তথাগত ঘোষ: পরোক্ষ করের ক্ষেত্রে মধ্যবিত্তকে বড় স্বস্তি প্রদান করল কেন্দ্র। বেশ কিছু সময় ধরেই দেশের পণ্য ও পরিষেবা করের পরিকাঠামোর ক্ষেত্রে একটি বড় পরিবর্তন লক্ষ্যণীয় হওয়ার প্রত্যাশা করা হচ্ছিল। অবশেষে জিএসটি কাউন্সিলের সাম্প্রতিকতম বৈঠকের শেষে পূরণ হল সেই প্রত্যাশা। জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকের শেষে বড় ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। একটি সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, অর্থমন্ত্রীর করা ঘোষণা অনুসারে, কমে যাচ্ছে জিএসটির স্ল্যাবের সংখ্যা। আর থাকবে না 12 শতাংশ এবং 28 শতাংশের জিএসটি স্ল্যাব। আগামী দিনে শুধুমাত্র 5 ও 18 শতাংশের জিএসটি স্ল্যাব বৈধ থাকবে। তবে, একইসঙ্গে স্বাস্থ্যর জন্য ক্ষতিকারক পণ্য এবং বিলাসবহুল পণ্যের জন্য 40 শতাংশের আয়কর স্ল্যাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে। চলতি মাসের 22 তারিখ থেকেই এই পরিবর্তিত পণ্য ও পরিষেবা কর (GST) কার্যকর হয়ে যাবে।
{link}
সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের ঘোষণা অনুসারে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পণ্যের দাম কমতে চলেছে। অপরদিকে, বিলাসবহুল পণ্যের দাম বাড়বে। তবে, সবচেয়ে বড় স্বস্তি মিলেছে জীবন ও স্বাস্থ্য বীমার ক্ষেত্রে। স্বাস্থ্য ও জীবন বীমার উপর প্রযোজ্য জিএসটির পরিমাণ শূন্য করে দেওয়া হয়েছে। আগে এই দুই বীমার ক্ষেত্রে 18 শতাংশ জিএসটি প্রদান করতে হত। কেন্দ্রীয় সরকার ও জিএসটি কাউন্সিলের এই সিদ্ধান্ত সাধারণ মানুষের জন্য বড়সড় স্বস্তি নিয়ে এসেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ। স্বাস্থ্য ও জীবন বীমা কে সম্পূর্ণভাবে জিএসটি থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।
{link}
একইসঙ্গে দাম কমতে চলেছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ওষুধের। দাম কমবে মাখন, ঘি, শ্যাম্পু, টুথপেস্ট, শেভিং ক্রিম, সহ আরও বেশ কিছু পণ্যের। কিছু নির্দিষ্ট বাইক এবং চারচাকা গাড়িরও দাম কমতে চলেছে। থার্মোমিটার এবং ক্লিনিকাল ডাইপারের মূল্যও হ্রাস পাবে। ফলে এই সমস্ত পণ্যের ক্ষেত্রে বড়সড় স্বস্তি পেতে চলেছেন গ্রাহকরা।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন (Nirmala Sitharaman) জানিয়েছেন, “তামাক এবং তামাকজাত পণ্য ছাড়া বাকি সমস্ত পণ্যের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য জিএসটির পরিবর্তন নবরাত্রির প্রথম দিন অর্থাৎ, 22 সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হবে।“ উল্লেখ্য, দেশের 31 টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মন্ত্রীরাও এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি জিএসটি কাউন্সিলের 56 তম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠক শেষে এই সিদ্ধান্তগুলি ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। সূত্রের খবর বুধবার 10 ঘন্টারও বেশি সময় ধরে এই বৈঠক চলেছে। আট বছরের পুরানো পরোক্ষ কর ব্যবস্থাপনার অধীনে এই পরবর্তী প্রজন্মের সংস্কারগুলির অনুমোদন করা হয়েছে। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে মূলত সাধারণ মানুষের উপর থেকে করের বোঝা হ্রাস করার পথে হেঁটেছে কেন্দ্র। স্পষ্টভাবেই সাধারণ মানুষের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের এই সাম্প্রতিক পদক্ষেপ বড়সড় স্বস্তি নিয়ে এসেছে।
{ads}