শেফিল্ড টাইম্স ডিজিটাল ডেস্ক : সিরিয়ার (Syria) গৃহযুদ্ধে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সেখানে মানুষের জীবনের কোনো মূল্য নেই। মানুষ বড়ো অসহায় হয়ে কাঁদছে সেখানে। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আসাদের অনুগামীদের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের নিরাপত্তা আধিকারিকদের সংঘাতে দু’দিনে মৃত্যু হয়েছে হাজারের বেশি মানুষের। গত ৮ ডিসেম্বর পতন হয় বাশার আল-আসাদের সরকারের।
{link}
তারপরও নেভেনি অশান্তির আগুন। ফের তা চূড়ান্ত রূপ ধারণ করল। ৫০ বছর ধরে পশ্চিম এশিয়ার এই দেশটির ক্ষমতার রাশ ধরে রেখেছিল আসাদ পরিবার। ২০০০ সালে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট হন বাশার আল আসাদ (Bashar al-Assad)। কিন্তু জলঘোলা হতে শুরু করে ২০১১ সালে। আরব বসন্তের হাওয়ায় উত্তাল হয়ে ওঠে মরুদেশটি। মরু দেশে নেই কোনো গণতন্ত্র। আসাদ যা বলবে সেটাই আইন। এর বাইরে কোনো আইন নেই। এবার একনায়ক হঠাও, গণতন্ত্র ফেরাও স্লোগানে। শুরু হয়ে যায় গৃহযুদ্ধ।
{link}
আসাদকে গদিচ্যুত করতে ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়ে বিদ্রোহীদের যৌথমঞ্চ ‘সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেস’ (এসডিএফ)। কুর্দ বাহিনী পিপলস প্রোটেকশন ইউনিটের (ওয়াইপিজি) নেতৃত্বে আরম্ভ হয় এক অসম যুদ্ধ। লড়াইয়ে বিদ্রোহীদের সাহায্য করতে শুরু করে আমেরিকা। পাশাপাশি আসাদের হয়ে আসরে নামে ইরানের মদতপুষ্ট হেজবোল্লা, রাশিয়া। সেই থেকেই গৃহযুদ্ধে রক্তাক্ত হতে শুরু করে সিরিয়া।
{ads}