শেফিল্ড টাইম্স ডিজিটাল ডেস্ক : মুখে অবশ্য ট্রাম্প (Donald Trump) ভারতকে বন্ধুরাষ্ট্র ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে (Modi) 'বন্ধু' বলে সম্বোধন করলেও আসলে তিনি কারোর বন্ধু নন। তিনি ব্যক্তিগত স্বার্থ রক্ষার জন্য ভারতের উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছেন। হঠাৎ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারতের উপরে শুল্ক ৫০ শতাংশ করে দেওয়ার আসল কারণ কী, তা ফাঁস করে দিলেন মার্কিন মুলুকের একটি কোম্পানিই। এবং কারণটা অবাক করে দেওয়ার মতো। আমেরিকার মাল্টিন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্ক তথা ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস কোম্পানি জেফারিজের রিপোর্টে দালি করা হয়েছে, ভারতের উপরে আমেরিকার ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপানোর পিছনে রয়েছে ট্রাম্পের ব্যক্তিগত কারণ।
{link}
গত মে মাসে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যখন সংঘাত হয়েছিল, সেই সংঘাতে মধ্যস্থতা করতে চেয়েছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু তাঁকে সেই সুযোগ দেওয়া হয়নি। আর সেই রাগেই ট্রাম্প রাতারাতি ভারতের উপরে দ্বিগুণ শুল্ক চাপিয়েছেন। একথা স্পষ্ট যে ট্রাম্প নিতান্তই ভারতের শত্রু হয়ে উঠতে চাইছেন। আর সেই কারণেই ভারত, চিন, রাশিয়ার নতুন যুগ তৈরী হতে চলেছে। মাল্টিন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্ক তথা ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস কোম্পানি জেফারিজের রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে,এই শুল্ক আসলে আমেরিকার প্রেসিডেন্টের ব্যক্তিগত শত্রুতার ফল, কারণ তিনি ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী এই টানাপোড়েন শেষ করায় নিজের বিশেষ ভূমিকা পালন করতে দেওয়া হয়নি।
{link}
প্রসঙ্গত, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কমপক্ষে ৪০ বার দাবি করেছেন যে ভারত-পাকিস্তানের সংঘাত পরমাণু যুদ্ধের রূপ নিতে পারত। তিনিই সেই সংঘাত আটকেছেন। তবে ভারত সাফ জবাবে জানিয়েছে, কোনও মধ্যস্থতায় সংঘাত থামেনি। পাকিস্তানের তরফে অনুরোধ আসার পরই সংঘর্ষবিরতি হয়েছে। পাকিস্তান ইস্যুতে কারোর মধ্যস্থতা গ্রহণ করা হবে না বলেই জানানো হয়েছে। তারপরও থামেননি ট্রাম্প। কখনও নিজে, কখনও বা হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি লেভিটকে দিয়ে বলিয়েছেন যে সংঘর্ষ থামানোর জন্য ট্রাম্পের নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়া উচিত। সংঘর্ষবিরতির দাবি করার আসল কারণ এটাই।
{ads}