২০১৪ সালের স্টিং অপারেশন নারদ কাণ্ড নিয়ে ফের সরগরম রাজ্য রাজনীতি। বিজেপিকে ওয়াশিং মেশিন বলে কটাক্ষ করেছিলেন স্বয়ং মমতা! আজ সকালেই তা প্রমানিত হয়। নারদ স্টিং অপারেশন কাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছে রাজ্যের দুই মন্ত্রী এবং দুই বিধায়ককে। সাত সকালেই গ্রেফতার করা হয়েছে ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়। এছাড়াও গ্রেফতার করা হয়েছে শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং মদন মিত্রকেও। তাঁদের বাড়ি থেকে নিদাম প্যালেসে নিয়ে এসে গ্রেফতার করা হয়। আজই তাঁদের আদালতে পেশ করা হবে। একই সঙ্গে চার্জশিট জমা দেওয়া হবে আদালতে।
{link}
আজ, সোমবার সাতসকালে নারদকাণ্ডে গ্রেফতার হন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, প্রাক্তন পরিবহন মন্ত্রী মদন মিত্র এবং কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। এর পরেই নবান্নে না গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোজা চলে যান ভবানী ভবনে। তাঁকেও গ্রেফতার করতে হবে বলে দাবি জানান। যতক্ষণ না গ্রেফতার করা হবে, ততক্ষণ তিনি সেখানে বসে থাকবেন বলেও সাফ জানান মমতা।
{ads}
এতেই উঠে আসছে ওয়াশিং মেশিনের তত্ত্ব। বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে একাধিক তৃণমূল নেতা প্রশ্ন তুলেছিলেন, বিজেপি কি ওয়াশিং মেশিন, যে সেখানে গেলেই সবাই সাধু হয়ে যাবে? এঁদের অভিযোগের তির যে শুভেন্দু এবং মুকুলের দিকে তা স্পষ্ট। এদিন যখন ফিরহাদ সহ চারজন গ্রেফতার হলেন, তখন ফের উঠছে সেই ওয়াশিং মেশিনের তত্ত্ব। এ ব্যাপারে অবশ্য বিজেপি নেতারা আওড়াচ্ছেন বহুশ্রুত সেই তত্ত্ব, আইন চলবে আইনের পথে।
{link}
এদিকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, অবিলম্বে মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারী ও শঙ্কুদেব পান্ডাকে সিবিআই-র গ্রেফতার করতে হবে। পাশাপাশি বিজেপি বলছে তাহলে সৌগত রায়, অপরূপা পোদ্দার, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন বাদ যাবেন? শুধু তৃণমূল কংগ্রেস নয়, শুভেন্দু অধিকারীকে কেন গ্রেফতার করা হল না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নারদ স্টিং অপারেশ কাণ্ডের অন্যতম পুরোধা ম্যাথ্যু স্যামুয়েলও। তিনি নিজে এই ঘটনা জানার পর প্রতিক্রিয়া দিয়ে জানিয়েছেন কেন শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতার করা হল না। চার্জ শিটে মুকুল শুভেন্দুর নাম রয়েছে কিনা তা নিয়েও প্রশন তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। দল বদলের পুরস্কার হিসেবে মুকুল-শুভেন্দুকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না বলেও দাবি করেছে শাসক দল। এখন দেখার, কবে গ্রেফতার হন মুকুল-শুভেন্দু!
{ads}