শেফিল্ড টাইম্স ডিজিটাল ডেস্ক : ইরানকে জবাব দিল ইজরায়েল। শুক্রবার ভোরে ইরানের লক্ষ্যবস্তুতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে তেলআভিভ। মার্কিন সংবাদ মাধ্যমের পাশাপাশি ইসফাহানে বিস্ফোরণের বার্তা সম্প্রচার করা হয়েছে ইরানের সরকারি টেলিভিশনেও। ইরানের একটি বিমানবন্দরেও ক্ষেপণাস্ত্র হানা হয়েছে বলে খবর। ইরানের ইসফাহানেই রয়েছে নাতাঞ্জ-সহ কয়েকটি পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র। রয়েছে ইউরেনিয়াম পরিশোধন কেন্দ্রও।
{link}
প্রসঙ্গত, গত শনিবার ইরানিয়ান সেনা তিনশোটিরও বেশি ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্তার হামলা চালিয়েছিল ইজরায়েলে। তবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করার আগেই সেগুলিকে গুলি করে নামিয়ে ফেলেছিল মার্কিন সেনা। এর পরেই ইরানকে প্রত্যাঘাতের বার্তা দিয়েছিলেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। ইজরায়েল যে প্রত্যাঘাত করবেই তা জানিয়েছিলেন ব্রিটেনের বিদেশমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনও। পশ্চিম এশিয়ায় অশান্তির কালো মেঘ ঘনাতেই ইজরায়েলকে ইরানে প্রত্যাঘাত থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানায় আমেরিকা, রাশিয়া সহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ। ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও দুই দেশে ফোন করে কূটনৈতিক স্তরে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করার কথা বলেছেন। এমনই আবহে ইরানিয়ান শহরে হামলা চালাল ইজরায়েল।
{link}
এই হামলার চব্বিশ ঘণ্টা আগেই ইরানের আইআরজিসি কমান্ডার হুঁমকি দিয়েছিলেন, ইজারায়েলের নিউক্লিয়ার সাইটগুলিতে হামলা চালানো হবে। এর পরেই অ্যাটোমিক ফেসিলিটিকে ধ্বংস করতে মিশাইল ছুড়ল তেল আভিভ। এখানকার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা জেনারেল আহমেদ হাগতালাব বলেন, ইজরায়েলের এই আক্রমণের পর ইরানকে এবার নিউক্লিয়ার ডকট্রিন নিয়ে বিশদে ভাবনাচিন্তা করতে হবে। জানা গিয়েছে, শুক্রবার কাকভোরে ইরানে আছড়ে পড়ে বেশ কয়েকটি ইজরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র। ইরানের দাবি, ইজরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্রগুলিকে প্রতিহত করেছে তারা। একাধিক মিসাইল গুলি করে নামিয়েছে তেহরান। ইরানেরই অন্য এক সামরিক আধিকারিক অবশ্য অস্বীকার করেছেন হামলার কথা।
{ads}