শেফিল্ড টাইম্স ডিজিটাল ডেস্ক : একটা জীবন্ত তিমি মাছকে রাশিয়ার গুপ্তচর (Russian spy) ভাবা হচ্ছিলো এতদিন। কিন্তু হঠাৎ তার মৃতদেহ ভাসতে দেখা যায়। ওই মৃত্যুতে খুবই উদ্বিগ্ন পরিবেশ বিদেরা (environmentalist)। দৈর্ঘ্য ১৪ ফুট। ওজন ১২০০ কেজি। ২০১৯ সালে প্রথমবার তার কথা জেনেছিল বিশ্ব। গত ৩১ আগস্ট হলদিমির নামে সেই ‘গুপ্তচর’ তিমির দেহ উদ্ধার হয়েছে নরওয়েতে। তার পর থেকেই শুরু হয়েছে জল্পনা। প্রশ্ন উঠেছে, ওই তিমিকে কেন গুপ্তচর ভাবা হচ্ছে? আসলে ওই বিশাল তিমির গলায় বাঁধা আছে একটা বেল্ট। সেই নিয়েই সংশয় শুরু।
{link}
সেই বেল্টএ সেন্ট পিটার্সবার্গের নাম ছিল বলেই দাবি। তখন থেকেই মনে করা হচ্ছিল রুশ ‘গুপ্তচর’ হিসেবে কাজে লাগানো হচ্ছে এই তিমিকে। যদিও রাশিয়া এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি। কেন তার এমন নাম? আসলে নরওয়ের ‘হল’ ও রাশিয়ার ‘ভ্লাদিমির’- এই দুই শব্দ মিলেই তার এমন নাম। তবে হলদিমির গুপ্তচর কিনা তা নিয়ে সংশয় থাকলেও সে যে আসলে মানুষের প্রতি খুবই বন্ধুবৎসল তার প্রমাণ মিলেছিল। আর তা দেখেই প্রমাদ গুনেছিলেন বিজ্ঞানী (Scientists) ও পশুপ্রেমীরা (animal lovers)। তাঁদের দাবি ছিল, মানুষের থেকে যে বিপদ আসতে পারে সেটাই তিমিটির অজানা।
{link}
যদিও বেলুগা তিমিরা সাধারণ মেরু অঞ্চলের নির্জনতাতেই থাকে।পরবর্তী সময়ে স্ক্যান্ডিনেভিয়ান উপকূলের পাশাপাশি সুইডেনের উপকূলেও জলে ভাসতে দেখা গিয়েছে হলদিমিরকে। গত বছর তাকে বাণিজ্যিক ও বিপজ্জনক জলেও সাঁতার কাটতে দেখা গিয়েছিল। কিন্তু বিজ্ঞানীদের দাবি, আকস্মিক মৃত্যুর আগে তার শরীরে কোনও সমস্যা ছিল না। ফলে রহস্য ঘনাচ্ছে তার মৃত্যুর পর। প্রশ্ন উঠছে, এর পিছনে কি কোনও আন্তর্জাতিক চক্রান্ত রয়েছে? রহস্য ক্রমেই ঘনাচ্ছে।
{ads}