তথাগত ঘোষ: জিএসটি কাউন্সিলের 56 তম বৈঠকে গৃহীত হয়েছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। এই সিদ্ধান্তগুলির মাধ্যমে মূলত মধ্যবিত্তদের জন্য বড়সড় স্বস্তি এনে দিয়েছে কেন্দ্র। পরোক্ষ কর পরিকাঠামোয় করা হয়েছে বড়সড় পরিবর্তন। চারটির পরিবর্তে আগামী দিনে বৈধ হতে চলেছে শুধুমাত্র দুটি জিএসটি স্ল্যাব। তুলে দেওয়া হচ্ছে 12 ও 28 শতাংশের জিএসটি স্ল্যাবগুলি। পরিবর্তে, থাকতে চলেছে শুধুমাত্র 5 ও 18 শতাংশের জিএসটি স্ল্যাব। তবে, একইসঙ্গে স্বাস্থ্যর জন্য ক্ষতিকারক এবং বিলাসবহুল পণ্যের জন্য নতুন 40 শতাংশের জিএসটি স্ল্যাব চালু করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। সামগ্রিকভাবে মূল্যবৃদ্ধির মধ্যে নাজেহাল আমজনতার জন্য এই সিদ্ধান্তগুলি খুব ইতিবাচক হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মতে জিএসটি কাউন্সিলের এই সিদ্ধান্তগুলির মধ্যে, সাধারণ মানুষের জন্য সবচেয়ে বড় স্বস্তি এসেছে বীমার ক্ষেত্রে। জিএসটি কাউন্সিলের সাম্প্রতিক বৈঠকে স্বাস্থ্য ও জীবন বীমার উপর প্রযোজ্য জিএসটি তুলে নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ, আগামী দিনে স্বাস্থ্য ও জীবন বীমার ক্ষেত্রে কোনও ধরনের জিএসটি প্রদান করতে হবে না। আগে লাইফ ও হেলথ ইন্সুরেন্সের ক্ষেত্রে গ্রাহকদের 18 শতাংশের জিএসটি প্রদান করতে হত। একধাক্কায় এটি 18 শতাংশ থেকে কমে শূন্য হয়ে গিয়েছে। বীমার গ্রাহক ও পলিসি হোল্ডারদের জন্য এটি একটি বড় স্বস্তির কারণ হয়ে উঠেছে।
{link}
এই প্রসঙ্গে নির্মলা সীতারমন জানিয়েছেন যে, “বীমা পরিষেবার ক্ষেত্রে বর্তমানে যে 18 শতাংশ জিএসটি প্রযোজ্য রয়েছে সেটি দুই থেকে তিনটি ভিন্ন বিভাগে বিভক্ত হবে। টার্ম লাইফ, ইউএলআইপি অথবা এনডাউনমেন্ট পলিসি সহ সমস্ত ব্যক্তিগত জীবন বীমা পলিসিকে জিএসটি থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হচ্ছে। এর ফলে সাধারণ মানুষের জন্য বীমা সহজলোভ্য হয়ে উঠবে। সাশ্রয়ী করে তোলার পাশাপাশি দেশজুড়ে বীমা কভারেজ বৃদ্ধি করার জন্য এই পদক্ষেপ।“
এই বিষয়ে তিনি আরও উল্লেখ করেছেন যে, “পারিবারিক ফ্লোটার পলিসি এবং প্রবীণ নাগরিকদের জন্য প্রযোজ্য পলিসি সহ সমস্ত ব্যক্তিগত হেলথ ইন্সুরেন্স পলিসির উপর থেকেও জিএসটি তুলে নেওয়া হচ্ছে। এর ফলে, আরও বেশি সংখ্যায় মানুষ বীমা কভারেজের আওতায় আসবেন।“
(link)
অর্থাৎ, সমস্ত ব্যক্তিগত হেলথ ও লাইফ ইন্সুরেন্স পলিসি এখন থেকে জিএসটি মুক্ত হতে চলেছে। এই বিষয়টি উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির বাজারে সাধারণ মানুষের পকেটে চাপ অনেকটাই কমিয়ে দেবে বলে অনুমান করছেন বিশেষজ্ঞরা। একইসঙ্গে আরও বেশি সংখ্যায় মানুষ জীবন ও স্বাস্থ্য বীমা করতে সক্ষম হয়ে উঠবেন বলেও ধারণা করছেন তাঁরা। সামগ্রিকভাবে আমজনতার জন্য উৎসবের মরশুমের পূর্বে একটি বড়সড় সুখবর এনে দিয়েছেন কেন্দ্র।
{ads}