শেফিল্ড টাইম্স ডিজিটাল ডেস্ক : 'জিরা' (Cumin) এমনই এক শস্য, যার ওষধী গুণ অনেক। ফলে শুধু ভারতে নয়, সারা পৃথিবীতেই জিরার চাহিদা প্রচুর। ভারতীয় রান্নার এর বহুল ব্যবহার। পাশাপাশি, ইউরোপে,বিশেষ করে পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের রান্নাতেও জিরে দেওয়া হয়। জিরের অনেক ঔষধিগুণও আছে। তাই এর চাহিদাও সবসময় তুঙ্গে থাকে।
{link}
নাতিশীতোষ্ণ এবং শুষ্ক আবহাওয়া জিরে চাষের জন্য উপযুক্ত। বেলে দোআঁশ এবং দোআঁশ মাটিকে জিরে চাষের জন্য উত্তম হিসেবে বিবেচিত করা হয়। তবে বীজ বপনের আগে ভালভাবে মাটি তৈরি করে নিতে হবে। মাটি ঝুরঝুরে করে দিতে হবে। তারপর তাতে সার প্রয়োগ করতে হবে। ভালো ফলন পেতে হলে জমিতে নিয়মিত সার দিতে হবে। প্রতি হেক্টরে গোবর সার বা জৈব সার দিতে হয় ১০ টন। তাছাড়া যে জমিতে জিরে চাষ করা হবে সেখানকার আগাছাও পরিষ্কার করতে হবে।
{link}
বাজারে অনেক রকমের জিরের বীজ পাওয়া যায়। তার মধ্যে আরজেড ১৯, আর ২০৯, আরজেড ২২৩ এবং জিসি ১-২-৩ বীজগুলিকে সবচেয়ে ভালো বলে মনে করেন কৃষি বিশেষজ্ঞরা। এই জাতের বীজ থেকে ১২০ থেকে ১২৫ দিনের মধ্যে জিরে তোলা যায়। ফসল পেকে গেলে ছোট ছোট আঁটি বেঁধে, খামারে এনে তারপর রোদে শুকিয়ে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে বীজ জিরে আলাদা করতে হয়। তারপর চালুনি দিয়ে চেলে নিয়ে পরিষ্কার বীজ সংগ্রহ করা হয়। ভালোভাবে চাষ করলে হেক্টর প্রতি ৫১০ থেকে ৫৩০ কেজি ফলন পাওয়া সম্ভব।
{ads}