শেফিল্ড টাইমস ডিজিটাল ডেস্ক: মঞ্চে উপস্থিত স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এছাড়াও রয়েছেন এনডিএ জোটের আরও তাবড় তাবড় শীর্ষ নেতৃত্বেরা। রয়েছেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। দেশের রাজনীতির এই তাবড় তাবড় ব্যক্তিত্বদের উপস্থিতিতেই বৃহস্পতিবার পাটনার গান্ধী ময়দানে ইতিহাস গড়লেন নীতিশ কুমার। দশম বারের জন্য বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিলেন তিনি। একইসঙ্গে এনডিএ জোটের বিহারে শক্তিশালী জয়ের পর গঠিত হয়ে গেল পরবর্তী সরকার। একই মঞ্চ থেকে নীতিশের সঙ্গেই এদিন শপথবাক্য পাঠ করেন তাঁর মন্ত্রীসভার ১৯ জন সদস্য। বিহারের রাজনৈতিক ময়দানে আজকের দিনটি বাস্তবিকভাবেই একটি বড় দিন হয়ে উঠেছে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ।
দীর্ঘদিন ধরেই বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন নীতিশ। একটি সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, এই নিয়ে দশম বারের জন্য বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করলেন তিনি। এদিন বিহারের উপ মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন বিজেপির সম্রাট চৌধুরী এবং বিজয় কুমার। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার গান্ধী ময়দানে নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। এছাড়াও, NDA জোটের শাসনের অধীনে থাকা অন্যান্য রাজ্যের একাধিক মুখ্যমন্ত্রীদেরও মঞ্চে থাকতে দেখা গিয়েছে।
{link}
বিজেপির পাশাপাশি অন্যান্য শরিক দলগুলিকেও বিহারের মন্ত্রীসভায় তাদের প্রাপ্ত আসনের পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রিত্ব দেওয়া হতে চলেছে। সূত্রের খবর, রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চা (RLM) বা হ্যাম (এস) একটি মন্ত্রিত্ব পেতে চলেছে। অপরদিকে চিরাগ পাসোয়ানের লোক জনশক্তি পার্টি (রাম বিলাস) ৩ টি মন্ত্রিত্ব পাচ্ছে। বাকি মন্ত্রিত্ব ভাগাভাগি করা হয়েছে বিজেপি এবং জেডিইউ –এর মধ্যে।
বিহারের এই জয় বাংলার নির্বাচনের আগে বিজেপির আত্মবিশ্বাসে একটি বড় বুস্টার হয়ে উঠেছে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। ইতিমধ্যেই একাধিক বিজেপি নেতৃত্বও বিহারের পর এবার বাংলা জয়ের হুঙ্কার দিয়েছেন। ফের বঙ্গে শীঘ্রই বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বদের আনাগোনা লক্ষ্যণীয় হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। যদিও, তাদের এই স্বপ্ন আদৌ পূরণ হবে না বলে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল নেতৃত্বরা। তবে, মাঠে লড়াই যে কঠিন হবে, সেই বিষয়টি কার্যত স্পষ্ট।
{ads}