শেফিল্ড টাইম্স ডিজিটাল ডেস্ক : একথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) খামখেয়ালিপনায় ভারত ও আমেরিকার সম্পর্ক বেশ তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi) ছিলেন বিশ্বের প্রথম কয়েকজন নেতার একজন, যিনি ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই ওয়াশিংটন সফর করেন। সেখানে ট্রাম্প মোদিকে বলেন 'প্রিয় বন্ধু'। দুই দেশ ঘোষণা দেয়, তারা ২০৩০ সালের মধ্যে পারস্পরিক বাণিজ্য দ্বিগুণ করে ৫০০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্য নিয়েছে। কিন্তু এই সফরের ছয় মাসও পেরোয়নি, সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকেছে।
{link}
ভারত থেকে আমদানি করা পণ্যে ট্রাম্প এখন মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন। এছাড়া, ভারত ব্রিকস সদস্য হওয়ার কারণে আরও ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি আগেই দিয়েছিলেন তিনি। ওই জোটের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হলো চীন, রাশিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথমে ট্রাম্প ২৫ শতাংশ শুল্ক বসান। পরে, রাশিয়া থেকে ভারত তেল কেনার 'শাস্তি' হিসেবে বুধবার (৬ আগস্ট) তিনি আরও ২৫ শতাংশ বাড়তি শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন। দিল্লি এই সিদ্ধান্তকে বলেছে, 'অন্যায়, অযৌক্তিক ও অগ্রহণযোগ্য'। প্রথমিকভাবে ভারত এর কোনো কড়া প্রতিক্রিয়া না দিলেও পড়ে ভারত স্পষ্ট বুঝিয়ে দেয় নিজের দেশের কৃষকদের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে ভারত আমেরিকার সঙ্গে কোনো চুক্তিতে যাবে না। গত দুই দশকে ধারাবাহিকভাবে দুই দেশের সরকার, দুই দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সম্মিলিত প্রচেষ্টা এবং বৈশ্বিক ইস্যুতে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার কারণে যে সম্পর্ক দৃঢ় হয়েছে, তার এমন নাটকীয় পতন অভূতপূর্ব। গত দুই দশকে ধারাবাহিকভাবে দুই দেশের সরকার, দুই দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সম্মিলিত প্রচেষ্টা এবং বৈশ্বিক ইস্যুতে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার কারণে যে সম্পর্ক দৃঢ় হয়েছে, তার এমন নাটকীয় পতন অভূতপূর্ব।
{link}
গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই ওয়াশিংটন ও দিল্লির পক্ষ থেকে ইতিবাচক ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছিল, হয়তো শিগগিরই একটি বাণিজ্য চুক্তি হতে পারে। এখন সেই সম্ভাবনাও ম্লান হয়ে এসেছে, অনেকটাই অসম্ভব বলে মনে হচ্ছে। তাহলে হঠাৎ কী হলো?ত কয়েক সপ্তাহ ধরেই ওয়াশিংটন ও দিল্লির পক্ষ থেকে ইতিবাচক ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছিল, হয়তো শিগগিরই একটি বাণিজ্য চুক্তি হতে পারে। এখন সেই সম্ভাবনাও ম্লান হয়ে এসেছে, অনেকটাই অসম্ভব বলে মনে হচ্ছে। তাহলে হঠাৎ কী হলো? এখন পর্যন্ত ট্রাম্পের আক্রমণের জবাবে ভারত তুলনামূলক সংযত রয়েছে। তারা এখনো কূটনৈতিক পথে আলোচনার মাধ্যমে একটা সমাধানের আশা করছে। কিন্তু ট্রাম্পের হোয়াইট হাউসের কোনো নিশ্চয়তা নেই।
{ads}