শেফিল্ড টাইমস ডিজিটাল ডেস্ক: চন্দ্রযান-৩ পাঠাতে খরচ ইসরোর খরচ হয়েছিল ৬০০ কোটি টাকা। কিন্তু শুধুমাত্র বাতিল কাগজপত্র এবং সামগ্রী বিক্রি করেই একেবারে সমান পরিমাণের অর্থ সংগ্রহ করে ফেলল কেন্দ্রীয় সরকার। একটি সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, স্রেফ ছাঁট বিক্রি করেই এই বিপুল পরিমাণ টাকা তুলেছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি বিক্রি করা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে থাকা বাতিল কাগজপত্র, ফাইল, অকেজো যানবাহন ইত্যাদি। সেখান থেকেই সরকার ৬০০ কোটির কাছাকাছি টাকার কাছাকাছি বিপুল পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করেছে। সরকারের এই আয়ের হিসেব চলতি বছরের অগাস্ট মাস পর্যন্ত। অক্টোবর মাসের মধ্যে উপার্জনের পরিমাণ হাজার কোটির গণ্ডি পেরিয়ে যেতে পারে বলে সরকারি সূত্রেই খবর।
{link}
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে প্রথমে প্রশাসনিক দফতরগুলিতে সাফাই অভিযান চালায় নরেন্দ্র মোদির সরকার। সে বছর অক্টোবরে ছাঁট কাগজ বেচে সরকারের আয় হয়েছিল ৬২ কোটি টাকা। দ্বিতীয় দফতার সাফাই অভিযানে কেন্দ্রীয় সরকারের ১.০১ লক্ষ অফিসে গিয়েছিলেন আধিকারিকরা। সেসব জায়গা থেকেই বিক্রি করা হয়েছে বিভিন্ন সরকারি দফতরের নষ্ট হয়ে যাওয়া স্টিলের আলমারি, বাতিল কাগজপত্র, ফাইল, বাজেয়াপ্ত করা পুরনো গাড়ি। জানা গিয়েছে, অপ্রয়োজনীয় ৩১ লক্ষ ফাইল সরানো হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন অফিসের আলমারি থেকে। গত দু বছরে খালি করা হয়েছে ১৮৫ বর্গফুট জায়গা। ২০২২ সালের অক্টোবরে এই ছাঁট বেচেই সরকার রোজগার করেছিল ৩৭১ কোটি টাকা। আর এবার হাতে এল প্রায় ৬০০ কোটি টাকা। ২ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ফের একবার হবে সাফাই অভিযান। অংশ নেবে কেন্দ্রের সব কটি দফতরের অফিসগুলিই। সরকারের লক্ষ্য অক্টোবরে অন্তত ৪০০ কোটি টাকার ছাঁট বিক্রি করা।
{link}
সম্প্রতি চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে চন্দ্রযান-৩ পাঠায় ভারত। ভারতের আগে অনাবিষ্কৃত দক্ষিণ মেরুতে পা রাখেনি কোনও দেশ। ভারতের প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই রাশিয়াও চেষ্টা করেছিল চাঁদের দক্ষিণ মেরু জয় করতে। তবে ব্যর্থ হয় রাশিয়ার চন্দ্রাভিযান। চাঁদের মাটিতে পা রাখার আগেই মুখ থুবড়ে পড়ে রাশিয়ার চন্দ্রযান। এর দিন কয়েক পরে চন্দ্রভূমে পা রাখে ইসরো প্রেরিত চন্দ্রযান-৩। রচিত হয় ইতিহাস। এই ইতিহাস সৃষ্টি করতে ভারতকে ব্যয় করতে হয়েছিল ৬০০ কোটি টাকা। যে টাকা মোদি সরকার রোজগার করে নিল কেবল ছাঁট বেচেই।
{ads}