শেফিল্ড টাইম্স ডিজিটাল ডেস্ক : ইউনুস (Muhammad Yunus) সরকারের প্রত্যক্ষ মদতে ইউনুস সরকারের একাধিক মন্ত্রী ও বিএনপি নেতা যেভাবে ভারত বিরোধী উত্তেজনা মূলক কথা বলে চলেছে, তাতে সীমান্তে উত্তেজনা বাড়ছে। তৈরী হচ্ছে একটা যুদ্ধ যুদ্ধ পরিবেশ। আর সেই কারণেই BGB সাহস পাচ্ছে সীমান্তে BSF কে কাঁটাতার দিতে বাধা দেওয়ার। আমরা সবাই জানি, পাকিস্তানের উস্কানিতে বাংলাদেশের মৌলবাদী শক্তি ভারতের সঙ্গে পায়ে পা লাগিয়ে ঝগড়া করছে।
{link}
ঠিক সেই পরিস্থিতিতে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) প্রজাতন্ত্র দিবসে বলেন, "ভারত শক্তিশালী দেশ। এরা আঁচড় দিচ্ছে, ঢিল ছুড়ছে। বিএসএফ ধৈর্যের পরীক্ষা দিচ্ছে। কারণ, বাংলাদেশে এখন একটা মৌলবাদী সরকার ক্ষমতায় রয়েছে। তারা ওখানে সরকার চালাতে পারছে না। হিন্দুদের উপর আক্রমণ হচ্ছে। ওখানে আইনশৃঙ্খলা শেষ হয়ে গিয়েছে। তাই, যুদ্ধের জিগির তুলে, সীমান্তে উত্তেজনা সৃষ্টি করে সুদখোর ইউনূস দেশপ্রেমের জিগির তুলে টিকে থাকতে চান।" এই পর্যন্ত তাঁর বক্তব্য ছিল রাজনৈতিক। খুব বিতর্ক ছিল না। কিন্তু মনে রাখতে হবে ভারত অনেক বড়ো দেশ। ধারে ও ভারে বাংলাদেশ ভারতের ধারে কাছে নেই। তাই ভারতের ব্যবহারে হওয়া উচিত অনেকটা বড়ো ভাইয়ের মতো।
{link}
লক্ষ করলে দেখা যাবে ইউনুসের মন্ত্রী সভার একাধিক সদস্য নানা ভারত বিরোধী মন্তব্য করলেও কিন্তু ভারতের কোনো কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কোনো উস্কানি মূলক কথা বলেন নি। অথচ শুভেন্দু তার পরেই বললেন - "ভারতের সামরিক শক্তি এখন অনেক উপরে। আমাদের ম্যান পাওয়ার লাগবে না। কয়েকটা ড্রোন ছেড়ে দিলেই কেল্লাফতে। এই মশা-মাছিরা যদি আমাদের বিরুদ্ধে চোখ তুলে, তাহলে জানবেন স্যাকরার ঠুকঠাক, কামরার এক ঘা।” এই ড্রোন প্রসঙ্গ এনে শুভেন্দু কিন্তু ঠিক করেন নি। নরেন্দ্র মোদী খুব বিচক্ষণের মতো নীরব আছেন। সারা বিশ্ব দেখছে ভারতের ধৈর্য ও নীরবতা। কিন্তু শুভেন্দুর কথা আসলে 'এক গামলা দুধে এক ফোঁটা চোনা দেওয়ার' মতো হয়ে যাচ্ছে। তাই শুভেন্দুর আরও বাক সচেতন হওয়া উচিত বলেই যুদ্ধ বিরোধী নাগরিক মহল মনে করেন।
{ads}