Supreme Court: বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগের কমিটিতে মুখ্যমন্ত্রী ও উচ্চ শিক্ষা দফতরের প্রতিনিধি রাখতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) গিয়েছিল রাজ্য সরকার। বুধবার দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিল, এখনই এ বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেবে না তারা। রাজ্যপালের অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগের সিদ্ধান্তেও এখনই স্থগিতাদেশ দিচ্ছে না সুপ্রিম কোর্ট। এর আগে উপাচার্য নিয়োগে সার্চ কমিটি গড়ে দেওয়ার কথা বলেছিল আদালত। রাজ্যের তরফে পাঁচজন এবং রাজ্যপালের তরফে পাঁচজনের নাম জমা দিতে বলা হয়। পাঁচজনের নামের তালিকা দিতে বলা হয়েছিল ইউজিসিকেও। তিন পক্ষের থেকে তিনজনকে বেছে নিয়ে সার্চ কমিটি গঠন করা হবে বলে জানিয়েছিল আদালত। এই কমিটিই প্রস্তাব করবে উপাচার্যের নাম। আইনজীবীরা চাইলেও নাম দিতে পারেন বলেও জানিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। সার্চ কমিটিতে পরিবর্তন আনতে অর্ডিন্যান্স পাশ করে রাজ্য সরকার। তাকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় রাজভবন।
{link}
রাজ্যপালের আইনজীবী সুস্মিতা সাহা দত্তের অভিযোগ, নতুন কমিটিতে রাজ্য সরকারের তিনজন প্রতিনিধি থাকার কথা বলা হয়েছে। যার অর্থ হল, রাজ্য কোনও সিদ্ধান্ত নিলে সংখ্যাগরিষ্ঠতার কারণে ওই কমিটিতে তা সহজেই পাশ হয়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে রাজ্যপালের মতামত উপেক্ষা করার সুযোগ থাকছে। এই মামলায়ই মুখ্যমন্ত্রী ও উচ্চ শিক্ষা দফতরের প্রতিনিধি রাখতে চেয়ে শীর্ষ আদালতে আবেদন জানায় রাজ্য। এদিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, এখনই ওই বিষয়টি বিবেচনা করা হবে না। রাজ্যের অধ্যাদেশ নিয়ে যে মামলা হয়েছে, সে ব্যাপারে কলকাতা হাইকোর্টই সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ৬ অক্টোবর। রাজ্য সরকারকে এড়িয়েই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করেন বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে। আচার্যের সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকার। তাদের বক্তব্য ছিল, রাজ্যপাল যে পদ্ধতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ করেছেন, তা বৈধ নয়।
{ads}