শেফিল্ড টাইম্স ডিজিটাল ডেস্ক : ২০২৩-’২৪ অর্থবর্ষে মিউচুয়াল ইভলিউশনের ক্ষেত্রে আউটস্ট্যান্ডিং (Outstanding) আউটকাম ভারতের। মিউচুয়াল ইভলিউশনের (Mutual Evolution) আয়োজন করেছিল ফাইনানসিয়াল অ্যাকশান টাস্ট ফোর্স, সংক্ষেপে এফএটিএফ (FATF)। ২৬ জুন থেকে ২৮ জুন পর্যন্ত সিঙ্গাপুরে এফএটিএফ প্লেনারি হয়েছিল। সেখান থেকেই তথ্য সংগ্রহ করেছে মিউচুয়াল ইভলিউশান। এই প্লেনারিতেই ‘রেগুলার ফলোআপ’ ক্যাটেগরিতে ফেলা হয়েছে ভারতকে। জি২০-র অন্তর্ভুক্ত দেশগুলির মধ্যে মাত্র চারটি দেশকে এই ক্যাটেগরিতে রাখা হয়েছে।
{link}
অর্থমন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অর্থ তছরুপ এবং সন্ত্রাসে অর্থায়নের বিরুদ্ধে ভারত যে চেষ্টা করছে, সেই লড়াইয়ের ক্ষেত্রে এটি একটি তাৎপর্যপূর্ণ মাইল ফলক। এই বিজ্ঞপ্তিতেই বলা হয়েছে (FATF), অর্থ তছরুপ ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন (financing রুখতে ভারত যে ঝুঁকি কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে, তাকে স্বীকৃতি দিয়েছে এফএটিএফ। প্রতারণা, দুর্নীতি এবং অর্গানাইজড ক্রাইমের ক্ষেত্রেও এতে কমেছে ঝুঁকি। বর্তমানে দেশ নগদ ভিত্তিক অর্থনীতি থেকে ডিজিটাল অর্থনীতির দিকে যাচ্ছে। এর ফলেও অর্থ তছরুপ এবং সন্ত্রাসে অর্থায়নের ঝুঁকি কমছে। জনধন, আধার এবং মোবাইল এই তিন মাধ্যমেও নগদের পরিবর্তে বাড়ছে ডিজিটাল লেনদেন। এর ফলেও হ্রাস পাচ্ছে অর্থ তছরুপ এবং সন্ত্রাসে অর্থায়নের ঝুঁকি।
{link}
এফএটিএফ মিউচুয়াল ইভলিউশনে ভারতের পারফরমেন্স দেশের গ্রোয়িং অর্থনীতির ক্ষেত্রে বিরাট সুবিধা দিচ্ছে। এটা দেশের স্থায়ী এবং মজবুত অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকেও হাইলাইট করছে। অর্থমন্ত্রকের মতে, এই উচ্চ হার বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মার্কেট এবং প্রতিষ্ঠানের স্বরূপ চিনতে সাহায্য করে, বিনিয়োগকারীদের আত্মবিশ্বাস বাড়ায় এবং ভারতের দ্রুত পেমেন্ট সিস্টেমে বৈশ্বিক প্রসারকে সমর্থন করে। এফএটিএফের এই স্বীকৃতি আদতেঅর্থ তছরুপ এবং সন্ত্রাসে অর্থায়নে এতদিন পর্যন্ত ভারতের ওপর যে হুমকি ছিল, তার বিরুদ্ধে সরকার যে কঠোর এবং উপযুক্ত পদক্ষেপ করছে, তাকে সমর্থন করে। বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলির ক্ষেত্রেও এটা একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। কালো টাকা উদ্ধারে, অর্থ তছরুপ রুখতে এবং সন্ত্রাসে অর্থায়ন বন্ধ করতে ২০১৪ সাল থেকে ভারত সরকার (মোদি জমানা) যে বিভিন্ন পদক্ষেপ করেছে, এফএটিএফ আদতে তাকেই স্বীকৃতি দিয়েছে বলেই ধারণা অর্থনীতিবিদদের (FATF)।
{ads}