শেফিল্ড টাইমস ডিজিটাল ডেস্ক: গণেশ পুজোর ইতিহাস সম্পর্কে নিশ্চিত করে বলা কঠিন, তবে এর দুটি প্রধান ধারা রয়েছে। একটি হলো পৌরাণিক ইতিহাস এবং অন্যটি হলো আধুনিক উৎসবের শুরু। পুরাণে গণেশের জন্ম এবং তাঁর হাতির মাথা পাওয়ার কাহিনি রয়েছে। অন্যদিকে, আধুনিক গণেশ উৎসবের সূচনা হয় মূলত মারাঠা সাম্রাজ্যের রাজা শিবাজীর আমলের পর থেকেই, যা ১৮০০ শতকে পেশোয়ারাদের মাধ্যমে আরও জনপ্রিয়তা পায় এবং পরবর্তীকালে বাল গঙ্গাধর তিলকের হাত ধরে এটি সর্বজনীন রূপ ধারণ করে। প্রচলিত কাহিনী অনুসারে এই উৎসবটি ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার একটি মাধ্যম হয়ে ওঠে।
পৌরাণিক ইতিহাস:
পুরাণে গণেশের জন্ম সম্পর্কে বিভিন্ন কাহিনি প্রচলিত আছে, যার মধ্যে অন্যতম হলো শিব ও পার্বতীর পুত্র হিসেবে তাঁর জন্ম।
একটি প্রচলিত কাহিনি অনুসারে, শিবের অভিশাপের কারণে তাঁর প্রথম পুত্রকে মাথা হারাতে হয়েছিল। পরে বিষ্ণু একটি হাতির মাথা এনে তাঁর মস্তকে স্থাপন করে তাঁকে পুনরুজ্জীবিতকরেন, কাহিনী অনুসারে এই শিশুর নাম গণেশ রাখা হয়।
{link}
আধুনিক উৎসবের ইতিহাস:
আনুষ্ঠানিকভাবে, ১৬৩০–১৬৮০ সালের মধ্যে মারাঠা সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা রাজা শিবাজীর আমলে পুনেতে এই উৎসব সর্বসাধারণের মধ্যে উদযাপিত হতে শুরু করে।
১৮০০ শতকে পেশোয়ারাদের আমলে গণেশ তাঁদের কুলদেবতা হয়ে ওঠেন এবং ভাদ্রপদ মাসে পুনেতে বড় আকারে গণেশ উৎসব পালিত হতে থাকে।
১৮৯৩ সালে বাল গঙ্গাধর তিলক ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের জন্য গণেশ উৎসবকে সর্বজনীন রূপ দেন, যা ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার একটি মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
{ads}