শেফিল্ড টাইম্স ডিজিটাল ডেস্ক : “ভারতের উন্নয়নের গতিপথ আমাদের অহংকার ও গর্বের স্বপ্ন পূরণ করেছে।” ভারতবাসীর উদ্যেশ্যে লেখা এক চিঠিতে এ কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PMModi)। নির্বাচনী প্রচারের শেষে দেশের দক্ষিণতম বিন্দু কন্যাকুমারীতে গিয়ে টানা ৪৫ ঘণ্টা ধ্যান করেছেন প্রধানমন্ত্রী। কন্যাকুমারীর ধ্যান মণ্ডপে (যেখানে বসে স্বামী বিবেকানন্দ ধ্যান করেছিলেন) প্রায় দু’দিন ধরে ধ্যান করার পর তাঁর উপলব্ধি, “এই দু’দিন বহির্জগৎ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলাম আমি।”
{link}
চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন,“আমাদের দেশে আজই (পয়লা জুন) শেষ হচ্ছে গণতন্ত্রের বৃহত্তম উৎসব। এই দেশ গণতন্ত্রের মাতৃস্বরূপা। কন্যাকুমারীতে তিনদিনের আধ্যাত্মিক যাত্রা শেষে আমি এই মাত্র দিল্লির উড়ান ধরলাম। এই দিনে কাশী এবং আরও কয়েকটি আসনে ভোট গ্রহণ-পর্ব চলছে। আমার মনে অনেক অভিজ্ঞতা, আবেগ সঞ্চিত হয়েছে।” তিনি (PMModi) লিখেছেন, “আমি নিজের মধ্যে অপার শক্তির প্রবাহ অনুভব করেছি। এই সময় নির্বাচনের কোনও তাপ-উত্তাপ, কূট-কচালি আমায় স্পর্শ করেনি।”প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “আমার মধ্যে বহির্জগৎ থেকে বিচ্ছিন্নতার একটা ভাব এসেছিল...আমার মন বর্হিজগৎ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। এত বিশাল দায়িত্বের মধ্যে ধ্যান করে যাওয়াটা আমার কাছে চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠেছিল। কিন্তু কন্যাকুমারীর ভূমি এবং স্বামী বিবেকানন্দের প্রেরণা আমার কাজকে অনায়াস করে দিয়েছিল।”
{link}
তিনি লিখেছেন, “আমি নিজেও একজন প্রার্থী, আমার প্রচারের ভার আমি ছেড়ে দিয়েছিলাম আমার প্রিয় কাশীবাসীর ওপর। তাঁদের ওপর দায়িত্ব দিয়ে আমি এখানে চলে এসেছিলাম। আমি ঈশ্বরের প্রতি কৃতজ্ঞ এই ভেবে যে আমার জম্মের সময় থেকে তিনি আমার মধ্যে এই মূল্যবোধ গেঁথে দিয়েছিলেন। আমি আজীবন এটাকেই লালন-পালন করেছি। চেষ্টা করেছি এই মূল্যবোধ নিয়েই বেঁচে থাকতে।” তিনি লিখেছেন, “বহির্জগৎ থেকে বিচ্ছিন্ন হলেও, অপার শান্তি এবং নীরবতার মধ্যে থাকলেও আমার মন নিরন্তর ভেবে গিয়েছে উজ্জ্বল ভারতের ভবিষ্যৎ নিয়ে, ভারতের লক্ষ্য নিয়ে। কন্যাকুমারীর উদীয়মান সূর্য আমার চিন্তা-ভাবনাকে এক নয়া উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিল। দিগন্ত বিস্তৃত সমুদ্র আমার ধারণাকে প্রসারিত করেছে। মহাবিশ্বের মধ্যে নিহিত ঐক্য এবং একত্ব আমায় উপলব্ধি করিয়েছে আকাশ আর সমুদ্রের মিলনরেখা (PMModi)।
{ads}