শেফিল্ড টাইম্স ডিজিটাল ডেস্ক : ভারতে সংখ্যালঘুরা বিপদে রয়েছেন বলে যা বলা হচ্ছে, তা সর্বৈব মিথ্যা। সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, এ সংখ্যালঘুদের নিয়ে যা বলা হচ্ছে, তা ভুল প্রমাণিত হচ্ছে।
{link}
তিনি বলেন, ১৯৫০ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে ভারতের হিন্দুর সংখ্যা কমেছে ৮ শতাংশ। আর সংখ্যালঘুরা বেড়েছেন ৪৩ শতাংশ। এই যে তথ্য দেওয়া হয়েছে, সেখানে কোথাও একটা ভুল হচ্ছে। ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। আমি এ ব্যাপারে কিছু ব্যাখ্যা দেব না। তিনি বলেন, এটা যদি তথ্যই হয়, তাহলে মনে হবে ভারতে সংখ্যালঘুরা দমিত হয়ে রয়েছেন। এ দেশে তাঁদের স্বর পাত্তা পায় না। এই সমস্ত ব্যাখ্যা তৈরি করা হচ্ছে। ভারতের বিরুদ্ধে এভাবে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। দয়া করে সত্যটা জানুন, এবং ঠিকঠাক ব্যাখ্যা দিন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত সামনের দিকে এগোচ্ছে। এজন্য প্রত্যেকের সাহায্য প্রয়োজন। প্রত্যেকের কল্যাণের প্রয়োজন। প্রত্যেককেই মনে রাখতে হবে বসুধৈব কুটুম্বকমের সেই চিরন্তনী আপ্তবাক্য।
{link}
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ইএসি-পিএম একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে। তাতে দাবি করা হয়েছে, ১৯৫০ থেকে ২০১৫ সাল এই পর্বে ভারতে সংখ্যাগুরু হিন্দু জনসংখ্যা কমেছে ৭.৮২ শতাংশ। এই সময়সীমায় মুসলমানের হার ৯.৮৪ থেকে বেড়ে হয়েছে ১৪.৯ শতাংশ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে আমাদের। এবং এজন্য যে মন্ত্র আমি অনুধ্যান করি তা হল, সবকা সাথ, সবকা বিকাশ। ২০১৪ সালে আমি যখন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাজ শুরু করি, আমি এর সঙ্গে জুড়ে দিয়েছিলাম আরও দুটি শব্দবন্ধ। সেটি হল, সবকা বিশ্বাস এবং সবকা প্রয়াস। সরকার যে কাজ করবে, সেখানে কোনও বৈষম্য থাকা উচিত নয়। সেটা ধর্ম হোক কিংবা বর্ণ অথবা লিঙ্গ – কোনও দিক থেকেই কোনও বৈষম্য কাম্য নয়।
{ads}