শেফিল্ড টাইমস ডিজিটাল ডেস্ক: সাধারণ নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হতেই উত্তাল বাংলাদেশ। গত ১৫ ঘণ্টায় গোটা দেশে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে ১২টি যায়গায়। মানিকগঞ্জের একটি স্কুলে ও টাঙ্গাইলের কমিউটার ট্রেনেও আগুন লাগানোর খবর মিলেছে। বুধবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেন বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজি হাবিবুল আউয়াল। তিনি জানান, আগামী ৭ জানুয়ারি ভোট গ্রহণ হবে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। ১৭ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করার পরের দিনই বিলি করা হবে প্রতীক। কমিশন জানিয়েছে, বাংলাদেশে অবাধ, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষভাবে ভোট করানোর পরিবেশ রয়েছে। তাই প্রকাশ করা হয়েছে নির্বাচনের নির্ঘণ্ট। এরই প্রতিবাদে আজ, বৃহস্পতিবার দেশে অর্ধদিবস হরতালের ডাক দেয় বেশ কয়েকটি দল। নির্ঘণ্ট বাতিলের দাবিতে রবি ও সোমবার গোটা দেশে হরতালের ডাক দিয়েছে খালেদা জিয়ার বিএনপি। একই দাবিতে ওই দুদিনই বনধ পালন করবে সে দেশের ১২টি রাজনৈতিক দলের জোট। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভি বলেন, এই নির্বাচন কমিশন সরকারের আজ্ঞাবহ। জনমত উপেক্ষা করে একতরফাভাবে নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করে পুরো দেশকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিয়েছে সরকার। সরকার ভয় দেখিয়ে নির্বাচন কমিশনারকে নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করতে বাধ্য করেছে।
{link}
এর আগে বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়েছিল ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর। সংবিধান অনুযায়ী, সংসদের পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষের আগের ৯০ দিনের মধ্যে পরবর্তী সংসদ নির্বাচন করতে হয়। চলতি সংসদের মেয়াদ শেষ হবে নতুন বছরের ২৯ জানুয়ারি। সেই সময়সীমা মেনেই নির্বাচনের নির্ঘন্ট ঘোষণা করেছে কমিশন। ভোটগ্রহণ হবে কাগজের ব্যালটে। গত নির্বাচনে জাতীয় সংসদের ৩০০টি আসনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামি লিগ জিতেছিল ২৫৭টি। তাদের সহযোগী দল প্রয়াত এরশাদের জাতীয় পার্টি জয়ী হয়েছিল ২৬টিতে। খালেদা জিয়ার দল জিতেছিল মাত্র ৭টি আসনে। প্রসঙ্গত, বিএনপির মূল দাবি, আওয়ামি লিগের সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। ভোট গ্রহণ করতে হবে অবিভক্ত প্রশাসনের মাধ্যমে।
{ads}