header banner

Muizzu : মুইজ্জু সরকারের অতিরিক্ত চিনা প্রেমই কারণ হতে পারে সে দেশের দুর্দশার

article banner

শেফিল্ড টাইম্‌স ডিজিটাল ডেস্ক : চিন-প্রেমই কাল হতে পারে দ্বীপরাষ্ট্র মলদ্বীপের (Maldives)। অবশ্য আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার একথা বলেনি। তবে তারা সাফ জানিয়ে দিয়েছে, চরম আর্থিক সঙ্কটের মুখোমুখি হতে পারে মলদ্বীপ। চিনা ঋণের ফাঁদে পড়ে সর্বস্বান্ত হয়েছিল আর এক দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা। এই একই কারণে পথে বসেছিল ভারতের আর এক প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানও। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, মুইজ্জু সরকারের অতিরিক্ত চিনা প্রেমই কারণ হতে পারে সে দেশের দুর্দশার। আইএমএফ (IMF) জানিয়ে দিয়েছে, যেভাবে মলদ্বীপ সরকার বিদেশ থেকে ঋণের বোঝা নিজেদের ঘাড়ে চাপাচ্ছে, তাতে দেশটিতে দেখা দিতে পারে ঋণ সঙ্কট।

{link}

গত নভেম্বর মাসে ভারতপন্থী মহম্মদ সোলিকে সরিয়ে মলদ্বীপের (Maldives) প্রেসিডেন্ট হন চিনপন্থী নেতা মহম্মদ মুইজ্জু। তার পরেই ভারত নয়, মুইজ্জুর চিন-প্রীতি বেআব্রু হয়ে পড়ে। ক্ষমতায় আশার পর প্রথা মেনে মলদ্বীপের রাষ্ট্রপ্রধানরা প্রথমে যান পরম মিত্র দেশ ভারত দর্শনে। পরে অন্য কোনও দেশে। দীর্ঘ দিনের সেই প্রথা ভেঙে ক্ষমতায় এসেই মুইজ্জু চলে যান চিন সফরে। সম্প্রতি মুইজ্জু সরকারের তিনি মন্ত্রী ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করেন। দ্বীপরাষ্ট্র প্রধানের সরকারের এহেন দুই আচরণে যারপরনাই ক্ষুব্ধ ভারত। ফলশ্রুতি হিসেবে, পরম মিত্র ভারতের সঙ্গে মলদ্বীপের সম্পর্ক গিয়ে দাঁড়িয়েছে তলানিতে।

{link}


মুইজ্জু সরকার গঠনের পর (Maldives) উন্নয়নের স্বার্থে মলদ্বীপকে অর্থ সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল চিনের জিনপিং সরকার। জানা গিয়েছে, চিনের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ ঋণ বাবদ নিয়েছে মুইজ্জু সরকার। চিন থেকে মুইজ্জু সরকার কত অর্থ নিয়েছে, তা জানায়নি আইএমএফ। তবে বিদেশি ঋণ নিয়ে মলদ্বীপ সরকারের যে জরুরি নীতি সমন্বয়ের প্রয়োজন রয়েছে, তা জানিয়ে দিয়েছে আইএমএফ। আইএমফের তরফে জানানো হয়েছে, উল্লেখযোগ্য নীতিগত পরিবর্তন ছাড়াই মলদ্বীপের সামগ্রিক রাজস্বে ঘাটতি এবং ঋণ বৃদ্ধির অনুমান করা হচ্ছে। মলদ্বীপ বিদেশি ও সামগ্রিক ঋণ সঙ্কটের ঝুঁকির মুখে রয়েছে বলেও জানিয়ে দিয়েছে আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার। দ্বীপরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রককে উদ্ধৃত করে বিশ্বব্যাঙ্ক জানিয়েছে, ২০২১ সালের হিসেবে চিনের কাছ থেকে ঋণ বাবদ মলদ্বীপের নেওয়া ৩০০ কোটি ডলারের ৪২ শতাংশ মেটানো বাকি ছিল। এমতাবস্থায় ফের আশঙ্কার কথা শোনা গেল আইএমএফের মুখে (Maldives)।

{ads}

News Maldives Muizzu China সংবাদ

Last Updated :