শেফিল্ড টাইম্স ডিজিটাল ডেস্ক : ইজরায়েলের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক মসৃণ। ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধে ইজরায়েলেরই পাশে থেকেছে ভারত। তবে নয়াদিল্লি যে প্যালেস্তাইনের সঙ্গেও সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায়, আরও একবার তার প্রমাণ দিল মোদির ভারত। শুক্রবার রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় ভোটাভুটি হয়। বিষয় ছিল, প্যালেস্তাইনকে রাষ্ট্রসংঘের স্থায়ী সদস্য করা হবে কিনা। এই নির্বাচনেই অংশ নেয় ভারত এবং (খানিকটা আশ্চর্যজনকভাবে) ভোট দেয় প্যালেস্তাইনের পক্ষে। ভারত সাফ জানিয়ে দেয়, রাষ্ট্রসংঘের স্থায়ী সদস্য হওয়ার যোগ্যতা রয়েছে প্যালেস্তাইনের। বিষয়টি নিরাপত্তা পরিষদের আরও একবার বিরেচনা করে দেখা উচিত বলেও সওয়াল করে ভারত।
{link}
রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভার সদস্য সংখ্যা ১৯৩। এদিন সকালে বসে সাধারণ সভা। মে মাসের সাধারণ সভায় সভাপতিত্ব করে আরব গোষ্ঠী। আলোচ্য বিষয়, আরব দেশগুলির একটি প্রস্তাব। প্রস্তাবটি হল, রাষ্ট্রসংঘে নয়া সদস্যদের অন্তর্ভুক্তিকরণ। সংযুক্ত আরব আমিরশাহির তরফে প্যালেস্তাইনকে স্থায়ী সদস্য করার পক্ষে জোরদার সওয়াল করা হয়। এনিয়ে ভোটাভুটির সিদ্ধান্ত হয়। ভোটের ফল বের হলে দেখা যায়, প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়েছে ১৪৩টি। বিপক্ষে ভোট পড়েছে ৯টি। ভোটদানে বিরত থেকেছেন রাষ্ট্রসংঘের ২৫টি সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা।ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ অব্যাহত। এই হামাসদের দখলে রয়েছে প্যালেস্তাইনে গাজা ভূখণ্ড। ইহুদি রাষ্ট্র ইজরায়েলের ওপর প্রথম হামলা চালায় হামাসরা। হামাসরা ধর্মে মুসলমান। যুদ্ধ শুরুর সময় ইজরায়েলের পাশে ছিল ভারত। এখনও আছে।
{link}
তবে ইজরায়েলকে যুদ্ধ বন্ধের বার্তাও দিয়েছে। ইজরায়েলি সেনার হানায় গাজায় সাধারণ মানুষের মৃত্যুর নিন্দাও করেছে ভারত। হামাস যখন প্রথমে ইজরায়েলে নৃশংসভাবে সাধারণ মানুষকে হত্যা করতে শুরু করে, তখনও কড়া প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছিল ভারত। এহেন আবহেই প্যালেস্তাইনের পাশে দাঁড়াল ভারত। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, এভাবে কূটনৈতিক ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করল নয়াদিল্লি।উল্লেখ্য যে, ভারতই প্রথম নন-আরব দেশ যারা প্যালেস্তাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনকে স্বীকৃতি দিয়েছে। ১৯৭৪ সাল থেকে তারা যে প্যালেস্তাইনের নাগরিকদের বৈধ প্রতিনিধিত্ব করছে, তাও স্বীকার করে নিয়েছে। ১৯৮৮ সালে ভারতই প্রথম রাষ্ট্র যারা প্যালেস্তাইনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল। ১৯৯৬ সালে গাজায় রিপ্রেসেন্টেটিভ অফিসও তৈরি করেছিল। ২০০৩ সালে অবশ্য এই অফিসটিকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় রামাল্লায়।
{ads}