শেফিল্ড টাইম্স ডিজিটাল ডেস্ক: পড়শি দেশ মায়ানমারে তিনি গিয়েছিলেন শ্রমিকের কাজে। সেখান থেকেই তিনি হয়েছেন লটারি কিং। সেই সান্তিয়াগো মার্টিনের (Santiago Martin) সংস্থাই নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে সব চেয়ে বেশি টাকা দান করেছে। ২০১৯ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে সান্তিয়াগোর সংস্থা নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে দিয়েছে ১ হাজার ৩৬৮ কোটি টাকা। বৃহস্পতিবার এই তথ্য নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। সেখান থেকেই জানা গিয়েছে লটারি কিংয়ের কেরামতি!
{link}
সান্তিয়াগো (Santiago Martin) একটি চ্যারিটেবল ট্রাস্ট চালান। এই ট্রাস্টের ওয়েবসাইট থেকে জানা গিয়েছে, মায়ানমারের রাজধানী ইয়াঙ্গনে শ্রমিকের কাজ করতেন তিনি। ভারতে ফেরেন ১৯৮৮ সালে। শ্রমিকের কাজ করে যে টাকা জমিয়েছিলেন, তা দিয়ে তামিলনাড়ুতে শুরু করেন লটারি ব্যবসা। পরে তাঁর এই ব্যবসা ছড়িয়ে পড়ে কেরালা, কর্নাটক এবং উত্তর-পূর্ব ভারতে। পরে নেপাল ও ভুটানেও ছড়িয়ে পড়ে তাঁর লটারি ব্যবসা। উত্তর-পূর্বে সরকারি লটারি স্কিমগুলি পরিচালনার ভারও নিয়েছিলেন সান্তিয়াগো। লটারি ব্যবসার টাকা তিনি বিনিয়োগ করেন নির্মাণ শিল্প, রিয়েল এস্টেট, বস্ত্র এবং আতিথেয়তা ব্যবসায়। অল ইন্ডিয়া ফেডারেশন অফ লটারি ট্রেড অ্যান্ড অ্যালায়েড ইন্ডাস্ট্রিজের প্রেসিডেন্টও তিনি। তাঁরই প্রচেষ্টায় ওয়ার্ল্ড লটারি অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য হয়েছে ফিউচার গেমিং অ্যান্ড হোটেল সার্ভিসেস প্রাইভেট লিমিটেড। উল্লেখ্য, তাঁর সংস্থার নাম ফিউচার গেমিং অ্যান্ড হোটেল সার্ভিসেস প্রাইভেট লিমিটেড।
যে ফিউচার গেমিং অ্যান্ড হোটেল সার্ভিসকে ‘দাতা’র ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে, সেই সংস্থার বিরুদ্ধেই তহবিল তছরুপ আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছিল।
{link}
২০১৯ সালে এই অভিযোগের তদন্তে নামে ইডি। তার আগে সংস্থার বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছিল সিবিআই। চার্জশিটে বলা হয়েছিল, সান্তিয়াগো মার্টিন ও তাঁর সংস্থা ২০০৯ সালের এপ্রিল মাস থেকে ২০১০ সালের অগাস্ট পর্যন্ত পুরস্কার বিজয়ীর টিকিটের সংখ্যা বাড়িয়ে ৯১০ কোটি টাকা ক্ষতি করেছে সিকিম সরকারের। সিবিআই চার্জশিট পেশ করার পরেই তদন্ত শুরু করে ইডি। গত মে মাসে সংস্থার কোয়েম্বাটোর ও চেন্নাইয়ের অফিসেও তল্লাশি চালানো হয়। ৯৬৬ কোটি টাকার নির্বাচনী বন্ড কিনেছে হায়দরাবাদের মেঘা ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার। এই তালিকায় রয়েছে ভারতী এয়ারটেল, ইন্ডিগো, আইটিসি সহ একাধিক সংস্থা (Santiago Martin)।
{ads}