করোনার প্রথম ঢেউয়ের ছবিটা যতটা ভয়াবহ এবং আতঙ্কদায়ক ছিল করোনা দ্বিতীয় ঢেউয়ের সামনে বর্তমানে তা কার্যত অতি সামান্য মনে হতে শুরু হয়েছে। নিজের রূপে বদল ঘটিয়ে আরও ভয়ানক ও প্রানঘাতি হয়ে উঠেছে এই মারণ ভাইরাস। বর্তমানে ভারতে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে পৌঁছেছে ৪ লাখের কাছাকাছি, মৃত্যুও ৪ হাজারের থেকে খুব বেশি দূরে নেই। দেশে মোট করোনা আক্রান্তের বিপুল সংখ্যা শুধু দেশ নয় সারা পৃথিবীর কাছেই ভয়াবহ। আক্রান্তদের অক্সিজেন, ওষুধপত্র ও হাসপাতালে বেড পেতে কালঘাম ছুটে যাচ্ছে। বাকি আর অন্যদিনের মতোই দৈনিক পরিসংখ্যানের গ্রাফে আক্রান্তের সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মৃতের সংখ্যা।
{link}
শুক্রবার সকালে দেওয়া স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযাই, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩ লক্ষ ৮৬ হাজার ৪৫২ জন করোনা ভাইরাসের কবলে পড়েছেন। একদিনে মারণ ভাইরাসের আঘাতে প্রান হারিয়েছেন ৩,৪৯৮ জন। ভারতের মধ্যে বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে সবথেকে ভয়াবহ অবস্থা মহারাষ্ট্রে। একইভাবে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে দিল্লিও। জুলাই ও আগস্টে মহারাষ্ট্রে করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার ইঙ্গিতও দিয়ে রেখেছেন বিশেষজ্ঞরা। রাজধানী দিল্লিতে লকডাউনের মেয়াদ আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দেশে এখনও পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৮৭ লক্ষ ৬২ হাজার ৯৭৬, এখনও পর্যন্ত করোনার বলি ২ লক্ষ ০৮ হাজার ৩৩০ জন। সবচেয়ে বেশি চিন্তা বাড়াচ্ছে লাফিয়ে বাড়তে থাকা অ্যাকটিভ কেস। বর্তমানে দেশে করোনার সক্রিয় রোগী ৩১ লক্ষ ৭০ হাজার ২২৮ জন।
{link}
বিভিন্ন দেশ থেকে এই বিপদের সময়ে সাহায্যের হাত বাড়ানো হয়েছে ভারতকে। সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে চিরশত্রু পাকিস্তানও। বিমানে করে অক্সিজেন পাঠানো হয়েছে জাপান থেকে। সাহায্য এসেছে চীনের থেকেও। সবমিলিয়ে শীঘ্রই এই বিপদ থেকে দেশ উদ্ধার পাবে বলে আশাবাদী দেশের মানুষ।
{ads}