কৃতি থাকবে এটাই স্বাভাবিক। সেটা সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে পরিমার্জিত এবং পরিশীলিত হবে এটাও স্বাভাবিক। অস্বাভাবিক তখনই, যখন এটার গতিমুখ পাল্টে গিয়ে সম্পূর্ণ বিপরীত প্রতিক্রিয়ায় নেগেটিভ মানসিকতার জন্ম দিয়ে চলে গতিহীনভাবে। {ads}

article thumbnail

উপলব্ধিঃ মার্কেটিং- নিখিল কুমার চক্রবর্তী

উপলব্ধি  (মার্কেটিং) আমাদের বড়বেলায় (বুড়োবেলায় নয়) মার্কেটিং বলতে এম বি এ কোর্সের একটা শাখাকে বুঝতাম। জেনেছিলাম, বাজার সংক্রান্ত পড়াশোনা হয় সেই শাখায়। মনোপলি মার্কেট, কম্পিটিটিভ মার্কেট ইত্যাদি ইত্যাদি। সেই সব মার্কেটে দ্রব্যের মূল্য কিভাবে ঠিক করা হবে, কখন দ্রব্য বাজারে নিয়ে যেতে হবে -- এই সব ব্যাপার না কি পড়ানো হয় সে শাখায়! আরো অনেক কিছু নিশ্চয়ই পড়ানো হয়। তবে সে সবে গুরুত্ব দিতাম না। মার্কেটিং ব্যাপারটা নিয়ে এত গুরুত্ব দেওয়ার বিষয় সেটা ছিল না তখন। পাকাবেলায় এসে নিজে কস্টিং পড়তে গিয়ে জানলাম মার্কেটিং এত সহজ বিষয় নয়। মার্কেটিং ম্যানেজমেন্টকে তখন একটু অন্য চোখে দেখতে আরম্ভ করলাম। আরো বিশদে জানার চেষ্টা করলাম। আসলে তখনও ঠিক বুঝে উঠতে পারি নি যে মার্কেটিং ম্যানেজমেন্টটাই বর্তমান সমাজে আসল ম্যানেজমেন্ট। সেটা বুঝতে বুঝতেই মাথায় চকচকে টাক। যাই হোক, জানতে জানতেই কস্টিং কমপ্লিট হয়ে গেল। সবাই ভাবল আমি মার্কেটিং ব্যাপারটায় খুব দক্ষ হয়ে গেছি। কিন্তু আমি তো নিজেকে চিনি। বাজারের থলি হাতে বেরুলেই বুঝতে পারি, মার্কেটিংয়ের "ম" ও জানি না। পুঁই শাক কিনলে যে সাথে কুমড়ো কিনতে হয় তা মাথায় থাকে না। শুক্তোর বাজার করতে গৃহিণী ঠেলে পাঠালে হয় উচ্ছে না হয় কাঁচা কলা আনতে ভুলে যাবই। দামের কথা না ই বা বললাম। সব্জি বিক্রেতা আমার থেকে ভাল মার্কেটিং বোঝে। আমাকে দেখেই বলে উঠে, "আসুন দাদা, কত দিন পরে এলেন। শরীর ভাল তো? বাড়ির সবাই ভাল তো?" আমি গদগদ হয়ে যাই। কি ভাল লোক! আমার কত খেয়াল রাখে! সে আবার বলে, "পটল এক কিলো দিচ্ছি দাদা। হাজিগড়ের মাঠের টাটকা পটল। আপনি তো জানেন আমরা নিজেরাই চাষ করি। সত্তর টাকা কিলো বেচছি। আপনি ষাট করে দেবেন।" খুব খুশী হয়ে পটল কিনে বাড়িতে ফিরে গৃহিণীকে সব বলতেই খাঁটি সরষের তেলের ঝাঁঝ বেরিয়ে আসে। "ঐ ছেলেটার বাড়ি হাজিগড়ে? নিজেরা চাষ করে? তোমাকে ঢপ দিল আর তুমি মেনে নিলে? ওর বাড়ি তো এই বর্ধমানেই। মেহেদিবাগানে। বাপের জন্মে কোনদিন চাষের মাঠে পা দিয়েছে?" এর পর দাম শুনে আরো উগ্র ঝাঁঝ। "সে কী গো? আমাদের বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়া গলা কাটা সব্জির ভ্যানবালাগুলোও তো অত দাম নেয় না। পঞ্চাশ টাকা কিলো নেয়। হায় হায়! কি একটা গাড়োলের সাথে যে বাবা আমার বিয়ে দিয়েছে!" এর পরে স্বভাবতই স্থান ত্যাগ করা উচিত। এবং আমিও "সাকসেসফুল রিট্রিট" করি। কি যে হয় আমার! পরের বার বাজার গিয়ে আবার তার কাছে যাই। আবার সব্জি কিনি। আবার ঠকি। "ল অব ডিমিনিশিং রিটার্ণ" কাজই করে না। যখন একটু আধটু ছেড়ে একটু বেশিই লিখতে শুরু করলাম তখন "সাহিত্যের গৃহিণীপনা" বলে একটা কথা শুনেছিলাম। অর্থাৎ শুধু লিখলেই হবে না, তা গ্রন্থাকারে বা অন্য যেভাবে হোক পাঠকের হাতে যথোপযুক্ত(?) মূল্যে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। এটা না পারলে যত ভালই লেখা হোক, কেউ পাবলিশ করবে না। নিজের জীবনে প্রত্যক্ষ্য করছি এটা। তা, এটা কি মার্কেটিং নয়? মার্কেটিং হল সেই প্রজাতির প্রাণী যা সিচুয়েশন অনুযায়ী নিজের রূপ ও স্বভাব পাল্টাতে পারে। এখন ব্যাপারটা আরো ঘোরালো হয়ে গেছে। কর্পোরেট হসপিটাল, মিডিয়া হাউস, কর্পোরেট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, এন জি ও প্রভৃতি সবাই একটা করে মার্কেটিং উইং রাখছে। "বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সুচ্যগ্র মেদিনী"। সবাইকে বাজার ধরতে হবে। হসপিটালে পেশেন্ট বেশি আনতে হবে, মিডিয়াতে বেশি বিজ্ঞাপন আনতে হবে, স্কুল কলেজে বেশি ছাত্র ছাত্রী আনতে হবে, এন জি ওকে বেশি সেবা প্রদান করতে হবে ইত্যাদি। লিস্ট বাড়ালেই বাড়বে। কত আর বলব! সেটা খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ও নয়। গুরুত্বপূর্ণ হল, এই বাজার ধরার খেলায় ক্ষতিগ্রস্ত কে হচ্ছে? এই খেলায় মাততে গিয়ে কোয়ালিটির সাথে, পরিষেবার সাথে কমপ্রোমাইজ করছি না তো আমরা? তা যদি হয়, তাহলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সমাজ, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জনজীবন। একটা ছোট্ট উদাহরণ দিই। প্রায়ই আমরা খবর পাই, দুটো বাসের রেষারেষিতে জানলার ধারে বসে থাকা এক ব্যক্তির হাত কেটে রাস্তা পড়ে গেছে। জোরে ছুটতে গিয়ে দুটো বাস এত পাশাপাশি এসে গিয়েছিল যে ঘষটানিতে এই দুর্ঘটনা। তা, বাস দুটো এমন বেপরোয়াভাবে ছুটছিল কেন? ঘুরেফিরে সেই মার্কেটিং। একই রুটের দুটো বাসকেই বাজার ক্যাপচার করতে হবে। মুনাফা লুটতে হবে। আমরা পড়েছিলাম, বাজারে টিকে থাকার জন্য প্রথম দিকে কোন দ্রব্যের বাজার মূল্য দ্রব্যটি তৈরি করার খরচের থেকেও অনেকসময় কম রাখতে হয়। এখন ব্যাপারটা উল্টো বলে প্রতীয়মান হয়। প্রথমেই বেশি দামে দ্রব্য বাজারে নিয়ে এস, হেব্বি হেব্বি নায়িকাদের দিয়ে বিজ্ঞাপনে টিভির পর্দা কাঁপিয়ে দাও, প্রমাণ করে দাও এই বেশি দামে কেনাটাই স্ট্যাটাস সিম্বল। এর পরে পাবলিকে দ্রব্যটি খাবেই খাবে। পোস্ত এখন মহার্ঘ বস্তু। আগে মাসে এক কেজি পোস্ত যারা কিনত এখন মাসে একশ গ্রামে কাজ চালায়। দাম বেড়েছে মানে পোস্তর মান ভাল হয়েছে তা কিন্তু নয়। আমার দোকানদার জানাল অনেক অসাধু ব্যবসায়ী এক ধরনের শস্যবীজ পোস্তয় মিশিয়ে দিচ্ছে। কম পোস্ত বেচে বেশি লাভ। ওর কাছে আসল নকল দুটো পোস্তই আছে। আমি চাইলে নকলটা নিতে পারি। কিন্তু সেটা আমার শরীরের জন্য ঠিক হবে না। অাসলটার দাম একটু বেশি হলেও ওটাই নেওয়া ভাল। (মার্কেটিং এর সম্ভ্রান্ত নমুনা।) সুতরাং বেশি দামে পোস্ত কিনে পলিপ্যাকে নিয়ে সবাই কে দেখাতে দেখাতে বাড়ি ফিরলাম। এটাও মার্কেটিং। পোস্ত কিনেছি মানে, আমি অনেক বড় "হনু"। সেটা সবাইকে জানানো হল। আমার বাজার দর বাড়ল। টি আর পি বাড়াও আর মজায় থাকো। এই আদর্শে এখন চলছি আমরা। বলা ভুল হল। চলছি না, ছুটছি। হয়ত অপেক্ষায় আছি, ছুটতে গিয়ে কখন হোঁচট খেয়ে পড়ব। তারপর হয়ত পিঠদৌড় দিয়ে মূল স্রোতে ফিরব। কারণ ইতিহাস সাক্ষী, আজ পর্যন্ত হঠাৎ গজিয়ে ওঠা কোন কিছুই চিরস্থায়ী হয় নি।

article thumbnail

উপলব্ধিঃ সম্পর্ক- সম্পর্ক- নিখিল কুমার চক্রবর্তী

উপলব্ধি  (সম্পর্ক) খুব ছোট্টবেলায় পড়াশোনার পাঠ আমাদের ছিল না বললেই চলে। বাবা মায়ের কাছে শোনা, প্রথম ইস্কুলে গিয়েছিলাম পাঁচ বছর বয়সে। ইনফিন ক্লাসে। সেখান থেকে ডবল প্রমোশন পেয়ে এক লাফে ক্লাস টু তে। ঐ সময়েই শিখেছিলাম, ইস্কুলে মাস্টারমশাইরা সবাই গুরুজন। তাঁরা যা বলবেন অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হয়। এমন কি রোজ নিয়ম করে গাঁট্টা বা বেত্রাঘাত দিলেও মুখ বুজে সহ্য করতে হয়। আর সহপাঠীরা সবাই বন্ধু। তাদের সাথে সবকিছু শেয়ার করতে হয়। মিলেমিশে থাকতে হয়। সহপাঠী মানে শুধু নিজের ক্লাসের ছেলেমেয়েরা নয়। নীচে বা ওপরের ক্লাসের ছেলেমেয়েরাও সহপাঠী এবং বন্ধু। তাই করতামও আমরা। আজও তাই সেইসব মাষ্টারমশাই বা সহপাঠীদের সাথে সুসম্পর্ক বর্তমান। এখন চারিদিকে অন্যচিত্র। মাষ্টারমশাইদের গুরুজন মানা হয় কি না, জানি না। তবে ছাত্র ছাত্রীদের গায়ে হাত তোলার অধিকার তাঁদের নেই। রে রে করে লোকাল দাদা, জাতীয় নেতা, মানবাধিকার কমিশন, মিডিয়া ইত্যাদি যত প্রতিষ্ঠান বা পরিত্রাতা আছে সবাই টি আর পি বাড়ানোর ময়দানে নেমে পড়বে। এখন সবাই জানে, পাবলিকে কি খায়! যা খায়, তাই খাওয়াতে হবে তো না কি! সহপাঠীরাও কেউ বন্ধু নয় এখন। প্রতিযোগী। কারোর সাথে কিছু শেয়ার করতে নেই। তাহলে সেও ভাল নম্বর পেয়ে যাবে। প্রতিযোগী তৈরি হয়ে যাবে। এখন কেউ চায় না, ময়দানে তার কোন প্রতিযোগী থাকুক। সে ইস্কুল, চাকরির জায়গা বা রাজনীতির ময়দান যাই হোক না কেন! নারী পুরুষের সম্পর্কও আর নির্ভরশীলতা, বিশ্বাস বা ভরসার সম্পর্কে আটকে নেই। সভ্যতার ঝকমকানিতে সে সম্পর্কেও এখন পারস্পরিক বোঝাপড়ার চেয়ে পারস্পরিক স্বার্থসিদ্ধির আগ্রহ বেশি। এই সম্পর্কটা অনেকটা দাঁত আর জিভের মধ্যেকার সম্পর্কের মত হয়ে গেছে। সুযোগ পেলেই একে অপরকে কামড়ে দেয় বা আঘাত দেয়। দাঁত যেমন সুযোগ পেলেই জিভের রক্ত বের করে দেয়, তেমনি দাঁত দুর্বল হলেই জিভ তাকে ঠেলে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করে। তবে দাঁত আর জিভের মধ্যে কোনটা নারী আর কোনটা পুরুষ তা নির্ধারণ করা খুব কঠিন। দাঁত যেহেতু জিভের পরে জন্মায়, মানে, জিভের থেকে বয়সে ছোট তাই সামাজিক নিয়মে দাঁতকেই নারী ধরে নেওয়া যেতে পারে। তাছাড়া, চরিত্রগত মিলের জন্যও দাঁতকেই নারী ভাবা বাঞ্ছনীয়। আর একটা বিষয় উল্লেখযোগ্য। নারী পুরুষের যৌথ প্রচেষ্টাতেই সমাজ বা সংসার টিকে থাকবে এ বিষয়ে দ্বিমত থাকা উচিত নয়। আগেকার সম্পর্কে পুরুষ বহির্জগতে ব্যপ্ত থাকলে নারী অন্দরমহল সামলাত। এটা "ডিভিশন অব লেবার" ছাড়া আর কিছুই নয়। এতে পরবর্তী প্রজন্ম উপকৃত হত বেশি। এখন দুজনেই বহির্জগতে ব্যপ্তদ হয়ে যাওয়ায় পরবর্তী প্রজন্ম ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যাচ্ছে না তো? "ডিভিশন অব লেবার" যে আমাদের সমাজে সম্পর্ক তৈরিতে অনেককটাই ভূমিকা নিত বা নেয় তা অস্বীকার করার কোন উপায়ই নেই। সেই মুনি ঋষিদের সময়েই "ডিভিশন অব লেবার" এর ওপর ভিত্তি করেই তৈরি হয়েছিল "বর্ণাশ্রম" প্রথা। লেখাপড়া শেখা বুদ্ধিমান ব্রাহ্মণরা পুজোআচ্চার কাজ করবে, শারীরিকভাবে শক্তিশালী ক্ষত্রিয়রা দেশ রক্ষার কাজ করবে, বৈষয়িক বুদ্ধিসম্পন্ন বৈশ্যরা ব্যবসাবানিজ্য করবে, আর বাকিরা সব শূদ্র। তারা অন্যান্য কাজ করবে। এমন কি এদের বৈবাহিক সম্পর্কও নিজেদের গ্রুপের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। এখন ও সব বালাই নেই। ব্রাহ্মণ সন্তান দেশরক্ষার কাজ করছে আবার ব্যবসাবানিজ্যও করছে। ক্ষত্রিয়, বৈশ্য সবাই সবার কাজ করছে। তাহলে বৈবাহিক সম্পর্কও শুধুমাত্র নিজেদের গ্রুপে সীমাবদ্ধ থাকা উচিত নয়। থাকছেও না। অর্থাৎ, এক্ষেত্রেও সম্পর্কের সজ্ঞা পাল্টাচ্ছে। যুগোপযোগী হচ্ছে সম্পর্ক। তাই যদি হয়, তাহলে ইস্কুলে, চাকুরিস্থলে, রাজনীতির ময়দানে সর্বত্র সম্পর্ক যে অনেকটা প্রতিযোগীতামূলক হয়ে যাচ্ছে তাও কি সময়ের দাবীতে? মানুষের সাথে মানুষের, মানুষের সাথে অন্য প্রাণীর বা মানুষের সাথে প্রকৃতির পারস্পরিক নির্ভরশীলতা আর বোঝাপড়ার সম্পর্কের বদলে শুধুই কি স্বার্থসুখের সম্পর্ক নিয়ে বেঁচে থাকব আমরা? এতে "ইকোসিস্টেম" বজায় থাকবে তো? বজায় থাকবে তো প্রকৃতিনির্ভর মানবের সমাজ আর সভ্যতা? মনে হয়, কেউই এর উত্তর খুঁজতে আগ্রহী নয়। আগ্রহী হলে সম্পর্কের চরম অবনতি নিয়ে আমাদের বেঁচে থাকতে হত না। পাঁচ বছরের শিশুকন্যাকে তার বয়স্ক আত্মীয়ের ধর্ষণের বা পুত্র অথবা কন্যার হাতে পিতা/মাতা খুন হওয়ার খবর পরেও আমরা নিশ্চুপ থাকতাম না। এ এক অবক্ষয়ের সম্পর্কের, মূল্যবোধহীনতার সম্পর্কের আবর্তে ঘুরে মরছি আমরা।

article thumbnail

নবান্নের লড়াই

আরো পড়ুন

কোভিড আতঙ্কের মাঝেই কেমন হল রাজ্যের অন্তিম দফার নির্বাচন ?

বিকেল ৫টা পর্যন্ত গড়ে মোট ভোট পড়েছে ৭৬.০৭ শতাংশ। মালদায় ভোট পড়েছে ৮০.০৬ শতাংশ, মুর্শিদাবাদে ভোট পড়েছে ৭৮.০৭ শতাংশ। এছাড়াও বাকি দুই বিধানসভা জেলায় অর্থাৎ বীরভূম এবং কলকাতা উত্তরে ভোট পড়েছে যথাক্রমে ৮১.৮৭ এবং ৫৭.৫৩ শতাংশ। আজকের দিনে রাজ্যের শেষ দফা নির্বাচনের ছবিটা মিলিয়ে মিশিয়ে। সকাল থেকে একাধিক যায়গায় বিক্ষিপ্ত অশান্তির ছবি ধরা পড়ে। আবার বেশ কিছু যায়গায় শান্তিপূর্ন ভোট হলেও স্বয়ং বুথ কর্মী ও পোলিং এজেন্ট রাই অভিযোগ করছেন মানা হচ্ছেনা করোনাবিধি, বজায় থাকছেনা সামাজিক দূরত্বও।  {link} আজকে সকাল থেকেই উত্তর কলকাতার বিভিন্ন যায়গা থেকে বিক্ষোভের খবর আসতে থাকে। বেলেঘাটা ও মানিকতলার নাম উঠে আসে বিশেষভাবে। অন্যদিকে জোড়াসাঁকোয় বুথে অভিযোগ উঠেছে কোভিড বিধি না মেনে চলার। বোলপুরের বিজেপি প্রার্থী অনির্বান গঙ্গোপাধ্যায়কে তাড়া করা হয় বাঁশ নিয়ে। সেইখানে উন্মত্ত জনতা ভেঙে দেয় তার গাড়ির কাঁচ। সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সংবাদমাধ্যম সহ সোশ্যাল মিডিয়াতে। বোলপুরের ইলামবাজারের এই কান্ড নিয়ে যথেষ্ট উত্তপ্ত রাজনৈতিক মহল। এছাড়াও শীতলকুচি বিধানসভা কেন্দ্রের সেই মর্মান্তিক ঘটনার পর আজ সেই কেন্দ্রে পুনঃনির্বাচন ছিল। এবারে ভোট শান্তিপূর্নই হয়েছে। রাজ্যে আজকে অবশেষে আটটি দফা সম্পূর্ন হওয়ার সাথে সাথেই সম্পূর্ন হল রাজ্যের ভোটগ্রহন পর্ব। কোথাও গিয়ে আজকের ভোটে মানুষের মধ্যে করোনা আতঙ্কের চিত্রটা অনেকটাই স্পষ্ট ছিল। এবার অপেক্ষা শুধু ফলপ্রকাশের।  {ads}

article thumbnail

বেলা ১টা পর্যন্ত গড়ে ভোট পড়েছে ৫৬.১৯ শতাংশ, বিক্ষিপ্ত অশান্তির মাঝেই চলছে অন্তিম দফার নির্বাচন

আজ রাজ্যে অন্তিম দফা অর্থাৎ অষ্টম দফার নির্বাচন। প্রথম সাতটি দফা সম্পূর্ন হওয়ার পর আজ অষ্টম দফায় নির্বাচনী লড়াই ৪টি জেলার মোট ৩৫টি বিধানসভা কেন্দ্রে। যার মধ্যে মালদহের ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রে, মুর্শিদাবাদের ১১টি বিধানসভা কেন্দ্রে, বীরভূমের ১১টি এবং কলকাতার ৭টি বিধানসভা কেন্দ্রে। আজকেই রাজ্যে গণতান্ত্রিক উৎসবের শেষ দিন। কিন্তু ভোটের আবহে আজ অনেকটাই আতঙ্ক রয়েছে করোনার। বাড়তে থাকা মারণ ভাইরাসের প্রকোপে অনেকটাই ম্লান হয়ে পড়েছে একুশের বিধানসভা নির্বাচন। সকাল থেকেই সমস্ত বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহন শুরু হয়েছে। কিন্তু সকাল থেকেই বিভিন্ন যায়গা থেকে বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর ভেসে আসছে।  {link} আজ অর্থাৎ ২৯শে মে অষ্টম দফার নির্বাচনে যে কটি কেন্দ্রে বিশেষভাবে নজর থাকবে তার মধ্যে কলকাতার মানিকতলা, জোড়াসাঁকো, বেলেঘাটা অন্যতম। সকাল থেকেই বেলেঘাটা ও মানিকতলায় বিভিন্ন যায়গা থেকে বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর আসছে। এছাড়াও বিশেষ নজর থাকবে বোলপুর বিধানসভা কেন্দ্রে, অনুব্রত মন্ডলকে গতকাল থেকেই নজরবন্দী করে দেওয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। অজ ইতিমধ্যেই তিনি বাইকে চড়ে এসে তার ভোটও দিয়ে গেছেন। এছাড়াও যেসব কেন্দ্রে নজর থাকবে তার মধ্যে রয়েছে মানিকচক, মালদহ, ইংলিশবাজার, বহরমপুর, জলঙ্গি ইত্যাদি। আজকের ৩৫টি আসনেই লড়াই খুব জোরদার, সকালে টুইট করে বিপুল ভোটের ডাক দিয়েছেন অমিত শাহ, কোভিড বিধি মেনে চলার কথা বলেছে নরেন্দ্র মোদী। বেলা ১টা পর্যন্ত গড়ে ভোট পড়েছে ৫৬.১৯ শতাংশ।  {ads}

article thumbnail

বেলা ১টা পর্যন্ত গড়ে ভোট পড়েছে ৫৫.১২ শতাংশ, চলছে সপ্তম দফার নির্বাচনের ভোটগ্রহন

একে একে মোট ছয় দফা সম্পূর্ন হওয়ার পর আজ রাজ্যে সপ্তম দফার নির্বাচন। আজ অর্থাৎ ২৬শে এপ্রিল ভোট পশ্চিমবঙ্গের ৪টি জেলার মোট ৩৬টি কেন্দ্রে। যার মধ্যে মালদহে ৬টি আসনে, মুর্শীদাবাদে নির্বাচন ১১টি আসনে, পশ্চিম বর্ধমানের ৯টি এবং কলকাতা ও দক্ষিন দিনাজপুরে যথাক্রমে ৪ ও ৬ টি বিধানসভা কেন্দ্রে আজ নির্বাচনী লড়াই। সকাল থেকেই ভোটগ্রহন শুরু হয়েছে সমস্ত বিধানসভা কেন্দ্রগুলিতে। কিন্তু করোনার দাপটে অনেকটাই ম্লান হয়ে উঠেছে গনতান্ত্রিক উৎসব। কড়া পাহারার মধ্যেও কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর থাকলেও মোটামুটি ভাবে ভোট হচ্ছে শান্তিপূর্ন ভাবেই।  {link} আজকের সপ্তম দফার নির্বাচনী লড়াইয়ে যে সকল কেন্দ্রের দিকে বাংলার মানুষের বিশেষ নজর থাকবে তার মধ্যে একটি অবশ্যই আসানসোল দক্ষিন একদিকে তৃণমূলের প্রার্থী সায়নি ঘোষ আর অন্যদিকে তার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অগ্নিমিত্রা পাল। সকাল থেকে বিভিন্ন বুথে বুথে ঘুরে বেড়াচ্ছেন সায়নি ঘোষ। কয়েকটি যায়গায় তার সাথে পুলিশের বচসাও বেঁধেছে বলে সূত্রের খবর। এছাড়াও নজর থাকবে ভবানীপুর, মুর্শিদাবাদ, রাসবিহারী, বালিগঞ্জ ও পান্ডবেশ্বর সহ সাগরদিঘী ও আরও বিভিন্ন কেন্দ্রে।  {ads}

article thumbnail

রাতভর চলেছে বোমাবৃষ্টি, সকালেও উদ্ধার বোমা, ভোটের দিনে উত্তপ্ত ব্যারাকপুর

ষষ্ঠ দফার নির্বাচনকে ঘিরে উত্তপ্ত উত্তর ২৪ পরগনা।ভোটের আগের রাতে উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুর লোকসভার অন্তর্গত্ আমডাঙা বিধানসভা কেন্দ্রে রাতভর বোমাবাজি চলে।এলাকার থানীয় বাসিন্দাদের মতে আমডাঙ্গা বিধানসভার সাধনপুর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত রাহানা এক নম্বর এলাকায় রাত বারোটা নাগাদ বোমাবাজি হয়। তার উপর আজকে ফের ষষ্ঠ দফার ভোট শুরু হওয়ার সাড়ে ৪ ঘণ্টার মধ্যে আবারও তাজা বোমা উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পডে আমডাঙ্গা বিধানসভা কেন্দ্রের রংমহল ৮৩ নম্বর বুথের বাইরে।স্বাভাবিক ভাবেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিপুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে সধারন মানুষের মধ্যে।  {link} স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ আই এস এফ এর কর্মীরা এই তাজা বোমা রেখেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে আমডাঙা থানার বিশাল পুলিশবাহিনী পুলিশ গোটা এলাকা ঘিরে রেখেছে এবং বোম স্কোয়ার্ডকে খবর দেওয়া হয়েছে বোমা-গুলি কে উদ্ধার করার জন্য। এছাড়াও প্রায় ১০ থেকে ১২ টি বোমা ফাটানো হয়েছে রাতের অন্ধকারে কে বা কারা এই বোমা ফাটিয়েছে তা নিয়েও তদন্ত শুরু করেছে আমডাঙা থানার পুলিশ। {ads}

article thumbnail

বেলা ১টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৫৭.৩ শতাংশ, শান্তিপূর্নভাবেই চলছে ষষ্ঠ দফার নির্বাচন

পঞ্চম দফা পর্যন্ত নির্বাচন সম্পূর্ন হওয়ার পর আজ রাজ্যে ষষ্ঠ দফার নির্বাচন। আজ ভোট মোট ৪৩টি বিধানসভা কেন্দ্রে। উত্তর ২৪ পরগনার ১৭টি আসনে, নদীয়ার ৯টি আসন সহ পূর্ব বর্ধমানের ৮টি ও উত্তর দিনাজপুরের ৯টি বিধানসভা কেন্দ্রে আজ নির্বাচনী লড়াই। সকাল থেকেই শান্তিপূর্নভাবে সমস্ত কেন্দ্রে ভোটগ্রহন চলছে। {link} আজ যে সমস্ত কেন্দ্রে জমাটি লড়াইয়ের সাক্ষী থাকতে পারে বাংলার মানুষ, তার মধ্যে অন্যতম কেন্দ্রে কৃষ্ণনগর উত্তর। মুখোমুখী লড়াইয়ে মুকুল রায় ও কৌশানি চট্টোপাধ্যায়। এছাড়াও ভাটপাড়া, চোপড়া, ইসলামপুর, করনদিঘি, রায়গঞ্জ, ইটাহার, নবদ্বীপ, বনগাঁ উত্তর ও দক্ষিণ উল্লেখযোগ্য কেন্দ্র। এর পাশাপাশি হাবড়া, ব্যারাকপুর, দমদম উত্তর সহ পূর্বস্থলীর দুই কেন্দ্রেও রাজ্যের মানুষের নজর থাকবে। সকাল থেকে কিছু যায়গায় বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর থাকলেও মোটামুটিভাবে শান্তিপূর্ন ভাবেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে রাজ্যের ষষ্ঠ দফার নির্বাচন। বেলা একটা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৫৭.৩ শতাংশ।  {ads}

article thumbnail

তৃণমূল বিজেপি সংঘর্ষে রনক্ষেত্র সল্টেলেকের শান্তিনগর, ইটবৃষ্টি

আজ গনতন্ত্রের উৎসবের পঞ্চম দফা। সেই পঞ্চম দফা নির্বাচনেই রনক্ষেত্র হয়ে উঠল সল্টলেক। আজকে সকাল থেকেই উত্তেজনার আবহ সল্টলেকের শান্তিনগর এলাকায়। দুই পক্ষের হাতাহাতি ও ইটবৃষ্টিতে রনক্ষেত্র হয়ে উঠেছে এলাকা। দীর্ঘক্ষন অশান্তির পরিবেশ থাকার পর সেই স্থানে এসে পৌছায় বিশাল পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং তারা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসে। একজন মহিলা ভোটারকে রাস্তায় ফেলে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে।  {link} স্থানীয় সূত্রের খবর বেলা ১০টা নাগাৎ হঠাতই সল্টলেকের শান্তিনগর এলাকায় পারস্পরিক বচসায় জড়িয়ে পড়ে তৃণমূল ও বিজেপির কর্মী সমর্থকেরা। সেই বচসাই ক্রমে হাতাহাতির আকার ধারন করে। ইটবৃষ্টিতে পরিস্থিতি আরও ধুন্ধুমার হয়ে ওঠে। গোটা রাস্তা ইটে ভরে যায়, এমনকি মহিলাদেরও মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাস্থলে দুই পক্ষেরই বেশ কিছুজন জখম হয়েছেন। দুই পক্ষই দুই পক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি সম্পূর্ন নিয়ন্ত্রনে। পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হতেই মাইকিং করে জমায়েত হটানোর চেষ্টা করা হয়। ভোটারদের বুথে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়ার পাশাপাশি বহিরাগতদের এলাকা থেকে বের করে দেয় পুলিশ। {ads}

article thumbnail