শেফিল্ড টাইম্স ডিজিটাল ডেস্ক : কর্মী শোষণের কালি লাগল ভারতীয় বংশোদ্ভুত হিন্দুজা পরিবারের (Hinduja Family) গায়ে! ব্রিটেনের সব চেয়ে ধনী এই পরিবারকে দোষী সাব্যস্ত করেছে সুইৎজারল্যান্ডের আদালত (Switzerland Court)। হিন্দুজা পরিবারের চারজনকে ৪ বছর পর্যন্ত কারাবাসের সাজাও শুনিয়েছে আদালত। রায় ঘোষণার সময় আদালতে অবশ্য উপস্থিত ছিলেন না হিন্দুজা পরিবারের কোনও সদস্য। মামলাগুলির মধ্যে মানব পাচারের অভিযোগ থেকে বেকসুর খালাস করা হয়েছে এই ধনকুবের পরিবারকে।
{link}
দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন অজয় হিন্দুজাও (Hinduja Family)। তিনি বলেন, “এটি লঘু পাপে গুরুদণ্ডের শামিল। সামাজিক সুবিচার নয়, বরং ন্যায় বিচারের কথা মাথায় রেখেই মামলা পরিচালিত হওয়া দরকার।”বিশ্বের ৩৮টি দেশে তেল, গ্যাস, ব্যাঙ্কিং ও স্বাস্থ্যক্ষেত্রের ব্যবসা রয়েছে হিন্দুজাদের। পরিবারের মোট সম্পত্তির মূল্য ৪ হাজার ৭০০ কোটি ডলারের কাছাকাছি। বিশ্বজুড়ে এঁদের বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তা ও কর্মচারির সংখ্যা লাখ দুয়েক। এহেন হিন্দুজা পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ভারত থেকে সুইৎজারল্যান্ডে জেনেভায় কর্মচারি নিয়ে আসত তারা। পরে তাদের পাসপোর্ট (passport) কেড়ে নিয়ে রেখে দিত নিজেদের হেফাজতে। আরও অভিযোগ, গার্হস্থ্য কর্মীদের সামান্য মাইনের বিনিময়ে অমানবিক পরিশ্রম করানো হত। বাড়িতে কোনও ভোজসভা বা আমোদ-প্রমোদ চললে কাজ করতে হত ভোররাত পর্যন্ত।
{link}
অনুমতি ছাড়া বাড়ির বাইরে যাওয়ার সুযোগ ছিল না ওই পরিচারক-পরিচারিকাদের। রান্নাঘরের মেঝেয় ঘুমোতে হত তাঁদের। কোনও ছুটিও দেওয়া হত না। এই গার্হস্থ্য কর্মীদের শোষণ, মানসিক নির্যাতন ও নিপীড়নের অপরাধে সাজা দেওয়া হয়েছে হিন্দুজাদের।আইনজীবী ইয়েভস বার্তোস্সা বলেন, “হিন্দুজারা একজন পরিচারক কিংবা পরিচারিকার থেকে একটি পোষ্য কুকুরের জন্য বেশি খরচ করেন। একজন মহিলা পরিচারিকাকে বেতন হিসেবে দিন প্রতি দেওয়া হয় মাত্র ৬৫৬.৭০ টাকা। সপ্তাহে সাতদিন ১৮ ঘণ্টা করে কাজ করতে হয় ওই গার্হস্থ্য কর্মীকে।”হিন্দুজা পরিবারের যাঁদের শাস্তি দিয়েছে আদালত, তাঁরা হলেন প্রকাশ হিন্দুজা, তাঁর স্ত্রী, ছেলে ও পুত্রবধূ। হিন্দুজা পরিবারের আইনজীবী বলেন, “এই রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন জানানো হবে উচ্চ আদালতে (Hinduja Family)।”
{ads}