Kamduni Rape Case: কামদুনিকাণ্ডে লঘু হয়েছিল দোষীদের সাজা। যাদের ফাঁসির হুকুম হয়েছিল, তাদের হয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। কয়েকজন আবার বেকসুর খালাসও পেয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের এই রায়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিল কামদুনি। সেদিনই জানিয়েছিল, হাইকোর্টের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যাবেন কামদুনি আন্দোলনের অন্যতম মুখ টুম্পা কয়াল ও মৌসুমী কয়াল। সেই মতো বুধবার সকালের বিমানে দিল্লি উড়ে গেলেন টুম্পা, মৌসুমী এবং নির্যাতিতার দুই ভাই। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন কামদুনি গ্রামের প্রাথমিক স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষক প্রদীপ মুখোপাধ্যায় এবং বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা সহ মোট ৯জন। দিল্লির উড়ান ধরার আগে মৌসুমী বলেন, হাইকোর্টের রায়র পর আমাদের মন ভেঙে গিয়েছে। আমরা সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছি। জানি না, আদৌ সঠিক বিচার পাব কি না। টুম্পা বলেন, রাজ্য সরকার এখন সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে। শুনেছি, কপিল সিব্বলকে আইনজীবী হিসেবে দাঁড় করাবে। এতদিন সরকার কী করছিল রাজ্য সরকার আইনের ফাঁক তৈরি করেছিল। এখন অপরাধীরা মুক্তি পেয়ে যাওয়ার পর রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে দৌড়চ্ছে। শঙ্কু বলেন, রাজ্য সরকারের কাছে সুযোগ ছিল অপরাধীরা যাতে ছাড়া না পায়, তা নিশ্চিত করা। কিন্তু তা হয়নি।
{link}
জানা গিয়েছে, তাঁদের হয়ে সওয়াল করবেন প্রয়াত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুষমা স্বরাজের মেয়ে । হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছে কামদুনি। রাজ্যের গাফিলতিতেই গণধর্ষণ-খুনের মামলায় সাজাপ্রাপ্তরা মুক্তি পেয়েছে, অভিযোগ প্রতিবাদীদের। খোদ কলকাতা হাইকোর্ট তার রায়ের কপিতে উল্লেখ করেছে, এই অপরাধ পূর্ব পরিকল্পিত এবং ষড়যন্ত্রমাফিক ঘটানো হয়েছে, তা সন্দেহের ঊর্ধ্বে প্রমাণে ব্য়র্থ হয়েছে সরকারপক্ষ। রায়ের কপিতে আরও বলা হয়েছে, ধর্ষণ এবং খুনে, সইফুল এবং আনসারের মতো একই উদ্দেশ্য় ছিল এমামুল, ভুট্টো, ভোলা এবং আমিন আলির, সরকারপক্ষের এই যুক্তি নড়বড়ে ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে এবং তা প্রমাণিত একথা বলা যায় না। আর তাই কামদুনির তদন্তের ক্ষেত্রে গাফিলতির অভিযোগ ইতিমধ্য়েই জোরালভাবে উঠেছে। সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকারের দায়ের করা মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী সপ্তাহে
{ads}