শেফিল্ড টাইমস ডিজিটাল ডেস্ক: বিরোধীদের মুখে ঝামা ঘষে দিল এলআইসি। কেন্দ্রীয় এই সংস্থাকে মোদি সরকার বিক্রি করে দিচ্ছে বলে নানা সময় সরব হয়েছেন বিরোধীরা। সস্তা জনপ্রিয়তায় ভর করে ভোট-বৈতরণী পার হতে লাভজনক এই সংস্থাকেই ধুঁকছে বলে দেগেও দিয়েছেন বিরোধীরা। এহেন এলআইসি লাভের কড়ির একটা অংশ তুলে দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণের হাতে। এলআইসির চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মোহান্তি বৃহস্পতিবার ওই চেক তুলে দেন। যার অর্থমূল্য, ১,৮৩১.০৯ কোটি টাকা।
{link}
চলতি বছর ৬৭ পূর্ণ করল এলআইসি। ১৯৫৬ সালে মাত্র ৫ কোটি টাকা নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল এই সংস্থা। ২০২৩ সালের ৩১ মার্চ এলআইসির সম্পত্তির পরিমাণ ৪৫.৫০ লক্ষ কোটি টাকা। এর সঙ্গে ৪০.৮১ লাখ কোটি টাকার লাইফ ফান্ডও রয়েছে। দু দশক আগে ইন্স্যুরেন্স সেক্টর খোলে এলআইসি। তার পর থেকে ইন্স্যুরেন্সের সিংহভাগ বাজার এলআইসির পকেটে। এখনও দেশের বেশিরভাগ বিনিয়োগকারী বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভরসা করেন এলআইসির ওপর।
{link}
লাভের কড়ি সরকারকে দেওয়ার পাশাপাশি এদিন এলআইসি দু শতাংশ শেয়ার বিক্রি করেছে সান ফার্মাকে। এজন্য এলআইসির হাতে এসেছে ৪,৬৯৯ কোটি টাকা।
এলআইসির বাড়বাড়ন্তে খুশি কেন্দ্র। অর্থমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, এলআইসি এজেন্টদের গ্র্যাচুইটির সীমা তিন লাখ থেকে বাড়িয়ে পাঁচ লাখ টাকা করা হয়েছে। এলআইসি কর্মীদের ৩০ শতাংশ হারে ফ্যামিলি পেনশন দেওয়ার কথাও ঘোষণা করা হয়েছে। পুনরায় নিযুক্ত হওয়া এলআইসি এজেন্টরা রিনিউয়াল কমিশনের সুবিধাও পাবেন বলে জানিয়েছে অর্থমন্ত্রক। সংসদে নানা সময় এলআইসির প্রশংসা শোনা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মুখে। তিনি নিজেও টাকা রেখেছেন এলআইসিতে। ২০১৯ সালের হলফনামা অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী বিনিয়োগ করেছেন দুটি পলিসিতে। ২০১০ সালে তিনি একক প্রিমিয়াম বাবদ দিয়েছিলেন ৪৯,৬৬৫ টাকা। ২০১৩ সালে অন্য একটি পলিসিতে একক প্রিমিয়াম বাবদ তিনি দিয়েছেন ১,৪০,৬৮২ টাকা।
{ads}