মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচন আসন্ন। এমতাবস্থায় ঘুঁটি সাজাচ্ছেন বিরোধীরা। দেশের সাধারণ নির্বাচনে বিজেপিকে পরাস্ত করতে জোট বেঁধেছে ২৬টি রাজনৈতিক দল। জোটের নাম দেওয়া হয়েছে ইন্ডিয়া। রণকৌশল স্থির করতে মুম্বইয়ে বৈঠকে বসেছেন ইন্ডিয়ার নেতারা। আরব সাগরের তীরে যখন অস্ত্রে শান দিচ্ছে ইন্ডিয়া, সেই সময় বাংলা নিয়ে বৈঠকে বসছেন বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা। নাড্ডার ডাকা বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা স্মৃতি ইরানি, ধর্মেন্দ্র প্রধানের মতো বিজেপির প্রথম সারির নেতাদের। যেহেতু বাংলায় তৃণমূলকে কোণঠাসা করার দায়িত্ব ন্যস্ত করা হয়েছিল এঁদের ওপর, তাই তাঁদের সঙ্গেই আলোচনায় বসছেন বিজেপি সভাপতি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বাংলার পর্যবেক্ষকদের কাছ থেকে পশ্চিমবঙ্গের লোকসভা কেন্দ্রগুলির অবস্থা বোঝার চেষ্টা করবেন তিনি।
{link}
পশ্চিমবঙ্গে লোকসভা কেন্দ্র রয়েছে ৪২টি। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে প্রথম চোখ ধাঁধানো ফল করেছিল পদ্ম শিবির। নির্বাচনের ফল বিশ্লেষণ করে গেরুয়া নেতৃত্ব জানতে পেরেছিলেন, যে ২৪টি আসনে ধরাশায়ী হতে হয়েছে তাঁদের, সেখানে ব্যবধান ছিল খুব কম। বাংলার এই আসনগুলির পাশাপাশি দেশের ১০০টি কেন্দ্রেও অল্প ভোটের ব্যবধানে হেরেছেন পদ্ম প্রার্থীরা। এই আসনগুলিকে কীভাবে পদ্মঝুলিতে নিয়ে আসা যায়, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে গেরুয়া শিবির। বাংলায় যে ২৪টি আসনে অল্প ভোটের ব্যবধানে হারতে হয়েছে বিজেপি প্রার্থীকে, সেই আসনগুলির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল স্মৃতি, ধর্মেন্দ্র, প্রতিমা ভৌমিক সহ দলের শীর্ষ স্থানীয় কয়েকজন নেতাকে। এই বৈঠকে এঁদের কাছ থেকেই বাংলার আসনগুলির হালহকিকৎ জানতে চাইছেন নাড্ডা।
{link}
এদিকে, ভোটার তালিকা যাতে স্বচ্ছভাবে প্রস্তুত করা হয়, তা নিশ্চিত করতেও বঙ্গ বিজেপিকে নির্দেশ দিয়েছেন নাড্ডা। নয়া ভোটারদের নাম তালিকায় উঠছে কিনা, সেদিকেও বিশেষ নজর দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তালিকায় ভুয়ো ভোটারের নাম থাকলে তা বাদ দিতে দলীয় কর্মীদের ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশও দিয়েছেন বিজেপি সভাপতি। শেষ যেবার বঙ্গ সফরে এসেছিলেন নাড্ডা, তখনই তিনি এইসব নির্দেশ দিয়ে গিয়েছে বলে পদ্ম-শিবির সূত্রে খবর। পুরো প্রক্রিয়া যাতে সুচারুভাবে হয়, তাই রাজ্যস্তরে সাত সদস্যের একটি কমিটি তৈরি করেছে বিজেপি। জেলাগুলিতে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠনের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। বিধানসভাগুলিতে তিন সদস্যের কমিটি গঠনের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে বলে খবর।
{ads}
.jpeg)
