শেফিল্ড টাইম্স ডিজিটাল ডেস্ক : ভূস্বর্গ কাশ্মীরকে (Kashmir) দীর্ঘদিন ধরেই টার্গেট করেছে পাকিস্তানপন্থী জঙ্গিবাহিনী। পাকিস্তান যে বিশ্ব জঙ্গির আতুরঘর তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। সেই পরিস্থিতিতে পহেলগাঁওয়ে ২৬ জন নিরীহ মানুষের প্রাণ নিয়েছে ৬ জন জঙ্গি। ভারত প্রথম থেকেই বলে আসছে, এই ঘটনায় পাকিস্তানের মদত আছে। যদিও পাকিস্তান তা অস্বীকার করেছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
{link}
নয়াদিল্লিতে ঘন ঘন উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়েছে গত কয়েক দিনে। ইসলামাবাদের ছবিও প্রায় একই রকম। আমেরিকা-সহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কথা বলছে দু’পক্ষই। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে ভারত। পহেলগাঁও (Pahalgam) কাণ্ডের পর গত এক সপ্তাহ ধরে প্রতি রাতেই কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে যাচ্ছে পাকিস্তানি সেনা। প্রয়োজন অনুসারে জবাব দিচ্ছে ভারতীয় সেনাও। ইতিমধ্যে ভারত জল, স্থল, নৌ - তিন বাহিনীকেই সজাগ করেছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারত কি করছে - এই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এর আগে সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি স্থগিত রাখার থেকে শুরু করে আকাশসীমা বন্ধের করার মতো ঘোষণা করেছে ভারত। এর জেরে পাকিস্তান অর্থনৈতিক ভাবে বেশ চাপে বলে মনে করা হচ্ছে। এরই মধ্যে প্রতিবেশীর দেশের অসুবিধা আরও বাড়তে পারে ভারত। জানা গিয়েছে, এফএটিএফ অর্থাৎ ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের ধূসর তালিকায় পাকিস্তানকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্যে প্রয়াস শুরু করেছে ভারত। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সহায়তার দিক থেকেও ধাক্কা খেতে পারে পাকিস্তান।
{link}
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারত আরও দুটি বড় পদক্ষেপের কথা ভাবছে। এর মধ্যে প্রথমটি হল পাকিস্তানকে এফএটিএফের ধূসর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা এবং আইএমএফের ৭ বিলিয়ন ডলারের সহযোগিতা প্যাকেজের বিষয়ে আপত্তি জানানো। এই ইস্যুর সঙ্গে অবগত বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, আইএমএফের মামলায় ভারত উল্লেখ করতে পারে যে পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদী হামলা এবং ঘৃণ্য কার্যকলাপের জন্য অর্থের অপব্যবহার করছে। পাকিস্তানকে ধূসর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য ভারতের এফএটিএফের অন্যান্য সদস্য দেশগুলির সমর্থনেরও প্রয়োজন। এখন দেখার সেই সমর্থন ভারত কতটা পাবে। চিন ও তুরস্ক সম্ভবত পাকিস্তানের পক্ষে থাকবে। কিন্তু আমেরিকা, রাশিয়া সহ অন্যান্য দেশের উপর বিষয়টা নির্ভর করছে।
{ads}