বিজেপিতে যোগদানের পরপরই জুট কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার ডিরেক্টর করা হয়েছিল শুভেন্দু। দলবদলের বড় পুরস্কার তখনই পেয়েছিলেন তিনি। তৃণমূল ছাড়ার পরই জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল শুভেন্দুকে। তৃণমূল ত্যাগী রাজ্যের প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রীকে যদিও বিজেপিতে গিয়েই বলেছিলেন, 'কোনও পদের লোভে আমি বিজেপিতে আসিনি। আমাকে পতাকা লাগাতে বললেও তাই করব।' কিন্তু পতাকা লাগানোর কাজ করতে হয়নি তাকে, বদলে বড় পদে বসাল বিজেপি।
{link}
কংগ্রেস ছেড়ে শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলে চলে এসেছিলেন মমতার ডাকে সাড়া দিয়ে। তার পর দক্ষ সংগঠক শুভেন্দু জেলায় বামেদের দুর্গ ভেঙে খান খান করে দেন। মজবুত ভিতের ওপর দাঁড় করান তৃণমূলকে। মূলত তাঁরই ক্যারিশ্মায় অবিভক্ত মেদিনীপুরে বাম দুর্গে ধস নামিয়ে শুভেন্দু প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেন তৃণমূলের। দলনেত্রীর সঙ্গে মনান্তরের জেরে গতবছর ডিসেম্বরে তৃণমূল ছেড়ে শুভেন্দু যোগ দেন বিজেপিতে। তার পর থেকে কোমর কষে জেলায় গেরুয়া গড় তৈরিতে মনোযোগ দেন শুভেন্দু। মাত্র অল্প কয়েক মাসে পূর্ব মেদিনীপুরে ভিত মজবুত করেন পদ্মের। যার জেরে জেলার ১৬টি আসনের মধ্যে সাতটিতেই জয়ী হন বিজেপি প্রার্থীরা।
{link}
তার পুরস্কারও মিলেছে বিজেপির তরফে। বাবা এবং ভাইকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা দিয়ে কী সেই পুরস্কারই দিলেন বিজেপি নেতৃত্ব? গতকাল, শুক্রবার দিনভর এই জল্পনায় মজে রইল রাজনৈতিক মহল। এদিনই শিশির অধিকারী এবং দিব্যেন্দু অধিকারীকে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা।
{link}
ভবিষ্যতে এ রাজ্যে বিজেপি যদি কোনও দিন ক্ষমতায় আসে, তাহলে তাতে হাতে গোণা যে কয়েকজনের অবদান থাকবে, তাদের মধ্যে অবশ্যই সামনের সারিতে থাকবেন শুভেন্দু। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই কারণেই শুভেন্দুকে দেওয়া হল ফের পুরস্কার। কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে চলে এলেন শিশির এবং দিব্যেন্দু। যদিও শুভেন্দুর ঘনিষ্ঠ মহলের মতে, পুরস্কার নয়, শাসক দলের হাতে নিগৃহীত হতে পারেন এই দুজন। তাই বাড়তি সতর্কতা।
{ads}