শেফিল্ড টাইম্স ডিজিটাল ডেস্ক : প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর থেকে অধীরকে নিয়ে রাজ্য কংগ্রেসের জল্পনা বেড়েছিল। পরাজিত হয়েছেন অধীর চৌধুরী। বর্তমানে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিও নেই তিনি। তবে কংগ্রেস সভাপতির পদ ছাড়ার পর হাত শিবিরের হাই কমান্ডের তরফে বড় দায়িত্ব দেওয়া হল বর্ষীয়ান নেতা অধীর চৌধুরী। AICC-র তরফে ঝাড়খণ্ড নির্বাচনের পর্যবেক্ষক হিসেবে নিযুক্ত করা হল কংগ্রেসের লোকসভার প্রাক্তন দলনেতা অধীর চৌধুরীকে।
{link}
এ ছাড়াও পর্যবেক্ষক করা হয়েছে তারিক আনোয়ার এবং তেলঙ্গানার উপমুখ্যমন্ত্রী ভাট্টি ভিক্রামার্কা মাল্লুকে। কংগ্রেস এবার ঝাড়খন্ডে ভালো ফল করবে বলে আশা করছে। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, AICC বিশেষ কৌশল নিয়েই অধীর চৌধুরীকে ঝাড়খন্ডের দায়িত্ব দিয়েছে। এবারে ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনের অন্যতম বড় ইস্যু বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ। মূলত, সাঁওতাল পরগনা ডিভিশনে এই অনুপ্রবেশের অভিযোগ ভোটের একমাত্র নির্ণায়ক ইস্যু হতে চলেছে। বিজেপির অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গের মালদহ, মুর্শিদাবাদকে করিডর করেই ঝাড়খণ্ডের সাঁওতাল পরগনায় অনুপ্রবেশ ঘটছে। স্থানীয় মানুষদের অভিযোগ, আদিবাসী সম্প্রদায়ের জমি দখল করছে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা। ফলে ঝাড়খন্ডের জন বিন্যাসের সমস্যা তৈরী হয়েছে।
{link}
সাঁওতাল পরগনা ডিভিশনের ১৮টি আসনের মধ্যে ২০১৯ এর নির্বাচনে ১৪টিতে জিতেছিল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা। মাত্র চারটি আসন পেয়েছিল বিজেপি। অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গের বিরুদ্ধে সেন্টিমেন্টকে কাজে লাগিয়ে আদিবাসীদের মধ্যে অনুপ্রবেশের ইস্যু প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা চালাচ্ছে পদ্মশিবির। এবার সেই বিষয়টিকে তুলে ধরার জন্যই অধীরকে পাঠানো হচ্ছে ঝাড়খন্ডে।
{ads}