শেফিল্ড টাইম্স ডিজিটাল ডেস্ক : আদিমকাল থেকেই মানুষের সঙ্গে গৃহপালিত পশুর নিবিড় সম্পর্ক। বহু আদিবাসী সম্প্রদায় এখনও পশুপালন করে জীবিকা নির্বাহ করেন। ব্ল্যাক বেঙ্গল প্রজাতি ছাগল চাষের লাভের দিশা দেখছেন বসিরহাটের (Basirhat) যুবক। এক সময় পশুপালন ছিল বেঁচে থাকা থাকার একমাত্র অবলম্বন, আর বর্তমান সময়ের পশু পালন করে সহজ উদ্যোক্তা হওয়া সম্ভব।
{link}
ব্ল্যাক বেঙ্গল প্রজাতির ছাগল চাষ করে লাভের দিশা দেখছেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাটের আকিপুরের যুবক জালাল উদ্দিন নূর। ছাগল দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আয়ের এক অন্যতম প্রধান উৎস। ব্ল্যাকবেঙ্গল ছাগল প্রজাতির নাম হলেও কালো রঙ ছাড়া বাদামী এবং সাদা রঙের প্রজাতির ছাগল কম সংখ্যায় দেখা যায়। গবাদি পশুর মধ্যে ছাগল পালন যতটা লাভজনক ও সহজ, অন্যগুলো তেমন নয়। ইতিমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে বাড়িতে কুড়ি থেকে ২৫ টি ছাগল পালনে ভালো মুনাফা পেয়েছেন।
{link}
তবে আগামী দিনে ছাগল পালনে সংখ্যা আরও বাড়াবেন বলে জানান তিনি। এসব ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের বাচ্চা উৎপাদনক্ষমতা বেশি। সাধারণত এই প্রজাতির ছাগল বছরে দু'বার বাচ্চা প্রসব করে, পাশাপাশি একসঙ্গে একাধিক বাচ্চা উৎপাদন করে। ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল প্রধানত মাংস ও চামড়া উৎপাদনকারী জাত হিসেবে বিশ্বে স্বীকৃত। এদের গড় ওজন ১৫-২০ কেজি। নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে ছাগল পালনের মাধ্যমে একজন প্রান্তিক খামারি বাড়তি আয় করতে পারেন। ১৫ থেকে ২০ টি ছাগল পালনের বছরের তিন থেকে চার লাখ টাকা আয় করা সম্ভব বলে জানান উদ্যোক্তা জালাল উদ্দিন নূর।
{ads}