আগের বছর ঠিক এই সময়ে মারণ ভাইরাস কামড় বসিয়েছিল আমদের দেশে, ঠিক তারপর থেকেই শুরু হয়েছিল দেশ জুড়ে লকডাউন। দেখতে দেখতে কেটে গেল এক বছর। নিউ নরম্যাল এখন আমাদের নরম্যাল জীবন হয়ে উঠেছে। আগের বছর মার্চ থেকে করোনা সংক্রমণ বেড়েছিল দেশ জুরে। শুধু সংক্রমণ বললে ভুল হবে বেড়েছিল দেশজুড়ে মৃত্যুর হারও। দীর্ঘ টানা লকডাউন চলার পর প্রায় বছরের শেষের দিকে গিয়ে উঠে যায় লকডাউন। করোনা টিকা আবিষ্কার হওয়ার পর একটু সবাই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে, এবার হয়তো আশার আলো দেখতে পাওয়া যাবে নতুন বছরে। কিন্তু আবার ফের মার্চ থেকে বাড়ছে সংক্রমণের সংখ্যা। মৃত্যুর পরিমাণও বৃদ্ধি পাচ্ছে। পরিস্থিতি আবার হাতের বাইরে যেতে বসেছে। চিকিৎসকদের মতে আসতে চলেছে করোনার ২য় পর্ব। রাজ্যে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে যেমন তেমন সুস্থ হয়ে ঘরেও ফিরেছেন অনেক মানুষ। দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ১৪ লক্ষ ৯ হাজার ৮৩১ জন। তাদের মধ্যে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরে এসেছেন ১ কোটি ১০ লক্ষ ২৭ হাজার ৫৪৩ জন। এদিন পর্যন্ত দেশে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লক্ষ ২৩ হাজার ৪৩২ জন। ভারতে এখনও পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৫৮ হাজার ৮৫৬ জন। টিকাকরণ আবিষ্কার হওয়ার পর অনেকেই ভেবেছিলো অতিমারির যাবার পালা এসেগেছে। কিন্তু ইউরোপীয় ইউনিয়ন যুক্ত বিভিন্ন দেশে যেমন, ইতালি, ফ্রান্স, জার্মানে অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, কারণ এই টিকা নেওয়ার পর একাধিকের রক্ত জমাট বেঁধে যাচ্ছিলো। যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে বলা হচ্ছে এই টিকা নিরাপদ।
টানা কয়েকদিন ধরেই দেশে বাড়ছিল দৈনিক করোনার সংক্রমণ। মঙ্গলবার মিলল একটু শান্তি। খানিকটা কমলো রাজ্যে দৈনিক করোনা সংক্রমন। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছে ২৪ হাজার ৪৯২ জন। মৃত্যু হয়েছে ১৩১ জনের। একই সময়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২০ হাজার ১৯১ জন। টিকাকরন চালু হলেও, করোনার দাপট কমলেও, এক বছরে একাধিকবার চরিত্র বদলেছে ভাইরাসটি। বিশেষজ্ঞদের মতে আসতে চলেছে ২য় পর্ব। এই সময়ে মুল অস্ত্র হচ্ছে সচেতনতা, যার অভাব লক্ষনীয় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আবার সচেতন হতে না পারলে এই ভাইরাসের হাত থেকে কেউ বাঁচাতে পারবেনা।
{ads}