header banner

Lung Cancer : ধূমপান না করেও ঝুঁকিতে ফুসফুস ক্যানসার

article banner

শেফিল্ড টাইম্‌স ডিজিটাল ডেস্ক : ক্রমেই মহামারির আকার নিচ্ছে মারণ রোগ ক্যানসার (cancer)। গোটা দেশে ভয়ঙ্কর হারে বেড়েছে লাং ক্যানসার ((Lung Cancer)) বা ফুসফুস ক্যানসারে আক্রান্তের সংখ্যা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) মতে, ফুসফুস ক্যানসার বিশ্বজুড়ে ক্যানসারজনিত মৃত্যুর প্রধান কারণ, যা পুরুষ ও মহিলাদের মধ্যে সর্বোচ্চ মৃত্যুহারের জন্য দায়ী। ধূমপান শুধু ধূমপায়ীকেই প্রভাবিত করে না, ধূমপানের ধোঁয়ার সংস্পর্শে আসা অন্য ব্যক্তিদেরও ক্ষতি করে, যা ধূমপান না করেও ফুসফুস ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। কেবলমাত্র পরোক্ষ ধূমপানই নয়, আরও অনেক পরিবেশগত কারণও ধূমপায়ী নন এমন ব্যক্তিদের মধ্যে ফুসফুস ক্যানসারের ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে তোলে। জনৈক ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ভূবন চুঘ জানিয়েছেন, '' ফুসফুস ক্যানসারে সবথেকে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। এটি সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ক্যানসার।

{link}

প্রতি বছর ক্যানসারে মোট মৃত্যুর প্রায় ১৮% র জন্য এই রোগ একাই দায়ী, এবং একই সময়ে নতুন ক্যানসার রোগীর সংখ্যায় এটি ১১% যোগ করে। সরাসরি বললে, এটি সেই ক্যানসারগুলির মধ্যে একটি যার ফলাফল সবচেয়ে খারাপ।'' বিশেষজ্ঞ আরও জানান, গত এক দশকে অধূমপায়ীদের মধ্যে ফুসফুস ক্যানসারের ঘটনার বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গিয়েছে। ডাঃ চুঘ বলেন, “এর কারণ জিনগত ও পরিবেশগত উপাদানের জটিল পারস্পরিক সম্পর্ক। এই জনগোষ্ঠীর মধ্যে পরিবেশগত ধোঁয়ার সংস্পর্শ একটি গুরুত্বপূর্ণ ঝুঁকির কারণ। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যদি কোনও নারী ধূমপায়ী ব্যক্তির সঙ্গী হন, তবে তাঁর মধ্যে ফুসফুস ক্যানসারের ঝুঁকি প্রায় ২৭ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যায়।”

{link}

দ্বিতীয় সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ঝুঁকির কারণ হল বায়ু দূষণ। আন্তর্জাতিক ক্যানসার গবেষণা সংস্থা (IARC) বহির্বিশ্বের বায়ু দূষণ এবং বায়ুবাহিত কণিকা (PM)–কে ফুসফুস ক্যানসারের জন্য গ্রুপ ওয়ান কাসীনোজেন হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করেছে। ধূমপায়ী ও অধূমপায়ীদের মধ্যে যে ফুসফুস ক্যানসার দেখা যায়, তার মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য রয়েছে। অধূমপায়ীদের মধ্যে যে ফুসফুস ক্যানসার দেখা যায়, সেটি সাধারণত একটি নির্দিষ্ট জিনের দ্বারা চালিত হয়, যাকে ড্রাইভার মিউটেশন বলা হয়, এবং এই কারণে একে অঙ্কো-জিন অ্যাডিকটেড ফুসফুস ক্যানসার বলা হয়। এই অঙ্কো-জিন নির্ভরতা একটি সুযোগ তৈরি করে রোগটিকে লক্ষ্যভিত্তিক ওষুধ বা মুখে খাওয়ার ট্যাবলেটের মাধ্যমে চিকিৎসা করার, প্রাথমিক পর্যায়ে হোক বা অ্যাডভান্সড পর্যায়ে।”

{ads}

 

News Breaking News cancer Lung Cancer WHO সংবাদ

Last Updated :