শেফিল্ড টাইমস ডিজিটাল ডেস্ক: শনিবার রাজ্যের নগাঁও জেলায় ওই অভিযানে অন্তত ১,৫০০ পরিবার সমস্যায় পড়েছেন। তাঁদের নোটিস দেওয়া হলেও সরে যাওয়ার জন্য তাঁরা কিছুটা বাড়তি সময় চেয়েছিলেন। কিন্তু প্রশাসন রাজি হয়েও সময় শেষের আগেই অভিযানে নামে বলে অভিযোগ। সংরক্ষিত বনাঞ্চল দখল করে বসতি স্থাপনের অভিযোগ। এমন ৭৯৫ হেক্টর থেকে বাসিন্দাদের উচ্ছেদ অভিযানে নেমেছে অসম সরকার। বাস্তুচ্যুতদের বেশিরভাগই বাংলাভাষী সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। তাঁদের দাবি, ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে ‘চর’-এর জমি ভেসে যাওয়ায় তাঁদের পূর্বপুরুষরা এই সমস্ত এলাকায় বসতি স্থাপন করেছিলেন। শনিবার সকালে লুটিমারী এলাকায় কড়া নিরাপত্তার মধ্যে অভিযান শুরু হয়। তিন মাস আগে দখলদারদের নোটিস জারি করা হয়েছিল। তাঁদের দু’মাসের মধ্যে জায়গা খালি করতে বলা হয়েছিল। তাঁরা জায়গা খালি করতে অতিরিক্ত এক মাস সময় চান এবং জেলা প্রশাসন তাতে সম্মত হয়েছিল।
{link}
কিন্তু সময় শেষ হওয়ার আগেই প্রশাসন অভিযান শুরু করেছে। ফলে সকলে অন্যত্র সরে যাওয়ার সুযোগ পাননি। সূত্রের খবর, কাঁচা ও পাকা বাড়িতে থাকা প্রায় ১,১০০ পরিবার ইতিমধ্যেই দখল করা জায়গা ছেড়ে জিনিসপত্র নিয়ে অন্যত্র চলে গিয়েছেন। কিন্তু বাকি প্রায় চারশো পরিবার এখনও সরতে পারেননি। সেই বাড়িঘর এদিন বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। কিছু বাসিন্দা দাবি করেছেন যে, তাঁরা ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই এলাকায় বসবাস করছেন এবং তাঁরা জানতেন না যে এটি বনভূমি।
{ads}