ISIS Terrorists: জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে উদ্বোধন হওয়ার কথা অযোধ্যার রামমন্দিরের। উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মন্দিরে চলছে শেষ মুহূর্তের কাজ। বিস্ফোরণে এই মন্দিরই উড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল ধৃত আইএসআইএস জঙ্গি মহম্মদ শাহনওয়াজ সহ তিনজন। নাশকতার ছক কষা হয়েছিল পাকিস্তানে বসে। ধৃত জঙ্গিদের জেরা করে তদন্তকারীরা জেনেছেন, কেরলের শবরীমালা মন্দিরের পাশাপাশি অযোধ্যার রামমন্দিরও ছিল তাদের টার্গেট। দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ এবং হরিয়ানার কয়েকজন নেতাকে খুনের ছকও কষেছিল জঙ্গিরা। ধৃতদের জেরা করে তদন্তকারীরা জেনেছেন, শবরীমালা মন্দির, রামমন্দির ছাড়াও জঙ্গিদের নিশানায় ছিল দিল্লির অক্ষরধাম মন্দির, জনাকীর্ণ বাজার এবং জনবহুল রেলস্টেশন। এর পাশাপাশি জঙ্গিদের নিশানায় ছিল আরএসএস এবং বিজেপির বেশ কয়েকজন নেতা।
{link}
এনআইএ-র এক আধিকারিক বলেন, ধৃত জঙ্গির মধ্যে একজনের নাম মহম্মদ শাহনাওয়াজ। সে এনআইএ-র মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় ছিল। ধৃত এই তিন জঙ্গির তথ্য দিলে ৩ লক্ষ টাকা করে পুরস্কার দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছিল এনআইএ। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, অযোধ্যার রামমন্দিরে নাশকতার ছকের মাস্টারমাইন্ড হচ্ছে জঙ্গি ফারহাতুল্লাহ গোরি। পাকিস্তানে বসে এই ছক কষেছে সে। এজন্য শাহনওয়াজ সহ তিনজনকে প্রশিক্ষণও দিয়েছিল। ভারত থেকে পাকিস্তানে পালিয়ে আসা জঙ্গি ফারহাতুল্লাহ নাশকতার জন্য অনলাইনে কাশ্মীরি যুবকদের একাংশকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে বলেও জেনেছেন তদন্তকারীরা।
{link}
পুলিশ জানিয়েছে, শাহনওয়াজ পুণের আইএসআইএস মডিউলের সদস্য। দিন কয়েক আগে পুণের পুলিশ হেফাজত থেকে পালিয়ে গিয়েছিল সে। তার সঙ্গে ধৃত আরও দুই জঙ্গিও পুণে মডিউলের সদস্য। ধৃতদের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত হয়েছে পাকিস্তানের কয়েকটি পুস্তিকা, আগ্নেয়াস্ত্র, কার্তুজ, বোমা তৈরির উপকরণ। জানা গিয়েছে, ধৃত তিন জঙ্গিই বি-টেক পাশ। বোমা তৈরিতেও প্রশিক্ষিত। শাহনওয়াজ দিল্লিতে একটি সংস্থার ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন।
{ads}