শেফিল্ড টাইম্স ডিজিটাল ডেস্ক : ভারত-চিন সম্পর্ক বেশ অম্ল-মধুর। এই মুহূর্তে ভারতের বিদেশমন্ত্রী চিনে। আর তখন ভারত পরীক্ষামূলকভাবে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের ‘সারফেস টু এয়ার’ মিসাইল ছাড়লো। যে দুট ‘টার্গেটে’ নিশানা করা হয়, সেগুলি অত্যন্ত দ্রুত ছুটছিল। তারপরও নিখুঁতভাবে নিশানা করেছে আকাশ প্রাইম এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। লাদাখ সেক্টরের ঠিক কোথায় সেই ট্রায়াল চালানো হয়েছে, তা অবশ্য স্পষ্টভাবে জানানো হয়নি। তবে কৌশলগতভাবে যে সেই জায়গাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
{link}
কারণ লাদাখ সেক্টরের কাছেই হল প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা অর্থাৎ ভারত-চিন সীমান্ত। আর সেই সীমান্তের কাছাকাছি এলাকায় আকাশ প্রাইমের পরীক্ষা চালিয়ে ভারত যে চিনকে বার্তা দিল, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। ইতিমধ্যে ভারতীয় সেনার হাতে আকাশ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম আছে। অপারেশন সিঁদুরের সময় চিনা এয়ারক্রাফট এবং তুরস্কের ড্রোন ব্যবহার করে পাকিস্তানি সেনা যে হামলা চালিয়েছে, তা রুখে দিয়েছিল আকাশ। একেবারে নিখুঁতভাবে নিশানা করেছিল। আর এখন যে আরও উন্নত এবং শক্তিশালী আকাশ প্রাইম এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের পরীক্ষা চালানো হয়েছে, তা তৃতীয় এবং চতুর্থ রেজিমেন্ট তৈরি করবে। অর্থাৎ সহজভাবে বলতে গেলে আকাশ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম হল ‘ভাই’।
{link}
আর আকাশ প্রাইম এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম হল ‘দাদা’। কেন্দ্রের তরফে ইতিমধ্যে জানানো হয়েছে, অনেক উঁচুতে এবং প্রবল ঠান্ডার মধ্যে নিখুঁতভাবে 'টার্গেট' নিশানা করতে সিদ্ধহস্ত হল আকাশ প্রাইম এয়ার ডিফেন্স। আকাশ যে কতটা নিখুঁত, সেটার প্রমাণ অপারেশন সিঁদুরের সময় পাওয়া গিয়েছিল। তার থেকেও নিখুঁতভাবে হামলা চালাতে পারে আকাশ প্রাইম এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম।
{ads}