নিজস্ব সংবাদদাতা: কেন্দ্রীয় অর্থনৈতিক বাজেট। আর বাজেট মানেই সাধারন মানুষ থেকে শুরু করে মধ্যবিত্ত সহ ধনী মানুষদের সকলেরই নজর থাকে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দ্রব্য-মূল্যের উপর। কোন কোন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ল, কারই বা দাম কমল? সেই দিকেই তাকিয়ে থাকে একটি বড়ো অংশের মানুষ। ২০২৩-এর বাজেটেও তার ব্যাতিক্রম হয়নি। গত তিন বছরের বাজেটে সেইভাবে জিনিসপত্রের দাম কমেনি। বেড়েছে বলেই বলাই বাহুল্য। তবে এই বছরে বেশ কিছু জিনিসের দাম বাড়ার পাশাপাশি দাম কমেছেও বেশ কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্যের।
{link}
বুধবারের বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Sitaraman) জানালেন, দাম কমতে পারে টিভি-চিমনির মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের। সেই সঙ্গে ক্যামেরা লেন্স, ব্যাটারি-সহ একাধিক জিনিসের দাম কমতে পারে। বেশ খানিকটা বাড়বে সিগারেটের দাম। বাড়বে বিদেশী খেলনার দামও। বাজেটের শুরুতেই আত্মনির্ভর ভারতের বার্তা দিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী। দেশে টিভি তৈরির জন্য যন্ত্রাংশের আমদানি শুল্কের উপর ২.৫ শতাংশ ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার। তার ফলে বেশ খানিকটা কমবে টিভির দাম। ক্যামেরার লেন্সের মতো আরও বেশ কয়েকটি জিনিসের আমদানি শুল্কে ছাড়ের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। ফলে দাম কমবে ক্যামেরা লেন্সের। বস্ত্র ও কৃষি ছাড়া অন্যান্য ক্ষেত্রে আমদানি কর ২১ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৩ শতাংশ করা হয়েছে। সাইকেল, ইলেকট্রিক গাড়ির দাম কমবে বলে ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী। চিমনির আমদানি শুল্ক কমায় দাম কমবে। সস্তায় পাওয়া যাবে দেশে তৈরি খেলনাও। শিল্পক্ষেত্রে ব্যবহৃত অ্যালকোহলের দামও কমে যাবে। দাম কমেছে হিরের গয়নারও। দাম কমছে মোবাইল ফোনেরও।
{link}
তবে কেন্দ্রীয় বাজেটের পরে দাম বাড়তে চলেছে সিগারেটের। একধাক্কায় ১৬ শতাংশ বাড়তে পারে সিগারেটের দাম। সেই সঙ্গে চিন থেকে আমদানি করা খেলনার উপরেও শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। মহার্ঘ হয়েছে মূল্যবান ধাতু। সোনা, রুপো, প্ল্যাটিনামের মতো ধাতুর দাম বাড়ায় গয়না ও বাসনের দাম বাড়ছে। কম্পাউন্ডেড রবারের আমদানি শুল্ক বাড়ায় দাম বাড়বে রবারের। যার ফলে সবমিলিয়ে কিসে দাম বাড়ছে, আর কিসে দাম করছে তা মনে রাখতে সাধারন মানুষের বেশ কিছুদিন সময় লাগবে। টিভি, মোবাইল ফোনে দাম কমার খবর যেমন খুশি প্রদান করছে, তেমনই সোনার মূল্যবৃদ্ধি চিন্তায় ফেলবে মধ্যবিত্ত গৃহস্থদের।
{ads}