শেফিল্ড টাইমস ডিজিটাল ডেক্স: দীর্ঘদিন ধরে ভারত ছিল তাদের পরম মিত্র দেশ। চিনপন্থী নেতা মহম্মদ মুইজ্জু ক্ষমতায় আসার পর তলানিতে ঠেকে ভারত-মলদ্বীপ (Maldives) সম্পর্ক। পুরানো বন্ধু-দেশের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে এবার সুর চড়াল দ্বীপরাষ্ট্রের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল মলদ্বিভিয়ান ডেমক্রেটিক পার্টি ও ডেমোক্র্যাটস। যৌথ বিবৃতিতে এই দুই দলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ভারত মলদ্বীপের দীর্ঘদিনের পরম মিত্র।
{link}
ভারত-মলদ্বীপের সম্পর্ক আক্ষরিক অর্থেই ছিল পরম মিত্রের মতো। গত নির্বাচনে মলদ্বীপের ক্ষমতায় আসে মুইজ্জু সরকার। তার পর থেকেই চড়তে থাকে মলদ্বীপ-চিনের সখ্যের পারা। প্রত্যাশিতভাবেই আলগা হতে থাকে ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্কের বাঁধন। এই বাঁধন ছিন্ন হয়ে যায় সম্প্রতি একটি ঘটনাকে ঘিরে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি অবমাননাকর মন্তব্য করেন মলদ্বীপের তিন মন্ত্রী। ঘরে-বাইরে চাপের মুখে পড়ে সাসপেন্ড করা হয় ওই মন্ত্রীদের। তার পরেও অবশ্য উন্নতি হয়নি নয়াদিল্লি-মালের সম্পর্কের। সম্পর্কের এই আবহে ঘৃতাহুতি দেয় চিনা চর জাহাজকে মুইজ্জু সরকারের (Maldives) স্বাগত জানানোকে কেন্দ্র করে। ভারত মহাসাগরে নোঙর করবে জাহাজটি। এরই কিছুদিন আগে চিন সফরে গিয়ে বেজিংকে বন্ধু বলে ঘোষণা করেছিলেন মুইজ্জু স্বয়ং।
{link}
চিনপন্থী মুইজ্জু সরকারের ভারত-বিরোধী এহেন অবস্থান মেনে নেয়নি মলদ্বীপের বিরোধী দলগুলি। দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল ভারতকেই পুরানো বন্ধু বলে উল্লেখ করে যৌথ বিবৃতি দেয়। মুইজ্জু সরকার চিনা গুপ্তচর জাহাজকে স্বাগত জানানোয়ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ওই দুই রাজনৈতিক দল। দ্বীপরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের একটি প্রথা ছিল, যিনি প্রেসিডেন্ট পদে জয়ী হবেন, তিনি প্রথমে সফর করবেন পরম মিত্র দেশ ভারত। সেই প্রথা ভেঙে মুইজ্জু সফর করেছেন চিন। এনিয়েও ক্ষুব্ধ বিরোধীরা। যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বর্তমান প্রশাসন ভারত-বিরোধী অবস্থান নিচ্ছে। তবে এমডিপি এবং দ্য ডেমোক্র্যাটস বিশ্বাস করে, দেশের দীর্ঘমেয়াদি উন্নতিতে দীর্ঘ পুরানো মিত্র দেশ ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতিতে। নয়াদিল্লি-মালে সম্পর্কের উন্নতিতে এদিন বারংবার জোর দিয়েছেন এমডিপির চেয়ারপার্সন ফৈয়জ ইসমাইল, পার্লামেন্টের ডেপুটি স্পিকার আহমেদ সালিম, ডেমক্র্যাটস পার্টির প্রেসিডেন্ট হাসান লতিফ এবং পার্লামেন্টারি গ্রুপ লিডার আলি আজিম (Maldives)।
{ads}