শেফিল্ড টাইম্স ডিজিটাল ডেস্ক : বাঙালির রান্নাঘরে কালোজিরে (Nigella sativa) একটি অপরিহার্য মশলা। সাম্প্রতিক গবেষনায় দেখা গেছে কালোজিরের মধ্যে এমন অনেক খাদ্যগুন আছে, যা মানুষের শরীরকে সঠিক দিশা দেখায়। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতি ১০০ গ্রাম কালিজিরের মধ্যে থাকে-- ৩৪৫-৩৫০ ক্যালরি, ১৭-২১ গ্রাম প্রোটিন, ৩৫-৪০ গ্রাম ফ্যাট (চর্বি), ৪-৫ গ্রাম স্যাচুরেটেড ফ্যাট, ১৪-১৬ গ্রাম মোনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট, ১৮-২০ গ্রাম পলি-আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট, ০.৩-০.৫ গ্রাম ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ৫৮-৬০% ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড, ৩৮-৪২ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ৫-৭ গ্রাম আহারযোগ্য ফাইবার।
{link}
এছাড়াও রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি১ (থায়ামিন), ভিটামিন বি২ (রাইবোফ্লাভিন), ভিটামিন বি৩ (নিয়াসিন), ভিটামিন বি৬,ফোলেট (ভিটামিন বি৯), ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম,ফসফরাস, পটাশিয়াম, সোডিয়াম,জিঙ্ক, সেলেনিয়াম। ইউরিক অ্যাসিড (Uric acid) সহ শরীরের বহু প্রদাহ কমায় কালোজিরে। যাঁরা দীর্ঘস্থায়ী জয়েন্টের ব্যথা বা আর্থ্রাইটিসে ভুগছেন, তাঁদের জন্য কালোজিরে খুব উপকারি।
{link}
কালোজিরেয় থাকা প্রদাহ-বিরোধী যৌগ জয়েন্টের ফোলাভাব এবং অস্বস্তি কমায়, যা ধীরে ধীরে ব্যথানাশক বা প্রদাহ-বিরোধী ওষুধের উপর নির্ভরতা কমায়। কালোজিরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এতে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং ফাইটোকেমিক্যাল থাকে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এটি শরীরকে সাধারণ সংক্রমণ এবং দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতা থেকে রক্ষা করে। তাই নিয়মিত কালোজিরে খাওয়া অভ্যাস করুন।
{ads}