শেফিল্ড টাইম্স ডিজিটাল ডেস্ক : কিম জং উন (Kim Jong Un) - উত্তর কোরিয়ার (North Korea) একনায়ক শাসক। যিনি রাশিয়া ও চিনের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্কের বন্ধনে আটকা। তার দেশেই ভারত আবার দূতাবাস খুলতে চলেছে। কোভিডের আগে তা থাকলেও পরে বন্ধ হতে যায়। এবার সেই কিম মোদীর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে উৎসাহী। বুধবার যখন বেজিংয়ে ভারত- চিনের হাই-প্রোফাইল বৈঠক চলছে, তখনই উত্তর কোরিয়ার রাজধানীতে পিং-ইয়ং-এ বেশ কয়েকটা ব্যাপারস্যাপার ঘটে গেল।
{link}
প্রথমে কিমের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক, পরে কিমের বিশেষ দূতের সঙ্গে আলোচনা করলেন ভারতের প্রতিনিধিরা। নতুন বছরের শুরুতেই পিয়ং ইয়ংয়ে ভারতের দূতাবাস চালু হচ্ছে। যেখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখার কাজও শেষ। অভিজ্ঞ কূটনীতিকরা বলছেন, নিরাপত্তা চেক-টেক পরের কথা। দুনিয়ায় মাত্র ১০টি দেশের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্ক বরাবর অটুট। ভারত তার অন্যতম। তবে এই প্রথম কিমের দেশে সমস্ত সুবিধা সহ দূতাবাস চালু করছে ভারত। অর্থাত্ এখান থেকে যেমন ভিসা সংক্রান্ত কাজ হবে, তেমনি কূটনৈতিক কাজকর্মও চলবে। দূতাবাসে কর্মী সংখ্যাও বাড়বে। কিম জং উনের অফিসের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখবে ভারত।
{link}
হঠাৎ কেন ভারত এই উদ্যোগ নিলো আর কেনইবা উত্তর কোরিয়া ভারতকে চাইছে? এই মুহূর্তে রাশিয়া-চিনের অন্যতম ঘনিষ্ঠ বন্ধু উত্তর কোরিয়া। পুতিনকে সাহায্য করতে নাকি ইউক্রেনে সেনাও পাঠিয়েছেন কিম। এই অবস্থায় উত্তর কোরিয়াকে হঠাত্ করে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া শুরু করল নয়া দিল্লি। কিমের দেশ নিয়ে এত উত্সাহ কেন? জয়শঙ্করের মন্ত্রক একেবারে চুপচাপ। অভিজ্ঞ কূটনীতিকরা মনে করাচ্ছেন, ভারত ও উত্তর কোরিয়ার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বরাবরই ভাল। আন্তর্জাতিক মহল যখন উত্তর কোরিয়াকে ব্রাত্য করে রেখেছে, ভারত তখন অন্য পথেই হেঁটেছে। বিদেশমন্ত্রকের একটি সূত্র যা দাবি করছে, সেটা ভীষণ ইন্টারেস্টিং। উত্তর কোরিয়ার সর্বাধিনায়ক নাকি ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে ভীষণ আগ্রহী। এবং তার হয়ে ভারতের কাছে দরবার করেছেন ভারতেরও কোনও বন্ধু দেশের রাষ্ট্রপ্রধান।
{ads}