Newsclick: দিল্লিতে কয়েকজন সাংবাদিকের বাড়িতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তল্লাশি চালানোয় মোদির সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলেন দেশীয় সাংবাদিককুলের একাংশ। তবে তদন্তকারী সংস্থা যে নিছক সন্দেহের বশে ওই সাংবাদিকদের বাড়িতে হানা দেয়নি, তার প্রমাণ মিলল। দিল্লি পুলিশের দাবি, গোপন সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, প্রবীর পুরকায়স্থ, নেভিল রায় সিংঘম এবং সিংঘমের মালিকানাধীন সাংহাই ভিত্তিক এক সংস্থার চিনা কর্মচারীর মধ্যে কিছু ইমেল চালাচালি হয়েছিল। সেই ইমেলগুলি ঘেঁটে দেখা গিয়েছে, কাশ্মীর ও অরুণাচল প্রদেশকে ভারতের অংশ নয় বলে দেখাতে চেয়েছিলেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, প্রবীর নিউজক্লিকের প্রতিষ্ঠাতা তথা প্রধান সম্পাদক। চিনের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে চিন-পন্থী প্রচার করার অভিযোগে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় গ্রেফতার করা হয়েছে প্রবীরকে।
{link}
পুলিশের স্পেশাল সেলের দাবি, এঁদের এই ধরনের প্রচেষ্টা থেকে বোঝা গিয়েছে, তামাম বিশ্বে তাঁরা কাশ্মীর এবং অরুণাচল প্রদেশকে বিতর্কিত অঞ্চল হিসেবে দেখানোর ষড়যন্ত্র করেছিল। ভারতের উত্তর সীমান্তে অশান্তি বাঁধানোর চেষ্টা এবং কাশ্মীর ও অরুণাচল প্রদেশকে ভারতের মানচিত্রের অংশ নয় বলে দেখানোর এই চেষ্টা, ভারতের একতা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে ক্ষুণ্ণ করার প্রচেষ্টার শামিল। পুলিশের দাবি, বিদেশি তহবিল চুরি করেছেন পবিত্র ও তাঁর সহযোগীরা। গৌতম নাভালাখা নিউজক্লিকের একজন শেয়ারহোল্ডার। তিনি ভারত বিরোধী ও বেআইনি কার্যকলাপে জড়িত ছিলেন। নিষিদ্ধ নকশাল সংগঠনগুলির প্রতি তাঁর সক্রিয় সমর্থন রয়েছে। পাকস্তানের গুপ্তচর সংস্থার আইএসআইয়ের এজেন্ট গুলাম নবি ফাইয়ের সঙ্গেও তাঁর সম্পর্ক রয়েছে। পুলিশের আরও দাবি, কোভিড অতিমারির সময় দেশকে কোভিডমুক্ত করতে ভারত সরকার যেসব পন্থা অবলম্বন করেছিল, তাকে খাটো করে দেখানোর জন্য মিথ্যে গল্প প্রচার করা হয়েছিল।
{ads}