এরপর থেকেই অমল ব্ল্যাকমেল করতে শুরু করে রূপাকে I চাপ দিতে থাকে, রূপা যেন রতনের কাছ থেকে এক কোটি টাকা নগদ নিয়ে মিউচুয়াল ডিভোর্স করে সম্পর্ক চুকিয়ে দেয় এবং সেই টাকা যেন অমলকে দেয়। নইলে রতনকে সব জানিয়ে দেবে । অমল রূপাকে কথা দিল যে, তার সঙ্গে রূপার যে ঘনিষ্ঠ ছবি-ভিডিয়ো আছে, তা কখনও সে প্রকাশ্যে আনবে না এবং ভবিষ্যতে অমল রূপার দেখাশোনা করবে। তবে কোন আইনসিদ্ধ বিয়ে সে করবে না। রূপা বুঝল, অমল তাকে রক্ষিতা করে রাখতে চাইছে। লোকলজ্জার ভয়ে বাধ্য হয়ে রূপা, রতনের কাছ থেকে ডিভোর্স চাইল। সঙ্গে এক কোটি টাকা। কিন্ত রতন সোজাসুজি জানিয়ে দিল যে সে তা করবে না।
এরপরেই শুরু হয়ে গেল গভীর ষড়যন্ত্র I প্রথমে রতনকে বধূ নির্যাতন মামলায় ফাঁসাবার চেষ্টা করল রূপা। কিন্তু তেমন কোনো প্রমাণ জোগাড় করে উঠতে পারল না। পুলিশের কাছে অভিযোগ করেও কোন লাভ হল না। কিভাবে রতনের জমানো টাকা আর সম্পত্তি হাতিয়ে নেওয়া যায় অমল তার ফন্দি আঁটতে লাগল সবসময়।
{link}
রতনের কাছে ফের টাকার দাবি করতে শুরু করে রূপা, সঙ্গে হুমকি I এদিকে অমল রূপাকে চাপ দিতে শুরু করল। টাকা না পেলে সে রূপার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার সমস্ত ছবি পৌঁছে দেওয়া হবে রতনের কাছে। তখন রতন নিশ্চয়ই নিজেই ডিভোর্স পেতে চাইবে। শেষে, অমলের বুদ্ধিতে একান্ত বাধ্য হয়ে রতনের টাকার লোভে, একদিন রাত্রে রূপা রতনের খাবারে বিষ মিশিয়ে দেয় এবং দোষ গিয়ে পরে বাড়ির রান্না করার লোক বাবুলের ওপর I প্রমান করার চেষ্টা করা হয় যে, বাবুল রতনের কাছ থেকে বাড়ি করার জন্য যে টাকা ধার নিয়েছিল তা যাতে ফেরত দিতে না হয়ে তাই বাবুলই বিষ দিয়ে রতনকে মেরেছে I পুলিশ প্ৰথমে বাবুলকে গ্রেফতার করে, কিন্তু একটা ব্যাপার অমল বা রূপা মাথায় রাখে নি। রূপার ব্যভিচারের নীরব সাক্ষী ছিল এই বাবুল। রূপা আর অমলের সম্পর্কের সবকিছু সে জানত। বাবুল সব কাহিনী পুলিশকে বলে দেয়। তারপর শুরু হয়ে প্রকৃত তদন্ত I সত্য উৎঘাটিত হয় I সাময়িক ভুলের মাশুল দিতে আজ রুপা জেলের পথে I মামলা চলাকালীন রুপা অমলের বিরুদ্ধে কোনো কথা বলে নি I প্রকৃতই অমলকে ভালবেসে ছিল রূপা।
{ads}