শেফিল্ড টাইম্স ডিজিটাল ডেস্ক : শুধু বাংলায় নয়, সমস্ত ভারত জুড়েই বিস্তরভাবে ধরা পড়েছে ডিয়ার লটারি কেলেঙ্কারি। বাংলায় এই কেলেঙ্কারির সূত্রপাত সম্ভবত তৃণমূল নেতা অনুব্রত মন্ডলের হাত ধরে। তারপরেই দেখা যায় কলকাতার আরও কিছু নেতা এই লটারি থেকে প্রচুর টাকা পায়। সে তো ইতিহাস। কিন্তু সম্প্রতি সারা দেশে এই কেলেঙ্কারি ছড়িয়েছে পড়েছে। লটারি কেলেঙ্কারির তদন্তে বাংলা সহ ৬ রাজ্যে ইডির হানায় উদ্ধার টাকার পাহাড়।
{link}
পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, উত্তরপ্রদেশ, মেঘালয় ও পাঞ্জাবে হানা দিয়ে বিপুল টাকা উদ্ধার। 'ম্যারাথন' তল্লাশিতে নগদ ১২ কোটি ৪১ লক্ষ টাকা উদ্ধার। উদ্ধার হয়েছে ৬ কোটি ৪২ লক্ষ টাকা 'ফিক্সড ডিপোসিট সার্টিফিকেট', সোশাল মিডিয়ায় টাকার ছবি পোস্ট করে দাবি ইডির। ইডির এই অভিযানে এতো বিপুল টাকা সামনে আসে যে মানুষ স্তম্ভিত হয়ে যায়। প্রশ্ন উঠেছে যে লটারির টাকা বিজয়ীদের সরকারি ট্যাক্স দিয়ে টাকা নিজের একাউন্টে রাখতে তো কোনো আইনগত অসুবিধা নেই। তাহলে কেন এতো টাকা ঘরে লুকিয়ে রাখা?এখানেই উঠে এসেছে কালো টাকা সাদা করার প্রশ্ন। ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে, লটারি- কেলেঙ্কারির তদন্তে, কলকাতা-সহ বিভিন্ন জায়গায়, তল্লাশি চালায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের। বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার কলকাতার লেক রোড, লেক মার্কেট এলাকা থেকে উত্তর ২৪ পরগনার মাইকেলনগরে তল্লাশি অভিযান চালান ইডি অফিসাররা। তল্লাশিতে নগদ প্রায় ৯ কোটি উদ্ধার হয়েছে বলে এজেন্সি সূত্রে দাবি। আশ্চর্যর বিষয় হলো এই লটারি কেলেঙ্কারি তদন্তে নেমে ইডির হাতে আসে পড়ুয়াদের ট্যাব কেনার টাকা হাতানোর অভিযোগ। এমনিতেই সেই বহু আগে গরু পাচার, কয়লা, মাটি, নিয়োগ দুর্নীতি তো ছিলই তার পরেই রেশন দুর্নীতির হাত ঘুরে এখন লটারি ও ট্যাব কেলেঙ্কারি। সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আবাস যোজনা কেলেঙ্কারি। সব মিলিয়ে শুধুই কেলেঙ্কারি। নির্বাচনের আগে উচ্চ আদালতের নির্দেশে সামনে এসেছিলো নির্বাচনী বন্ড কেনার হিসাব। আর তাতে দেখা গেছে ভারতে বিজেপি ও তৃণমূল এই নির্বাচনী বন্ড কেনার একদম প্রথমে।
[link]
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে নির্বাচন কমিশন যে তথ্যে সামনে এনেছিল, তাতে দেখা যায়, রাজনৈতিক দলগুলিকে সবচেয়ে বেশি চাঁদা দিয়েছে সান্তিয়াগো মার্টিনের সংস্থা ‘ফিউচার গেমিং’। এই সান্তিয়াগো মার্টিন এবং তাঁর ঘনিষ্ঠদের ঠিকানাতেই বৃহস্পতিবার থেকে তেড়েফুঁড়ে তল্লাশি চালায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের একাধিক টিম। এই সংস্থাই ডিয়ার লটারি চালায়। ইডির একটি টিম পৌঁছে যায় লেক মার্কেট এলাকার এক আবাসনে। সব মিলিয়ে এক নতুন কেলেঙ্কারির নাম এখন 'লটারি কেলেঙ্কারি'।
{ads}