শেফিল্ড টাইমস ডিজিটাল ডেস্ক: বুধবার বেলা ১টার সময় হঠাৎ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের পৌঁছে যান বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। স্বাভাবিক কারণেই প্রশ্ন ওঠে - হঠাৎ কি ব্যাপার? সূত্র মাধ্যমে জানা যাচ্ছে, কেন্দ্রীয় মুখ্য তথ্য কমিশনারের পাশাপাশি আট তথ্য কমিশনার নিয়োগ এবং পরবর্তী ভিজিল্যান্স কমিশনার নিয়োগ ছিল মূল আলোচ্য বিষয়। কারণ এই নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী মনোনীত একজন মন্ত্রীর পাশাপাশি লোকসভার বিরোধী দলনেতারও ভূমিকা থাকে। তাই সাংবিধানিক বিধি মেনেই মোদি এবং শাহের সঙ্গে বৈঠক করেন রাহুল। এদিন বেলা ১টায় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পৌঁছে যান তিনি। বৈঠক শুরু হয় মিনিট সাতেক পর। তবে যত সময় গড়াতে থাকে, ততই সাংসদদের মধ্যে বাড়তে থাকে কৌতূহল। রাহুলের সঙ্গে কোন বিষয় আলোচনার টেবিলে উঠে আসতে পারে, সেই নিয়ে সংসদ ভবনে শুরু হয়ে যায় জল্পনা।
{link}
বৈঠক শেষে সূত্র মারফৎ জানা যায়, তথ্য কমিশনার নিয়োগ নিয়েই আলোচনা হয়। শোনা যাচ্ছে, প্রস্তাবিত সমস্ত নাম নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন রাহুল এবং নিজের অপছন্দ লিখিত আকারে জমাও করেন তিনি।
মোদি সরকারের আমলে পরিবর্তিত আইনে উক্ত নিয়োগের জন্য কমিটিতে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী, লোকসভার বিরোধী দলনেতা এবং প্রধানমন্ত্রী মনোনীত একজন মন্ত্রী। সেই কমিটির বৈঠক ডাকবেন প্রধানমন্ত্রী। কমিটির বৈঠকে যে নাম গৃহীত হবে, তা যাবে রাষ্ট্রপতির কাছে। তিনিই মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং অন্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ করবেন। তথ্যের অধিকার আইন অনুযায়ী, আরটিআই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কোনও সরকারি আধিকারিকের প্রতিক্রিয়া অসন্তোষজনক মনে হলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা যায়। সম্ভবত সেইসব বিষয় নিয়েই প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বিরোধী দলনেতার আলোচনা হয়েছে।
{ads}