header banner

ধর্মের ধ্বজা ধরাই কাল হল বিজেপির?

article banner

২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে ভাল ফল বিজেপি শিবিরে আশার আলো জাগিয়েছিল। সেই ফলাফলের ওপরে ভিত্তি করেই ঝাঁপিয়ে পড়েছিল গেরুয়া শিবির। বিরোধী শিবির থেকে নেতাদের যোগদান করিয়ে ভোটের সামনে ফুলে ফেঁপে উঠেছিল তারা। কিন্তু ম্যাজিক ফিগারের অর্ধেকে গিয়েই থামতে হল, হারতে হল তাদের। এর পিছনে উঠে আসছে নানা কারণ।

{link}


ধর্মের ধ্বজাধারী নয়, মানুষের দল হয়ে উঠতে হবে বিজেপিকে। বলছেন বিজেপিরই একটা অংশ। তাঁদের মতে, চলতি বিধানসভা ভোটে অত্যধিক মুসলিম বিরোধিতাই কাল হয়েছে গেরুয়া শিবিরের। যার খেসারত দিতে হতে পারে আগামী পুরনির্বাচনেও।নির্বাচনের দিন ঘোষণার পরে তৃণমূল অভিযোগ করেছিল বিজেপিকে সুবিধা করে দিতেই তারা (বিজেপি) যেসব জায়গায় শক্তিশালী, সেইসব জায়গায় প্রথম ভোট করানো হচ্ছে। যদিও ফলাফল প্রকাশের পর দেখা গেল ভিন্ন চিত্র। সেইসব এলাকাতেই তৃণমূল সাফল্য পেয়েছে। ফলাফলে আরও দেখা গিয়েছে নির্বাচনী সূচিতে বিজেপির কোনও সুবিধা পায়নি। কিন্তু চতুর্থ দফার পর থেকে তৃণমূল ক্রমেই শক্তি অর্জন করেছে।

{link}


জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিয়ে কার্যত রাজ্য ঝড় তুলেছিল বিজেপি। বিধানসভা নির্বাচনের ফল বেরলে দেখা যায়, নবান্ন দখলের স্বপ্ন ভেঙেচুরে খান খান। কারণ বিশ্লেষণ করতে গিয়ে শুরু হয়েছে আঙুল তোলাতুলি। দলের বর্ষীয়ান নেতা তথাগত রায় বলছেন, ‘নগরীর নটী’দের টিকিট দেওয়াই কাল হয়েছে বিজেপির। কেউ আবার বলছেন, বাছবিচার না করে দলবদলুদের টিকিট দেওয়াতেই ভরাডুবি হয়েছে দলের। রাজ্য বিজেপির এক পদস্থ নেতার আত্মতৃপ্তি, তিন থেকে তাঁরা হয়েছেন ৭৫! 

{ads}


তবে দলের বিপর্যয়ের আসল কারণটা বোধহয় খুঁজে পেয়েছেন বিজেপির একটা অংশের নেতারা। তাঁদের মতে, ধর্মের ধ্বজাধারী হওয়াতেই গোহারা হেরেছে বিজেপি। সবুজে ছয়লাপ গোটা রাজ্য। এর ব্যাখ্যাও দিয়েছেন ওই নেতারা। তাঁরা বলছেন, বিজেপিতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অনেক নেতানেত্রী রয়েছেন। চলতি বিধানসভা নির্বাচনে তাঁদের ঠিক মতো কাজে লাগানো হয়নি। মাফুজা খাতুনের মতো বাগ্মী নেতাকেও সেভাবে প্রচার করতে না দিয়ে কার্যত বসিয়ে রাখা হয়েছে। তাঁদের দিয়ে না করানো হয়েছে ব্যাপক প্রচার, না আনা হয়েছে সামনের সারিতে। মুখে জয় শ্রীরাম ধ্বনি দেওয়া কতগুলো নেতাকে নিয়ে আসা হয়েছে সামনের সারিতে, ব্যাকফুটে ঠেলে দেওয়া হয়েছে দলের সংখ্যালঘু মুখদের। ভাঙড়ের মতো মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় যেখানে তৃণমূল প্রার্থী করেছে রেজাউল করিমকে, আইএসএফ প্রার্থী করেছে নৌসাদ সিদ্দিকিকে, সেখানে কোন অঙ্কে বিজেপি প্রার্থী করে সৌমি হাতিকে?  প্রশ্ন তো দলেই। 

{link}


২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি রাজ্যে ১৮ টি আসন দখল করে। বিধানসভা ভোটের নিরিখে দেখা যায়, তারা ১২১ টি আসনে এগিয়ে আছে। সেই সময় থেকেই ঝাঁপিয়ে পড়ে গেরুয়া শিবির। সেই সময় সংগঠন শক্তিশালী না থাকলেও, তা করার কাজ শুরু করেছিল তারা। টার্গেট ছিল ১৪৭ আসন। কিন্তু টার্গেটের অনেক আগে গিয়েই থামতে হল তাদের।

{ads}
 

Politics BJP Loksabha Election West Bengal 15th May India সংবাদ রাজনীতি

Last Updated :