শেফিল্ড টাইম্স ডিজিটাল ডেস্ক : এই মুহূর্তে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে মৃত্যুদন্ড উঠে গেছে। সেই দলে নাম লেখালো জিম্বাবুয়ে (Zimbabwe)। মৃত্যুদন্ড ঠিক না বেঠিক তা নিয়ে তর্ক থাকতেই পারে। কিন্তু সত্যিই কি কোনো মানুষের প্রাণ কেড়ে নেওয়া মানবতার পক্ষে হয়? সে যাই হোক, এখন থেকে জিম্বাবোয়েতে আর মৃত্যুদন্ড দেওয়া যাবে না। প্রসঙ্গত, প্রায় দুদশক আগে শেষবার কাউকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল জিম্বাবোয়েতে। তারপর থেকে আর কাউকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়নি জিম্বাবোয়েতে।
{link}
কেনিয়া, ঘানার পথে হেঁটে এবার পাকাপাকি ভাবে বন্ধ করে দেওয়া হল মৃত্যুদণ্ড। তবে এর মধ্যে একটি ব্যতিক্রম রয়েছে। কেবলমাত্র দেশে জরুরি অবস্থা জারি হলে ফেরানো হতে পারে মৃত্যুদণ্ড। দিন দুই আগেই এমনই এক বিল পাশ হয়ে গেছে সে দেশের পার্লামেন্টে। মঙ্গলবারই সরকারি গেজেটে প্রকাশিত হয়েছে মৃত্যুদণ্ড প্রতিরোধ আইন। সেখানে বলা হয়েছে, এখন থেকে আর কাউকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া যাবে না। যাঁরা মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত, তাঁদের সাজা পালটে কারাদণ্ড দিতে হবে। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালেই মৃত্যুদণ্ড রদের প্রস্তাব দেন জিম্বাবোয়ের প্রেসিডেন্ট এমারসন মানগাগোয়া।
{link}
উল্লেখ্য, গত শতকের ছয়ের দশকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল এমারসনকে। সেই সময় স্বাধীনতার দাবিতে জিম্বাবোয়েতে চলছে গেরিলা যুদ্ধ। যদিও পরে তা রদ করা হয়। পরবর্তী কয়েক দশক ধরে মৃত্যুদণ্ডের সাজা রদে সরব ছিলেন তিনি। অবশেষে তিনি প্রেসিডেন্ট থাকাকালীনই এই আইন কার্যকর হল। এখনও পর্যন্ত সারা পৃথিবীর ১১৩টি দেশে মৃত্যুদণ্ড বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই নেই মৃত্যুদণ্ড। কিন্তু উত্তর কোরিয়া, ভারত, পাকিস্তান, আমেরিকার মতো দেশে এখনও তা চালু রয়েছে। হয়তো আর কিছুদিনের মধ্যে তাও বন্ধ হয়ে যাবে।
{ads}